Skip to main content

ডিমাহাসাও সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের শারদ সম্ভার - ‘মৈত্রী’


এ রাজ্যের বরাক ও ব্রহ্মপুত্র - এই দুই উপত্যকাকে ভৌগোলিক সূত্রে দুই স্বতন্ত্র ভূখণ্ডে জুড়ে রেখেছে যে অপরূপা বড়াইল সেখানেই পাহাড়ের গায়ে গায়ে ফুটে শরতের প্রথম কাশফুল রাজ্যের একমাত্র শৈল শহর হাফলং ডিমা হাসাও জেলার প্রাণকেন্দ্র দুই প্রান্তকে মৈত্রীর বন্ধনে জুড়ে রাখে নিরন্তর আর এখান থেকেই প্রকাশিত হয় শারদীয়মৈত্রী বাংলা এবং অসমিয়া দুই ভাষায় প্রকাশিত শারদীয় সম্ভার
সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছেমৈত্রীর পঞ্চম বর্ষ - শারদ সংখ্যা ২০২২ - ১৪২৯ বাংলা পরিবেশনায় ডিমাহাসাও সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ, হাফলং সম্পাদক - পঙ্কজকুমার দেব সহযোগিতায় রজতকান্তি নাথ ও নারায়ণ চক্রবর্তী। গদ্যে, পদ্যে বিশাল এক সম্ভার। পদ্য বিভাগটি আলাদা করে রাখা হলেও গদ্য বিভাগ সুবিন্যস্ত নয়। তাই যেমন খুশি এসেছে একের পর এক - গল্প, প্রবন্ধ-নিবন্ধ, অণুগল্প, স্মৃতিকথা, মুক্ত গদ্য, অনুবাদ সাহিত্য - সবকিছু। সূচিপত্রেও তার উল্লেখ নেই। তাই পাঠককে পড়েই বুঝতে হবে। ১০২ পৃষ্ঠার ঢাউস পত্রিকাটির চমৎকার প্রাসঙ্গিক প্রচ্ছদ প্রথমেই নজর কেড়ে নেয় পাঠকের। সৌজন্যে নরনজ্যোতি শর্মা।
প্রকৃতি, শরৎ, মৈত্রী ওমৈত্রী নিয়ে প্রাসঙ্গিক, পৃষ্ঠাজোড়া সম্পাদকীয়তে এসেছে বহু কথা। পড়া উচিত। দুই পৃষ্ঠা জোড়া সূচিপত্রের পর শুরু হয়েছে গদ্য বিভাগ। ৩১ টি গদ্য সম্ভারে প্রথমেই আছে পূরবী জানা-র ‘সংগ্রহ’ - ‘দুর্গা পূজা - মা দুর্গার দশ হাতের দশটি অস্ত্রের তাৎপর্য’। এক পৃষ্ঠার একটি সংগ্রহযোগ্য ‘সংগ্রহ’। পত্রিকার শ্রীগণেশ, মঙ্গলাচরণ। তবে দুর্গোৎসবের উপর একটি অনুসন্ধানমূলক বা গবেষণাধর্মী প্রবন্ধের অভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। এর পর বিশিষ্ট লেখক, সম্পাদক সুকুমার বাগচি কলম ধরেছেন তাঁর বিশ্লেষণাত্মক প্রবন্ধ ‘প্রসঙ্গ কি ও কী’ - নিয়ে। একটি মূল্যবান এবং সময়োচিত প্রবন্ধ নিঃসন্দেহে - যেখানে এ অঞ্চলের উঠতি লেখকদের কাছে এ অত্যন্ত জটিল এক বিষয়। অনন্য ব্যক্তিত্ব তথা স্বনামধন্য গবেষক, সাহিত্যিক রাজমোহন নাথকে নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে আরেক বিশিষ্ট লেখক প্রশান্ত চক্রবর্তীর অসমিয়া ভাষায় লিখিত একটি পূর্ব প্রকাশিত সংক্ষিপ্ত নিবন্ধ।
মানস দে-র গল্প ‘আগন্তুক’ চমৎকার একটি মানবিক বোধের গল্প। কিছু সংলাপে ‘কি’ এবং ‘কী’-এর বিড়ম্বনা রয়েছে। কথার ছলে বাসব রায়ের মুক্ত গদ্য ‘তোমাকে’ সুলিখিত। গীতালি বরার অসমিয়া গল্পের অনুবাদ করেছেন খ্যাতনামা অনুবাদক বাসুদেব দাস। যেমন গল্প তেমনি অনুবাদ। এ সংখ্যার অন্যতম একে সম্পদ। মানবিক মূল্যবোধ নিয়ে জহর দেবনাথ-এর অণু নিবন্ধ অত্যধিক বানান/ছাপার ভুলে দুষ্ট। বাস্তব-পরাবাস্তব নিয়ে আছে মীনাক্ষী চক্রবর্তী সোম-এর একটি সুলিখিত ছোটগল্প - ‘উত্তরহীন অবস্থিতি’। গল্প হিসেবে ভিন্ন শিরোনাম অধিক গ্রহণযোগ্য হতো। ডিমা হাসাওর পবিত্র ধর্মীয় স্থান ‘পানিমুর’ নিয়ে স্বল্প কথায় গদ্য লিখেছেন পান্নালাল দেবরায়। আরোও বিস্তৃতির দাবি রাখে এ গদ্য। শাম্মি তুলতুল-এর অতি সংক্ষিপ্ত গদ্যাংশ সুললিত ভাষ্যে সুলিখিত। অলকা গোস্বামীর সুখপাঠ্য অণুগল্প ‘নীল বিচ্ছেদ’ ভাবায় পাঠককে। আ ফ ম ইকবাল-এর সময়োচিত সংক্ষিপ্ত নিবন্ধ ‘জীবন জীবনের জন্য’ পত্রিকার নামের সঙ্গে মানানসই। তপনকান্তি মুখার্জির অতি সংক্ষিপ্ত রম্য রচনা বিস্তৃতির দাবি রাখে। জমে উঠতে উঠতেই যেন নিঃশেষিত। শ্রীকুমার ভাদুড়ির পঞ্চচুল্লি বেসক্যাম্পের ভ্রমণকাহিনি সুখপাঠ্য এবং জমজমাট। পত্রিকার মান বাড়িয়েছে। পত্রিকার অন্যতম সম্পদ অধ্যাপক তন্ময় ভট্টাচার্যের বিস্তৃত নিবন্ধ ‘ডিমা হাসাও জেলায় জনবিন্যাসের এক রূপরেখা’। শুধু জনবিন্যাসই নয় এই অঞ্চলের আর্থসামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক এক দলিলসম আখ্যান এই নিবন্ধ। নরেন শর্মার সাতটি অণুগল্পই চমৎকার এবং যথেষ্ট সার্থক বার্তাবহ রচনা। রীতা চক্রবর্তীর ছোটগল্প ‘সমুদ্রসখা’ সুলিখিত ও সুখপাঠ্য। নারায়ণ চক্রবর্তীর অসমিয়া অণুগল্প ‘নাগমণি’ সম্ভবত একটি সংগৃহীত রূপকথার গল্প। তবে উল্লেখ নেই তার। অন্যথা এক চমৎকার অণুগল্প। পঙ্কজকান্তি মালাকার-এর গল্প ‘কোমর ভাঙা’ সুন্দর বুনোটে এগিয়েছে যদিও শেষটা আকস্মিক বলে মনে হতেই পারে। সময়োপযোগী বিষয়। সম্পাদক পঙ্কজকুমার দেব লিখেছেন স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম নারী শহিদ প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে নিয়ে বিস্তৃত তথ্যভিত্তিক প্রবন্ধ। আর্মেনিয়া ভ্রমণের বৃত্তান্ত যথেষ্ট যত্ন সহকারে লিখেছেন সুমিতা দেব। জমজমাট তথ্যপূর্ণ এবং সুলিখিত ভ্রমণ কাহিনি।
এছাড়াও গদ্য বিভাগে রয়েছে অশোক চক্রবর্তীর ‘মহানাম’-এর তত্ত্ব ও তথ্য, রুমি লস্কর বরার গল্প ‘ব্যথা’র বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকৃত বাংলা অনুবাদ, গঙ্গাপ্রসাদ দেবনাথ-এর গল্পের ছলে ছোট্ট স্মৃতিকথা, রফি আহমেদ মজুমদার-এর গল্প ‘’কাঠগড়া’, শুভ সুন্দর দেব চৌধুরীর পরিবেশ নিয়ে একটি অণু নিবন্ধ, ব্রজগোপাল ঘোষ-এর অণুগল্প ‘পাগল’, সংগীত শিল্পী জুবিন গার্গকে নিয়ে ত্রিনয়ন সন্দিকৈর অসমিয়া ভাষার নিবন্ধ, আগরতলা আখাউড়া নির্মীয়মান রেলপথ নিয়ে সুদীপ চন্দ্র নাথ-এর প্রতিবেদন, বহিমচন্দ্র লাংথাসার একটি সংক্ষিপ্ত নিবন্ধ ‘যুগসন্ধির তাৎপর্য’ এবং রীতা রায়-এর সত্য ঘটনা অবলম্বনে লিখিত মানবিকতার ফাঁপা স্বরূপ নিয়ে লিখিত সুন্দর ছোটগল্প।
কবিতা বিভাগও যথেষ্ট সমৃদ্ধ। প্রায় সব ক’টি কবিতাই সুলিখিত। বিশেষোল্লেখের দাবি রাখে ছন্দা দাম, সুকুমার বাগচি, রূপন মজুমদার, গোপাল চক্রবর্তী, মীনাক্ষী চক্রবর্তী সোম এবং মুন চক্রবর্তীর কবিতা। এছাড়াও যথেষ্ট ভালো কবিতা লিখেছেন চন্দনা দেবী, রামমোহন বাগচী, মৈত্রেয়ী মুখার্জি, উমা দেব, সুজিত বালা, সৌমেন্দ্র দত্ত ভৌমিক, সমরবিজয় চক্রবর্তী, সাগর শর্মা, সত্যজিৎ দাস, আব্দুল গফফর, অমল কুমার ব্যানার্জী, অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়, বিদিতা সেন, বিট্টু দাস, দেবীদাস নন্দী, ধ্রুবজ্যোতি মজুমদার, ইব্রাহিম সেখ এবং শ্বেতা ব্যানার্জী। অজ্ঞাত কবির কবিতার অসমিয়া অনুবাদ করেছেন হা-হা-বা হাটি......। মূল কবিতাটি কী ভাষায় রচিত তাও অজ্ঞাতই রয়ে গেল।
আশীষ দত্ত প্রকাশিত এ সংখ্যার সম্পাদকীয় উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন অশোক চক্রবর্তী এবং সমীর মজুমদার। নানারকম প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ওঠে পত্রিকা প্রকাশের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেক সদস্যের অগাধ গরজ ও দায়বদ্ধতাই সমন্বয়ের দিশারি ‘মৈত্রী’র মতো একটি পত্রিকার প্রকাশে মুখ্য তাতে কোনও সন্দেহ থাকার কথা নয়। পরবর্তীতে সম্পাদকীয়তে উল্লেখ করা মতোই বানান/ছাপার ভুলের ব্যাপারে অধিক সজাগতা এবং লেখার গুণগত মানের দিকটা নিয়ে আরোও খানিক সচেতন হলে ‘মৈত্রী’ নিঃসন্দেহে হয়ে উঠবে আরোও আকর্ষণীয়।
সব মিলিয়ে অসমের এই শৈলশহর থেকে কিংবা সম্পাদকীয়ের সূত্র ধরে বলা যায় ‘সুইজারল্যাণ্ড অব নর্থ-ইষ্ট’ থেকে এমন একটি পত্রিকার প্রকাশ সত্যিই এক বিরাট পাওনা।

- বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।

‘মৈত্রী’
সম্পাদক - পঙ্কজকুমার দেব
মূল্য - অনুল্লেখিত
যোগাযোগ - ৯৪৩৫০৭৭৮২০, ৯৪০১৬৮৩০২৮

Comments

Popular posts from this blog

শেকড়ের টানে নান্দনিক স্মরণিকা - ‘পরিযায়ী’

রামকৃষ্ণনগর । প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আবহে বরাক উপত্যকার এক ঐতিহ্যময় শহর । বিশেষ করে শিক্ষাদীক্ষার ক্ষেত্রে চিরদিনই এক অগ্রণী স্থান হিসেবে উচ্চারিত হয়ে আসছে এই নাম । বৃহত্তর রামকৃষ্ণনগরের গোড়াপত্তনের ইতিহাস বহুদিনের । দেশভাগের আগে ও পরে , উত্তাল সময়ে স্থানচ্যূত হয়ে এখানে থিতু হতে চাওয়া মানুষের অসীম ত্যাগ ও কষ্টের ফলস্বরূপ গড়ে ওঠে এক বিশাল বাসযোগ্য অঞ্চল । শুধু রুটি , কাপড় ও ঘরের স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রই নয় , এর বাইরে শিক্ষা অর্জনের ও শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে মমনশীলতার পরিচয় দিয়েছিলেন সেইসব মহামানবেরা । ফলস্বরূপ এক শিক্ষিত সমাজব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল যদিও উচ্চশিক্ষার জন্য পরবর্তী প্রজন্মকে বেরোতে হয়েছিল নিজ বাসস্থান ছেড়ে । শিলচর তখন এ অঞ্চলের প্রধান শহর হওয়ায় স্বভাবতই শিক্ষা ও উপার্জনের স্থান হিসেবে পরিগণিত হয় । এবং স্বভাবতই রামকৃষ্ণনগর ছেড়ে এক বৃহৎ অংশের মানুষ এসে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেন এই শিলচরে । এই ধারা আজও চলছে সমানে । শিলচরে এসেও শেকড়ের টানে পরস্পরের সাথে যুক্ত থেকে রামকৃষ্ণনগর মূলের লোকজনেরা নিজেদের মধ্যে গড়ে তোলেন এক সৌহার্দমূলক বাতাবরণ । এবং সেই সূত্রেই ২০০০ সালে গঠিত হয় ‘ ...

কবির মজলিশ-গাথা

তুষারকান্তি সাহা   জন্ম ১৯৫৭ সাল৷ বাবা প্ৰয়াত নিৰ্মলকান্তি সাহা ও মা অমলা সাহার দ্বিতীয় সন্তান   তুষারকান্তির ৮ বছর বয়সে ছড়া রচনার মাধ্যমে সাহিত্য ভুবনে প্ৰবেশ৷ ‘ ছায়াতরু ’ সাহিত্য পত্ৰিকায় সম্পাদনার হাতেখড়ি হয় কলেজ জীবনে অধ্যয়নকালীন সময়েই৷ পরবৰ্তী জীবনে শিক্ষকতা থেকে সাংবাদিকতা ও লেখালেখিকেই পেশা হিসেবে গ্ৰহণ করেন৷ প্ৰথম ছড়া প্ৰকাশ পায় সাতের দশকে ‘ শুকতারা ’ য়৷ এরপর ‘ দৈনিক যুগশঙ্খ ’ পত্ৰিকার ‘ সবুজের আসর ’, দৈনিক সময়প্ৰবাহ ও অন্যান্য একাধিক কাগজে চলতে থাকে লেখালেখি৷ নিম্ন অসমের সাপটগ্ৰামে জন্ম হলেও বৰ্তমানে গুয়াহাটির স্থায়ী বাসিন্দা তুষারকান্তির এ যাবৎ প্ৰকাশিত গ্ৰন্থের সংখ্যা ছয়টি৷ এগুলো হচ্ছে নগ্ননিৰ্জন পৃথিবী (দ্বৈত কাব্যগ্ৰন্থ) , ভবঘুরের অ্যালবাম (ব্যক্তিগত গদ্য) , একদা বেত্ৰবতীর তীরে (কাব্যগ্ৰন্থ) , প্ৰেমের গদ্যপদ্য (গল্প সংকলন) , জীবনের আশেপাশে (উপন্যাস) এবং শিশু-কিশোরদের জন্য গল্প সংকলন ‘ গাবুদার কীৰ্তি ’ ৷ এছাড়াও বিভিন্ন পত্ৰপত্ৰিকায় প্ৰকাশিত হয়েছে শিশু কিশোরদের উপযোগী অসংখ্য অগ্ৰন্থিত গল্প৷ রবীন্দ্ৰনাথের বিখ্যাত ছড়া , কবিতা ও একাধিক ছোটগল্প অবলম্বনে লিখেছেন ...

নিবেদিত সাহিত্যচর্চার গর্বিত পুনরাবলোকন - ‘নির্বাচিত ঋতুপর্ণ’

সাধারণ অর্থে বা বলা যায় প্রচলিত অর্থে একটি সম্পাদনা গ্রন্থের মানে হচ্ছে মূলত অপ্রকাশিত লেখা একত্রিত করে তার ভুল শুদ্ধ বিচার করে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও সম্পাদনার পর গ্রন্থিত করা । যেমনটি করা হয় পত্রপত্রিকার ক্ষেত্রে । অপরদিকে সংকলন গ্রন্থের অর্থ হচ্ছে শুধুই ইতিপূর্বে প্রকাশিত লেখাসমূহ এক বা একাধিক পরিসর থেকে এনে হুবহু ( শুধুমাত্র বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে ন্যূনতম সংশোধনসাপেক্ষে ) একত্রীকরণ । সেই হিসেবে আলোচ্য গ্রন্থটি হয়তো সম্পাদনা গ্রন্থ নয় , একটি সংকলন গ্রন্থ । বিস্তারিত জানতে হলে যেতে হবে সম্পাদক ( সংকলক ) সত্যজিৎ নাথের বিস্তৃত ভূমিকায় । পুরো ভূমিকাটিই যদি লেখা যেতো তাহলে যথাযথ হতো যদিও পরিসর সে সায় দেয় না বলেই অংশবিশেষ তুলে ধরা হলো এখানে - ‘ সালটা ১৯৯০ । ‘ দৈনিক সোনার কাছাড় ’- এ একবছর হল আসা - যাওয়া করছি । চাকরির বয়স হয়নি তাই চাকরি নয় , এই ‘ আসা - যাওয়া ’ । …. হঠাৎ করেই একদিন ভূত চাপল মাথায় - পত্রিকা বের করব । ‘… সেই শুরু । অক্টোবর ১৯৯০ সালে শারদ সংখ্যা দিয়ে পথচলা শুরু হল ‘ঋতুপর্ণ’র। পরপর দুমাস বের করার পর সেটা হয়ে গেল ত্রৈমাসিক। পুরো পাঁচশো কপি ছাপাতাম ‘মৈত্রী প্রকাশনী’ থেকে।...