Skip to main content

Posts

Showing posts from April, 2023

ধারে ও ভারে এক ব্যতিক্রমী সম্ভার ‘শরণ্ময়ী’

দুর্গা পূজা ও দুর্গোৎসবের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে সাহিত্য বিষয়ক স্মরণিকা প্রকাশের রেওয়াজ রয়েছে বহু স্থানে, বহু কাল ধরে। নিয়মিত ভাবে এই স্মরণিকা প্রকাশের ধারাকে নিরন্তর এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট আয়োজকরা। স্বভাবতই পূজার জাঁকজমক ও উৎসবের হই হুল্লোড়ের পাশাপাশি এক নান্দনিক সৃষ্টিকর্মের মাধ্যমে এই স্মরণিকা প্রকাশ করে ইতিহাসকে লিপিবদ্ধ করে রাখা হচ্ছে বহু কাল ধরে। বাংলা সাহিত্যের এই উত্তরপূর্বাঞ্চলও এর বাইরে নয়। বিভিন্ন পূজা সমিতি দ্বারা এই স্মরণিকা প্রকাশের ধারা এখানেও চলে আসছে বহু দিন ধরেই। গুয়াহটি ভাস্কর নগর সর্বজনীন পূজা কমিটি দ্বারা নিয়মিত প্রকাশ হচ্ছে স্মরণিকা ‘শরণ্ময়ী’। ব্যতিক্রমী গ্রন্থনামের মতোই ‘শরণ্ময়ী’র সর্বশেষ সংখ্যাও (ত্রয়োদশ সংখ্যা ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ২০২২) এবার প্রকাশিত হয়েছে এক ব্যতিক্রমী আঙ্গিকে। প্রথমেই যে ব্যাপারটি নজর কাড়ে তা হলো এ র অপূর্ব প্রচ্ছদ। কিন্তু পরিতাপের বিষয় এই প্রচ্ছদের সৌজন্যে কে বা কারা আছেন তাদের নাম খুঁজে পাওয়া গেল না কোথাও। স্মরণিকার প্রথম পর্বেই পৃষ্ঠাজোড়া শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়েছে বিপুল চন্দ্র মুখার্জী এবং ধ্রুব মুস্তাফীকে। শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছেন যথাক

বিস্মৃত দ্রোহকাল

আবার এসেছে উনিশ তপ্ত জ্যৈষ্ঠ জুড়ে বুকে বেঁধা আগুনের হলকা ভুলে রেখেছি মনে ‘উনিশে মে’ রাখিনি মনে জ্যৈষ্ঠের হিজিবিজি তারিখ। ভুলেই থাকি আরো কত কিছু ছিল সেদিনের ‘এক দেহ এক প্রাণ সকাল’ আজ আছে দূর থেকে একমুঠো স্মৃতি ধরে আপন আপন যাপিত সুখকাল, বিস্মৃত - যাপনের সেই দ্রোহকাল।   প্রজন্ম জানে না আজ ভাষা বাংলা   জানতেন শহিদের গর্বিত মা। শহিদ ? কে যেন আজ মানে না সে কথা। কার কী বা যায় আসে তাতে ? বিশ্বমানব তাঁদের রেখেছে মাথায় করে শহিদের অনন্ত সম্মানে। অতীত তাঁরা, আজও তাঁরা, আগত আগামী জুড়ে গরজে বিরাজমান লক্ষ কোটি বুকে - হৃদি সিংহাসনে।

ভিতরপথের শেষে

সন্ধে পেরিয়ে প্রথম রাতের মায়াবী আঁধারে হালকা চড়াই ধরে শুরু হয় পথ চলা । আবার ফিরেও আসতে হয় নিক্তি ধরে ধরে রাত গভীর হয় , নির্বাক নৈর্ব্যক্তিক হয় হ্রস্ব থেকে দীর্ঘ , দীর্ঘ থেকে ক্রমান্বয়ে হ্রস্ব হয় মায়াময় ছায়াপথ , নিথর নিরালা আঁধারে । ভিতরপথে বয়ে চলে হারিয়ে যাওয়া মানুষের মহামিছিল - সেকাল থেকে একাল । একাধারে সব পথ এসে মিশে যায় ভিতরপথে যেন রাতজাগা নক্ষত্রের তীক্ষ্ণ নজরতলে চতুর ঊর্ণনাভ বয়ে চলে অনতিক্রম্য পথজাল । খেই যায় হারিয়ে - কোন পথে ফেলা যায় পা কোন পথে আছে তারা , কোন পথ ধরে গেছে চলে দুনিয়াদারির ট্রাপিজ শেষে মঞ্চ ছেড়ে সাজঘরে । নিয়ন বাতিগুলো বোবা হয়ে রয় দাঁড়িয়ে যেন এই পৃথিবীর দায় নিয়ে দায়সারা হয়ে প্রহরে প্রহরে জানান দিয়ে যায় ফিরে চলো হে পথিক , যে পথ দিয়ে এসেছিলে মনে রেখো একদিন সব পথ গিয়ে শেষ হবে যেখানে , সেখানেই হবে শেষ কথা এক জীবনের আছে যত অরূপ - রতন গাথা । অনেক তো হলো পথ চলা , যুগ থেকে যুগান্তরে , এবার তবে খেলাশেষে বেলাশেষে ফিরে চলো নিজ ঘরে , বাহিরে অন্তরে ।

সুখপাঠ্য অণুগল্প সংকলন ‘ডজন দুই গপ্পো’

গল্প ও গপ্পো শব্দদু’টির মূল উপাদান যদিও কাহিনি বা গল্প তবু এর মধ্যে কিছু ব্যুৎপত্তিগত, কিছু অর্থগত ভিন্নতা রয়েছে। গপ্পো (কথ্য) শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে গালগল্প, খোশগল্প, হালকা বা শিশুবোধ্য গল্প, অতিরঞ্জিত কাহিনি ইত্যাদি। কবি, অনুবাদক সত্যজিৎ চৌধুরীর সদ্য প্রকাশিত গল্প সংকলনের নাম ‘ডজন দুই গপ্পো’। সংকলনে উপরোক্ত সব উপাদানই রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন গল্পে। গ্রন্থনামেই প্রতীয়মান যে এই গ্রন্থে সন্নিবিষ্ট হয়েছে মোট ২৪ টি গল্প। সাকুল্যে ৫২ পৃষ্ঠার সংকলনে গ্রন্থনাম, ভূমিকা আদি বাদ দিলে গল্পের ভাগ ৪৪ পৃষ্ঠা। আসলে শুধু একটি গল্পের বাইরে সবগুলিই এক থেকে দুই পৃষ্ঠার অণুগল্প। তাই প্রথমেই বলে নেওয়া ভালো যে এটি কোনোভাবেই ছোটগল্পের সংকলন নয়। কৃতী সাহিত্যিক বিশ্বজিত নাগ-এর ভূমিকায় সম্যক পরিচিতি লাভ করা যায় কিছু গল্পের। ভিন্নতর প্রেক্ষিতে বিভিন্ন বিষয়ের উপর লিখা হয়েছে গল্পগুলি। ধর্মীয় সমন্বয়ের উপর রয়েছে একাধিক গল্প যেগুলো আজকের পরিবর্তিত দিনে কিছুটা সেকেলে মনে হতে পারে। গল্পের মধ্য দিয়ে বর্তমানকে ধরে রাখার প্রয়াসে হয়তো এই গল্পগুলি খাপ খায় না তবে অতীত স্মৃতিচারণের মাধ্যমে শুভচিন্তাকে ফিরিয়ে আনার প্রয়াসও কম

ব্যর্থ প্রহর শেষে

যেখানেই পা রাখি সেখানেই মরিচীকা শুধু। একরাশ ধুলো এসে , মলিনতা এসে আমাকে ঢেকে দেয় আশিরনখ , কোথা বসে জুড়াই হৃদয় , বুক ভরে নিই শ্বাস - বলতে পার বাতিঘর ?   গড়ে ওঠার আগেই হারিয়ে যায় স্বপ্নেরা কেউ এসে তছনছ করে দেয় ভিত , আমি ফিরে আসি সেই পথে , যে পথের ধারে আছে কিছু চেনা অবয়ব। আর আছে ভগ্ন হৃদয়ের নির্মোহ কিছু লালিত স্বপ্ন - যে স্বপ্ন স্বপ্ন হয়েই থেকে যায় অনাদি অনন্ত কাল - তোমার মতো। আমি রোজ রাতে বিনির্মাণে প্রশ্নে প্রশ্নে নিজেকেই করি ক্ষতবিক্ষত।   রাতজাগা পাখি এসে আমার শায়িত দেহে খুঁজে ফেরে সুখ-সম্পদ ব্যর্থ প্রহর শেষে - শেষ রাতে রোজ এসে কেউ অমল ধবল সাদা চাদরে , অমলিন ভালোবেসে ঢেকে দেয় আমার শায়িত স্বপ্নশব।

বুনোট ও বয়ানের যুগলবন্দি ‘নিত্যানন্দের ছাতা'

ছোট ছোট দুঃখ ব্যথা - যার সুদূরপ্রসারী প্রভাব থেকে যায় জীবন জুড়ে , সেসব নিয়েই নির্মোহ কাঁটাছেড়া । বয়ানে , সংলাপে , জমাট বাঁধনে বিন্যস্ত ১৫ টি সার্থক ছোটগল্পের সমাহার - অমিতাভ সেনগুপ্তের সম্প্রতি প্রকাশিত ছোটগল্প সংকলন ‘ নিত্যানন্দের ছাতা ’ । তবে প্রথমেই বলে রাখা ভালো যে ‘ নিত্যানন্দের ছাতা ’ নামের গল্পটিই কিন্তু এই সংকলনের শ্রেষ্ঠ গল্প নয় । তবু এই নামেই গ্রন্থ নাম হয়েছে সম্ভবত এই গল্পের প্রেক্ষাপট গল্পকারের ব্যক্তিগত উপলব্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলেই । লেখকের মননে যে একটি লক্ষ্য থাকে সাধারণত তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটে গ্রন্থনাম নির্বাচনে । এক্ষেত্রেও সম্ভবত তাই হয়েছে । প্রতিটি গল্পেরই লিখনশৈলী সমান ভাবে সাবলীল ও গোছানো যা আলোচনার শুরুতেই বলা হয়েছে। বেশ কিছু গল্পের প্রেক্ষাপটেও সাযুজ্য লক্ষ করা যায় যদিও বিষয় বৈচিত্র্যে ভিন্নতার উপস্থিতি। প্রায় প্রতিটি গল্পেরই প্রধান চরিত্র একজন পুরুষ এবং চরিত্রনামে লেখকের এক রুচিশীল মনের পরিচয় পাওয়া যায়। কিছু নাম উল্লেখ করা যায় - দেবায়ন, অমলকান্তি, রজতাভ, বিরাজমোহন আদি।   ১৪২ পৃষ্ঠার পাকা বাঁধাই গ্রন্থের প্রথম ব্লার্বে স্বনামধন্য গল্পকার মিথিলেশ ভট্টা

এ যাবৎ প্রকাশিত লেখালেখি

  আমার লেখালেখি   ক্রমিক নং শিরোনাম বিষয় পত্র-পত্রিকার নাম প্রকাশ কাল ১ না রম্য রচনা ব্রহ্মপুত্রে ভাসমান ভেলা, নগাঁও মার্চ ১৯৯৪ ২ ভুল রম্য রচনা ব্রহ্মপুত্রে ভাসমান ভেলা, নগাঁও জুন ১৯৯৪ ৩ সংগীত চর্চায় নগাঁও শহরের বিশিষ্ট বাঙালিদের অবদান অনুসন্ধান মূলক প্রবন্ধ শতপর্ণী (নগাঁও বাঙালি সম্মিলনীর শতবর্ষ স্মরণিকা) ১৯৯৪ ৪ আমার একদিন, স্মৃতির পরশ, দূরত্ব, স্বপ্নতরী কবিতাবলি ব্রহ্মপুত্রে ভাসমান ভেলা, নগাঁও মে’ ১৯৯৯ থেকে সেপ্টেম্বর ২০০১ ৫ রূপান্তর ছোটগল্প সঞ্চয়ন, নগাঁও অক্টোবর ২০০১ ৬ ধাপ্পাবাজির কেচ্ছা রম্য রচনা সময় প্রবাহ (বাংলা দৈনিক), গুয়াহাটি ডিসেম্বর ২০০১ ৭ বিপর্যস্ত ভারতীয় সংসদ ও বিরোধী দল সমূহের ভূমিকা, সন্ত্রাস