Skip to main content

Posts

Showing posts from January, 2021

ইমোজি ভালোবাসি

ইমোজি ভালোবাসি     একটি ইমোজি তোর থেকে পেতে  পোড়াই যে কত কাঠখড় সে তো শুধু আমিই জানি হৃদয়ে লাগাতার ঝড়।    তুই কি জানিস - তোর থেকে আসা একটি ইমোজির দাম সে তো শুধু আমিই জানি সুখে মোড়া তোর নাম।    একটি ইমোজি তোলপাড় করে আমার পিয়াসী মন,  একটি ইমোজি খুশিতে ভরে আমার উদাসী ক্ষণ।   ছলকে উঠে আকুল হৃদয়  সুখ টইটম্বুর,  ইমোজি ধারায় ছুটে চলে যত ভালো লাগা ঘনঘোর।    একটি ইমোজির পথ চেয়ে থাকি অগুনতি হা-পিত্যেশে মরেছি মরমে, জ্বলেছি শরমে কেন যে ভালোবেসে।    কত যে কথার পাহাড় রচি তোর সাথে দিনে রাতে  আমার হৃদয় দুলকি চালে নাচে তোর ইমোজিতে।    বিধিনিষেধের যাঁতাকলে আমি পথ খুঁজে না পাই ঘুরপথে তোর ইমোজি পেতে ইথারে পৌঁছে যাই।    আমার যত খুনসুটি কথা তোর যে হৃদয় দোলায়  সেই বার্তাটি আসে ফিরে তোর একটি ইমোজি ছোঁয়ায়।    এমনি করেই ভাসবো দুটিতে দেখব তোকে - আশা,  বলবে কথা এমনি ইমোজি  ভালো লাগা ভালোবাসা।

ইমোজি ভালোবাসা

ইমোজি ভালোবাসা একটি ইমোজি তোর থেকে পেতে   পোড়াই যে কত কাঠখড় সে তো শুধু আমিই জানি হৃদয়ে লাগাতার ঝড়।     তুই কি জানিস - তোর থেকে আসা একটি ইমোজির দাম সে তো শুধু আমিই জানি সুখে মোড়া নীল খাম।     একটি ইমোজি তোলপাড় করে আমার পিয়াসী মন,   একটি ইমোজি খুশিতে ভরে আমার উদাসী ক্ষণ।   ছলকে উঠে আকুল হৃদয়   সুখ টইটম্বুর,   শোণিত ধারায় ছুটে চলে যত ভালোবাসা ঘনঘোর।     তুই তো থাকিস গণ্ডি ভেতরে   লোক জানাজানি ভয়ে,   আমি তো প্রতিটি ক্ষণেই তোকে ভাবি মশগুল হয়ে।     একটি ইমোজির পথ চেয়ে থাকি অগুনতি হা-পিত্যেশে মরেছি মরমে, জ্বলেছি শরমে আমি তোকে ভালোবেসে।     কত যে কথার পাহাড় রচি তোর সাথে দিনে রাতে  লোকলাজ ভয়ে চাপা পড়ে রয়  ভাবী ঘাত প্রতিঘাতে।    বিধিনিষেধের যাঁতাকলে আমি পথ খুঁজে না পাই ঘুরপথে তাই তোর সকাশে ইথারে পৌঁছে যাই।    আমার যত না বলা কথা তোর যে হৃদয় দোলায়  সেই বার্তাটি আসে ফিরে তোর একটি ইমোজি ছোঁয়ায়।    এমনি করেই ভাসবো দুটিতে পুষবো মিলন আশা বলবে কথা এমনি ইমোজি  ভালোবাসা ভালোবাসা।

নীলপাহাড়ি

দিন তিনেকের আনাগোনায় কেমন যেন আটকে আছি মায়ার বাঁধনে খুবই কাছের, খুব চেনা সব।  তাকিয়েই থাকি অপলক -  পেছনের এক ফালি ঝুলবারান্দায় ছুটে যাই বার বার এক অমোঘ টানে,  চেয়ারখানায় বসে থাকি নির্নিমেষ। কথা বলি চোখের ভাষায় - ওরাও বলে,  মুহুর্মুহু সাজিয়ে গুছিয়ে বদলায় নিজেকে। আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখি তাদের যুগান্তরের সখ্য। এ ওর গায়ে হেলান দিয়ে  যুগ যুগ ধরে শুয়ে থাকে ওরা সবাই মিলে তাকিয়ে আকাশ পানে। আমিও ভাবি তাদেরই মতো নীল আকাশে কোন সে পারাবার যেখানে - পানসি ছুটে সারা বেলা,  কিংবা অহরহ ভাসে দুষ্টু মেঘের ভেলা ? কখনো ওরা নীলাম্বরী, কখনো শুভ্র বসনা কখনো আবার আপন ছাঁচে সেজে ওঠে ওরা সবুজের সমারোহে। এতদিনের নীলপাহাড়ি -  এবার আমার অন্তরঙ্গ  আপন পরাণ সখা,  এতদিনে ধন্য হলো দেখা। 

তন্দ্রাবিভোর

লুকিয়ে আছে বনানী আজ মেঘের আড়ালে সারা গায়ে জড়িয়ে চাদর সারাটি দিন মগ্ন অলস ঘুমে। কাল, সন্ধে হতেই হিমের পরশ জাপটে ধরে ঝিরিঝিরি,  সেই সুখেতে শীত ঘুমের এই অলস বেলায় শিশির মেখে ঘুমিয়ে আছে তন্দ্রাবিভোর একের পর এক সুপ্ত হিমালয়। নীল পাহাড়ের এ আস্তানায় শেষ সন্ধ্যায় উঠলো বেজে বিদায় বেলার গান। সাঙ্গ হলো প্রতি রাতের পংক্তি ধরে মনের কথার রঙিন সুরের তান।

সীমারেখা

দাঁড়িয়ে আছি সীমার এপারে ওপার জুড়ে আস্ত একটি দেশ,  মাঝে পাইনি দেখা  কোথাও সীমারেখা -  হারিয়ে গেছে মেঘ পাহাড়ের খাঁজে।   ঢাল বেয়ে নেমে একের পর এক পাহাড়  এ ওর গায়ে শুধুই ঢলাঢলি,  কে জানে কোন দেশের সীমারেখা কোন সে দিশায় কোন পথে যে গেছে।  ভোরের বেলা সরিয়ে কুহেলি চাদর রোদ ঝলমল আকাশটাকে দেখে,  সারা বেলা কাটায় সঙ্গোপনে,  শেষ সন্ধ্যায় জোছনা গায়ে মেখে  এপার ওপার সব একাকার করে -  মুচকি হাসি দেয় ছড়িয়ে কল্পনার ওই সীমারেখা জুড়ে। 

চাঁদপাহাড়ি

কেমন সখ্য চাঁদ পাহাড়ে - আহা সারাটি রাত শুধুই লুকোচুরি। একা চাঁদ বিলিয়ে সোহাগ সামলে রাখে নগ্ন পাহাড় সারি।  আকাশ বেয়ে পাহাড় জাগে দেখবো ছুঁয়ে - আয় না ছুটে চাঁদ বাঁকা চাঁদ পালায় ধীরে ধীরে বিছিয়ে প্রেমের পাহাড় জোড়া ফাঁদ।   পূবের আকাশ সাক্ষী সেজে রয় আমিও আজ কিশোরী রাতের পাশে অপলকে জুড়াই নয়ন সুখ চেনা মুখের আদল শুধু ভাসে। (ছবি সৌজন্যে - গুগল) 

নৈশ নিঝুম বেলায়

এই যে ঘন হিমের পরশ ঘুমন্ত এই সাঁঝের বেলায় দূরান্তের এই পাহাড় পথে জানি না সে কোন যে গরজ। জানি শুধু দিবস যাপন নিক্তি ধরে মঞ্চ জুড়ে কুশীলবের নাম ভূমিকায়  বাঁধা ছকের সব আলাপন।  এমন করেই নৈশ নিঝুম বেলায়  আমি তুমি সে ও সখা মিলে ভুলেই থাকি দুঃখ ব্যথা যত,  এমনি করেই পার হয়ে যাই জীবন নদীর এপার ওপার যাই হারিয়ে মানব জমিন মেলায়। 

রূপনগরে আমি

 রূপনগরে আমি  - - - - - - - - - - - -  দমবন্ধ অন্ধকার মাতৃজঠরে অসহ্য বোধ প্রসূতি ও সন্তানের শীত শেষে নব বসন্তে বিগত যৌবনা জননীর কোলে সদ্যোজাত শিশুর প্রথম সকাল রাত শেষের চাঁদ শিমূলের ডালে দিন জাগার প্রাক্কালে ধরণীর বুকে আমার আত্মপ্রকাশ। এভাবেই আত্মপ্রকাশ হলো কবি রবিশঙ্কর ভট্টাচার্যের প্রথম কাব্যগ্রন্থ - ‘রূপনগরে আমি’র। দীর্ঘদিন ধরে কবিতা লিখছেন কবি রবিশঙ্কর ভট্টাচার্য। বিভিন্ন মাধ্যমে ইতস্তত ছড়িয়ে ছিটিয়ে লিখে যাচ্ছিলেন একের পর এক অনবদ্য কবিতা। শেষ পর্যন্ত অতিমারিজনিত লক ডাউনের শেষে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হলো তাঁর কাব্য সংকলন। বইটি হাতে নিয়ে তাকালে প্রথম দর্শনেই বাজিমাত মনে হবে তার প্রচ্ছদের জন্য। নামের সঙ্গে হুবহু সামঞ্জস্য রেখে চমৎকার প্রচ্ছদ এঁকেছেন সম্রাজ্ঞী ভট্টাচার্য। ভেতরের কবিতাগুলো পড়তে পড়তে নিবিড় পাঠকও নিশ্চিত হারিয়ে যাবেন ওই প্রচ্ছদে থাকা রূপনগরের অরূপ সাকিনের পথে।  বর্ষীয়ান কবি তাঁর প্রথম গ্রন্থটি উৎসর্গ করেছেন তাঁর ‘পরম স্নেহময়ী স্বর্গগতা মাতৃদেবীর স্মৃতির উদ্দেশে’। ‘মা’ শিরোনামে আত্মকথায় কবি জানিয়েছেন তাঁর কবিতে লিখার ইতিকথা। কবিতার পথে সাহচর্যে থাকা একাধিক ব্যক্তিবেশেষকে ধন্

প্রতিবেশী সাহিত্য সম্ভারে পরিপূর্ণ - ‘প্রবাহ’

প্রতিবেশী সাহিত্য সম্ভারে পরিপূর্ণ  - ‘ প্রবাহ ’   কবি , সাহিত্যিক আশিসরঞ্জন নাথ - এর সম্পাদনায় গবেষণাধর্মী ছোট পত্রিকা ‘ প্রবাহ ’ দীর্ঘদিন ধরে সাহিত্যের অঙ্গনে এক বিশেষ স্থান অধিকার করে রয়েছে । সাহিত্যপ্রেমী পাঠক পাঠিকাদের কাছে ‘ প্রবাহ ’ নিঃসন্দেহে এক বহু প্রতীক্ষিত পত্রিকা । নামে ‘ ছোট ’ হলেও আয়োজনে , বিষয় বৈচিত্রে , মুদ্রিত বিষয়ের গভীরতায় এক পরিপূর্ণ সম্ভার - ‘ প্রবাহ ’- এর জুন ২০২০ সংখ্যা । বর্ষ ৩৩ , সংখ্যা ১ । করোনাজনিত লকডাউনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রকাশে বিলম্ব ঘটেছে স্বভাবতই । এই সংখ্যার বিষয় - প্রতিবেশী সাহিত্য । বিষয় নির্বাচনেও ‘ প্রবাহ ’ বরাবরই ব্যতিক্রমী । এবং বিষয় সচেতনতায় সদাই একনিষ্ঠ । এবারের প্রতিবেশী সাহিত্য সংখ্যায় বিষয়গত নিবন্ধ রয়েছে মোট বারোটি । প্রতিটি নিবন্ধই নির্ধারিত বিষয়ের গভীরে প্রবেশ করে লিখিত এক একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিবেদন । অসমিয়া উপন্যাসের উপর পর্যালোচনা করেছেন বাসুদেব দাস । সুলেখক তপন মহন্ত বোড়ো এবং কার্বি সাহিত্য নিয়ে আলাদা আলাদা করে লিখেছেন পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ । ডিমাসা ভাষা সাহিত্য নিয়ে লিখেছেন তুষার কান্তি নাথ । মণিপুরি সাহিত্য নিয়