Skip to main content

Posts

Showing posts from April, 2024

বিশিষ্টতার প্রতীক - ‘উত্তরপূর্বের লোকসাহিত্যে শিশু-মনস্তত্ত্ব’

দুটি ব্লার্বই খালি । গ্রন্থ বিষয়ক এবং লেখক বিষয়ক কোনও মর্মকথা নেই , তথ্য নেই । অথচ কিছু কথা থাকা উচিৎ ছিল বলেই মনে হয়েছে । ড . শংকর কর । বরপেটার হাউলি বি এইচ কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক । ইতিমধ্যেই বাংলা সাহিত্য , সংগীত এবং আঞ্চলিক সাহিত্য বিষয়ক একাধিক সম্পাদনা গ্রন্থের প্রণেতা হওয়ার উপরি সমসাময়িক নিয়মিত পত্রিকারও সম্পাদক যেখানে সমবিষয়ক , সমমানের লেখালেখির উপর নিরন্তর গুরুত্ব সহকারে সম্পাদনার কাজে ব্রতী রয়েছেন । বলা ভালো এই ক্ষেত্রটিতে আজকের দিনে নিজেকে অপরিহার্য করে তুলেছেন । সুতরাং ব্লার্বে এসব কথা আসা সমীচীন হতো । সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তাঁর ত্রিভাষিক সম্পাদনা গ্রন্থ ‘ উত্তরপূর্বের লোকসাহিত্যে শিশু - মনস্তত্ত্ব ’ । বরাবরেরই মতো ধারে ও ভারে সমৃদ্ধ ২৬৩ পৃষ্ঠার এই গ্রন্থে রয়েছে বাংলা, অসমিয়া ও ইংরেজি ভাষায় লেখা একগুচ্ছ বিষয়-ভিত্তিক প্রবন্ধ। গ্রন্থনাম থেকেই প্রতীয়মান যে এই গ্রন্থে যেসব নিবন্ধাদি নির্বাচিত হয়েছে তার ভিত্তি ত্রিমাত্রিক। প্রথমত - উত্তরপূর্ব, দ্বিতীয়ত - লোকসাহিত্য এবং তৃতীয়ত - শিশু ননস্তত্ত্ব। এই তিনটি মাত্রাকে একত্রিত করেই লেখা হয়েছে নিবন্ধসমূহ। সহজেই অনুমেয় যে

শব্দবোধের কাব্যময় সংকলন ‘মৃত পাণ্ডুলিপির রাত’

আধুনিক কবিতার কোনও নির্ধারিত ধাঁচ হয় না । এখানে থাকে না কোনও ধারাবাহিকতা কিংবা ছকের নিয়ম নীতি । প্রতিটি শব্দ এবং পঙ্ ‌ ক্তির স্বাধীনতা অবাধ । আধুনিক কবিতার রসাস্বাদনই শেষ কথা , কোনও অর্থ কিংবা ব্যাখ্যা খুঁজতে যাওয়া বৃথা শ্রম মাত্র । কবি যেমন এই পর্বে স্বাধীনচেতা এবং স্বাধীন চিন্তারও অধিকারী পাঠকও তেমনি ভাবনার গভীরে মিশে গিয়ে বোধের ঘরে প্রবেশ করার অধিকারী । এতে কবির সঙ্গে পাঠকের একাত্ম হয়ে যাওয়ার যেমন কোনও বাধ্যবাধকতা কিংবা শর্ত নেই , তেমনি নেই কোনো দায়ও । তবু , এতকিছুর পরেও আধুনিক কবিতা নিজস্ব বৈভবে ব্যতিক্রমী । তবে আধুনিক কবিতারও রকমফের আছে । প্রতিটি কবিতাই বহন করে তার স্রষ্টার কাব্যিক জিন। অবোধ্য, দুর্বোধ্য এবং সহজবোধ্যের মতো কোথাও তার সহজ তন্বী চলন তো কোথাও ‘ বুঝতে নারি , চরণ বাঁকা ’ । কোথাও আবার ক্যালকুলাসের মতো বিচিত্র এবং জটিল অঙ্কের সমীকরণ যার কোনও সমাধান নেই কারো কাছেই। না পাঠকের কাছে এবং হয়তো না কবির কাছেও। এমনও আছে এরা একবারই প্রসব হয় এবং তার পর থেকে মালিকানাবিহীন হয়ে অবোধ্য হরফের পাহাড়ে পড়ে থাকে নিঃসঙ্গ হয়ে আজীবন। কবি গোপাল চক্রবর্তী উত্তরপূর্বের কবিতাবিশ্বে ক্রমশ অ

বই নিয়ে হইচই

হালখাতা উৎসবের দিন গত হয়েছে কবেই । বইয়ের ব্যাবসা যাদের, তাদের বাইরে অন্য দোকানদারের সঙ্গে বইয়ের কোনও সম্পর্ক নেই । তবে প্রথমোক্তদের সম্পর্কও শুধু বই বিকিকিনির মধ্যেই সীমিত । ব্যতিক্রমীদের বাদ দিলে পাতা উলটে দেখার প্রয়োজনীয়তা কিংবা ইচ্ছে কোনটাই নেই । বই না হলেও গোটা বছরের জন্য এদের বরাদ্দ আছে এক হালখাতা । আজকাল তার যে কোনও দিন শুরু হয় পথ চলা , আবার শেষ পাতায় এসে পৌঁছোয় যে কোনও দিন । পয়লা বৈশাখের সেখানে কোনও তাৎপর্য নেই আজকাল। ঘরের অন্দরমহলের কথা ধরলে অ্যাভারেজ ব্যবসায়ী গৃহকর্তার যেখানে এই হাল , গৃহকর্ত্রীদের তখন সারা দিনের সঙ্গী টিভি ও মোবাইল । সেখানে হাজারো বিনোদের ঢালাও বন্দোবস্ত । এই হাল সবার। বইয়ের ব্যবসায়ীদের তবে কার সঙ্গে ব্যাবসা ? এমন প্রশ্ন উঠতেই পারে । তার উত্তর মিলবে এপাড়া ওপাড়ার বইয়ের দোকানে গেলে। বই বলতে সেখানে মূলত পাঠ্যপুস্তক। ঠেলার নাম বাবাজি। তবে সেখানেও অনলাইন ক্লাস , অনলাইন গ্রুপ ডিসকাশন জাতীয় বইবিহীন শিক্ষাপদ্ধতির প্রবর্তন হয়েছে এবং রমরমিয়ে চলছেও । তবু আজও , তেতো হলেও ছাত্রছাত্রীদের গিলতেই হয় কিছু বই। অ আ ক খ থেকে শুরু করে স্নাতকোত্তর স্তরের শ্রেনিবদ্ধ ব

রাইফেলটা একবার খুলে দেখো - ম্যাগাজিনে ভরা ভাষা আন্দোলন ‘এখানেই আমাদের ঘর গেরস্থালি’

গ্রন্থটি যেখানে উৎসর্গই করা হয়েছে ‘ যারা দেশহীন ভাষাহীন ’ তাদেরকে , স্বভাবতই সেখানে থাকবে তাদেরই কথা - ‘ তাহাদের কথা ’ । আবার যেখানে ভূমিকা এবং শেষ মলাটের পরিচিতি লিখছেন বরাকমূলের দুই কৃতী সাহিত্যিক সেখানে বইয়ের ‘ ভিতরকথা ’ যে ‘ বিশেষ ’ হবে তাতেও কোনো সন্দেহ থাকার অবকাশ নেই । কবি তথা বহির্বরাকে উনিশে মে ’ র ভাষা আন্দোলন ও ভাষা শহিদদের পরিচয় ও মর্যাদা দানে নিরলস সচেষ্ট সাহিত্যকর্মী শান্তনু গঙ্গারিডির জন্ম বরাক উপত্যকায় । শিক্ষা ও কর্মজীবনও কেটেছে বরাক , ব্রহ্মপুত্র সহ এই উত্তরপূর্বে । বর্তমানে কলকাতার বাসিন্দা এই কবি তথা ‘ উনিশে মে ’ পত্রিকার সম্পাদক শান্তনু স্বভাবতই খুব কাছে থেকে দেখেছেন , অনুভব করেছেন উত্তরপূর্ব , বিশেষ করে আসামে বাঙালিদের উপর দফায় দফায় নেমে আসা অবিচার ও অত্যাচার । সেইসব এবং এইসব অবিচারের নির্মোহ বিশ্লেষণ তথা অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যঙ্গ , বিদ্রুপ ও শ্লেষাত্মক উচ্চারণে তুলে ধরেছেন তীব্র প্রতিবাদ । একজন কলম - সেনানী হয়ে কীভাবে নেমে পড়া যায় সরেজমিনে তারই এক উল্লেখযোগ্য নিদর্শন কবির এই আলোচ্য তৃতীয় গ্রন্থ ‘ এখানেই আমাদের ঘর গেরস্থালি ’ । কবিতার বিষয়বস্তু নিয়ে, শান্

রহস্যের মায়াজালে প্রেম ‘ক-লৌম-এ ছায়ামানবী’

১২৪ পৃষ্ঠাজোড়া উপন্যাসের কোনও ভূমিকা নেই । তবে সেই ঘাটতিটুকু পুষিয়ে দিয়েছে দুটি ব্লার্ব এবং শেষমলাটের বাখান । সেই সূত্রেই এগোনো যায় আলোচনার পথে । কেমন এই উপন্যাসটি ? প্রশ্নে প্রশ্নেই এর উত্তর আছে প্রথম ব্লার্বে - ‘ কে এই ছায়ামানবী ? শেষ পর্যন্ত ঋষির জীবন কোন খাতে বইল ? - আদ্যন্ত প্রেমের উপন্যাস হলেও অন্তঃসলিলা এক রহস্যের মায়াজাল এ কাহিনির প্রাণস্বরূপ । ছায়াঘেরা রহস্য , কখনও নির্মল শাশ্বত প্রেম , কখনও দুর্বার শরীরী ফাঁদ , কখনও কোমল ভালোবাসায় ভরে থাকা মুহূর্তকথা , প্রত্যাখ্যান , সমস্যা , মন খারাপের প্রহর , আনন্দঘন বেলা ইত্যাদি সব ছাপিয়ে এক চিরন্তন প্রেমের উপাখ্যান এই উপন্যাস । ’ - আলোচকের দায় এখানেই সারা হয়ে যায় । তবু এগোতে হয় অন্দরে , খননে যদি বেরিয়ে আসে আরোও আরোও মনিমুক্তা । এবং আসেও। দ্বিতীয় ব্লার্বে লেখক পরিচিতি । তাঁর লেখালেখির বিস্তৃত ব্যাখ্যা আছে এখানে যদিও যে কথাটির উল্লেখ নেই অথচ থাকা প্রয়োজন - অন্তত উত্তরপূর্বের এই সাহিত্যবিশ্বের প্রত্যেক পাঠকের - তা হল লেখক , ঔপন্যাসিক সুস্মিতা নাথ এই সাহিত্যবিশ্বেরই একজন । তাঁর প্রকাশিত লেখালেখির বিষয়ে দ্বিতীয় ব্লার্বে বহু তথ্য

এক দিন মানসী ‘মানস’-এ

তিনিও তো রাজাই । আর রাজাকে নিজে থেকে প্রকাশ্যে আসতে হয় না । রাজাকে রাজমহলেই মানায় ভালো । তাই হলো , রাজার দেখা আর পাওয়া গেল না । একে সৌভাগ্য না দুর্ভাগ্য বলব বুঝে উঠতে পারছি না । ২০২১ ইংরেজির মহাসপ্তমী পুজোর দিন কী করা যায় কী করা যায় ভাবতে ভাবতে শেষ পর্যন্ত বহুদিন ধরে সুপ্ত মানসে লুকিয়ে থাকা ‘ মানস ভ্রমণ ’- এ বেরিয়ে পড়ারই সিদ্ধান্ত হলো । পুজোর ঘোরাঘুরি তো আজকাল এমনিতেই ফ্যাকাসে হয়ে গেছে করোনার প্রকোপে । তাছাড়া বছরের পর বছর একই রুটিন যেন আজকাল কেমন ‘ থোড় বড়ি খাড়া খাড়া বড়ি থোড় ’ লাগে । আর বাচ্চারা তো লং ড্রাইভের নামে এক পায়ে খাড়া । সুতরাং সকাল ন ’ টা নাগাদ দু ’ টি গাড়ি করে বেরিয়ে পড়া গেল মানস অভয়ারণ্যের পথে । শুনেছি সেখানে নাকি বনের রাজার রাজত্ব । তাই প্রথম থেকেই ভেতরে একটা চাপা উত্তেজনা । পথে চাংসারি আর রঙ্গিয়ার মাঝে এক ‘ সুরম্য ’ ধাবায় প্রাতঃরাশ সারা হলো । ঝলসানো রোদে এ সি রুমের ভাড়া সহ এক প্লেট ছোলা ভাটোরা ৯০ টাকা প্লেট । করোনার ছায়ায় এ কিছুই নয় , কিন্তু আদতে ‘ সুরম্য ’ ই বটে । গাড়ি ভাড়া থেকে শুরু করে খাওয়া দাওয়ায় করোনার প্রকোপ লাগাম ছাড়া । সাধারণ মানুষের শখ আহ্লাদ ছেড়ে