Skip to main content

Posts

Showing posts from November, 2024

স্বল্পাবয়বে সুচয়িত সম্ভার শারদীয় সংখ্যা ‘সাঁকো’

উত্তর-পূর্বের সাহিত্যবিশ্বে নিরলস সাহিত্য সাধনায় ব্রতী হয়ে লেখক , কবিদের জুড়ে রেখেছেন যেসব সম্পাদক তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম সুশান্ত মোহন চট্টোপাধ্যায় । প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক হিসেবে নিজস্ব লেখালেখির বাইরে ‘ সাঁকো ’ নামক একটি পত্রিকা , যার নিয়মিত অনলাইন সংস্করণের বাইরেও প্রকাশিত হয় বছরে দুটি ছাপা সংখ্যা , প্রকাশের মাধ্যমে এক চমৎকার ধারাবাহিকতার পরিচয় ধরে রাখতে সমর্থ হয়েছেন তিনি । সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ‘ সাঁকো ’ পত্রিকার বিংশতিতম বর্ষ , পূজা সংখ্যা । প্রকাশক - বেবী চট্টোপাধ্যায়। পূজা সংখ্যা মানেই ভারে ও আয়তনে ঢাউস হতে হবে এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই যদিও কলেবর নির্বিশেষে তার এক আলাদা মর্যাদা, মাদকতা আছে এ নিশ্চিত । সাধ ও সাধ্যের বৈপরীত্য এক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করতেই পারে । শারদীয় সংখ্যা ‘ সাঁকো ’ ধারে ও ভারে না হলেও প্রয়াসে , নিবেদনে অনন্য । বরাবরের মতোই অনন্য এবারেরও প্রচ্ছদ । সৌজন্যে বিশ্ব রায় । শরৎ ও শারদীয় পূজা নিয়ে স্টেটমেন্ট সাইজের ৪৪ পৃষ্ঠার সংখ্যায় সম্পাদক সুশান্ত মোহন লিখছেন - ‘...আমাদের ‘ সাঁকো ’ সাহিত্য পত্রিকা দুই দশকের বিরামহীন পথ চলায় এগিয়ে যাচ্ছে অপ্রতিরো

প্রতিবাদী শরৎ

এ কেমন শরৎ এল এবার ? বর্ষা শেষের পক্ষকাল আগে থেকে চারপাশ জুড়ে যে অস্থিরতার সূত্রপাত তা এসে নতুন করে প্রকাশিত হল শরতের সূচনায় । বাংলাদেশের পর পশ্চিমবঙ্গে । এমন শরৎ আগে দেখিনি কখনও । আমরা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষদের জন্য শরতের এক অন্যরকম মাহাত্ম্য । পেঁজা তুলোর মেঘের ফাঁকে ফাঁকে একদিকে যেমন রংবেরং - এর ঘুড়ি ওড়ে আকাশে অন্যদিকে তেমনই শিশিরসিক্ত সকালের ঘাসবনে লুটিয়ে পড়ে রাতের বৃন্তচ্যুত শিউলি মা দুর্গার চরণপথে । দিকে দিকে এক গন্ধমাতন আলোড়ন । নদীচরে , পাহাড়ের ঢালে গুচ্ছ কাশের দোলায় দোলে ওঠে অঙ্গ । কাশের বনে খেলে বেড়ায় নব্যদুর্গারা।   আলোড়ন মনাকাশ জুড়েও । মাতন মনন জুড়েও । দোলন আবালবৃদ্ধের অঙ্গে অঙ্গে । আকাশে বাতাসে কান পাতলে , চোখ রাখলেই মাতৃমুখ - মননসুখ । মা আসছেন । দুর্গতিনাশিনী মা । বরাভয় হাতে তিনি ঘুচিয়ে দেবেন যত দুঃখশোক । অসুরশূন্য হবে এ পৃথিবী । প্রতিবারই এভাবে শরৎ আসে পৃথিবীর বুকে , প্রতিবারই আমরা এমনই ভাবনায় ডুবে থেকে এমনই কল্পনায় করি দিনাতিপাত । অথচ চোখের সামনেই

কবি জিতেন্দ্র নাথ-এর দুটি কাব্যগ্রন্থ

লেখালেখির জগতে একটি কথা প্রচলিত আছে । তা হল - সত্য ঘটনা কখনও সাহিত্য হয় না । অর্থাৎ কিছুটা হলেও কল্পনার রং না মেশানো অব্দি তা সাহিত্য পদবাচ্য হয়ে ওঠে না । কথাটি কতটা যুক্তিসংগত তা নিয়ে এই আলোচনা নয় যদিও কবিতার ক্ষেত্রে অন্তত যথেষ্ট সংগত - এ অনস্বীকার্য । এছাড়াও গদ্য ও পদ্যের ভাষা এক নয় । নিখাদ গদ্য যেমন কবিতায় খাপ খায় না তেমনি কাব্যিক ভাষায় উপস্থাপিত গদ্যও সুখপাঠ্য না হয়ে উঠতে পারে । এই দুয়ের যথাযথ পরিমাপ বজায় রেখে লেখা সাহিত্য সততই পঠনস্বাদু ও গ্রহণযোগ্য । সম্প্রতি একযোগে প্রকাশিত হয়েছে কবি জিতেন্দ্র নাথের দুই দুইটি কাব্যগ্রন্থ । কবির পরিচিতি সময় ও ভৌগোলিক অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে অনেকটাই বিস্তৃত। বরাক, ব্রহ্মপুত্র, ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্য মহলে এক পরিচিত নাম। কবিতা লিখছেন বহুদিন ধরে। প্রত্যেকেরই লেখালেখির ধরন কিছুটা হলেও স্বতন্ত্র। কবি জিতেন্দ্র নাথের ক্ষেত্রেও এমনটাই। কয়েক মাসের ব্যবধানে গ্রন্থিত এই গ্রন্থদুটির সম্যক আলোচনায় যাওয়ার আগে কিছু কথা ভাগ করে নেওয়া যেতে পারে এই পরিসরে যা উভয় গ্রন্থের জন্যই সমান ভাবে প্রযোজ্য। দুটি গ্রন্থেরই প্রকাশক শিলচরের শীতালং পাবলিকেশন।