Skip to main content

প্রত্যাশার আত্মপ্রকাশ ছোটপত্রিকা ‘মোহনা’


একটি ছোটপত্রিকার জন্ম হয়তো নিত্যদিনের চালচলনে কিংবা বিশ্ব অর্থনীতি বা রাজনীতিতে কোনও প্রভাব ফেলে না। কিন্তু সাহিত্যের কর্ষণক্ষেত্রে এর ব্যাপক প্রভাব এবং নান্দনিক পরিমণ্ডলে এক যোগাত্মক প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়। ছোটপত্রিকার হাত ধরে উঠে আসে নবীন প্রজন্ম যাঁরা কালক্রমে মহিরুহ হয়ে আলোকিত করেন সাহিত্যের অঙ্গন। সুতরাং একটি ছোটপত্রিকার আত্মপ্রকাশ সাড়া জাগায় বিদ্বৎবহলে। সম্প্রতি বহু প্রতীক্ষার অন্তে, বহু ঝড়ঝাপটাকে অতিক্রম করে বরাক উপত্যকার করিমগঞ্জ শহর থেকে উন্মোচিত হল ছোটপত্রিকা ‘মোহনা’। কোভিড কালে পরিকল্পিত এই পত্রিকার আত্মপ্রকাশ বিলম্বিত হওয়ার মূল কারণ অতিমারি, সম্পাদকের পরম প্রিয়জন - তাঁর স্বামীর আকস্মিক প্রয়াণ এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়। সম্পাদক বনানী চৌধুরী এ নিয়ে বিস্তৃত লিখেছেন সম্পাদকীয়তে।
পত্রিকার প্রথম সংখ্যার উৎসর্গ যথেষ্ট মানবিক এবং যথোপযুক্ত। এ নিয়ে সম্পাদকীয়তে আছে - ‘আমাদের এ পত্রিকাতে প্রথম যিনি লেখা দিয়েছিলেন তিনি উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিশিষ্ট লেখক মানবরতন মুখোপাধ্যায়। কিন্তু আমাকে লেখা পাঠানোর কয়েকদিন পরই তিনি না-ফেরার দেশে চলে যান। তাঁর প্রতি আমাদের আন্তরিক শ্রদ্ধা জানিয়ে এই সংখ্যাটি তাঁকেই উৎসর্গ করলাম’। মানবরতনের অকালপ্রয়াণ এ অঞ্চলের সাহত্য জগতের জন্য নিদারুণ এক দুঃসংবাদ বটে। তাঁর স্মৃতিতে সংখ্যাটি উৎসর্গ করে সম্পাদকমণ্ডলী যথার্থ মানবিকতার পরিচয় রেখেছেন। তাছাড়া ভৌগোলিক গণ্ডির সীমাবদ্ধতা ভেঙে এই মহৎ কাজ আবারও এটাই প্রমাণ করল যে সাহিত্যের প্রকৃতই কোনও সীমারেখা নেই। এছাড়াও বিগত কোভিডকালে যেসকল প্রিয়জন ছেড়ে গেছেন এই সুন্দর পৃথিবী তাঁদের প্রতিও রয়েছে আলাদা করে শ্রদ্ধাঞ্জলি পৃষ্ঠা।
পত্রিকার সাদা কালো প্রচ্ছদ যথার্থ অর্থবহ। প্রচ্ছদ পরিকল্পনায় ছন্দা দাম ও চয়ন নাথ যথেষ্ট পরিপক্কতার আভাস দিয়েছেন। প্রাকৃতিক এই বিপর্যয়ের ছবি সাদা-কালোতেই যেন অধিক অর্থবহ হয়ে উঠেছে। গল্প কবিতা প্রবন্ধ প্রতিবেদনের সমাহারে পত্রিকার প্রতি সম্পাদকমণ্ডলীর গরজ ও দায়বদ্ধতা ফুটে উঠেছে গোটা পত্রিকা জুড়েই।
ডঃ গীতা সাহার প্রবন্ধ ‘নববর্ষ’ সুন্দর বয়ানে বর্ণিত যদিও আরোও খানিকটা সম্প্রসারিত হতে পারত। শাহরুল বা বাহা উৎসব নিয়ে লিখা প্রবন্ধ ‘নব আনন্দে আজি’ও যথেষ্ট সংক্ষিপ্ত মনে হয়েছে যদিও প্রাবন্ধিক ডঃ মীনা মুখার্জির এই লেখাটির সূত্র ধরে এ অঞ্চলের পাঠক বাহাদের এক অনবদ্য সাংস্কৃতিক পরম্পরার সঙ্গে পরিচিত হতে পারবেন নিঃসন্দেহে। ডঃ কনকদীপ শর্মা তাঁর ‘অতিমারি সময় ও কিছু কথা’ শীর্ষক নিবন্ধে আবার ফিরিয়ে এনেছেন কোভিড কালের শোকগাথা ও বিড়ম্বনার চিত্র। এটিও সংক্ষিপ্ত বলে মনে হয়েছে। হয়তো পরিসরের কথা ভেবেই। অতিমারির প্রভাব নিয়ে আরোও একটি অতি সংক্ষিপ্ত প্রবন্ধ - বিনোদ লাল চক্রবর্তীর ‘করোনার সঙ্গে লড়াই করে বাঁচতে হবে’। প্রাবন্ধিকের বয়ানে - ‘... করোনার মতো মহামারি বা অতিমারির মতো আরও মারাত্মক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবার সম্ভাবনা আছে। সারা বিশ্ব আজ প্রকৃতির রোষানলের শিকার। আর এসব বিপর্যয়ের জন্য দায়ী জীবশ্রেষ্ঠ (?) মানব। এসব অশনিসংকেতের সম্মুখীন হয়েই আমাদের বেঁচে থাকতে হবে। চলার গতি যেন বন্ধ হয়ে না যায়।’
প্রতিবেদন হিসেবে রয়েছে সুব্রত সেনগুপ্ত-এর ‘কাছাড় কাগজ কল কেন কীভাবে বন্ধ হল’। কাগজ কলের মৃত্যুর এক অন্তর্নিহিত অনুসন্ধান। এখানে কর্মীদের দুর্নীতিকে অধিক গুরুত্ব না দিয়ে সরকারের ব্যর্থতাকেই প্রধানত দায়ী করা হয়েছে। প্রতিবেদনের এক জায়গায় ‘ধর্মান্ধ’ শব্দটির উল্লেখ অপ্রয়োজনীয় এবং অপ্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে। সম্পাদক বনানী চৌধুরীর দু’টি প্রতিবেদন আছে পত্রিকায়। ‘আলাপচারিতায় তালবাদ্যের যাদুকর’ প্রতিবেদনে তালবাদ্য নিয়ে বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মৃগনাভি চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকার এবং ‘বিশ্ব নাট্য দিবস ও এক মনোরম নাট্য সন্ধ্যা’ শিরোনামে করিমগঞ্জে অনুষ্ঠিত এক নাট্যসন্ধ্যায় পরিবেশিত তিনটি নাটকের অতি সংক্ষিপ্ত আলোচনা। এসব আঞ্চলিক নান্দনিক সংবাদ ছোটপত্রিকার গুরুত্ব ও যাথার্থ্য বাড়িয়ে তোলে।  
পুস্তক আলোচনা বিভাগে সুদীপ্তা দে চৌধুরী পাঠকদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক সত্যজ্যোতি ভট্টাচার্যের তিনটি গ্রন্থের সঙ্গে। অণু কবিতার গ্রন্থ ‘কবিতাভ’, গল্পের বই ‘কিচ্ছা ফুরোলেই মিচ্ছা’ এবং নাট্য সংকলন ‘নাট্যত্রয়ী’। আলোচনার পাঠশেষে পাঠকের ইচ্ছে জাগে বইগুলো পড়ার। সেজন্য প্রাপ্তিস্থানের বা যোগাযোগের উপায় বাতলে দেওয়ার প্রয়োজন ছিল - যা নেই।
গল্প বিভাগে প্রথমেই রয়েছে মানবরতন মুখোপাধ্যায়ের গল্প ‘অর্ধেক গল্প’। ছোট্ট এই গল্পে মানবরতন তাঁর জাত চিনিয়ে দিয়েছেন অক্ষরে অক্ষরে। মঞ্জরী হীরামণি রায় উপত্যকার বিশিষ্ট গল্পকার। তাঁর গল্প ‘মোহনার দিকে’ সমসাময়িক কালের ভিন্ন সমস্যার দিকে পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বরাবর। এখানেও তার ব্যত্যয় হয়নি। নিপুণ বুনোটে এগিয়েছে গল্প তবে প্রথম দিকে ‘সে’ এবং ‘তিনি’র কিছু অবিন্যস্ততা লক্ষ করা গেছে। তাছাড়া এই গল্পটিতে থেকে গেছে অনেকগুলো বানান/ছাপার ভুল। এছাড়াও গল্প লিখেছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এবং ভাস্করজ্যোতি (আলোর জীবাশ্ম)। ভাস্করজ্যোতির অণুগল্প চমৎকার প্লট নিয়ে শুরু হলেও শেষটায় খানিক হিজিবিজি পরিলক্ষিত হয়।
কবিতা বিভাগে আছে তেরোজন কবির কবিতা। উল্লেখযোগ্য বিশ্বজিৎ চৌধুরী, রফি আহমেদ মজুমদার, সুশান্ত ভট্টাচার্য, স্মৃতি দাস প্রমুখ। এছাড়াও যাঁদের কবিতা রয়েছে তাঁরা হলেন ডঃ অমরেশ দত্ত, কৃষ্ণা মিশ্র ভট্টাচার্য, অখিল চন্দ্র পাল, চুমপি রানি দাস, শর্বরী পাল, দীপাঞ্জলি চৌধুরী, সুমিতা গোস্বামী দাস এবং কুন্তলা দে। কিছু কবিতা কঠিন শব্দের প্রয়োগে অনেকটাই জটিল হয়ে পড়েছে। এবং কিছু কবিতায় কাব্যময়তার প্রভাবকে ছাপিয়ে গেছে ভাবের বর্ণনা। সব মিলিয়ে এই বিভাগটিতে ভবিষ্যতে আরোও গভীর নজর দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
৬৮ পৃষ্ঠার সীমিত পরিসরে প্রকাশিত এই পত্রিকার প্রকাশনার দায়িত্বে আছেন মোহনা পরিবার - বনানী চৌধুরী, মঞ্জরী হীরামণি রায় (যাঁর নামের বানান বহুবার ভুল ছাপা হয়েছে), মৌপিয়া চৌধুরী ও সুমিতা গোস্বামী দাস। প্রথম প্রকাশে স্বভাবতই কিছু খামতি থেকেই যায়। এখানেও রয়েছে। যেমন একাধিক শুভেচ্ছা বার্তার শেষে শুধু বার্তা প্রেরকের নামই রয়েছে, তাঁদের পরিচিতি - যেমন কবি, সাংস্কৃতিক কর্মী আদি শব্দ জুড়ে দিলে ভালো হতো। সম্পাদকের তরফ থেকে সম্পাদকীয়ের বাইরে খুব বেশি রচনা থাকা যুক্তিসঙ্গত নয়।
এসব কিছুকে এবং বানান ভুলের প্রাচুর্যকে কাটিয়ে ওঠে ‘মোহনা’র পরবর্তী যাত্রাপথ মসৃণতর হয়ে উঠবে এমন প্রত্যাশা করা যেতেই পারে।

- বিদ্যুৎ চক্রবর্তী

‘মোহনা’
সম্পাদক - বনানী চৌধুরী
মূল্য - ১০০ টাকা
যোগাযোগ - ৯৪৭৬৭৬৩২৫১

Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

খয়েরি পাতার ভিড়ে ...... ‘টাপুর টুপুর ব্যথা’

ব্যথা যখন ঝরে পড়ে নিরলস তখনই বোধ করি সমান তালে পাল্লা দিয়ে ঝরে পড়ে কবিতারা । আর না হলে একজন কবি ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর ব্যথাকেও কী করে ধরে রাখতে পারেন কবিতার পঙক্তি জুড়ে ? নষ্টনীড়ে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন - ‘মনে যখন বেদনা থাকে, তখন অল্প আঘাতেই গুরুতর ব্যথা বোধ হয়’। তাঁর অসংখ্য গান, কবিতা ও রচনায় তাই বেদনার মূর্ত প্রকাশ লক্ষ করা যায়।    এমনই সব ব্যথা আর ভিন্ন ভিন্ন যাপনকথার কাব্যিক উপস্থাপন কবি বিশ্বজিৎ দেব - এর সদ্য প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ - ‘ টাপুর টুপুর ব্যথা ’ । মোট ৫৬ পৃষ্ঠার এই কাব্যগ্রন্থের ৪৮ পৃষ্ঠা জুড়ে রয়েছে ৫৬ টি কবিতা। কিছু সংক্ষিপ্ত, কিছু পৃষ্ঠাজোড়া। ভূমিকায় বিশিষ্ট সাহিত্যিক রতীশ দাস লিখছেন - ... বিশ্বজিতের কবিতাগুলো অনেকটা তার কাঠখোদাই শিল্পের রিলিফ-এর মতোই উচ্ছ্বাসধর্মী - যেন উত্তলাবতল তক্ষণজনিত আলো-আঁধারি মায়াবিজড়িত, পঙক্তিগুলো পাঠক পাঠিকার মনোযোগ দাবি করতেই পারে...। এখান থেকেই আলোচ্য গ্রন্থের কবিতাগুলোর বিষয়ে একটা ধারণা করা যেতে পারে। এখানে উচ্ছ্বাস অর্থে আমাদের ধরে নিতে হবে কবির ভাবনার উচ্ছ্বাস, সে বিষাদেই হোক আর তাৎক্ষণিক কোনও ঘটনার জের হিসেবেই হোক। তাই হয়তো কবি করোনার

অবশ্যপাঠ্য এক সার্থক উপন্যাস ‘হাজার কণ্ঠে মা’

উত্তরপূর্বের বাংলা সাহিত্যের সৃষ্টিক্ষেত্রে একটি উপন্যাসের সৃষ্টি কিংবা জন্মের ইতিহাস বহু পুরোনো হলেও এই ধারা যে সতত প্রবহমান তা বলা যাবে না কোনওভাবেই। বিশেষ করে আজকের দিনে অন্তত এই ঘটনাকে একটি ‘বিরল’ ঘটনা বলতে দ্বিধা থাকার কথা নয়। এমনও দেখা যায় যে ৪০ থেকে ৮০ পৃষ্ঠার বড় গল্প বা উপন্যাসিকাকে দিব্যি উপন্যাস বলেই বিজ্ঞাপিত করা হচ্ছে। তবে প্রকৃতই এক উপন্যাসের জন্মের মতো ঘটনার ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি সংযোজিত হয়েছে সাহিত্যিক সজল পালের উপন্যাস ‘হাজার কণ্ঠে মা’। ২৫৩ পৃষ্ঠার এই উপন্যাসটির প্রকাশক গুয়াহাটির মজলিশ বইঘর। তথাকথিত মানবপ্রেমের বা নায়ক নায়িকার প্রেমঘটিত কোনো আবহ না থাকা সত্ত্বেও উপন্যাসটিকে মূলত রোমান্সধর্মী উপন্যাস হিসেবেই আখ্যায়িত করা যায় যদিও আঞ্চলিকতা ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকেও উপন্যাসটিকে যথার্থই এক সার্থক উপন্যাস বলা যায় নির্দ্বিধায়। প্রেম এখানে বিচিত্র এক অনুষঙ্গ নিয়ে এসেছে। সংস্কৃতিমনষ্কতা, নান্দনিকতা এবং প্রেম একসূত্রে গ্রথিত হয়ে আছে এখানে। উপন্যাসটি ‘সার্থক’ অর্থে এখানে সচরাচর একটি উপন্যাসের আবশ্যকীয় ধর্মসমূহ যথা প্রাসঙ্গিক ঘটনাবিন্যাস , কাহিনির জমজমাট বুনোট , মানানসই চরিত্র

ভালোবাসার আস্তরণে ঢেকে রেখেছি, না-বলা কথা……'

তোমাকে দেখব বলে, প্রতিদিন জেগে উঠি। তোমার নবযৌবনার সৌন্দর্য আমাকে প্রাণ চঞ্চল করে তোলে।   তোমার রূপ, তোমার স্বর্ণআভা সৌন্দর্য, আমার দেহমনে শিহরণ জাগায়……। (কবিতা - স্বর্ণআভা)   গ্রন্থের নাম স্বর্ণআভা। কবি পরিমল কর্মকারের সদ্য প্রকাশিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ। ভাবনা ও ভালোবাসার বিমূর্ত প্রকাশ - কবিতায় কবিতায়, পঙক্তিতে পঙক্তিতে। অধিকাংশ কবিতাই ভালোবাসাকে কেন্দ্র করে। সুতরাং এই গ্রন্থকে অনায়াসে প্রেমের কবিতার সংকলন বলতেও আপত্তি থাকার কথা নয়। কবির কাব্যভাবনা, কাব্যপ্রতিভার ঝলক দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিভাত হয়ে আসছে উপত্যকা ও উপত্যকার সীমানা ছাড়িয়ে। তারই একত্রীকরণের দায়ে এই কাব্য সংকলন। তবে এই গ্রন্থে ভালোবাসার বাইরেও সন্নিবিষ্ট হয়েছে অন্য স্বাদের কিছু কবিতা। এর মধ্যে আছে জীবনবোধ ও জীবনচর্চার ভাবনা, শরৎ, স্মৃতি, উনিশের ভাবনা, দেশপ্রেম, সমাজের অন্দরে লুকিয়ে থাকা অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আদি। ‘পাঠকের উদ্দেশে’ শিরোনামে ভূমিকায় এমনটাই ব্যক্ত করেছেন পরিমল - ‘আমার কবিতার গরিষ্ঠাংশই জীবনমুখী। বাস্তব জীবনের নির্যাসসম্পৃক্ত এই কবিতাগুলি পাঠককে পরিচয় করিয়ে দেবে সমাজের অনেক গভীর ও অনস্বীকার্য রূঢ়