কবিগুরুর ভাষায় - ‘ আমি চঞ্চল হে , আমি সুদূরের পিয়াসি … । ’ কবিগুরুর মতোই আমরা বাঙালিরা - এবং বোধ করি আপামর বিশ্বজনেরাও অন্তর থেকে সুদূরের পিয়াসি সবাই । কিন্তু এই ‘ সুদূর ’ শব্দটিই শুধু তারতম্য ঘটায় ব্যক্তিবিশেষে । কারো সুদূর ঘরের কাছের ‘আরশিনগর’ তো কারো কাছে গোটা বিশ্বই আরশিনগর। ইচ্ছে থাকলেও উপায় হয়ে ওঠে না সব সময়। আমরা অ্যাভারেজ বাঙালিদের কাছে এ দেশের আনাচেকানাচে ঘুরে বেড়ানোটাই যথেষ্ট। কয়েক বছর পর পরই বাই ওঠে বাইরে বেরনোর। ‘উচাটন মন ঘরে রয় না’ তখন। যৌবনে শঙ্কু মহারাজের বেশ ক’টি ভ্রমণ কাহিনি পড়ে রোমাঞ্চিত হয়েছিলাম। তার মধ্যে যে গ্রন্থটি আমাকে সবচাইতে বেশি আকর্ষণ করেছিল সেটি ছিল ‘লীলাভূমি লাহুল’। লাহুল ও স্পিতি উপত্যকার নৈসর্গিক বৃত্তান্ত আমাকে অভিভূত করেছিল। সেই থেকে বলতে গেলে উন্মুখ হয়ে রয়েছিলাম একবার যাব বলে। কিন্তু ওই যে লিখেছি - উপায় আর হয়ে ওঠেনি এত কাল ধরে। ইতিমধ্যে ঘোরা হয়ে গেছে বহু বার - ‘অন্য কোথা, অন্য কোনখানে’। কিন্তু হিমাচলের অনন্য সৌন্দর্য উপভোগ করার আর ফুরসৎ হয়ে ওঠেনি। এবার আবার যখন বাইরে যাওয়ার বাই উঠল তখন আর কালবিলম্ব না করে ইছেপূরণের ভ্রমণসারণি তৈরি করে ফেললা...
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা