আমাদের সান্ধ্যকালীন আড্ডায় সাধারণত বিস্কুট সহযোগে চা-ই চলে। বলাই বাহুল্য বিস্কুট আমি চায়ে ডুবিয়েই খাই। না হলে চা পানের মজাটাই যেন থাকে না। সে যাই হোক কাল কিন্তু চায়ের সঙ্গে বিস্কুট ছিল না। শুনলে কেমন যেন অদ্ভুত মনে হবে কিন্তু আসলেই কাল চায়ের সঙ্গে ছিল জিলিপি আর কাঁঠাল। কাঁঠাল ? আজ্ঞে তাই। আসলে হয়েছে কি , কাল সন্ধ্যায় আরতি দেখে মন্দির থেকে প্রসাদ নিয়ে সরাসরি চলে গিয়েছিলাম আড্ডায়। প্রসাদ দেখে সবাই খুশি , কাঁঠাল দেখে আরোও খুশি। আমি আর এখন কাঁঠাল খাই না। ভালো লাগে না। তবে কালকের প্রসাদ স্বরূপ কাঁঠাল এর অপরূপ সৌন্দর্য আমাকে আকৃষ্ট করছিল খুব। তাই খাব বলে সিদ্ধান্ত নিলাম। একটা ব্যাপারে সবাই একমত যে বিস্কুটের দরকার নেই , আজ জিলিপি দিয়েই চা খাওয়া হবে। আর কাঁঠাল আলাদা করে খাওয়া হবে। এ যাবৎ সব ঠিকঠাকই চলছিল কিন্তু সমস্যা হলো এই নিয়ে যে আগে কাঁঠাল না আগে চা-জিলিপি। এই নিয়ে সবাই যখন বিশেষজ্ঞের মতামত দিতে ব্যস্ত আমার তখন কাঁঠালের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে সমাধিস্থ হওয়ার মতো অবস্থা। কাঁঠাল আর আমার যুগ পুরনো যে সম্পর্ক সেটাই একেবারে স্পষ্ট হয়ে ভেসে উঠলো মননে চিন্তনে। *** আমাদের বাড়...
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা