Skip to main content

Posts

Showing posts from October, 2024

সৃষ্টিসুখের কাব্যিক প্রকাশ - ‘অরুণোদয়’

কিছু গল্প , কিছু প্রবন্ধ লিখলেও এবং এসব নিয়ে ডিজিটাল প্রিন্টের এক ফর্মার বই বেরোলেও মধুমিতা দত্ত মূলত কবি । সম্প্রতি এমনই আকারে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর কাব্যগ্রন্থ ‘ অরুণোদয় ’ । সম্ভবত প্রথম কাব্যগ্রন্থ । নিবেদক নীরব আলো প্রকাশনী , কলকাতা । মধুমিতার কবিতা মূলত স্মৃতিচারণ নির্ভর । জীবনের সুখ দুঃখ , চাওয়া পাওয়া , প্রাপ্তি অপ্রাপ্তিকে শব্দবন্দি করে রাখার গরজ । কবি হতে চাওয়া নয়, কবিতায় জীবনটাকে ধরে রাখার প্রয়াস। তাই কোনও নির্দিষ্ট বিষয় নয়, বিস্তৃত ভাবনায়, অনুষঙ্গে সাজাতে চেয়েছেন অনুভব-অনুভূতি। বইয়ে কোনও ভূমিকা নেই যদিও সেই ভূমিকা শেষ মলাটে প্রথম পুরুষে আছে লিপিবদ্ধ। কবিতার অন্দরে প্রবেশ করার আগে সেখানে একটু চোখ রাখা যাক - ‘...বিবিধের ভিড়ে অতি ছোট্ট একটি পরিচয়, সৃষ্টিসুখের আনন্দে আপন খেয়ালে লিখে যাই - ছড়িয়ে দিই পরিচিত মহলে। কখনও ভালোবাসার কবিতা উচ্চারণ করি খোলা গলায়, কখনও বা গান। ...আবার মাঝে মধ্যে মানবাত্মার অন্বেষণের মধ্য দিয়ে নিজেকে চিনে নেওয়ার এক প্রতিশ্রুতি, নানা ধরনের লেখার সাথে চলছে অন্তরের নিবিড় অন্বেষণ আর ভালোবাসার নিবিড় অনুধ্যান...।’ এই অন্বেষণ, এই প্রাণের অস্তিত্বেরই আখরছবি হিস

ডাইনি হত্যা, আসাম ও বিরুবালা রাভা

  অন্যান্য রাজ্যের মতোই আসাম দেশের অন্যতম এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্য। একটা সময় ছিল যখন দেশের বাকি অংশে বসবাসরত জনগণ এই ঈশান কোণে পড়ে থাকা রাজ্যটির সম্পর্কে প্রায় কিছুই অবহিত থাকতেন না বা ছিলেন না। এই রাজ্যেরও আছে এক বিস্তৃত ইতিহাস। বস্তুত দেশের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত প্রতিটি রাজ্যই মূল স্রোত থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিল। এর কারণ ভিন্ন হলেও সরকারি স্তরে উদাসীনতাও যে অন্যতম ছিল তাও অস্বীকার করার নয়। ফলত এ রাজ্যের বিচিত্র ইতিহাস, সমাজ, ভাষা-সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত ছিলেন না দেশের অন্যান্য অংশে বসবাসরত জনগণ। সেই চিত্র এখন অনেকটাই পালটেছে। দেশের সমসাময়িক রাজনীতিতে আসাম, ত্রিপুরা ইত্যাদি রাজ্য এখন বহুল চর্চিত। স্বভাবতই দেশের জনগণও আসাম সম্পর্কে এখন অনেকটাই ওয়াকিবহাল। পাদপ্রদীপের আলোয় উত্তরণের এই কাহিনির প্রেক্ষাপটও নিশ্চিতভাবেই একদিনে তৈরি হয়নি। শিক্ষাদীক্ষার প্রভূত উন্নতির পাশাপাশি ভাষা সাহিত্যে নিরন্তর উৎকর্ষ সাধন এবং রাজ্যের সাংস্কৃতিক পরম্পরার বহুল প্রচার এর অন্যতম কারণ। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সদিচ্ছাও এক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিপাদ্য বিষয়। অন্য আরোও পাঁচটি রাজ্যের মতোই ভাষা-সংস্কৃতির এক উল্

কথোৎকর্ষে উন্মোচিত হিয়ার মাঝে লুকিয়ে থাকা জগৎ ‘পঁচিশটি গল্প’

মিথিলেশ ভট্টাচার্য এই মুহূর্তে উত্তরপূর্বের কথাসাহিত্যে গল্পকার হিসেবে এমন এক স্থানে বিরাজ করছেন যেখানে ধারেকাছে কেউ আছেন বলে প্রতীয়মান হয় না । মানুষ তার জীবিতকালে উপযুক্ত মর্যাদা পায় না এটা স্বীকৃত সত্য । একদিন আসবে যখন উত্তর পূর্বের সাহিত্যাকাশে মিথিলেশের নাম সর্বকালের শ্রেষ্ঠ গল্পকার হিসেবে উচ্চারিত হবে এ নিশ্চিত । একের পর এক গল্প যেন স্বতঃস্ফুর্ত ধারায় প্রসবিত হয়ে চলেছে তাঁর লেখনী থেকে । সামান্য ঘটনা কিংবা বিষয়কে আবর্তিত করে তাঁর গল্প নিজেই যেন ধরা দেয় অসামান্য হয়ে, আপন বৈভবে । সেই ‘ ছোট ছোট দুঃখ ব্যথা ’ গভীর হয়ে পাঠকের হৃদয়ে স্থান করে নেয় উৎকর্ষে , মুনশিয়ানায় । বয়ানকুশলতা , পোক্ত বুনোটের কারুকার্য , সংলাপের স্বতঃস্ফুর্ততা , অমসৃণ চলন আর সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে লুকিয়ে থাকা ঘটনাক্রমকে জহু রি র মতো তুলে এনে তাকে গল্পের আবর্তে সুচারু পরিবেশনার মাধ্যমে গল্পকার মিথিলেশ যে সৃষ্টিতে মেতে আছেন বহু দশক থেকে সেই বার্তা সাহিত্য পরিমণ্ডলে যে যথোচিত চর্চিত , নন্দিত কিংবা স্বীকৃত হয় না এ গল্পকারের নয় , সমাজেরই এক চরম ব্যর্থতা বই আর কিছু নয় । এই ধারণা আলোচ্য গ্রন্থের দ্বিতীয় ব্লার্বে কিছুট