এ কী বিভঙ্গে এসে দাঁড়ালে সমুখে বলো ?
সবুজ-নীল আগ্রাসনে বান আসে নদী বুকে
এ আর কী গোপন কথা ?
গোপন ছিল যা সব -তুমি কি জানো না
সমঝে দিয়েছি তোমারই সানুনয় আবদারে ?
যে নদী গোপনে গোপনে আরণ্যক হতে চেয়েছিল
শিখিয়েছ তাকে তুমি নিগূঢ় জীবন কথা।
সেই থেকে তুমি অরণ্য হয়েছ - সব জানি।
আমি জানি, আকাশনীলে মাধুর্য ছড়িয়ে
সবুজে আত্মহনন কথা।
হারিয়ে যাবার পথে তবে
কেন ফের নীলাম্বর তলে
কাঁচা রোদে ঢেলে দাও
সবুজ অরণ্য ঘিরে তোমার আঁচল ?
কত আর তাকাব বলো পিছন ফিরে
আর কত বিষাদবিন্দু রাখি ধরে এ ক্ষুদ্র হৃদয়ে ?
অরণ্যসখা বলে একদিন জেনেছি নিজেকে
সে অধিকার কতটুকু দিয়েছিলে
তুমি সবই জানো, একদিন ফিরায়েছ সকরুণে।
কেন তবে ফের চোখে রাখো চোখ ?
আমি সাগরে বিলীন হতে হতে
সবুজের ছোঁয়া নিয়ে, নীলিমায় রেখে যেতে চাই
সপাট সবুজ কথা - নীলনয়নার কথা।
এসো তবে একবার, শেষবার
মেতে উঠি অরণ্য অভিসারে, প্রখর প্রহরে।
ব্যথা যখন ঝরে পড়ে নিরলস তখনই বোধ করি সমান তালে পাল্লা দিয়ে ঝরে পড়ে কবিতারা । আর না হলে একজন কবি ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর ব্যথাকেও কী করে ধরে রাখতে পারেন কবিতার পঙক্তি জুড়ে ? নষ্টনীড়ে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন - ‘মনে যখন বেদনা থাকে, তখন অল্প আঘাতেই গুরুতর ব্যথা বোধ হয়’। তাঁর অসংখ্য গান, কবিতা ও রচনায় তাই বেদনার মূর্ত প্রকাশ লক্ষ করা যায়। এমনই সব ব্যথা আর ভিন্ন ভিন্ন যাপনকথার কাব্যিক উপস্থাপন কবি বিশ্বজিৎ দেব - এর সদ্য প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ - ‘ টাপুর টুপুর ব্যথা ’ । মোট ৫৬ পৃষ্ঠার এই কাব্যগ্রন্থের ৪৮ পৃষ্ঠা জুড়ে রয়েছে ৫৬ টি কবিতা। কিছু সংক্ষিপ্ত, কিছু পৃষ্ঠাজোড়া। ভূমিকায় বিশিষ্ট সাহিত্যিক রতীশ দাস লিখছেন - ... বিশ্বজিতের কবিতাগুলো অনেকটা তার কাঠখোদাই শিল্পের রিলিফ-এর মতোই উচ্ছ্বাসধর্মী - যেন উত্তলাবতল তক্ষণজনিত আলো-আঁধারি মায়াবিজড়িত, পঙক্তিগুলো পাঠক পাঠিকার মনোযোগ দাবি করতেই পারে...। এখান থেকেই আলোচ্য গ্রন্থের কবিতাগুলোর বিষয়ে একটা ধারণা করা যেতে পারে। এখানে উচ্ছ্বাস অর্থে আমাদের ধরে নিতে হবে কবির ভাবনার উচ্ছ্বাস, সে বিষাদেই হোক আর তাৎক্ষণিক কোনও ঘটনার জের হিসেবেই হোক। তাই হয়তো কবি করোনার
Comments
Post a Comment