দুটি ব্লার্বই খালি। গ্রন্থ বিষয়ক এবং লেখক বিষয়ক কোনও
মর্মকথা নেই, তথ্য নেই। অথচ কিছু কথা থাকা উচিৎ ছিল বলেই মনে হয়েছে। ড. শংকর কর। বরপেটার হাউলি বি এইচ কলেজের বাংলা
বিভাগের অধ্যাপক। ইতিমধ্যেই
বাংলা সাহিত্য, সংগীত এবং আঞ্চলিক সাহিত্য বিষয়ক একাধিক সম্পাদনা গ্রন্থের প্রণেতা হওয়ার উপরি
সমসাময়িক নিয়মিত পত্রিকারও সম্পাদক যেখানে সমবিষয়ক, সমমানের লেখালেখির
উপর নিরন্তর গুরুত্ব সহকারে সম্পাদনার কাজে ব্রতী রয়েছেন। বলা ভালো এই ক্ষেত্রটিতে আজকের দিনে
নিজেকে অপরিহার্য করে তুলেছেন। সুতরাং ব্লার্বে এসব কথা আসা সমীচীন
হতো।
সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তাঁর ত্রিভাষিক সম্পাদনা গ্রন্থ ‘উত্তরপূর্বের লোকসাহিত্যে শিশু-মনস্তত্ত্ব’। বরাবরেরই মতো ধারে ও ভারে সমৃদ্ধ ২৬৩ পৃষ্ঠার এই গ্রন্থে রয়েছে বাংলা, অসমিয়া ও ইংরেজি ভাষায় লেখা একগুচ্ছ বিষয়-ভিত্তিক প্রবন্ধ। গ্রন্থনাম থেকেই প্রতীয়মান যে এই গ্রন্থে যেসব নিবন্ধাদি নির্বাচিত হয়েছে তার ভিত্তি ত্রিমাত্রিক। প্রথমত - উত্তরপূর্ব, দ্বিতীয়ত - লোকসাহিত্য এবং তৃতীয়ত - শিশু ননস্তত্ত্ব। এই তিনটি মাত্রাকে একত্রিত করেই লেখা হয়েছে নিবন্ধসমূহ। সহজেই অনুমেয় যে এমন পরিসীমিত আবহে যথেষ্ট অধ্যয়ন ও জ্ঞান না থাকলে কিছুই লেখা সম্ভব নয়। এবং স্বভাবতই লেখক নির্বাচনে সম্পাদকের মনোনয়ন কিংবা পছন্দ যে এক বিরাট ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায় এটা বলা যায় নিশ্চিতভাবেই। গ্রন্থ পাঠে সেই কাজে এবং সবশেষে এই প্রচেষ্টায় যে সম্পাদক ‘প্রায়’ একশো ভাগ সফল সে কথা অনস্বীকার্য। ‘প্রায়’ শব্দটি এই কারণেই ব্যবহার করতে হল যে নিজস্ব লেখালেখি আর সম্পাদনা কোনওভাবেই এক নয়। নিজস্ব লেখালেখিতে যেমন দায়বদ্ধতার ব্যাপারটি নিজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে এবং নিজের জানা, চেনার গণ্ডিতেই সীমাবদ্ধ থাকে সম্পাদনার ক্ষেত্রে ঠিক তার বিপরীত। লেখক নির্বাচনের ক্ষেত্রটি খুবই স্পর্শকাতর একটি বিষয়। এখানে সম্পাদকের পরিচিতির গণ্ডিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই গ্রন্থ পাঠ করে এই উত্তরপূর্বে উপরিউক্ত বিষয়ে নিরন্তর লেখালেখির মধ্যে আছেন এমন কিছু লেখকের অনুপস্থিতি যেন অনুভব করা গেছে। হয়তো পরবর্তীতে এই গ্রন্থেরও পরিবর্ধিত সংকলন কিংবা একই বিষয়ে ২য় খণ্ডও প্রকাশিত হতে দেখা যাবে।
পাশাপাশি একথাও স্বীকার্য যে এই সংকলনে যেসব নিবন্ধাদি সন্নিবিষ্ট হয়েছে সেসব মিলে পাঠকমনে এক বিষয়ভিত্তিক সম্পূর্ণতা অবশ্যই অনুভূত হবে। কারণ উত্তরপূর্বের লোকসাহিত্যে যে শিশু মনস্তত্ত্ব বিষয়ক এত সম্ভার রয়েছে তা হয়তো এতদিন অজানাই ছিল আপামর পাঠকসকাশে। এবার তবে চোখ রাখা যাক বিষয়সূচিতে। এই আলোচনার পরিসর এতটা নয় যে প্রতিটি রচনার উপর আলাদা করে বিশদ বাক্যব্যয় করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে সান্ত্বনা এটাই যে অধিকাংশ রচনার শিরোনামই রচনার বিষয়-নির্দেশক।
প্রথমেই চোখ রাখা যাক গ্রন্থের ভূমিকায়। ৭ পৃষ্ঠাব্যাপী ভূমিকা ‘অন্তরাল কথন’-এ সম্পাদক শংকর কর বিষয়ের উপর পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোকপাত করেছেন। ইতিহাস থেকে বর্তমান কালাবধি বিস্তৃত আলোচনা করেছেন শিশু মনস্তত্ত্ব নিয়ে। এমনকি এই শব্দটিকে ভেঙে শিশু এবং মনস্তত্ত্ব শব্দদুটির উপরেও টিপ্পনি রেখেছেন বিশদে। শিশু মনস্তত্ত্বের গোড়ার কথা, সঠিক মানসিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা, তার উপর লোককথার প্রভাব ইত্যাদি প্রতিটি বিষয়ে এতটাই সমৃদ্ধ ভূমিকা যে এই ভূমিকা নিজেই একটি উচ্চস্তরীয় নিবন্ধে পর্যবসিত হয়েছে।
গ্রন্থের সূচি অনুযায়ী প্রথমেই বাংলা বিভাগ এবং এই ভাগেই রয়েছে বেশি নিবন্ধ। আবিদ রাজা মজুমদার লিখেছেন ‘শিশু-কিশোরদের রম্য প্রবাদ’। একে একে রয়েছে রমাকান্ত দাস-এর ‘বরাক উপত্যকার লৌকিক ছড়ায় শিশু ও কিশোর’, রঞ্জিত দে’র ‘ত্রিপুরার বাংলা লোকসাহিত্যে শিশুমন বা মনস্তত্ত্ব’, অজিত কুমার সিংহ-র ‘বরাক উপত্যকার সমাজজীবনে প্রচলিত ধাঁধা - এক বিশ্লেষণী পাঠ’, বানব্রত আদিত্যের ‘শিশুচিত্তে লোকায়ত প্রভাব ও আধুনিক জীবনশৈলী - একটি সমীক্ষা’, তনুশ্রী ঘোষের ‘প্রচলিত খেলাধুলা - ‘শিশু মনস্তত্ত্ব ও সমাজবোধ’, সূর্যসেন দেব-এর ‘বরাক উপত্যকার লোককথা - মনস্তাত্ত্বিক অন্বেষণ’, বুবুল শর্মার ‘বরাক উপত্যকার বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি মৌখিক সাহিত্যে শিশু-মনস্তত্ত্ব’, মলয় দেব-এর ‘ত্রিপুরার আদিবাসী লোককথায় শিশু মনস্তত্ত্ব’, পদ্মকুমারী চাকমার ‘চাকমা ছড়ায় শিশু মনস্তত্ত্ব’, পবিত্র রায়ের ‘রাজবংশী লোকসাহিত্যে প্রতিফলিত শিশুমন’, রতন দেববর্মার ‘ককবরক ছড়া ও শিশু মনস্তত্ত্ব’, সন্তোষ আকুড়ার ‘শিশু মনস্তত্ত্বের নিরিখে বরাক উপত্যকার চা-জনগোষ্ঠীয় কয়েকটি ছড়া ও বাংলা ছড়ার একটি তুলনামূলক বিশ্লেষণ’ এবং সুশীল কুমার রাভার ‘রাভা-লোককথা’। এই বিভাগের সূচিপত্রে কিছু বিসংগতি লক্ষ করা যায়। অধিকাংশ নিবন্ধই শিরোনাম অনুযায়ী যথেষ্ট বিস্তৃত এবং তথ্যসম্বলিত। ভিন্ন ভাষার ছড়া প্রবাদসমূহের বাংলায় ছান্দিক অনুবাদ বিশিষ্টতার স্বাক্ষর রেখেছে।
অসমিয়া বিভাগে রয়েছে রেণু হাজরিকার ‘নিচুকনি গীতত শিশু মনস্তত্ত্ব’, কল্পন্যা বৈশ্য-র ‘অসমিয়া লোকসাহিত্যত শিশু মনস্তত্ত্ব - এটি পর্যালোচনা’, পবিত্র কুমার পেগুর ‘অরণ্য আরু মিচিং সমাজ’ এবং চন্দামিতা দাসের ‘অসমিয়া লোকসাহিত্যত শিশু মনস্তত্ত্ব’। এখানে সূচিপত্রে ভাষা বিভ্রাট লক্ষ করা গেছে।
ইংরেজি বিভাগে রয়েছে হাওবাং ননীকুমার সিংহের ‘Child’s Psychology in Folk Literature’, ইন্দিরা বড়োর ‘Children Literature and Psychology with Special Reference in Bodo Children Literature’, ভাস্কর রায় বর্মনের ‘Child Psychology in the Folktales of Tripura’, শিল্পী মৈত্র-র ‘Thakumar Jhuli - A Study on Thematic Diversity of the Bengali Folktales concerning Child Psychology’, এবং ডার্মি পেগুর ‘Re-evaluation of Mising Folksongs as a Traditional Lore - Psychological Effect on Child Development’.
তত্ত্ব ও তথ্যের আধারে লিখিত প্রতিটি
নিবন্ধ সংবলিত এই গ্রন্থ নিমগ্ন পাঠক, সাহিত্য সন্ধানী এবং গবেষণার কাজে নিযুক্ত
ছাত্রছাত্রীদের জন্য এক উপযুক্ত আকরগ্রন্থ হিসেবে পরিগণিত হবে এতে কোনও সন্দেহ নেই। শেষ দু’পৃষ্ঠায় রয়েছে লেখক-পরিচিতি। ফলত লেখকদের নামোল্লেখের আগে কোনও বিশেষণের প্রয়োগ করা হল না
আলোচনায়। ছাপা, বাঁধাই, বানান, অক্ষর বিন্যাস যথেষ্ট স্পষ্ট, শুদ্ধ তথা মানসম্পন্ন যদিও ইংরেজি বিভাগের প্রথমাংশে কিছু পৃষ্ঠার ছাপার দাগ
এসেছে বিপরীত পৃষ্ঠায়। বাসন্তী রানি কর, বরপেটা কর্তৃক প্রকাশিত
এই গ্রন্থটি সম্পাদক উৎসর্গ করেছেন বিশিষ্ট লোকসংস্কৃতিবিদ প্রয়াত সুবীর করের উদ্দেশে। এই অঞ্চলে সম্পাদনা গ্রন্থের প্রকাশে
একাধারে এই প্রচ্ছদচিত্রবিহীন প্রবন্ধ সংকলন যেমন এক বিশিষ্টতার প্রতীক হয়ে রইল তেমনি
সম্পাদক শংকর করও নিঃসন্দেহে এক ব্যতিক্রমী পথিকৃৎ হয়ে রইলেন।
সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তাঁর ত্রিভাষিক সম্পাদনা গ্রন্থ ‘উত্তরপূর্বের লোকসাহিত্যে শিশু-মনস্তত্ত্ব’। বরাবরেরই মতো ধারে ও ভারে সমৃদ্ধ ২৬৩ পৃষ্ঠার এই গ্রন্থে রয়েছে বাংলা, অসমিয়া ও ইংরেজি ভাষায় লেখা একগুচ্ছ বিষয়-ভিত্তিক প্রবন্ধ। গ্রন্থনাম থেকেই প্রতীয়মান যে এই গ্রন্থে যেসব নিবন্ধাদি নির্বাচিত হয়েছে তার ভিত্তি ত্রিমাত্রিক। প্রথমত - উত্তরপূর্ব, দ্বিতীয়ত - লোকসাহিত্য এবং তৃতীয়ত - শিশু ননস্তত্ত্ব। এই তিনটি মাত্রাকে একত্রিত করেই লেখা হয়েছে নিবন্ধসমূহ। সহজেই অনুমেয় যে এমন পরিসীমিত আবহে যথেষ্ট অধ্যয়ন ও জ্ঞান না থাকলে কিছুই লেখা সম্ভব নয়। এবং স্বভাবতই লেখক নির্বাচনে সম্পাদকের মনোনয়ন কিংবা পছন্দ যে এক বিরাট ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায় এটা বলা যায় নিশ্চিতভাবেই। গ্রন্থ পাঠে সেই কাজে এবং সবশেষে এই প্রচেষ্টায় যে সম্পাদক ‘প্রায়’ একশো ভাগ সফল সে কথা অনস্বীকার্য। ‘প্রায়’ শব্দটি এই কারণেই ব্যবহার করতে হল যে নিজস্ব লেখালেখি আর সম্পাদনা কোনওভাবেই এক নয়। নিজস্ব লেখালেখিতে যেমন দায়বদ্ধতার ব্যাপারটি নিজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে এবং নিজের জানা, চেনার গণ্ডিতেই সীমাবদ্ধ থাকে সম্পাদনার ক্ষেত্রে ঠিক তার বিপরীত। লেখক নির্বাচনের ক্ষেত্রটি খুবই স্পর্শকাতর একটি বিষয়। এখানে সম্পাদকের পরিচিতির গণ্ডিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই গ্রন্থ পাঠ করে এই উত্তরপূর্বে উপরিউক্ত বিষয়ে নিরন্তর লেখালেখির মধ্যে আছেন এমন কিছু লেখকের অনুপস্থিতি যেন অনুভব করা গেছে। হয়তো পরবর্তীতে এই গ্রন্থেরও পরিবর্ধিত সংকলন কিংবা একই বিষয়ে ২য় খণ্ডও প্রকাশিত হতে দেখা যাবে।
পাশাপাশি একথাও স্বীকার্য যে এই সংকলনে যেসব নিবন্ধাদি সন্নিবিষ্ট হয়েছে সেসব মিলে পাঠকমনে এক বিষয়ভিত্তিক সম্পূর্ণতা অবশ্যই অনুভূত হবে। কারণ উত্তরপূর্বের লোকসাহিত্যে যে শিশু মনস্তত্ত্ব বিষয়ক এত সম্ভার রয়েছে তা হয়তো এতদিন অজানাই ছিল আপামর পাঠকসকাশে। এবার তবে চোখ রাখা যাক বিষয়সূচিতে। এই আলোচনার পরিসর এতটা নয় যে প্রতিটি রচনার উপর আলাদা করে বিশদ বাক্যব্যয় করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে সান্ত্বনা এটাই যে অধিকাংশ রচনার শিরোনামই রচনার বিষয়-নির্দেশক।
প্রথমেই চোখ রাখা যাক গ্রন্থের ভূমিকায়। ৭ পৃষ্ঠাব্যাপী ভূমিকা ‘অন্তরাল কথন’-এ সম্পাদক শংকর কর বিষয়ের উপর পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোকপাত করেছেন। ইতিহাস থেকে বর্তমান কালাবধি বিস্তৃত আলোচনা করেছেন শিশু মনস্তত্ত্ব নিয়ে। এমনকি এই শব্দটিকে ভেঙে শিশু এবং মনস্তত্ত্ব শব্দদুটির উপরেও টিপ্পনি রেখেছেন বিশদে। শিশু মনস্তত্ত্বের গোড়ার কথা, সঠিক মানসিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা, তার উপর লোককথার প্রভাব ইত্যাদি প্রতিটি বিষয়ে এতটাই সমৃদ্ধ ভূমিকা যে এই ভূমিকা নিজেই একটি উচ্চস্তরীয় নিবন্ধে পর্যবসিত হয়েছে।
গ্রন্থের সূচি অনুযায়ী প্রথমেই বাংলা বিভাগ এবং এই ভাগেই রয়েছে বেশি নিবন্ধ। আবিদ রাজা মজুমদার লিখেছেন ‘শিশু-কিশোরদের রম্য প্রবাদ’। একে একে রয়েছে রমাকান্ত দাস-এর ‘বরাক উপত্যকার লৌকিক ছড়ায় শিশু ও কিশোর’, রঞ্জিত দে’র ‘ত্রিপুরার বাংলা লোকসাহিত্যে শিশুমন বা মনস্তত্ত্ব’, অজিত কুমার সিংহ-র ‘বরাক উপত্যকার সমাজজীবনে প্রচলিত ধাঁধা - এক বিশ্লেষণী পাঠ’, বানব্রত আদিত্যের ‘শিশুচিত্তে লোকায়ত প্রভাব ও আধুনিক জীবনশৈলী - একটি সমীক্ষা’, তনুশ্রী ঘোষের ‘প্রচলিত খেলাধুলা - ‘শিশু মনস্তত্ত্ব ও সমাজবোধ’, সূর্যসেন দেব-এর ‘বরাক উপত্যকার লোককথা - মনস্তাত্ত্বিক অন্বেষণ’, বুবুল শর্মার ‘বরাক উপত্যকার বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি মৌখিক সাহিত্যে শিশু-মনস্তত্ত্ব’, মলয় দেব-এর ‘ত্রিপুরার আদিবাসী লোককথায় শিশু মনস্তত্ত্ব’, পদ্মকুমারী চাকমার ‘চাকমা ছড়ায় শিশু মনস্তত্ত্ব’, পবিত্র রায়ের ‘রাজবংশী লোকসাহিত্যে প্রতিফলিত শিশুমন’, রতন দেববর্মার ‘ককবরক ছড়া ও শিশু মনস্তত্ত্ব’, সন্তোষ আকুড়ার ‘শিশু মনস্তত্ত্বের নিরিখে বরাক উপত্যকার চা-জনগোষ্ঠীয় কয়েকটি ছড়া ও বাংলা ছড়ার একটি তুলনামূলক বিশ্লেষণ’ এবং সুশীল কুমার রাভার ‘রাভা-লোককথা’। এই বিভাগের সূচিপত্রে কিছু বিসংগতি লক্ষ করা যায়। অধিকাংশ নিবন্ধই শিরোনাম অনুযায়ী যথেষ্ট বিস্তৃত এবং তথ্যসম্বলিত। ভিন্ন ভাষার ছড়া প্রবাদসমূহের বাংলায় ছান্দিক অনুবাদ বিশিষ্টতার স্বাক্ষর রেখেছে।
অসমিয়া বিভাগে রয়েছে রেণু হাজরিকার ‘নিচুকনি গীতত শিশু মনস্তত্ত্ব’, কল্পন্যা বৈশ্য-র ‘অসমিয়া লোকসাহিত্যত শিশু মনস্তত্ত্ব - এটি পর্যালোচনা’, পবিত্র কুমার পেগুর ‘অরণ্য আরু মিচিং সমাজ’ এবং চন্দামিতা দাসের ‘অসমিয়া লোকসাহিত্যত শিশু মনস্তত্ত্ব’। এখানে সূচিপত্রে ভাষা বিভ্রাট লক্ষ করা গেছে।
ইংরেজি বিভাগে রয়েছে হাওবাং ননীকুমার সিংহের ‘Child’s Psychology in Folk Literature’, ইন্দিরা বড়োর ‘Children Literature and Psychology with Special Reference in Bodo Children Literature’, ভাস্কর রায় বর্মনের ‘Child Psychology in the Folktales of Tripura’, শিল্পী মৈত্র-র ‘Thakumar Jhuli - A Study on Thematic Diversity of the Bengali Folktales concerning Child Psychology’, এবং ডার্মি পেগুর ‘Re-evaluation of Mising Folksongs as a Traditional Lore - Psychological Effect on Child Development’.
বিদ্যুৎ চক্রবর্তী
মূল্য - ৩৫০ টাকা
যোগাযোগ - ৯৪০১৪৭৩১১৭
Comments
Post a Comment