বুড়িমাসি আসছেন । অন্ধ বুড়ি। কেউ তাঁর নাম জানতো না। তিনি নিজেও কি জানতেন ? কীজানি ? সবারই তিনি - ‘ বুড়িমাসি ’ । চওড়া পথটি দু ’ দিকেই প্রায় সমান দূরত্বে গিয়ে পড়েছে দুই পাকা সড়কে । পাকা বলতে মোরাম বিছানো পথ, ধুলির স্বর্গরাজ্য। সড়ক দু’টি ধরে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে দিনে গোটা চারেক বাস্ যাতায়াত করে দূরবর্তী শহরে । সময় হিসেবেই তাদের নামকরণ । ন ’ টার বাস্ , বারোটার বাস্ , তিনটার বাস্ কিংবা পাঁচটার বাস্ ইত্যাদি - যদিও নির্ধারিত সময়ের বেশ খানিকটা পরেই সেগুলো এসে পৌঁছতো । তাতে অবশ্য বিশেষ আপত্তির কিছু ছিল না গ্রামবাসীর । সময়ের এত অভাব তখন ছিল না বলেই হয়তো বা । লোকেদের মুখে প্রায়শঃ প্রশ্ন শোনা যেত - ‘ আজ বারোটার বাস্ ক ’ টায় এল ?’ কোনও এক উদাস দুপুরে বাস্ রাস্তা থেকে ফিরে আসার পথে দেখতে পেলাম বুড়িমাসিকে হাতে ধরে এগিয়ে নিয়ে আসছে একটি অপরিচিত ছোট্ট মেয়ে । আমার চাইতে ছোটই হবে । এর আগেও দেখেছি তাঁকে এভাবে কারো সাহায্য নিয়ে আসতে। বুড়িমাসিকে দেখেই বুঝে গেলাম তিনি আমাদের বাড়িতেই আসছেন । এই বুঝে নেওয়ার পেছনে এক গূঢ় কারণ ছিল । বুড়িমাসি অন্ধ ছিলেন। এবাড়ি ওবাড়ি টইটই করে ঘুরে বেড়ানোর ফাঁ...
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা