একটি গ্রন্থের এত যে সার্থক নামাকরণ হতে পারে তা হাতে না এলে বুঝে ওঠা মুশকিল। ‘ হালিচারা ’ র কথাই বলছি। গল্পকার মঞ্জরী হীরামণি রায় - এর হালিচারা। সাড়ে চার বাই সাত ইঞ্চি সাইজের গল্পগ্রন্থ। অনায়াসে পাঞ্জাবির পকেটে পুরে হেঁটে চলা যায়। প্রথম যখন হাতে এলো স্বাভাবিক ভাবেই নজর কাড়েনি এই পুচকে সম্ভার। ‘ পেহলে দর্শনধারী ফির গুণ বিচারি ’ । গায়ে গতরে নাদুসনুদুস নাহলে কি আর দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয় ? তাই হলো। পড়ে রইল অনাদরে বহুদিন। মাঝে যা এলো হাতে , সব পড়া হয়ে গেল এক এক করে। এবার নিতান্তই দায়সারা উৎসাহে হাতে নিয়েছি ‘ হালিচারা ’ । আর এর পরেই নাওয়া খাওয়া ভুলে যেন নেশায় পেয়ে বসেছে। উরিব্বাস !! এ কী পড়ছি ? থামতেই পারছি না যে। বলতে গেলে প্রায় এক নিঃশ্বাসেই সাবাড় ১০২ পৃষ্ঠা জোড়া ১২ টি অসাধারণ গল্প। হালিচারা অর্থে - ফসলের জন্মভূমি। বেঁচে থাকার রসদের শৈশব থেকে বাল্যকালের রম্যভূমি। আকারে ‘ হালিচারা ’ তাই সত্যিকার অর্থেই হালিচারা। কিন্তু এই আপাত পুস্তিকার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে আয়াসলব্ধ ফসলের যাবতীয় উপাদান। কথা বিকল্প পরিবার - এর সৌজন্যে এবং সাহিত্যিক বিজয়া করসোম - এর সম্পাদনায় প্রকাশিত এই গল্পগ্রন্থে রয়েছে একের...
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা