মনোমোহন মিশ্র-এর ‘মিঠে রোদ্দুর’ - একটি পূর্ণাঙ্গ উপন্যাস ‘তুকে বইলে বইলে হায়রান হইয়ে গেলাম, তু শুইনলি নাই রে হামার বাত’। ক্ষোভের সঙ্গে তার মরদ বিরষাকে বললো রামপিয়ারী। ঝিমধরা আরক্ত চোখে এক দৃষ্টিতে রামপিয়ারীর দিকে চেয়ে রইলো বিরষা। গেলাস থেকে আরেক চুমুক দেশি সরাব গলায় ঢেলে মুচকি হেসে ঝুমুর গান ধরলো - ‘ধিতাং ধিতাং মাদলের তাল, বাইজছে গাঙের বাইরে লো, সনৎবাবুর বুকের মাইঝে, রামপিয়ারীর মানসা লো। - - -‘ এভাবেই একটি আঞ্চলিক উপন্যাসের সূত্রপাত ঘটালেন বরাক উপত্যকা তথা তৃতীয় ভুবন কিংবা ঈশান বাংলার নামজাদা লেখক মনোমোহন মিশ্র। এবং এই ঝুমুর থেকেই শুরু। উপন্যাসের সূচনাতেই ঝুমুরের তালে তালে, সুরে সুরে পাঠকের এই যে চা বাগানের সবুজ গালিচার ফাঁকে ফাঁকে কিংবা রাস্তায় রাস্তায় - আদিবাসী অধিবাসীদের বস্তিতে বস্তিতে আগমন ঘটলো এরপর আর শেষ না দেখে ফিরে যাওয়ার কোনও সুযোগই রইল না। বস্তুত সেই সুযোগটুকু আর রাখেননি এই কৃতি লেখক। ‘মিঠে রোদ্দুর’ লেখকের প্রথম উপন্যাস। তথ্য জানা আছে বলেই এটুকু লিখা গেলো। অন্যথা বোঝার জো নেই। একেবারেই পেশাদার ঔপন্যাসিকের ধারায় টানটান কাহিনির বুনোটে সাজানো উপন্যাস। দু’লাইনের সস্ত...
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা