শাস্ত্রে আছে ঈশ্বর নিজে নাকি একজন কবি । আবার প্রত্যেক কবিই নাকি এক একজন ঈশ্বর । কেউ কেউ বলেন সবাই কবি নয় , কেউ কেউ কবি । তবে কোটি কোটি মানুষের মধ্যে কবিতা লিখতে পারা মানুষের সংখ্যা এতটাই সীমিত যে তাঁদের সবাইকেই কবি হিসেবে ধরে নিলেও মহাভারত যে অশুদ্ধ হয়ে পড়বে তেমন নয় । প্রতিষ্ঠিত কবিদের অবশ্য এতে আপত্তি থাকারই কথা তবে বাকিদের কাছে এটা এমন কোনও দোষণীয় ব্যাপার নয় । কবি অমিতাভ সেনগুপ্ত সেই অর্থে ঈশ্বরই বটে । তাঁর কবিতায় ঈশ্বরের অস্তিত্ব, ঈশ্বরের প্রতি দায়বদ্ধতা, সমর্পণ, অভিযোগ ইত্যাদি প্রতিটি আঙ্গিকের উপস্থিতি অনুভব করা যায়। ঈশ্বরকে ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে যাঁরা উপস্থাপন করেন, বলা ভালো বিনির্মাণ করেন তাঁদের কৃতকর্মকেও খুঁজে পাওয়া যায় অমিতাভের কবিতায়। সেই অর্থে তিনিও একজন প্রতিষ্ঠিত কবি। এই কবির অন্যতম সদ্য-প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘চিরন্তন অক্ষর’। নানা অনুষঙ্গে জীবনের সত্য ও সুন্দরের পাশাপাশি মৃত্যুর সত্য-সুন্দর আবহকে। তাই তো কবির জীবনবোধ যেন ঠিকরে বেরোয় একের পর এক পঙ্ক্তির শরীর বেয়ে - প্রতিদিনই আমি জ্বলে যাই নিজস্ব আগুনে তোমরা যারা তাকে নক্ষত্রের নীলাভ আলোক বলে জানো, আসলে সে আমার নিজেরই পুড়...
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা