Skip to main content

Posts

Showing posts from December, 2021

সালতামামি

সে তো যাবেই চলে ছন্দে পতনে থাকবে যারা করবে সালতামামি বিদায়ে, আবাহনে মাতবে আয়োজনে কথা কিছু রাখবে মনের গহীনে। আবার আসবে এমনই এক দিন হারিয়ে যাবে নতুন - পুরাতনের কোলে যেমন ঝরা পাতা বসন্তে বাদলে। কোন সুদূর থেকে আসবে ভেসে ছবি সবাক চিত্র ফুটবে দু’চোখ জুড়ে কল্পমদির স্মৃতিপটে বাঁধবে বাসা চিরতরে কোলাজ হয়ে রইবে হৃদয় জুড়ে।   এক দিন সব হবে একাকার নিস্তব্ধ বসুন্ধরায় জানবে না কেউ নাম হারিয়ে যাবে সব কোলাজ, সব স্মৃতি সন মাস দিন বছর শুধু মিথ্যে হিসেব যত সকাল সন্ধ্যা ফিরবে অবিরত। ফিরবে না তো বিস্মৃত অবয়ব অবয়বে কী বা যায় আসে আসলেই ফানুস সব, নিশ্চিত ভোকাট্টা আকাশ মাটির পথের দিশায় অবিরাম পথ হাঁটা। এই ছেলে তুই আকাশটাকে ধর এই মেয়ে শোন একটি পাহাড় তোর   নদীও তোর, ঝরনাও তোর আমি সবটুকু আজ দিলাম তোকে সব মিলিয়ে ছবি হওয়ার আগে সময় সোপান আগলে ধর, যাবেই চলে একের পর এক দিন - মাস - বছর।

বরুণার কথা

স্বাধীনতার অব্যবহিত পূর্ববর্তী সময়ের উপাখ্যান   উপন্যাসের প্রারম্ভেই কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা হয়েছে প্রবীণ নাথ , মনীষ দাশ , বিকাশ দেব ও বিজু কাকতির উদ্দেশে । এ অঞ্চলে সাময়িক কালের এক অতি পরিচিত সাহিত্যিক অনিল দাশ পুরকায়স্থের এটি হচ্ছে সপ্তম প্রকাশিত গ্রন্থ - এর আগে উপন্যাস না লিখলেও প্রকাশিত হয়েছে তাঁর লিখা বিষণ্ণ বেহালা ( কাব্য ), স্মৃতি থাক ছড়াতে ( ছড়া ), কিংবদন্তির আঙিনায় ( লোককথা ), সুরের ঝর্ণাধারায় ( সংগীত ), শ্রীহট্টের মালসী সংগীত ও ধুরা ( লোকসংস্কৃতি ) এবং শ্রীহট্টের ব্রতকথা ( লোকসংস্কৃতি ) । এ উপন্যাসের মূল থীম হচ্ছে বাল্যপ্রেম ও তার পরিণতি । যদিও ত্রিভুজ প্রেমের খানিকটা আভাস পাওয়া যায় তবে কাহিনী আবর্তিত হয়েছে মূল নায়িকা, লেখকের মানসপ্রতিমা বরুণাকে কেন্দ্র করেই। নায়ক অনিমেষের (অনু) ভাবনাতেই রচিত হয়েছে উপন্যাস। উপন্যাসের আপাতঃ বিয়োগাত্মক পরিসমাপ্তির ইঙ্গিত মেলে প্রারম্ভেই। শুরুটা এরকম - বরুণা চলে গেছে। শূন্য করে দিয়ে গেছে তার সমগ্র অস্তিত্বকে। আজ চারমাস সে একা। বরুণা আর কখনো আসবে না। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে এই শূন্যতার বোঝা বয়ে বেড়ানো যে কী কষ্ট তা অনিমেষ বুঝতে পারে। বু

হাফলং থেকে মাহুর - এক স্বপ্ন সফর

শীতের ভোরে ইচ্ছা অনিচ্ছার দোটানায় বিছানা ছেড়ে ওঠা এক প্রচণ্ড বিরক্তিকর ব্যাপার । এরপর হাতে যখন সময একেবারেই নেই এবং প্রায় দৌড়তে দৌড়তে স্টেশনে পৌঁছে দেখা যায় যে অন্য প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার চলমান সিঁড়ি স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এবং ঢাউস ট্রলিটি হাতে করে বয়ে উপরে উঠতে হয় তখন বিরক্তি কেমন চরমে পৌঁছায় ? কিন্তু এখানেই শেষ নয় । বিরক্তির আরো বাকি ছিল । জিনিসপত্র নিয়ে জোর পা চালিয়ে প্ল্যাটফর্মের শেষ প্রান্তে এসে মিনিট চারেক বাকি থাকতে কাঙ্খিত আসনে বসার পর দেখা গেল সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর ট্রেন তো নড়ছেই না । নির্ধারিত সময়ের পাক্কা 10 মিনিট পর ছাড়ল অগত্যা । এতসব বিরক্তিকর মুহূর্ত পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত আমাদের যাত্রা হলো শুরু । গুয়াহাটি থেকে নতুন করে আরম্ভ হওয়া ভিস্তা ডোম এক্সপ্ৰেস করে ন ' জনের কনভয় হৈ হৈ করে বেরিয়ে পড়লাম আসামের শৈল শহর হাফলং এর উদ্দেশে । ক্রিসমাস চমক । জানি না এর পর আর কী আছে কপালে । কারণ বিরক্তির শুরুটা কিন্তু একদিন আগে থেকেই শুরু হয়ে গেছে । আসছি সে কথায় । আপাততঃ ন ' জন চলেছি । তিনটি পরিবার । মহিলারা পাল্লায় ভারী । একটি আপ্তবাক্য মনে পড়ছে । &#