Skip to main content

Posts

Showing posts from May, 2021

কবি তোমাকে

জানো কবি, আজ সকাল থেকেই গুমোট হয়েছে আস্ত নীলাকাশ, এ কোন ঝড়ের পূর্বাভাস ? আমারও মনগগনে দাপিয়ে বেড়ায় মন খারাপের অনন্ত সব কথা তোমার রিক্ত জীবন গাথা। ব্যর্থ আমার অসহায় রঙ তুলি  অধরা সব ছিন্ন পাতার মতো পড়েই আছে শূন্য ইজেল যত।  জানি জানি সুখ যাপনে নেই তুমি আজ এ নিকষ আঁধার দিনে তাই সাজাই অর্ঘ্য, তোমারই গান গাই।  তোমার ছবি, তোমার গানে  যাই হারিয়ে মুহুর্মুহু বন্দি কারায় মৃত্যু যাপন বিশ্বে জীবন ধারায়।  দুঃখে তোমার জীবন গড়া যুগান্তরের দুখু মিঞাঁ কবি আজ জন্মদিনে আঁকি তোমার ছবি।

‘মধুবর্ষী প্রলয়ের খোঁজে’ - কবিতায় স্বপ্নপূরণের দায়

  দু ’ হাতে জড়িয়ে ঘনমেঘ , এক সূর্য তাপস বেদমন্ত্রের স্বরলালিত্যের জড়তা কাটাতে আড়মোড়া ভাঙে , আর সাবলীল জোছনার হাসির ফাঁকেই অমোঘ শান্তি দৌত্য পথ চলার ক্লেশে ধারণ করে জড়তীর বেশ ।   তখন এক সবুজ গাছ বর্ণমালার ক্রমাগত ঋজু আলাপে জর্জরিত হতে হতে ক্রমশ বিদগ্ধতার হোমবহ্নি জাগিয়ে তোলে ।   তন্দ্রাতুর উদোম অনাবাদি পৌষের মেঘ অবশেষে কোটরগত চোখের এক প্রাচীন বটের মানসপুত্র হয়ে জন্মায় । ( কবিতা - সূর্য তাপস )   সম্প্রতি হাতে এলো ডঃ শান্তনু রায়চৌধুরির প্রথম কাব্য সংকলন - ‘ মধুবর্ষী প্রলয়ের খোঁজে ’ । প্রকাশক - পূর্বকল্প এবং ভিকি পাবলিশার্স , গুয়াহাটি । ৮৬ পৃষ্ঠার ছিমছাম কাব্য সংকলনে সন্নিবিষ্ট হয়েছে মোট ৪০টি কবিতা । অর্থাৎ সহজ অংকে চার - ছ ’ সারিতে দায় সারেননি কবি । মনের ভাবকে সাজিয়ে গুছিয়ে পরিবেশন করেছেন বিস্তৃত পরিসরে । স্বপ্নপূরণের দায় মেটাতে দায়সারা ভাবনাকে ঠাঁই দেননি মোটেও । একের পর এক কবিতায় কাব্যসুষমা যেন সযতনে লেপন করে দিয়েছেন কবিতার শরীরে । অথচ অসাধারণ নৈপুণ্যে নিজের সোজাসাপোটা বক্তব্যকেও সটান ব্যক্ত করেছেন অবলীলায় । কবিতা যে কবির ধ্যান ও ধারণার মানসসঞ্জাত সৃষ্টি তা যেন কবিতার পরতে পরত

শিক্ষক স্মরণে

নদী চিরপ্রবহমান । তবু অনন্ত এই ফল্গুধারায়ও কতই না বৈচিত্র । অগুনতি জলধারার মতোই কিছু জীবন যেমন সমাহিত ছায়ায় থেকে যায় লোক জীবনের অলক্ষ্যে ঠিক তার বিপরীতে কিছু জীবন আমৃত্যু সম্মুখীন হয়ে চলে সার্বিক সাফল্যের । নিত্য নতুন সোপান বেয়ে জীবনভর শুধু উত্তরণের কল্পকথা । হঠাৎ করে দীর্ঘ প্রায় চল্লিশ বছর আগের স্মৃতির সরণিতে এভাবে প্রবেশ করতে হবে তা ভাবিনি কখনো । ১৯৮২ ইংরেজিতে প্রবেশিকা পাশ করার পর নিজের কল্পজগৎটাকে ছেড়ে এসে উচ্চ শিক্ষার আশায় পাড়ি জমিয়েছিলাম তখনকার এবং অবশ্যই এখনকারও নামী শিক্ষানুষ্ঠান গুরুচরণ কলেজে । চোখে তখন দীর্ঘ জীবনের স্বপ্ন । কিন্তু স্বপ্নপূরণে মূল অন্তরায় হয়ে দাঁড়ালো ফেলে আসা জীবনের হাতছানি এবং সম্ভবত ভুল বিষয় নির্বাচন । তখন কি আর জানতাম যে আমার মনোজগতে বিজ্ঞান নয় , ছিল কলাবিষয়ের অপ্রচ্ছন্ন হাতছানি । তাই সামলে উঠতে পারিনি পড়াশোনার চাপ । বিজ্ঞান বিষয়ের ক্লাসে সবকিছু ছিল আমার ধরাছোঁয়ার বাইরে । কিন্তু বিভ্রান্ত আমার মননে তখন যা কিছু আগ্রহ অবশিষ্ট ছিল তা ছিল শুধু একটি মাত্র বিষয়ের একজন মাত্র শিক্ষকের শিক্ষাদান । আমার সেই পরম পূজ্য শিক্ষকের প্রবহমানতা আজ রুদ্ধ । সাগরে ম

সতীদাহ থেকে তিন তালাক - ধরি মাছ না ছুঁই পানি

সতীদাহ থেকে তিন তালাক - ধরি মাছ না ছুঁই পানি - - - - - - বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।   সম্প্রতি দেশ জুড়ে পালিত হলো কিংবদন্তি সমাজ সংস্কারক রাজা রামমোহন রায়ের জন্মদিন। না, এই দুরন্ত কোভিডকালে কোথাও তেমন জন্মদিন পালনের খবর পাওয়া যায়নি ঠিকই তবে সামাজিক মাধ্যম অর্থাৎ সেফসাইডে থেকে উদযাপনের ঘটা নেহাৎ মন্দ ছিল না। সেই একঘেয়ে উদযাপন। স্ব ল্প আয় বা স্বল্পশিক্ষিত ভারতবাসীর এসব উদযাপনের সময় নেই। দু’বেলা দু’মুঠো অন্নের সংস্থান করতে হিমশিম হওয়ার পালা যেখানে সেখানে মণীষীদের জন্মদিন মনে রাখার মতো বিলাসিতা এদের থেকে আশা করাও অন্যায়। তবে পত্রপত্রিকার পাতায় প্রবন্ধে নিবন্ধে রাজা ফিরে ফিরে আসেন ফি বছরে তাঁর নিজগুণে। এর বাইরে কিছু কর্মহীন আর কিছু কুবুদ্ধিজীবী আঁতেল শিক্ষিতরা নিজেদের পাণ্ডিত্য জাহির করতে ফিবছরে একই গল্পের চর্বিত চর্বনে সামাজিক মাধ্যমে নিজেকে আরোও একটিবার মহান প্রতিপন্ন করার সুযোগটি হাতছাড়া করার পক্ষপাতী নন। গল্পটি আরোও একবার শুনে নেওয়া যাক তবে - অস্থির ভাবে পায়চারি করছিলেন রাজা। বড় হতাশ লাগছে তাঁর। মানুষই যদি বিরোধিতা করে , তাহলে তিনি লড়বেন কাদের নিয়ে ? আর করবেনই বা কাদের জন্য ? ধুস ,