দিগন্ত বিস্তৃত চা-এর গাছ কবির চোখে সবুজ গালিচা শুধু রূপ পাল্টায় খেয়ালে খুশিতে। গুল্ম আর বৃক্ষ, লতার সহাবস্থান গভীর রাতের ভালোবাসার সংসার। রোদেলা দাবদাহে মহাবৃক্ষের আচ্ছাদনে বেঁচে থাকে গুল্মলতা - উৎপাটন প্রতীক্ষায়। দুঃখে, দুর্দশায়, অবহেলা অত্যাচারে ক্ষোভিত দু'টি নিঠুর হাতের অপেক্ষায়। সারাটি দিন শুধু কথার চাবুক, উৎপাটনের লক্ষ্যমাত্রা মাত্রা ছাড়ায় রোজ দেহে যা আছে সম্বল উজাড় করে তবু শুধু মিথ্যে বঞ্চনা। এত এত দুঃখবেলায়ও নজর কাড়ে ছলিয়া - মুখে বুকে। রাতে দু'জোড়া হাত খেলে যায় অবিরত গোপনে গোপনে সারা অঙ্গে শুধু লহরের পর লহর আসে উত্তাল। দিনে বুভুক্ষা আর প্রখর রোদের গনগনে আঁচ সাড়া জাগায় মন গগনে, ছলিয়ার ছবি শক্তি জোগায় কাজে। কবি হাঁটেন লাল কার্পেট ধরে পথের নুড়ি পথেই পড়ে রয়। এক সময় বাইরে বেরিয়ে জীবন ধারণ রঙ্গমঞ্চে কাজের চাপে ব্যতিব্যস্ত কবির চোখে ভেসে ওঠে বিদ্রোহ। তবু সেই দ্রোহবেলায়, ব্যতিব্যস্ত ক্ষণে আবছা ভাসে শাঁওলি দু'টি চোখ, শরতের জমাট বাঁধা সাদা মেঘ...
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা