Skip to main content

'মাটির পৃথিবী' বই-এর আলোচনা - ২



'সাহিত্যের অন্তর্নিহিত আঁচটুকু যথাসময়ে অনুধাবন করতে না পেরে বাস্তবের তাড়নায় কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে শেকড়কে শক্তপোক্ত করে উঠতেই পার হয়ে যায় জীবনের অধিকাংশ পথ । কাব্য সাধনায় বেঁচে থাকে সংক্ষিপ্ত জীবনকাল ...।" কবিতাকে কতটা গভীর ভাবে ভালবাসলে অন্তর থেকে বেরিয়ে আসে সহজ সরল স্বীকারোক্তি, একটা অতৃপ্তির দীর্ঘশ্বাস সহজেই অনুমেয় ।
বিদ্যুৎ চক্রবর্তী সমগ্র উত্তর পূর্বাঞ্চলে কবি সাহিত্যিক মহলে প্রতিষ্ঠিত, প্রিয় এবং পরিচিত নাম । তার ক্ষুরধার রচনা বৌদ্ধিকসমাজে প্রশংসিত । প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছিল"স্বপ্নতরী" নাম নিয়ে । তারপর দীর্ঘ বিরতির শেষে প্রায় পনেরো বছর পর আবারও উপহার দিলেন নতুন কাব্যগ্রন্থ । এই দীর্ঘ অবসরে কবির কলম কিন্তু থেমে নেই । তার কবিতা আমরা পেয়েছি বিভিন্ন পত্র পত্রিকা সহ বিভিন্ন মাধ্যমে এবং এই অবসরে আমাদের উপহার দিয়েছেন দু'দুইটি অসামান্য ছোটগল্প সংকলন "দিনান্তের রঙ" ও " জল রঙ জীবনকথা" ।
গত১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২১ রবিবার উন্মোচিত হলো কবির নতুন কাব্য সংকলন " মাটির পৃথিবী" । উন্মোচন করলেন গতি পত্রিকার সম্পাদক তথা বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক ও ঔপন্যাসিক মনমোহন মিশ্র । উন্মোচিত হয় ন্যাশনেল হাইওয়েতে শ্রীলক্ষ্মী বিবাহ বাসরে আয়োজিত সর্বভারতীয় সিলেটি ফোরামের শিলচর সম্মেলনে । ঝকঝকে মলাটে সুন্দর বাঁধানে ব‌ই - একশটি কবিতার সংকলন । কেন একশো - এই প্রশ্নের উত্তর কবি নিজেই দিয়েছেন তার আত্মকথনে । আয়নায় ভেসে উঠেছে কবির রক্তাক্ত হৃদয় । সাহিত্যের তৃতীয় ভুবনে দাঁড়িয়ে স্বীকৃতির জন্যে যে কঠিন লড়াই, ঔপনিবেশিক মানসিকতার বিরুদ্ধে এই উপত্যকার কবি সাহিত্যিক মনে যে ক্ষোভ, তার‌ই প্রতিধ্বনি শোনা যায় কবির আত্মকথনে । "-- জানি একশো কেন - এক লক্ষ কবিতা লিখলেও আমরা ব্রাত্য থাকব । আন্তঃভুবন এবং অন্তর্ভুবনে স্বীকৃতি পাওয়ার পিছনে যে রসায়নটি কাজ করে সেই রসায়নটি আয়ত্তে আনার এলেম আমার মতো অনেকেরই নেই । তাই বৌদ্ধিক মহল নয় আমার ভালবাসার সরল পাঠক পাঠিকাই আমার কবিতার ঈশ্বর । সেই ঈশ্বরকে উদ্দেশ্য করেই এই প্রয়াস । তাঁদের নিবিড় পাঠ‌ই হবে আমার এই প্রয়াসের সার্থকতা । কল্পনার স্বর্গে নয়, মাটির পৃথিবীই জীবন মরণের ঠাঁই ... ।" আর এই কারণেই সংকলনের যথার্থ নামকরণ -"মাটির পৃথিবী" । হার্ডবোর্ড বাইন্ডিংএ সুন্দর রুচিশীল মলাটে একশো পঞ্চান্ন পাতার ব‌ই । মলাটে দুই হাতের মধ্যে পৃথিবী - "মাটির পৃথিবী" । আকাশের অলীক কোন কল্পনা নয়, অবাস্তব কোন স্বপ্ন নয়,সবটাই মাটির কাছাকাছি, বহু পরিচিত সোঁদা মাটির গন্ধে মাখামাখি । হাত বাড়ালেই ছুঁয়ে দেখা যায় । তবু স্বপ্নগুলো কেন যেন ধরা দিতে চায় না । দু'হাতের স্পর্শ বাঁচিয়ে স্থিয দাঁড়িয়ে । যেন জীবনটাই আশায় আশায় পথচলা ।
মোট একশটি কবিতা এখানে তিনটি ভাগে প্রকাশিত হয়েছে ।কবির কথায় -"... প্রথম ভাগ - জীবন যেমন" ।বাস্তব স্মৃতি এবং অনুভবের প্রোট্রেট । দ্বিতীয় ভাগ - বাহুডোর । প্রেম ভালবাসার মাধুকরী সৌরভ । তৃতীয় ভাগ - সব মিলিয়ে । কবিমনের বিচ্ছিন্ন ভাবনার মিশেল ।" প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বে বত্রিশটি করে ও তৃতীয় পর্বে মোট ছত্রিশটি কবিতা সন্নিবিষ্ট হয়েছে এই সংকলনে ।
প্রথম পর্ব তথা সমগ্র কবিতা ব‌ইটি শুরু হয়েছে "আমার স্বপ্ন" নামের কবিতার মধ্য দিয়ে । তারপর ক্রমান্বয়ে "রাত্রি বন্দনা", "ফেরিওয়ালা", "মৃত্তিকায় রচি স্বপ্ন", " মানচিত্রে তাসের ঘর", "আত্মসমর্পণ" ইত্যাদি অসামান্য কবিতা । প্রতিটি কবিতায় ফুটে উঠেছে কবির বাস্তব জীবন সম্পর্কে স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি, স্বপ্ন আর স্বপ্ন ভাঙ্গার গান । 
'-আমার স্বপ্ন অর্ধ আকাশ, চাঁদপানা মুখ / আমার স্বপ্ন ভাঙলো যখন ভোরবেলায় / অবসাদ আর একাকীত্ব -- দোরগোড়ায় ।'
(আত্মকথন) । " --মনটা আমার পাগলপরা হাতড়ে জীবনধারা / আঁধারকে তাই ভালবাসি -- আঁধার স্মৃতির গান যে গায় ।" (রাত্রি ব্ন্দনা ) । " কিছু বেদনা -- বয়ে বেড়াতে হয় / আজীবন রক্তক্ষরণের মতো ।/ কখনও জীবনভর দিতে হয় খেসারত ...। "(সাপ-লুডু) । কিংবা "আরো একটু মিশে যেতে হবে / মাটির সাথে --/ ......একফালি বারান্দায় দাঁড়িয়ে / বৃষ্টিধারায় মন খারাপের ঢল নামে । / কারণবিহীন কান্না এসে ভেজায় দুচোখ ।/ আকাশপানে যেতে যেতে / খুঁজে নিতে হবে পায়ের তলায় -- / আরও খানিকটা শক্ত মাটি ।" ( আকাশ-মাটি) । সবকটি কবিতাতেই একটা যেন না পাওয়ার বাঁশি, মন খারাপের সুর । জীবন ‌মানেই তো যুদ্ধক্ষেত্র । প্রতি মুহূর্তে লড়তে হয় বেঁচে থাকার জন্যে, সেখানে হার জিৎ বাস্তবিক । কবির কবিতায় প্রতি ছন্দে ছন্দে বাস্তব প্রতিচ্ছবি । সাধারণের পাওয়া না পাওয়ার বেদনা, অধিকার আর অধিকার থেকে বঞ্চিত হ‌ওয়ার ব্যথা প্রতিনিয়ত কবির হৃদয়কে করেছে ক্ষত বিক্ষত । এবং সেই রক্তাক্ত হৃদয় নিঙড়ে যে কবিতার জন্ম, সেই কবিতা পাঠকের মন ছুঁয়ে যেতে বাধ্য । আর এখানেই কবি বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সার্থকতা । " কিছু দ্বিধা অহরহ -- কোন পথে যাব ? / রাজপথে আহত আজন্মলালিত সংস্কার / মেঠো পথে লাঞ্ছিত, ধিকৃত সত্তা । / টানাপোড়েনে ধ্বস্ত মানসিকতা / হৃদয় জুড়ে মরসুমি বনসাই । / বিশৃঙ্খলিত প্রজন্ম স্রোতে অপমানিত --/
ঘনায় দ্বন্দ মেঘে মেঘে মন আকাশে ।" (আত্মসমর্পণ) । অপূর্ব কাব্যিক ব্যঞ্জনা । বাস্তব ছবি আঁকতে গিয়েও কবিস্বত্তার স্খলন ঘটেনি কোথাও । এখানেই বিদ্যুৎ চক্রবর্তী অনন্য । এই অংশেই আরো কিছু কবিতা দৃষ্টি আকর্ষণ করে, -- " জগন্নাথ স্বামী", বিধ্বস্ত সম্পর্ক", "হ্যালো অরিন্দম" ইত্যাদি । বিষয় বৈচিত্র্য ও রচনাশৈলীতে নিপুণতা ভাবনায় দোলা দেয় ।
দ্বিতীয় পর্ব "বাহুডোর -- প্রেম ভালবাসার মাধুকরী সৌরভ ।" এখানেও না পাওয়ার দুঃখ । "-- একটি ডানায় ছটফটিয়ে / সুখপাখিটি হারিয়ে গেল দূর আকাশে / স্বপ্ন থেকে উধাও হল / রামধনু রঙ কল্পনা -- তোমার সাথে ।" (সুখপাখি উধাও) । প্রথম কবিতা থেকেই নজর কাড়ে ব্যর্থ প্রত্যাশার বেদনা, স্বপ্নভঙ্গের আর্তি আর হৃদয় নিঙড়ানো ভালবাসার সাতকাহন । পড়তে পড়তে কবিতা যেন খোলস ছেড়ে হারিয়ে যায় পাঠকের অতীতে, স্পর্শ করে স্পর্শকাতর কিছু স্মৃতি, আবারো রক্তক্ষরণ হয় ভালো লাগা আর ভালবাসার অলিন্দে ।যত পড়া হয় ততই আগ্রহ জন্মে । কিছু কবিতা এখানেও শ্রেষ্ঠত্বের দাবি রাখে নীরবে ।"ইচ্ছে করে", "বসন্ত বিলাপ", "ফুসমন্তর চাঁদ" তার‌ই কয়েকটি নাম । 
শেষ পর্বে -- "সব মিলিয়ে" । এই পর্যায়ে এসে কবির কবিতায় ঘটেছে আরো একবার উত্তোরণ । বিষয় বৈচিত্রে কবিতা এখানে অনন্য সংযোজন । কবিতা এখানে কোন নির্দিষ্ট খাতে নয়, ঝর্ণার মতো তার গতি । জীবনের পথে যেখানে যত মুক্তো কুড়িয়ে পেয়েছেন, দুহাত ভরে সঞ্চয় করেছেন কবি ।অক্ষয় করেছেন তার শব্দের ইন্দ্রজালে । একবার নয় বারবার পড়তে ইচ্ছে হয় ।
সব কবিতার উল্লেখ এই স্বল্প পরিসরে সম্ভব নয়, কিছু থাক পাঠকের জন্যে। ব‌ইটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন নয়নজ্যোতি শর্মা, প্রকাশক ভিকি পাবলিশার্স, গুয়াহাটি । কপি রাইট রুমকি চক্রবর্তী । বিনিময় মূল্য ১৫০/- । প্রাপ্তিস্থান বরা মার্কেট, শ্রীনগর, আর জি বি রোড, গুয়াহাটি । যোগাযোগ বরাক 9435171829 ও বহির্বরাকে 9435598718
আমার বিশ্বাস,  মাটির পৃথিবী পাঠক মন জয় করবেই এবং কবির কাছে অনুরোধ র‌ইলো আরো আরো নতুন সংকলনের ।

Comments

Popular posts from this blog

খয়েরি পাতার ভিড়ে ...... ‘টাপুর টুপুর ব্যথা’

ব্যথা যখন ঝরে পড়ে নিরলস তখনই বোধ করি সমান তালে পাল্লা দিয়ে ঝরে পড়ে কবিতারা । আর না হলে একজন কবি ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর ব্যথাকেও কী করে ধরে রাখতে পারেন কবিতার পঙক্তি জুড়ে ? নষ্টনীড়ে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন - ‘মনে যখন বেদনা থাকে, তখন অল্প আঘাতেই গুরুতর ব্যথা বোধ হয়’। তাঁর অসংখ্য গান, কবিতা ও রচনায় তাই বেদনার মূর্ত প্রকাশ লক্ষ করা যায়।    এমনই সব ব্যথা আর ভিন্ন ভিন্ন যাপনকথার কাব্যিক উপস্থাপন কবি বিশ্বজিৎ দেব - এর সদ্য প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ - ‘ টাপুর টুপুর ব্যথা ’ । মোট ৫৬ পৃষ্ঠার এই কাব্যগ্রন্থের ৪৮ পৃষ্ঠা জুড়ে রয়েছে ৫৬ টি কবিতা। কিছু সংক্ষিপ্ত, কিছু পৃষ্ঠাজোড়া। ভূমিকায় বিশিষ্ট সাহিত্যিক রতীশ দাস লিখছেন - ... বিশ্বজিতের কবিতাগুলো অনেকটা তার কাঠখোদাই শিল্পের রিলিফ-এর মতোই উচ্ছ্বাসধর্মী - যেন উত্তলাবতল তক্ষণজনিত আলো-আঁধারি মায়াবিজড়িত, পঙক্তিগুলো পাঠক পাঠিকার মনোযোগ দাবি করতেই পারে...। এখান থেকেই আলোচ্য গ্রন্থের কবিতাগুলোর বিষয়ে একটা ধারণা করা যেতে পারে। এখানে উচ্ছ্বাস অর্থে আমাদের ধরে নিতে হবে কবির ভাবনার উচ্ছ্বাস, সে বিষাদেই হোক আর তাৎক্ষণিক কোনও ঘটনার জের হিসেবেই হোক। তাই হয়তো কবি করোনার

অবশ্যপাঠ্য এক সার্থক উপন্যাস ‘হাজার কণ্ঠে মা’

উত্তরপূর্বের বাংলা সাহিত্যের সৃষ্টিক্ষেত্রে একটি উপন্যাসের সৃষ্টি কিংবা জন্মের ইতিহাস বহু পুরোনো হলেও এই ধারা যে সতত প্রবহমান তা বলা যাবে না কোনওভাবেই। বিশেষ করে আজকের দিনে অন্তত এই ঘটনাকে একটি ‘বিরল’ ঘটনা বলতে দ্বিধা থাকার কথা নয়। এমনও দেখা যায় যে ৪০ থেকে ৮০ পৃষ্ঠার বড় গল্প বা উপন্যাসিকাকে দিব্যি উপন্যাস বলেই বিজ্ঞাপিত করা হচ্ছে। তবে প্রকৃতই এক উপন্যাসের জন্মের মতো ঘটনার ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি সংযোজিত হয়েছে সাহিত্যিক সজল পালের উপন্যাস ‘হাজার কণ্ঠে মা’। ২৫৩ পৃষ্ঠার এই উপন্যাসটির প্রকাশক গুয়াহাটির মজলিশ বইঘর। তথাকথিত মানবপ্রেমের বা নায়ক নায়িকার প্রেমঘটিত কোনো আবহ না থাকা সত্ত্বেও উপন্যাসটিকে মূলত রোমান্সধর্মী উপন্যাস হিসেবেই আখ্যায়িত করা যায় যদিও আঞ্চলিকতা ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকেও উপন্যাসটিকে যথার্থই এক সার্থক উপন্যাস বলা যায় নির্দ্বিধায়। প্রেম এখানে বিচিত্র এক অনুষঙ্গ নিয়ে এসেছে। সংস্কৃতিমনষ্কতা, নান্দনিকতা এবং প্রেম একসূত্রে গ্রথিত হয়ে আছে এখানে। উপন্যাসটি ‘সার্থক’ অর্থে এখানে সচরাচর একটি উপন্যাসের আবশ্যকীয় ধর্মসমূহ যথা প্রাসঙ্গিক ঘটনাবিন্যাস , কাহিনির জমজমাট বুনোট , মানানসই চরিত্র

ভালোবাসার আস্তরণে ঢেকে রেখেছি, না-বলা কথা……'

তোমাকে দেখব বলে, প্রতিদিন জেগে উঠি। তোমার নবযৌবনার সৌন্দর্য আমাকে প্রাণ চঞ্চল করে তোলে।   তোমার রূপ, তোমার স্বর্ণআভা সৌন্দর্য, আমার দেহমনে শিহরণ জাগায়……। (কবিতা - স্বর্ণআভা)   গ্রন্থের নাম স্বর্ণআভা। কবি পরিমল কর্মকারের সদ্য প্রকাশিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ। ভাবনা ও ভালোবাসার বিমূর্ত প্রকাশ - কবিতায় কবিতায়, পঙক্তিতে পঙক্তিতে। অধিকাংশ কবিতাই ভালোবাসাকে কেন্দ্র করে। সুতরাং এই গ্রন্থকে অনায়াসে প্রেমের কবিতার সংকলন বলতেও আপত্তি থাকার কথা নয়। কবির কাব্যভাবনা, কাব্যপ্রতিভার ঝলক দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিভাত হয়ে আসছে উপত্যকা ও উপত্যকার সীমানা ছাড়িয়ে। তারই একত্রীকরণের দায়ে এই কাব্য সংকলন। তবে এই গ্রন্থে ভালোবাসার বাইরেও সন্নিবিষ্ট হয়েছে অন্য স্বাদের কিছু কবিতা। এর মধ্যে আছে জীবনবোধ ও জীবনচর্চার ভাবনা, শরৎ, স্মৃতি, উনিশের ভাবনা, দেশপ্রেম, সমাজের অন্দরে লুকিয়ে থাকা অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আদি। ‘পাঠকের উদ্দেশে’ শিরোনামে ভূমিকায় এমনটাই ব্যক্ত করেছেন পরিমল - ‘আমার কবিতার গরিষ্ঠাংশই জীবনমুখী। বাস্তব জীবনের নির্যাসসম্পৃক্ত এই কবিতাগুলি পাঠককে পরিচয় করিয়ে দেবে সমাজের অনেক গভীর ও অনস্বীকার্য রূঢ়