Skip to main content

Posts

Showing posts from November, 2023

জোছনা আগমনি

সে এক চমকে ওঠা জোছনা আগমনি আমার তখন ক্লান্ত মধ্যরাত চোখে আমার আকাশভরা ঘুম আবেশ, জোছনা জড়ায় অঙ্গে অকস্মাৎ। জগতে পূর্ণিমা রাত বানভাসি সংসার হাজার কোটি তারার মেলাঘর আমার তখন খেই হারানোর পালা, কখন বুঝি ভাঙবে খেলাঘর। ছুটে যায় আনমনা মন মায়ার পথে চোখে চাঁদপানা মুখ নির্নিমেষ চঞ্চল ধুকপুক বুক নিঃশব্দ হাপর, নিঝুম রাতের দ্বন্দ্ব অনিঃশেষ। বনানীর ফাঁকফোকরে দে ছুট ছুট খিলখিলিয়ে উঠল চরাচর দুহাত ভরে মুঠোয় মুঠো জোছনা লুট, একটুখানি পরশ - সুখসাগর। 

প্রতীকী কবিতার পরিপাটি সংকলন ‘দাগ’

সারা শরীরে আঁতুড় ঘরের আগুনের দাগ , ধাত্রীমা জন্মের পর নাড়ী কেটে আগুন সেঁকে পুড়িয়েছেন নাভি , নাড়ীর সাথে আগুনের যোগ আজন্ম , আজন্ম আগুন ক ’ জনই বা ধরে রাখে , যারা ধরে রাখে সারা শরীরে ছড়ায় - তারা অবাঞ্ছিত আগুনে পোড়ে না । গ্রন্থনামের শিরোনামেই আছে গ্রন্থের প্রথম কবিতা - যা পুরোটাই তুলে দেওয়া হল । পুরোটাই - কারণ এই প্রথম কবিতাটিই যেন আলোচ্য গ্রন্থে সন্নিবিষ্ট প্রতিটি কবিতার সুনির্দিষ্ট পরিচায়ক । এভাবেই স্বল্প কথায় কবি জারিত করেছেন গভীর চিন্তাপ্রসূত কিছু অমোঘ পঙক্তি । স্পষ্টতই চিহ্নায়িত করা যায় কবিতাগুলোর দুটি ভাগ । প্রথমাংশ - ঘটনা, অনুষঙ্গ বা রূপক এবং শেষাংশ - তার ভাব , বিশ্লেষণ , সমাধান , সিদ্ধান্ত । কবি নিবারণ নাথের কাব্যগ্রন্থ - ‘দাগ’। ৬৪ পৃষ্ঠার গ্রন্থের ৫৬ পৃষ্ঠা জুড়ে রয়েছে মোট ৬৮টি কবিতা। প্রতি পৃষ্ঠায় এক বা একাধিক সম্পূর্ণ কবিতা। চার পঙক্তির কবিতাও যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে পৃষ্ঠাজোড়া কবিতা। নান্দনিক বর্ণ সংস্থাপনের কথাটি প্রথমেই বলে নেওয়া ভালো। ‘ভূমিকার পরিবর্তে’ শিরোনামে গ্রন্থের ভূমিকা লিখেছেন - বিশিষ্ট সাহিত্যিক হৃষিকেশ নাথ। গ্রন্থ ও গ্রন্থকারের এক সম্পূর্ণ পরিচয় তিনি তুলে ধর

অন্নপূর্ণার দাওয়ায় এখন খসে পড়া পাতার মজলিশ… ‘তৃষ্ণার্ত উপত্যকা থেকে বলছি’

গ্রন্থের প্রথম কবিতা ‘ আরশি - কথা ’ নিয়েই আলোচনা এগোতে পারে বহুদূর । কবি এই কবিতার মধ্য দিয়েই স্পষ্ট করে দিয়েছেন আত্মপরিচয় সহ তাঁর নিজস্ব কবিতাবিশ্ব তথা আলোচ্য গ্রন্থের নির্যাস , আয়নায় মেলে ধরেছেন আস্ত কবিকে - আমায় প্রশ্ন করো - কেন পাহাড় আমার এতো ভালো লাগে …… কেন ক্যাপসিকামের চেয়েও আমার বকফুল বড়া বেশি প্রিয় । কেন পঁচিশটা বসন্তের সঞ্চয় আমি একটি মাত্র পঁচিশে বৈশাখে খরচ করে ফেলি । নিজেকে দেউলে করে বারবার কেন পৃথিবীকে চিনে নিতে অস্থির হই । … তরুণ কবি তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীর প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘তৃষ্ণার্ত উপত্যকা থেকে বলছি’ । কীসের তৃষ্ণা ? সৃষ্টির তৃষ্ণা । কবিতার পরতে পরতে যা সাজিয়ে রেখেছেন কবি। খুঁজে নিতে হবে পাঠকের। কোন এই উপত্যকা ? অবশ্যই কবির নিজস্ব যাপনের অবস্থান। কবির হৃদয়-উপত্যকা। একের পর এক কবিতায় তাই উঠে আসে উনিশের কথা, বাস্তুহারা, দেশহারাদের কথা। উঠে আসে বরাক-কুশিয়ারার কথা, বরাকের বন্যার কথা। উঠে আসে আরোও বহু কথাই। তাই তো কবি তৃষ্ণার্ত। কবিতায় তাই সাজিয়ে রেখেছেন অনিঃশেষ ভালোবাসা , সীমান্ত - ব্যথা , স্বাধীনতার প্রহসন , শেকড়ের কথা , মায়ের কথা । আছে কালিকাপ্রসাদ থেকে শনবি

আলো-আঁধারির অরূপ দৃশ্যপট

আমার সেদিন প্রথম আলোর শুভক্ষণ আলো থেকে বড় বেদনায় , কষ্টে মুখ ফিরিয়েছিলেন জনমদায়িনী । চোখ বুজে সকল আলো থেকে নিজেকে আড়াল করে উন্মোচিত করেছিলেন আমাকে ।   সেই থেকে আলো খুঁজে খুঁজে দিবানিশি আরোও আলোর পথে আমার নিত্য অন্বেষণ । এ আলো আঁধারির অরূপ দৃশ্যপট আমাকে পথ দেখায় আজীবন । রাতের হলকা আগুন থেকে দিনমানে দিনমণি , পূর্ণচাঁদের মোহ ।   মা গিয়েছেন আলোর থেকে বহু দূর আঁধার পথে চিরতরে , আমাকে দিয়ে সব আলো । হাত পেতে রাখো - মা ভুবনমোহিনী , আমিও দিয়ে যাব তোমাকে ফিরিয়ে সেই আলো ধরে রেখো সব রোশনাই , পৃথিবীর সব ভালো ।

অথচ......

সেদিনও তো চোখে ছিল তৃষ্ণা অফুরান হেঁটেছি বৃষ্টিপথে সৃষ্টিসুখের সন্ধানে অথচ , জানা ছিল না সেদিন তোমার দু ’ চোখ জুড়ে দেখব যত জমাট বাঁধা দুঃখবেলার সাজানো সাতকাহন ।   সেদিন সেই কালবেলায় , মুখোমুখি দাঁড়িয়ে দেখেছি যত অনাসৃষ্টির দুরন্ত দামালপনা অথচ , এমনটা হওয়ার কথা তো ছিল না ।   কথা ছিল না আরোও বহু কিছুরই অথচ , সইতে হয়েছে সব … । কেন যে বার বার দাঁড়াতে হয় অনাদি অনন্ত অনিচ্ছেগুলোর মুখোমুখি ।   আসলে এ পৃথিবী শুধুই এক একতরফা দেনাপাওনার মিথ্যে আঁতুড়ঘর । আমার এ কবিতাও তাই কারো ইচ্ছেসুখের রোজনামচায় নিত্য খেলাঘর.........।

তোমারই আঁচলে প্রথম জলের দাগ...... প্রেমের কবিতার সংকলন - ‘মনীষা ও তারপর’

মনীষা অর্থে প্রজ্ঞা , প্রতিভা । তবে এখানে মনীষা হল কবির মানসী । কবি শতদল আচার্যের সদ্য প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘ মনীষা ও তারপর ’ । প্রকাশিত হয়েছে কবির ‘প্রিয় সেপ্টেম্বর’-এ। আধুনিক কবিতার ধারায় পুষ্ট এমন এক পরিপাটি , নিটোল প্রেমের কবিতার সমাহার শেষ কবে পড়া হয়েছে তা অজানা । প্রেমের কবিতা বরাবরই এক ধোঁয়াশা । কবি শতদলও এর ব্যতিক্রম নন । কোথাও লাগামহীন আবার কোথাও রহস্যের আবেশ । আসলেই প্রেমের কবিতা এমন হয় । পাঠককেই বুঝে নিতে হয় সারাংশ । সিদ্ধান্তে আসতে হয় নিজের মতো করে । ৬৮ পৃষ্ঠার এই সংকলনের ৫৮ পৃষ্ঠা জুড়ে রয়েছে মোট ৫৬টি পরমাণু থেকে পৃষ্ঠা পেরোনো কবিতা। কবিতার ফর্মাটও পালটেছে সঘন। প্রতিটি কবিতাই কোনও এক অদৃশ্য ‘তুমি’কে উদ্দেশ্য করে লিখা - ধরে নেওয়া যেতেই পারে কবির মানসী মনীষাকে। গোটা গ্রন্থ জুড়েই শুধু ‘মনীষা’ ও ‘তারপর’-এর ভাবনা। বস্তুত ৫৬টি কবিতার মধ্যে ৩৬টি কবিতার শিরোনামই শুধু ‘মনীষা’। মনীষা ১, ২, ৩...... এভাবেই এসেছে কবিতার শিরোনাম। আদতেই এক অভিনব চিন্তাধারার ফসল। সবই যেখানে মনীষাকে লিখা সেখানে কবিতার আলাদা শিরোনামের প্রয়োজনই বা কতটুকু। ফলে সংখ্যাগুলোকে পৃষ্ঠাসংখ্যা ভেবে প্রাথমিক

‘যাও পাখি নীড় বাঁধো রাঙা পলাশের ডালে’ পঙক্তিমালার সহজ পাঠ - অপর্ণা দেব

কবিতায় কবিতায় নিরেট সোনায় মোড়া সংকলন। ৪৪ পৃষ্ঠার কাব্য সংকলনের মোট ৩৪ পৃষ্ঠা জুড়ে রয়েছে দু’লাইন থেকে দুই পৃষ্ঠা জোড়া গভীর কাব্যসুষমামণ্ডিত ৩৬ টি কবিতা। অপর্ণা দেব যতটা কবি তার চাইতেও বেশি পরিচিত প্রাবন্ধিক এবং সমাজসেবী হিসেবে। অথচ আলোচ্য এই সংকলনে সন্নিবিষ্ট কবিতাগুলি কবির কাব্যপ্রতিভাকে প্রথমবারের মতো উদভাসিত করে তুলল পাঠকের সামনে যেখানে রয়েছে শুধু বিস্ময় আর কবির কৌলীন্য। গোটা সংকলন জুড়ে পাতায় পাতায় রয়েছে এক শৈল্পিক সুষমা। আধুনিক কবিতায়, চিরন্তন চিত্রকল্পে। রুচিবোধের পরিচায়ক এই চমৎকার অলংকরণ। কবির ভাবনাবিশ্ব আজীবন বিস্তৃত। হয়তো বা এর বিস্তৃতি ছড়িয়ে রয়েছে জীবনের পরও। কবিতায় উঠে এসেছে সমাজ, জীবনবোধের অনুভব, অনুভূতি, স্থান-কাল-পাত্র, ভাষা, মাতৃভাষার গরজ। তবে যে কথাটি খোদিত রয়েছে অধিকাংশ কবিতার অন্দরে তা হলো নিখাদ প্রকৃতি প্রেম। একের পর এক কবিতায় কবি তাই নিজের মতো করে সাজিয়েছেন প্রকৃতির প্রতি তাঁর অগাধ ভালোবাসা, প্রখর পর্যবেক্ষণ। কখনও জাগতিক প্রেমও নিখাদ বন্ধনে মিশে একাকার হয়ে যায় প্রকৃতি প্রেমের বিশালত্বে। কিছু পঙক্তি নিশ্চিত দোলা দেয় পাঠক মনে - এখানে কোনো বর্ষাকথকতা নেই/ নেই রুনুঝুনু ন

খয়েরি পাতার ভিড়ে ...... ‘টাপুর টুপুর ব্যথা’

ব্যথা যখন ঝরে পড়ে নিরলস তখনই বোধ করি সমান তালে পাল্লা দিয়ে ঝরে পড়ে কবিতারা । আর না হলে একজন কবি ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর ব্যথাকেও কী করে ধরে রাখতে পারেন কবিতার পঙক্তি জুড়ে ? নষ্টনীড়ে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন - ‘মনে যখন বেদনা থাকে, তখন অল্প আঘাতেই গুরুতর ব্যথা বোধ হয়’। তাঁর অসংখ্য গান, কবিতা ও রচনায় তাই বেদনার মূর্ত প্রকাশ লক্ষ করা যায়।    এমনই সব ব্যথা আর ভিন্ন ভিন্ন যাপনকথার কাব্যিক উপস্থাপন কবি বিশ্বজিৎ দেব - এর সদ্য প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ - ‘ টাপুর টুপুর ব্যথা ’ । মোট ৫৬ পৃষ্ঠার এই কাব্যগ্রন্থের ৪৮ পৃষ্ঠা জুড়ে রয়েছে ৫৬ টি কবিতা। কিছু সংক্ষিপ্ত, কিছু পৃষ্ঠাজোড়া। ভূমিকায় বিশিষ্ট সাহিত্যিক রতীশ দাস লিখছেন - ... বিশ্বজিতের কবিতাগুলো অনেকটা তার কাঠখোদাই শিল্পের রিলিফ-এর মতোই উচ্ছ্বাসধর্মী - যেন উত্তলাবতল তক্ষণজনিত আলো-আঁধারি মায়াবিজড়িত, পঙক্তিগুলো পাঠক পাঠিকার মনোযোগ দাবি করতেই পারে...। এখান থেকেই আলোচ্য গ্রন্থের কবিতাগুলোর বিষয়ে একটা ধারণা করা যেতে পারে। এখানে উচ্ছ্বাস অর্থে আমাদের ধরে নিতে হবে কবির ভাবনার উচ্ছ্বাস, সে বিষাদেই হোক আর তাৎক্ষণিক কোনও ঘটনার জের হিসেবেই হোক। তাই হয়তো কবি করোনার

লোকঐতিহ্য আশ্রিত নাট্য সংকলন ‘মনসাকথা’ ও ‘রইদ রাজার কিচ্ছা’

মানুষ জন্মের পর থেকেই দেখে ও শুনে শেখে এবং জগৎটাকে চেনে । পড়ে শেখার ব্যাপারটা আসে বহু পরে । সেই হিসেবে চেনা - জানার কিংবা বলা যায় শেখানো - জানানোর মুখ্য তথা প্রাথমিক মাধ্যম হচ্ছে চাক্ষুষ অর্থাৎ দৃষ্টি-শ্রবণসম্বন্ধীয় প্রদর্শন । তাই তো যুগ যুগ ধরে বয়োজ্যেষ্ঠদের থেকে কথা ও কাহিনি শুনে শুনে এবং পারিপার্শ্বিক পরিবেশকে চাক্ষুষ দেখে দেখেই ব্যক্তির জীবনবোধের শিক্ষালাভ সম্ভব হয়ে আসছে । প্রথাগত প্রাথমিক শিক্ষালাভ অবিহনেও তাই একজন মানুষ জীবনের বাস্তব শিক্ষা থেকে জ্ঞানলাভ করে আয়েসে না হলেও অনায়াসে কাটিয়ে দিতে পারেন জীবৎকাল । সুতরাং শ্রবণ - দর্শনের একীভূত মাধ্যম একজন মানুষের জীবনে যে প্রদান করে এক অমূল্য অবদান তাতে কোনও সন্দেহ থাকার কথা নয় । প্রাচীন কাল থেকেই তাই সমবেত দর্শক শ্রোতার সামনে পরিবেশিত হয়ে চলেছে এমন প্রদর্শন যার মাধ্যমে অশিক্ষিত লোকেদের কাছেও পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে কাঙ্ক্ষিত বার্তা । যাত্রা , নাটক , থিয়েটার , চলচ্চিত্র , দূরেক্ষণ , দূরসঞ্চার আদি এমনই এক একটি শিল্পমাধ্যম । ভারতে ভরতের নাট্যশাস্ত্র কয়েক হাজার বছর আগেই নাট্যশাস্ত্র অর্থাৎ নাটকের দিশা নির্দেশ করে নাট্যমাধ্যমকে সর্বস্তরে

আত্মপ্রকাশেই পথপ্রদর্শকের ভূমিকায় ‘সংযোগ’

‘ বাংলা সাহিত্য সভা , অসম ’ । এ রাজ্যের বাংলা সাহিত্য , সংস্কৃতির ধারক ও বাহক যাঁরা , তাঁদের কাছে এক বহুপ্রতীক্ষিত অরাজনৈতিক সংগঠন । আপন পরিমণ্ডলে সহচরী ভাষাসমূহের যখন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার সুবাদে সুদৃঢ় হচ্ছে ভিত তখন একটি সার্বিক সংগঠন না থাকায় এতদিন ধরে ক্রমান্বয়ে পিছিয়ে পড়তে হচ্ছিল বাংলা ভাষা সাহিত্যের চর্চা, প্রচার ও প্রসারকে। দীর্ঘ কালের প্রতীক্ষার অবসানে অতঃপর গঠিত হল অসমের বাংলা ভাষাভাষীদের অতি আপন ‘সাহিত্য সভা’। সবে দু’বছর পেরিয়েছে এই সংগঠন। নেতা-কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও সময়োপযোগী চিন্তাভাবনার ফলশ্রুতিতে ইতিমধ্যেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের দিকে শুরু হয়েছে শুভযাত্রা। এই যাত্রাপথের শুভারম্ভে সভার প্রথম রাজ্য সম্মেলন উপলক্ষে মার্চ ২০২৩-এ প্রকাশিত হয় সভার মুখপত্র তথা সাহিত্য পত্রিকা ‘সংযোগ’। প্রকাশিত হতে হতে অবশ্য তা আর পত্রিকা হয়ে না থেকে পরিণত হয়েছে এক বিশাল সাহিত্য সম্ভারে, ধারে ও ভারে এক পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থে। আর এতেই প্রমাণিত হয়ে যায় যে ‘সংযোগ’ হচ্ছে দীর্ঘ দিনের খরার শেষে তৃষ্ণাবারির আত্মপ্রকাশ। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খোলামেলা হাতে কলম ধরেছেন বিশাল সংখ্যক কবি, লেখকরা। স্বভাবতই দী