মোট ১১ টি গল্পের সংকলন। একটিকে অণুগল্প হিসেবে আখ্যায়িত করা
যায়। বাকি
দশটি ছোটোগল্প। ভিন্ন
আঙ্গিকের ব্যতিক্রমী গল্প সব। আসলে গল্প অর্থাৎ কাহিনি এখানে মুখ্য
নয়। গল্পটাই
মুখ্য অর্থাৎ গল্প বলার বা লিখার মুনশিয়ানা, তার চলনবলন, বুনোট আর
শব্দ-ভাষার উৎকৃষ্টতাই প্রধান। এমন সজ্জা পেলে পাঠক বর্তে যান, গল্প না হলেও চলে। তবু গল্প। পরতে পরতে রূপক আর উপমা। শব্দব্রহ্ম সটান নেমে এসেছেন গল্পের
মধ্যে। স্থান, কাল, পাত্রের সুসজ্জিত বয়ান। কিছু বয়ান, কিছু অনুরণন অনুভব
করা যাক -
(১) ‘আকাশের দিকে চোখ, সেখানে বাবার হাসিমুখ। বাবা দেখাতেন কালপুরুষ…… বুড়ো হয়েছেন বলেই
হয়তো এখন সব খারাপ, আগের সব ভালো। ঘুরেফিরে সব পুরোনো ছবি। পাঁচ পুরুষের ভিটে একদিন হয়ে গেল অন্য
দেশ। এ
কেমন মজা। সেই
একই মাটি, একই জল, একই বাতাস, একই ছায়া পলকে
হল পর। অযুত
ভয়-মৃত্যু-আগুন-বারুদ পেরিয়ে শরণাগত…… পেরিয়ে
এসেছেন কত আগুনের নদী, বারুদের পাহাড়। তাই স্থিত হওয়ার কথা ভাবেননি কোনোদিন। মাটির প্রতি তাঁর নেই কোনো টান। ধামাইল ছাড়া কলুর বলদ এখন খুব তাড়াতাড়ি
চলে যেতে চান।
… (গল্প - চতুর্ভূজ)।
(২) রাত তখনই রাত, যখন মানুষ সমস্ত দিনের ভালো ও খারাপ কাজ সেরে ঢলে পড়েছে ঘুমে। অনেকেরই ঘুম হয় না, এলজোলাম খেয়ে ঘুমোয়। আলো, যা কিছু ক্রমে ঘোলাটে। জেগে রয়েছে জুয়াড়ি, লম্পট, তস্কর এক পিঠে তো অন্য পিঠে চিত্রকর, ভাস্কর, সন্ন্যাসী, কবি, ভবা পাগল। তারা ধ্বংসে ও নির্মাণে রাত জাগে। রাত জাগে কখনো ভালো না-হওয়া শেষ প্রহর গোনা অসুস্থ মানুষের যন্ত্রণা ও কান্নার কাঁটা নিয়ে। রাত তখনই রাত যখন বাগেশ্রী তার হৃদয় খুলে রাখে দরবারি কানাড়ার করতলে। ... (গল্প - আলতামিরার ঘোড়া)।
(৩) উইমেন। নারী, রমণী, মানবী আরও যে কত নাম। কেমন সে ? শুধুই শরীর, রমণ, সন্তান উৎপাদন। খাঁজে খাঁজে চড়াই উতরাই-এ দৃষ্টিপাত। মন খুঁজেছে কেউ কুসুমের ? কুসুমেরও মন আছে, শশী মাস্টার খুঁজেছিল। এই রাত, এই সময় কী ভালো সুন্দর, বিষণ্ণ সুন্দর। সে কি মেঘ হয়ে নামে এই বাথটাবে ? হ্যাঁ, অনেক অনেক মেঘ আকাশের বক্ষ থেকে ছিঁড়ে এনে জমা করেছি এইখানে। মেঘের ভিতর কি কান্না থাকে, যেমন আমার অজস্র ভিড়ের ভিতর নিঃসঙ্গতা ? না হলে এত জল। ... (গল্প - নদীর ধারে ভালো আলো)।
বিচ্ছিন্নভাবে তিনটি গল্প থেকে কিছু লাইন উদ্ধৃত করা হল শুধু গল্পের প্যাটার্নকে একটুখানি ছুঁয়ে দেখার জন্য, দেখানোর জন্য। ভিন্ন বিষয়ের আধারে এক একটি গল্প গড়ে উঠলেও কিছু বর্ণনায় সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়। যেমন বন্ধুসংসর্গ, আড্ডা, পার্টি, দেশি বিদেশি পানীয়ের সম্ভার, হারিয়ে যাওয়া নেশায় বুঁদ হওয়া... কিছু প্রমোদে, কিছু বিষাদে। দেশি বিদেশি সাহিত্য, সংগীত, শিল্পকলার চমৎকার প্রয়োগে এক একটি গল্প হয়ে উঠেছে উৎকর্ষের পরাকাষ্ঠা। আলোচনার খাতিরে খুঁজে পেতে দেশি বিদেশি সাহিত্যের সমসাময়িক কিংবা যুগপুরোনো উদাহরণ টেনে আনার কোনও প্রয়োজন নেই। সঞ্জয় চক্রবর্তী, হ্যাঁ কবি সঞ্জয় চক্রবর্তীর এই এগারোটি গল্পকে নিজস্ব ঘরানার সৃষ্টি হিসেবেই মেনে নিতে কোনও বাধা কিংবা বিভ্রম সৃষ্টির সুযোগ নেই এতটুকু।
প্রথম গল্প ‘চতুর্ভূজ’। চারটি
শাখায় প্রসারিত করেছেন গল্পটিকে। কলুর বলদ, গড্ডলিকা প্রবাহ, প্রতিবাদী এবং
ভবিষ্যৎ। এই চারটি বাহুতে দেশভাগের ফলে প্রজন্ম জুড়ে উদ্ভূত সমস্যা, ব্যথা বেদনা,
উত্তরণ ও অবনমনেরর শৈল্পিক প্রকাশ। ভাষার চতুরঙ্গে ক্ষয়ে যাওয়া জীবনবোধের মধ্য
থেকেই বেরিয়ে আসে সত্য কথা, সত্য বোধ এবং অমোঘ জীবনবোধ। পরবর্তী গল্প
‘অন্নবৃষ্টি’। এক পৃষ্ঠার অণুগল্পে কী অপূর্ব প্রয়োগ ভাষা ও শব্দের। পরিসরের কথা
ভেবে একটুখানি তুলে ধরা যাক - ‘... শুক্কুরবার শুধু আমাদের, বন্ধু ক’জনের। মাল
টানাটা একটু হেভভিই হয়ে যায়। বাড়ি ফিরতেই হানি থমথমে মুখে ভাত বেড়ে দেয়, চলে যায়।
যতই মাইণ্ডব্লোয়িং ব্যঞ্জন হোক না কেন, মদিরার উপর্যুপরি ঠেলায় সব গলাধঃকরণ হয় না।
উদবৃত্ত ভাত ঠাঁই পায় ডাস্টবিনে। সেও হাত ঢুকিয়ে আমাকেই লুকোতে হয় এই গহ্বরে। এই
পৃথিবীর নিরন্ন শিশুরা ঠিক এই সময়েই জেগে থাকে তুমুল। ...... সম্পন্ন বাড়ির
ডাস্টবিন থেকে এইভাবে দেবতাদের হাসির মতো অন্নপতন হয়। শিশুরা হাঁ করে থাকে। ভাত
পড়ে, ভাত।‘
দেশভাগ ও নতুন স্বপ্নকে ঘিরে তৃতীয় গল্প ‘কমলাস্বপ্ন’। ব্যতিক্রমী ধাঁচ, ব্যতিক্রমী বুনোট। রং বদলের আবহে দিনবদলের চমৎকার বয়ান। ‘আলতামিরার ঘোড়া’ একটি ইল্যুশনভিত্তিক বর্ণনাত্মক গল্প। অসাধারণ প্রেক্ষাপট পাঠককে নিয়ে যায় এক ঘোরলাগা পথের পরিভ্রমণে। পঞ্চম গল্প ‘গোলাপ গোলাপ রাত্রি’ আধুনিকতায় মোড়া ভালোবাসা, ভালো লাগার এক অনন্য গল্প যার শেষটায় রয়েছে পাঠকের গভীর ভাবনার একেবারেই বিপরীত এক অভাবনীয় মোড়। এটাই পাঠকের চাহিদা, এটাই পাঠকের প্রাপ্তি। গল্প ‘নদীর ধারে ভালো আলো’ আবহে, শব্দে, অনুষঙ্গে এক চমৎকার ভালোবাসার গল্প। নারী মন, নারীদেহ আর নারী-ভাবনার অনুচ্চারিত অধ্যায়ের এক চর্চাসমৃদ্ধ বাখান। পরবর্তী গল্প ‘জলের দানা’। কিছু অনন্য অনুভূতির শাব্দিক বর্ণনা, যে শব্দেরা কোনও এক অনাবিল ছন্দে যেন খেলা করে বেড়িয়েছে গল্প জুড়ে। অসাধারণ বুনোট আর গাঁথুনির মুনশিয়ানা। ‘পিরিত’ গল্প অপেক্ষাকৃত সহজ ও স্বল্পদৈর্ঘের। এখানে বন্ধুকৃত্য প্রকট হয়ে উঠেছে ঘটনার ঘনঘটায়। প্রথমার্ধে রূপক আর শেষাংশে বাস্তব প্রেক্ষিতের এক যুগলবন্দি গল্প। জীবনের সরল কিছু সত্য, জীবন যাপন আর মৃত্যুর অনুষঙ্গে এক সরল কথনের গল্প ‘দেশ’। ‘সপ্তম ঋতু’ গল্পে মনের ভেতর লুকিয়ে থাকা ইচ্ছেরা যেন শব্দের মায়াজাল ছড়িয়ে উড়ে বেড়িয়েছে গল্প জুড়ে। ইচ্ছে, ইছেপূরণ আর স্বপ্নভঙ্গের এক সরলরৈখিক ককটেল। অভাবনীয় এক বিষয়ভাবনা। একজন কবি যখন গল্পজগতে প্রবেশ করেন তখন বহু কল্পকথার সংযোজনে সৃষ্টি হয় এক শব্দকুহক। এই গল্প তারই এক নির্মোহ উদাহরণ। শেষ গল্প ‘পিঁড়ি পেতে বসল শ্রাবণ’। শেষটায় কিছুটা ধোঁয়াশা রয়ে গেলেও গল্প উতরে যায় শৈল্পিক গুণে, শিল্পীসত্তার সাজানো কোলাজ ঘিরে ঘটনা পরিঘটনার অনবদ্য বুনোটে। কতটা অধ্যয়ন থাকলে এমন গল্প তৈরি হয় তা পঠনশেষে অনুভূত হয় পাঠকের সত্তা জুড়ে।
এগারোটি গল্পের এক ঘোর লাগা পঠনশেষে পাঠক মন জুড়ে লেগে থাকে চমৎকারিত্বের অনিঃশেষ আবহ। এখানেই সার্থকতা গল্পের, গল্পকারের। শেষ গল্প সহ প্রতিটি গল্পের শিরোনাম এবং গ্রন্থনাম এখানে বিশেষভাবে লক্ষণীয়। সার্থক এই গল্প সংকলনটি লেখক উৎসর্গ করেছেন ‘মহুয়া চক্রবর্তী’কে। প্রাসঙ্গিক এবং শোভনীয় প্রচ্ছদের সৌজন্যে সঞ্জীব চৌধুরী। দু-একটি যতিচিহ্ন ও বানানের বিসঙ্গতির বাইরে ৬৪ পৃষ্ঠার সংকলনের ছাপা, কাগজ, অক্ষর বিন্যাস সবই যথাযথ। নিশ্চিত করেই বলা যায় উত্তরপূর্বের সাহিত্য জগতে এক ভিন্ন ধারার অনুপম গল্প সংকলন।
(২) রাত তখনই রাত, যখন মানুষ সমস্ত দিনের ভালো ও খারাপ কাজ সেরে ঢলে পড়েছে ঘুমে। অনেকেরই ঘুম হয় না, এলজোলাম খেয়ে ঘুমোয়। আলো, যা কিছু ক্রমে ঘোলাটে। জেগে রয়েছে জুয়াড়ি, লম্পট, তস্কর এক পিঠে তো অন্য পিঠে চিত্রকর, ভাস্কর, সন্ন্যাসী, কবি, ভবা পাগল। তারা ধ্বংসে ও নির্মাণে রাত জাগে। রাত জাগে কখনো ভালো না-হওয়া শেষ প্রহর গোনা অসুস্থ মানুষের যন্ত্রণা ও কান্নার কাঁটা নিয়ে। রাত তখনই রাত যখন বাগেশ্রী তার হৃদয় খুলে রাখে দরবারি কানাড়ার করতলে। ... (গল্প - আলতামিরার ঘোড়া)।
(৩) উইমেন। নারী, রমণী, মানবী আরও যে কত নাম। কেমন সে ? শুধুই শরীর, রমণ, সন্তান উৎপাদন। খাঁজে খাঁজে চড়াই উতরাই-এ দৃষ্টিপাত। মন খুঁজেছে কেউ কুসুমের ? কুসুমেরও মন আছে, শশী মাস্টার খুঁজেছিল। এই রাত, এই সময় কী ভালো সুন্দর, বিষণ্ণ সুন্দর। সে কি মেঘ হয়ে নামে এই বাথটাবে ? হ্যাঁ, অনেক অনেক মেঘ আকাশের বক্ষ থেকে ছিঁড়ে এনে জমা করেছি এইখানে। মেঘের ভিতর কি কান্না থাকে, যেমন আমার অজস্র ভিড়ের ভিতর নিঃসঙ্গতা ? না হলে এত জল। ... (গল্প - নদীর ধারে ভালো আলো)।
বিচ্ছিন্নভাবে তিনটি গল্প থেকে কিছু লাইন উদ্ধৃত করা হল শুধু গল্পের প্যাটার্নকে একটুখানি ছুঁয়ে দেখার জন্য, দেখানোর জন্য। ভিন্ন বিষয়ের আধারে এক একটি গল্প গড়ে উঠলেও কিছু বর্ণনায় সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়। যেমন বন্ধুসংসর্গ, আড্ডা, পার্টি, দেশি বিদেশি পানীয়ের সম্ভার, হারিয়ে যাওয়া নেশায় বুঁদ হওয়া... কিছু প্রমোদে, কিছু বিষাদে। দেশি বিদেশি সাহিত্য, সংগীত, শিল্পকলার চমৎকার প্রয়োগে এক একটি গল্প হয়ে উঠেছে উৎকর্ষের পরাকাষ্ঠা। আলোচনার খাতিরে খুঁজে পেতে দেশি বিদেশি সাহিত্যের সমসাময়িক কিংবা যুগপুরোনো উদাহরণ টেনে আনার কোনও প্রয়োজন নেই। সঞ্জয় চক্রবর্তী, হ্যাঁ কবি সঞ্জয় চক্রবর্তীর এই এগারোটি গল্পকে নিজস্ব ঘরানার সৃষ্টি হিসেবেই মেনে নিতে কোনও বাধা কিংবা বিভ্রম সৃষ্টির সুযোগ নেই এতটুকু।
দেশভাগ ও নতুন স্বপ্নকে ঘিরে তৃতীয় গল্প ‘কমলাস্বপ্ন’। ব্যতিক্রমী ধাঁচ, ব্যতিক্রমী বুনোট। রং বদলের আবহে দিনবদলের চমৎকার বয়ান। ‘আলতামিরার ঘোড়া’ একটি ইল্যুশনভিত্তিক বর্ণনাত্মক গল্প। অসাধারণ প্রেক্ষাপট পাঠককে নিয়ে যায় এক ঘোরলাগা পথের পরিভ্রমণে। পঞ্চম গল্প ‘গোলাপ গোলাপ রাত্রি’ আধুনিকতায় মোড়া ভালোবাসা, ভালো লাগার এক অনন্য গল্প যার শেষটায় রয়েছে পাঠকের গভীর ভাবনার একেবারেই বিপরীত এক অভাবনীয় মোড়। এটাই পাঠকের চাহিদা, এটাই পাঠকের প্রাপ্তি। গল্প ‘নদীর ধারে ভালো আলো’ আবহে, শব্দে, অনুষঙ্গে এক চমৎকার ভালোবাসার গল্প। নারী মন, নারীদেহ আর নারী-ভাবনার অনুচ্চারিত অধ্যায়ের এক চর্চাসমৃদ্ধ বাখান। পরবর্তী গল্প ‘জলের দানা’। কিছু অনন্য অনুভূতির শাব্দিক বর্ণনা, যে শব্দেরা কোনও এক অনাবিল ছন্দে যেন খেলা করে বেড়িয়েছে গল্প জুড়ে। অসাধারণ বুনোট আর গাঁথুনির মুনশিয়ানা। ‘পিরিত’ গল্প অপেক্ষাকৃত সহজ ও স্বল্পদৈর্ঘের। এখানে বন্ধুকৃত্য প্রকট হয়ে উঠেছে ঘটনার ঘনঘটায়। প্রথমার্ধে রূপক আর শেষাংশে বাস্তব প্রেক্ষিতের এক যুগলবন্দি গল্প। জীবনের সরল কিছু সত্য, জীবন যাপন আর মৃত্যুর অনুষঙ্গে এক সরল কথনের গল্প ‘দেশ’। ‘সপ্তম ঋতু’ গল্পে মনের ভেতর লুকিয়ে থাকা ইচ্ছেরা যেন শব্দের মায়াজাল ছড়িয়ে উড়ে বেড়িয়েছে গল্প জুড়ে। ইচ্ছে, ইছেপূরণ আর স্বপ্নভঙ্গের এক সরলরৈখিক ককটেল। অভাবনীয় এক বিষয়ভাবনা। একজন কবি যখন গল্পজগতে প্রবেশ করেন তখন বহু কল্পকথার সংযোজনে সৃষ্টি হয় এক শব্দকুহক। এই গল্প তারই এক নির্মোহ উদাহরণ। শেষ গল্প ‘পিঁড়ি পেতে বসল শ্রাবণ’। শেষটায় কিছুটা ধোঁয়াশা রয়ে গেলেও গল্প উতরে যায় শৈল্পিক গুণে, শিল্পীসত্তার সাজানো কোলাজ ঘিরে ঘটনা পরিঘটনার অনবদ্য বুনোটে। কতটা অধ্যয়ন থাকলে এমন গল্প তৈরি হয় তা পঠনশেষে অনুভূত হয় পাঠকের সত্তা জুড়ে।
এগারোটি গল্পের এক ঘোর লাগা পঠনশেষে পাঠক মন জুড়ে লেগে থাকে চমৎকারিত্বের অনিঃশেষ আবহ। এখানেই সার্থকতা গল্পের, গল্পকারের। শেষ গল্প সহ প্রতিটি গল্পের শিরোনাম এবং গ্রন্থনাম এখানে বিশেষভাবে লক্ষণীয়। সার্থক এই গল্প সংকলনটি লেখক উৎসর্গ করেছেন ‘মহুয়া চক্রবর্তী’কে। প্রাসঙ্গিক এবং শোভনীয় প্রচ্ছদের সৌজন্যে সঞ্জীব চৌধুরী। দু-একটি যতিচিহ্ন ও বানানের বিসঙ্গতির বাইরে ৬৪ পৃষ্ঠার সংকলনের ছাপা, কাগজ, অক্ষর বিন্যাস সবই যথাযথ। নিশ্চিত করেই বলা যায় উত্তরপূর্বের সাহিত্য জগতে এক ভিন্ন ধারার অনুপম গল্প সংকলন।
- বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
প্রকাশক - ভাষালিপি, কলকাতা
মূল্য - ১৬০ টাকা
যোগাযোগ - ৯৮৩৬৩৮৬১৯৬
মূল্য - ১৬০ টাকা
যোগাযোগ - ৯৮৩৬৩৮৬১৯৬
Comments
Post a Comment