Skip to main content

গানগুলি মোর - - - - - -

(১) জীবনমুখী গান

জীবনটা আমাদের আমরা বাঁচি
ভুলিনি তোমাকে বন্ধু পাশেই আছি।
আজও আমরা সব একএকই আছি
এক প্রাণ এক মন এক সুরে সুর  
খুব কাছে হৃদয়ের যত থাকি দূর।
আজ বন্ধু তোমার তরে জয়গান রচি
ভুলিনি তোমাকে বন্ধু পাশেই আছি।
সময়টা এলোমেলো কঠিন জীবন
জড়োয়ায় গাঁথা মালা সব দেহ মন।
মিলন আশায় আজ কেন আনচান মন
দিন রাত একাকার অফুরান ক্ষণ
আজ বন্ধু মহামিলনের দিন গুণে আছি
ভুলিনি তোমাকে বন্ধু পাশেই আছি। 
আজও আমরা সব এক একই আছি
 
(২০১৮ সনে ঊচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহপাঠী বন্ধুদের প্রথম মিলনোৎসব উপলক্ষে লিখা গান। গানটিতে সুর ও কণ্ঠ দিয়েছে সহপাঠী বন্ধু তথা নামী কণ্ঠশিল্পী ড. সঞ্জীব কর। পরবর্তীতে বন্ধুদের গ্রুপে এটাকেই স্থায়ী উদ্বোধনী সঙ্গীত রূপে স্বীকৃতি দেওয়া হয় এবং বভিন্ন অনুষ্ঠানে সমবেত সঙ্গীত হিসেবে গাওয়া হয়)। 
 
(২) আগমনি গান

সুরে সুরে গানের ভেলায়
ভেসে আগমনি সুরে
তোমারই গান গাই জননী
থেকো না মা আর তো দূরে
 
শারদ স্নিগ্ধ বেলায়
শিউলি সুবাস ছড়ায়
ময়ূরী পেখম তুলে
শিশিরে ছন্দ মেলায়।
 
শারদীয়া সুরের ছোঁয়ায় খেলছে
গগণ বক্ষ জুড়ে
 
বালিকা নিপুণ হাতে
মালাতে ছন্দ গাঁথে
মন্দিরে আজ বাজে সুর
স্নিগ্ধ শারদ প্রাতে।
 
আগমনি গান গেয়ে তাই
ভাসি সুরের ভেলায়
সুরের মায়াজালে তোমায়
বাঁধবো শারদ বেলায় ।
 
তোমারি গান - - - - -
সুরে সুরে - - - -
 
(২০১ সনের দুর্গা পূজার প্রাক্কালে আগমনি গান হিসেবে এটি লিখা হয়। গানটিতে সুর ও কণ্ঠ দিয়েছে সহপাঠী বন্ধু তথা নামী কণ্ঠশিল্পী ড. সঞ্জীব কর। এরপর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষানেও গানটি গেয়েছে বন্ধুবর)। 
 
() আগমনি গান

আবার আসছে উমা মা যে সবার
গুঞ্জে কলতান,
বাজলো আবার সুরে সুরে
আগমনি গান।
দেখব আবার বছর পরে
মনে খুশির বান।
বাজলো আবার - - - - - -
 
আসবে মা, তাই মাতবো মোরা
ভাসবে সুখে বসুন্ধরা 
দেবো পাড়ি এবার  
চড়ি শান্তি-সুখ সোপান।
বাজলো আবার - - - - - - - 
 
এবার  মায়ের আগমনে
বড়ই আশা ভক্ত মনে
আসবে উমা শুভ ক্ষণে 
থাকবে না কেউ অনটনে
মা যে আমার শোক হরা
যাবে দূরে দুঃখ জরা
শঙ্কা হরে জনে জনে 
রাখিস মাটির মান। 
বাজলো আবার - - - - - - - 
 
আবার আসছে উমা - - - - - - 
 
(২০১৯ সনের দুর্গা পূজার প্রাক্কালে আগমনি গান হিসেবে এটি লিখা হয়। গানটিতে সুর ও কণ্ঠ দিয়েছে সহপাঠী বন্ধু তথা নামী কণ্ঠশিল্পী ড. সঞ্জীব কর। এরপর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষানেও গানটি গেয়েছে বন্ধুবর)।
 
 
(৪) শ্যামা সঙ্গীত

মা গো তোমার দু’টি অভয় করে
দাও মুছে সব কালিমা।
তোমার পূজায় এ বর মাগি
জননী মোর কালী মা।
 
জীবন পাত্র তোমার বরে
কানায় কানায় উঠলো ভরে
রাঙা জবার শোভায় আমার
জগত জোড়া লালিমা।
 
দুঃখ সুখে তুমি মাগো
অভয়দাত্রী জননী
গানের সুরে পূজি তোমায়
রক্তবীজ দলনী।
সাঁঝের বেলায় ইচ্ছে করে
পূজবো তোমায় উপচারে
নয়ন জুড়ে দেখবো তোমার
স্নিগ্ধ অরূপ ‘কালিমা’।
(২০১৯ সনের আগস্ট মাসে এই গানটি লিখা হয়। গানটিতে সুর ও কণ্ঠ দিয়েছে সহপাঠী বন্ধু তথা নামী কণ্ঠশিল্পী ড. সঞ্জীব কর। এরপর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষানেও গানটি গেয়েছে বন্ধুবর)। 
 
(৫) বন্দনা গীত

জানো কবি, আজ সকাল থেকেই
গুমোট হয়েছে আস্ত নীলাকাশ,
এ কোন ঝড়ের পূর্বাভাস ?
আমারও মনগগনে দাপিয়ে বেড়ায়
মন খারাপের অনন্ত সব কথা
তোমার রিক্ত জীবন গাথা।
ব্যর্থ আমার অসহায় রঙ তুলি 
অধরা সব ছিন্ন পাতার মতো
পড়েই আছে শূন্য ইজেল যত। 
জানি জানি সুখ যাপনে নেই তুমি
আজ এ নিকষ আঁধার দিনে তাই
সাজাই অর্ঘ্য, তোমারই গান গাই। 
তোমার ছবি, তোমার গানে 
যাই হারিয়ে মুহুর্মুহু বন্দি কারায়
মৃত্যু যাপন বিশ্বে জীবন ধারায়। 
দুঃখে তোমার জীবন গড়া
যুগান্তরের দুখু মিঞাঁ কবি
আজ জন্মদিনে আঁকি তোমার ছবি।
 
(২০২১ সনের মে’ মাসে নজরুল জয়ন্তী উপলক্ষে এই গানটি লিখা হয়। গানটিতে সুর ও কণ্ঠ দিয়েছেশিলচর, আসামের প্রথিতযশা কণ্ঠশিল্পী তথা ভগ্নীসম মঞ্জুষ্রী দাস। গানটি ফেসবুকে উপলব্ধ। গানটির ইয়ুটিউব লিঙ্ক - https://youtu.be/OTiJDDO3dp0 )। 
 
(৬) আধুনিক গান

শিয়রে আজ মৃত্যুর পরোয়ানা
সে তো মানে না মানা।
 
থমকে গেছে কত জীবন ধারা
পরজন আজ প্রিয়জন সব তাঁরা।
চিতার অস্থি যার যার ছিল তার
সব যেন আজ মিলেমিশে একাকার। 
মৃত্যু দিয়েছে আচমকা এসে হানা
সে তো মানে না মানা।
 
থাক বেঁচে সব কচিকাঁচার দল
রচে যাই যত নবজীবনের গান, 
ধরে রাখি যত অতিমারী বিভীষিকা
মৃত্যুর চেয়ে জীবনই তো মহীয়ান।
জীবন পেরিয়ে মরণকে আজ জানা
সে তো মানে না মানা।
 
(২০২১ সনের জুন মাসে অতিমারী করোনার বিভীষিকা নিয়ে এই গানটি লিখা হয়। গানটিতে সুর ও কণ্ঠ দিয়েছেশিলচর, আসামের প্রথিতযশা কণ্ঠশিল্পী তথা ভগ্নীসম মঞ্জুষ্রী দাস। গানটি ফেসবুকে উপলব্ধ। গানটির ইয়ুটিউব লিঙ্ক - )। 
 
(৭) আধুনিক গান

তুমি মেঘ হয়ে শুধু ভাসতে ভালবাসো
একটিবারের মতো শুধু বৃষ্টি হয়ে এসো।
 
তোমার চোখে পর যে আমি চিরটি কাল
তবু আমি তোমায় নিয়েই টালমাটাল।
টোল পড়া ওই কপোল জুড়ে মুচকি হাসো
এসো প্রিয় পাশে তুমি মুক্তো ধারায় এসো।
একটিবারের মতো শুধু বৃষ্টি হয়ে এসো।
 
তুমি যবে ঝরেই পড়ো আমার মুখোমুখি
কথার তোড়ে আমি তখন বড্ড যে সুখী।
এমনি করে এসে আমার হৃদয় জুড়ে বসো
এসো আমার মেঘবালিকা বৃষ্টি হয়ে এসো।
একটিবারের মতো শুধু বৃষ্টি হয়ে এসো।
 
তুমি মেঘ হয়ে শুধু - - - - 
 
(২০১৯ সনের নভেম্বরে এই গানটি লিখা হলেও এখনো সুরারোপিত বা গাওয়া হয়নি। এটি পুরুষ কণ্ঠে গাওয়ার উপযোগী গান)।
 
(৮) আধুনিক গান

তুমি মেঘ হয়ে শুধু ভাসতে ভালবাসো
একটিবারের মতো শুধু বৃষ্টি হয়ে এসো।
 
তোমার চোখে পর যে আমি চিরটি কাল
তবু আমি তোমায় নিয়েই টালমাটাল।
নিটোল তোমার খুনসুটিতে মুচকি হাসো
এসো প্রিয় পাশে তুমি মুক্তো ধারায় এসো।
একটিবারের মতো শুধু বৃষ্টি হয়ে এসো।
 
তুমি যবে ঝরেই পড়ো আমার মুখোমুখি
কথার তোড়ে আমি তখন বড্ড যে সুখী।
এমনি করে এসে আমার হৃদয় জুড়ে বসো
এসো আমার পরাণ সখা বৃষ্টি হয়ে এসো।
একটিবারের মতো শুধু বৃষ্টি হয়ে এসো।
 
তুমি মেঘ হয়ে শুধু - - - - 
 
(২০১৯ সনের নভেম্বরে এই গানটি লিখা হলেও ২০২১ সনের জুন মাসে মহিলা কণ্ঠে গাওয়ার উপযোগী করে আবার সামান্য সম্পাদনা করা হয়। এখনো সুরারোপিত বা গাওয়া হয়নি। এটি মহিলা কণ্ঠে গাওয়ার উপযোগী গান)।

Comments

Popular posts from this blog

খয়েরি পাতার ভিড়ে ...... ‘টাপুর টুপুর ব্যথা’

ব্যথা যখন ঝরে পড়ে নিরলস তখনই বোধ করি সমান তালে পাল্লা দিয়ে ঝরে পড়ে কবিতারা । আর না হলে একজন কবি ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর ব্যথাকেও কী করে ধরে রাখতে পারেন কবিতার পঙক্তি জুড়ে ? নষ্টনীড়ে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন - ‘মনে যখন বেদনা থাকে, তখন অল্প আঘাতেই গুরুতর ব্যথা বোধ হয়’। তাঁর অসংখ্য গান, কবিতা ও রচনায় তাই বেদনার মূর্ত প্রকাশ লক্ষ করা যায়।    এমনই সব ব্যথা আর ভিন্ন ভিন্ন যাপনকথার কাব্যিক উপস্থাপন কবি বিশ্বজিৎ দেব - এর সদ্য প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ - ‘ টাপুর টুপুর ব্যথা ’ । মোট ৫৬ পৃষ্ঠার এই কাব্যগ্রন্থের ৪৮ পৃষ্ঠা জুড়ে রয়েছে ৫৬ টি কবিতা। কিছু সংক্ষিপ্ত, কিছু পৃষ্ঠাজোড়া। ভূমিকায় বিশিষ্ট সাহিত্যিক রতীশ দাস লিখছেন - ... বিশ্বজিতের কবিতাগুলো অনেকটা তার কাঠখোদাই শিল্পের রিলিফ-এর মতোই উচ্ছ্বাসধর্মী - যেন উত্তলাবতল তক্ষণজনিত আলো-আঁধারি মায়াবিজড়িত, পঙক্তিগুলো পাঠক পাঠিকার মনোযোগ দাবি করতেই পারে...। এখান থেকেই আলোচ্য গ্রন্থের কবিতাগুলোর বিষয়ে একটা ধারণা করা যেতে পারে। এখানে উচ্ছ্বাস অর্থে আমাদের ধরে নিতে হবে কবির ভাবনার উচ্ছ্বাস, সে বিষাদেই হোক আর তাৎক্ষণিক কোনও ঘটনার জের হিসেবেই হোক। তাই হয়তো কবি করোনার

অবশ্যপাঠ্য এক সার্থক উপন্যাস ‘হাজার কণ্ঠে মা’

উত্তরপূর্বের বাংলা সাহিত্যের সৃষ্টিক্ষেত্রে একটি উপন্যাসের সৃষ্টি কিংবা জন্মের ইতিহাস বহু পুরোনো হলেও এই ধারা যে সতত প্রবহমান তা বলা যাবে না কোনওভাবেই। বিশেষ করে আজকের দিনে অন্তত এই ঘটনাকে একটি ‘বিরল’ ঘটনা বলতে দ্বিধা থাকার কথা নয়। এমনও দেখা যায় যে ৪০ থেকে ৮০ পৃষ্ঠার বড় গল্প বা উপন্যাসিকাকে দিব্যি উপন্যাস বলেই বিজ্ঞাপিত করা হচ্ছে। তবে প্রকৃতই এক উপন্যাসের জন্মের মতো ঘটনার ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি সংযোজিত হয়েছে সাহিত্যিক সজল পালের উপন্যাস ‘হাজার কণ্ঠে মা’। ২৫৩ পৃষ্ঠার এই উপন্যাসটির প্রকাশক গুয়াহাটির মজলিশ বইঘর। তথাকথিত মানবপ্রেমের বা নায়ক নায়িকার প্রেমঘটিত কোনো আবহ না থাকা সত্ত্বেও উপন্যাসটিকে মূলত রোমান্সধর্মী উপন্যাস হিসেবেই আখ্যায়িত করা যায় যদিও আঞ্চলিকতা ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকেও উপন্যাসটিকে যথার্থই এক সার্থক উপন্যাস বলা যায় নির্দ্বিধায়। প্রেম এখানে বিচিত্র এক অনুষঙ্গ নিয়ে এসেছে। সংস্কৃতিমনষ্কতা, নান্দনিকতা এবং প্রেম একসূত্রে গ্রথিত হয়ে আছে এখানে। উপন্যাসটি ‘সার্থক’ অর্থে এখানে সচরাচর একটি উপন্যাসের আবশ্যকীয় ধর্মসমূহ যথা প্রাসঙ্গিক ঘটনাবিন্যাস , কাহিনির জমজমাট বুনোট , মানানসই চরিত্র

ভালোবাসার আস্তরণে ঢেকে রেখেছি, না-বলা কথা……'

তোমাকে দেখব বলে, প্রতিদিন জেগে উঠি। তোমার নবযৌবনার সৌন্দর্য আমাকে প্রাণ চঞ্চল করে তোলে।   তোমার রূপ, তোমার স্বর্ণআভা সৌন্দর্য, আমার দেহমনে শিহরণ জাগায়……। (কবিতা - স্বর্ণআভা)   গ্রন্থের নাম স্বর্ণআভা। কবি পরিমল কর্মকারের সদ্য প্রকাশিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ। ভাবনা ও ভালোবাসার বিমূর্ত প্রকাশ - কবিতায় কবিতায়, পঙক্তিতে পঙক্তিতে। অধিকাংশ কবিতাই ভালোবাসাকে কেন্দ্র করে। সুতরাং এই গ্রন্থকে অনায়াসে প্রেমের কবিতার সংকলন বলতেও আপত্তি থাকার কথা নয়। কবির কাব্যভাবনা, কাব্যপ্রতিভার ঝলক দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিভাত হয়ে আসছে উপত্যকা ও উপত্যকার সীমানা ছাড়িয়ে। তারই একত্রীকরণের দায়ে এই কাব্য সংকলন। তবে এই গ্রন্থে ভালোবাসার বাইরেও সন্নিবিষ্ট হয়েছে অন্য স্বাদের কিছু কবিতা। এর মধ্যে আছে জীবনবোধ ও জীবনচর্চার ভাবনা, শরৎ, স্মৃতি, উনিশের ভাবনা, দেশপ্রেম, সমাজের অন্দরে লুকিয়ে থাকা অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আদি। ‘পাঠকের উদ্দেশে’ শিরোনামে ভূমিকায় এমনটাই ব্যক্ত করেছেন পরিমল - ‘আমার কবিতার গরিষ্ঠাংশই জীবনমুখী। বাস্তব জীবনের নির্যাসসম্পৃক্ত এই কবিতাগুলি পাঠককে পরিচয় করিয়ে দেবে সমাজের অনেক গভীর ও অনস্বীকার্য রূঢ়