মূলোৎপাটন গাথা হিংসুটে চোরাবালি এভাবেই কখনো পায়ের তলার শক্ত মাটিকে গ্রাস করে নেয় নিঃশব্দে। এভাবেই সন্ধ্যা এসে দূর করে দেয় রোদ ঝলমলে বিকেলটাকে। এভাবেই ধানের খেতে বজ্রপাতে অনন্ত পথে যাত্রা করেন রামু চাচা আর শেরমান কাকু সমান্তরাল সমকালে - ধরে হাতে হাত। মাটি ও মানুষ এভাবেই রিক্ত হয় , বিধ্বস্ত ঐতিহ্যের আর্তনাদ প্রকট হয় অবৈধ লালসায় - ঠুলি পরা নীললোহিতের উন্মত্ত খেয়াখেয়িময় চাতুর্যে। এমনি করেই অবাধ ভোগের সুখে ইচ্ছেডানায় ওড়তে থাকে মানুষ , ফেরায় দু ' চোখ সবুজ নিসর্গ থেকে অগোচরে পড়েই থাকেন প্রকৃতি দেবতা। অবশেষে জেগে ওঠে প্রথম আদ্যাশক্তি রোষানলে ভস্ম অভীপ্সায় , দোসর হয়ে আবার ফেরে লুপ্ত রক্তবীজ অহংকারীর দর্পচূর্ণে প্রকৃতি মহামায়ার প্রতিশোধে নিঃশেষ হয় নিকৃষ্টের দল। এভাবেই তিলে তিলে নিঃশেষ হয় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তর , আবার এভাবেই নিঃশব্দে লিখা হয় অদূরদর্শীর মূলোৎপাটন লিপি। - - - - - - - - - - - - -
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা