বাংলা ছোটগল্পের বিবর্তনের ধারা দীর্ঘ প্রবহমান । ভাষা ও সাহিত্যের যুগোপযোগী রূপবদল এক স্বাভাবিক প্রক্রিয়া । ভৌগোলিক সূত্রে ঈশান বাংলার ছোটোগল্প নির্মাণ ও বিনির্মাণ এই ধারার সঙ্গে কতটুকু সামঞ্জস্য বজায় রাখতে পারছে তা আলোচনা সাপেক্ষ । রূপরাজ ভট্টাচার্য যতটা কবি তার চাইতেও বেশি দক্ষতা পরিলক্ষিত হয় তাঁর ছোটোগল্পে । সংখ্যার বিচারে নয় , উৎকর্ষের বিচারধারাকে গুরুত্ব দিয়ে গল্প লিখেন রূপরাজ । ফলত আমাদের নিজস্ব এই গল্পবিশ্বে রূপরাজ যে ক্ষেত্রটি তৈরি করতে পেরেছেন তা অপার বাংলার ধারার সঙ্গে খাপ খেয়ে যায় পুরোপুরি । লেখকের সম্প্রতি প্রকাশিত গল্প সংকলন ‘ বারকোশ ’ এই সত্যটিকেই উদ্ ঘাটিত করেছে । ১৪৩ পৃষ্ঠার এই গ্রন্থের ১৩১ পৃষ্ঠা জুড়ে রয়েছে নির্বাচিত পনেরোটি গল্প । এর অধিকাংশই পত্রপত্রিকায় ইতিমধ্যে প্রকাশিত । ভূমিকায় বিশিষ্ট লেখক রণবীর পুরকায়স্থ যে বিশদ আলোচনাটি করেছেন এর পর আর আলোচনার বিশেষ কিছু থেকে থাকে না। প্রথমেই যে কথাটি উল্লেখ করা প্রয়োজন তা হল গল্পের ভিতরগত চলন, বুনোট ও নির্মাণশৈলী। এই তিনটি হাতিয়ারকে সঙ্গী করে এক ঘোর লাগা বয়নে গল্পসমূহকে উপস্থাপন করেছেন গল্পকার। সরল বয়ান অথচ ভাষা, শ...
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা