Skip to main content

'সাঁকো' পত্রিকার অনবদ্য বর্ষা সংখ্যা উন্মোচিত



সম্প্রতি উন্মোচিত হলোসাঁকোপত্রিকার বর্ষা সংখ্য ১৪২৮ এর অনলাইন সংস্করণ ধারে ও ভারে অর্থাৎ সম্পাদনায়, অলংকরণে, বিষয় বৈচিত্রে দীর্ঘ ৫১ পৃষ্ঠার এক অনবদ্য সাহিত্য পত্রিকা। কোভিডজনিত কারণে অনলাইনে প্রকাশিত হচ্ছে যদিও উৎকর্ষতায় ‘সাঁকো’ এক সফল ও আকর্ষণীয় পত্রিকা হিসেবে ইতিমধ্যেই পাঠক ও বৌদ্ধিক মহলে সমাদৃত হয়েছে। রঙিন চিত্রাবলি এবং রেখাচিত্রের সুচিন্তিত প্রয়োগ পত্রিকাটিকে এক অনতিক্রম্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। প্রচ্ছদ থেকে শেষের পাতা অবধি সুরুচিসম্পন্ন এক পূর্ণাবয়ব ছোটপত্রিকা ‘সাঁকো’।

এই সংখ্যাটি আসলে ১৯শে মে’ উপলক্ষে ভাষাবিষয়ক এক সংখ্যা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার কথা ছিল যদিও বিভিন্ন অসুবিধায় তা হয়ে উঠেনি বলে উল্লেখ রয়েছে প্রাককথন এবং প্রাঞ্জল তথা আশাপ্রদ সম্পাদকীয়তে। কিন্তু দেরিতে প্রকাশিত হলেও ভাষা শহিদদের উপযুক্ত সম্মান ও শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করা হয়েছে পত্রিকার প্রথমেই - ‘ভাষা বিষয়ক’ শিরোনামে আলাদা এক পর্বের মাধ্যমে। এই পর্বে ভাষা এবং ভাষা শহিদদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদিত হয়েছে প্রাসঙ্গিক চিত্র, একাধিক কবিতা ও নিবন্ধের মাধ্যমে। কবিতা লিখেছেন সুদীপ্তা ভট্টাচার্য, বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, সুজন দাস এবং দেবোপম বিশ্বাস। চমৎকার দু’টি নিবন্ধ লিখেছেন দীপক সেনগুপ্ত এবং ধ্রুবজ্যোতি দাস। রং-তুলিতে এ নিয়ে রয়েছে লীনা নাথ- এর আঁকা অনিন্দ্যসুন্দর ছবি।

একের পর এক অনবদ্য কবিতা লিখেছেন নাহিদ এনাম, সিদ্ধার্থ নাথ, আভা সরকার মণ্ডল, ইন্দ্রাণী পাল, ভুবন বন্দ্যোপাধ্যায়, অলোক আচার্য, শর্মিষ্ঠা ঘোষ, অনঞ্জন, খোদেজা মাহমুদ আরা, কোজাগরী, গৌতম সেন এবং আরতি ধর। এছাড়াও পৃষ্ঠাজোড়া গুচ্ছ কবিতা রয়েছে কবি অমিত বসু মজুমদার, নীহার রঞ্জন জয়ধর এবং অন্যতম সম্পাদক জয়ন্ত দেবনাথ- এর।

গল্প লিখেছেন রীতা রায় মিঠু, লুনা রাহনুমা এবং অন্যতম সম্পাদক মৃদুল দেএছাড়াও রয়েছে সত্যজিৎ বিশ্বাস- এর একটি রম্য গল্প, শ্রীপালি দাসগুপ্তা এবং দীপঙ্কর বেরার দু’টি অণুগল্প এবং লাবনী পোড়্যার একটি রহস্য গল্প। ‘প্রবাসের কথকতা’ লিখেছেন সোমা দে ঘোষ এবং সোমাভা বিশ্বাস। চিত্রাঙ্কন বিভাগে ‘রঙ, তুলি ও লেন্স’ শিরোনামে রয়েছে গৌতম সেন, রাজর্ষি চট্টোপাধ্যায়, লীনা নাথ এবং সৌমিলী ঘোষ-এর চিত্রকর্ম।

উৎকর্ষতায় ঠাসা এই পত্রিকার শেষে রয়েছে প্রতিজন কবি, লেখক, চিত্রকরের সচিত্র পরিচিতি যা এঁদের প্রতি পত্রিকা গোষ্ঠীর দায়বদ্ধতারই বহিঃপ্রকাশ এবং এই পরিচিতি নিঃসন্দেহে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে পত্রিকাটির মান। মানানসই প্রচ্ছদ এঁকেছেন রাজীব ভট্টাচার্য, অলংকরণে মৃদুল দে। হাতে গোণা কয়েকটি বানান ভুলের বাইরে এক কথায় এক সম্পূর্ণ পত্রিকা। ভেতরের পাতায় আগামী পূজা সংখ্যার জন্য নিয়মাবলি মেনে লেখার আহ্বান জানানো হয়েছে। পত্রিকাটি গুগল ড্রাইভে উপলব্ধ

লেখা পাঠানর ঠিকানা এবং যোগাযোগ - banglasaanko@gmail.com  

 

- - - - - - - - - - - -

বিদ্যুৎ চক্রবর্তী


Comments

Popular posts from this blog

উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাংলা গল্প : বিষয়ে বিশ্লেষণে

একক কিংবা যৌথ সম্পাদনায় বিগত কয়েক বছরে উত্তরপূর্বের বাংলা লেখালেখি বিষয়ক একাধিক গ্রন্থ সম্পাদনা করে এই সাহিত্যবিশ্বকে পাঠকের দরবারে পরিচিত করিয়ে দেওয়ার এক প্রচেষ্টা করে যাচ্ছেন নিবেদিতপ্রাণ তরুণ লেখক ও সম্পাদক নিত্যানন্দ দাস । হালে এপ্রিল ২০২৪ - এ প্রকাশিত হয়েছে তাঁর সম্পাদনা গ্রন্থ ‘ উত্তর - পূর্বাঞ্চলের বাংলা গল্প : বিষয়ে বিশ্লেষণে ’ ( প্রথম খণ্ড ) । প্রকাশক - একুশ শতক , কলকাতা । আলোচ্য গ্রন্থটিতে দুই ছত্রে মোট ২৮ জন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিকের ২৮টি প্রবন্ধ রয়েছে । উপযুক্ত বিষয় ও আলোচকদের নির্বাচন বড় সহজ কথা নয় । এর জন্য প্রাথমিক শর্তই হচ্ছে নিজস্ব জ্ঞানার্জন । কালাবধি এই অঞ্চল থেকে প্রকাশিত উৎকৃষ্ট সাহিত্যকৃতির সম্বন্ধে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল না হলে তা সম্ভব নয় মোটেও । নিত্যানন্দ নিজেকে নিমগ্ন রেখেছেন গভীর অধ্যয়ন ও আত্মপ্রত্যয়কে সম্বল করে তা বলার অপেক্ষা রাখে না । আলোচ্য গ্রন্থের ভূমিকা লিখেছেন প্রতিষ্ঠিত কথাকার রণবীর পুরকায়স্থ । বস্তুত সাত পৃষ্ঠা জোড়া এই ভূমিকা এক পূর্ণাঙ্গ আলোচনা । ভূমিকা পাঠের পর আর আলাদা করে আলোচনার কিছু থাকে না । প্রতিটি নিবন্ধ নিয়ে পরিসরের অভাবে সংক্ষিপ্ত হলেও ...

শেকড়ের টানে নান্দনিক স্মরণিকা - ‘পরিযায়ী’

রামকৃষ্ণনগর । প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আবহে বরাক উপত্যকার এক ঐতিহ্যময় শহর । বিশেষ করে শিক্ষাদীক্ষার ক্ষেত্রে চিরদিনই এক অগ্রণী স্থান হিসেবে উচ্চারিত হয়ে আসছে এই নাম । বৃহত্তর রামকৃষ্ণনগরের গোড়াপত্তনের ইতিহাস বহুদিনের । দেশভাগের আগে ও পরে , উত্তাল সময়ে স্থানচ্যূত হয়ে এখানে থিতু হতে চাওয়া মানুষের অসীম ত্যাগ ও কষ্টের ফলস্বরূপ গড়ে ওঠে এক বিশাল বাসযোগ্য অঞ্চল । শুধু রুটি , কাপড় ও ঘরের স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রই নয় , এর বাইরে শিক্ষা অর্জনের ও শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে মমনশীলতার পরিচয় দিয়েছিলেন সেইসব মহামানবেরা । ফলস্বরূপ এক শিক্ষিত সমাজব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল যদিও উচ্চশিক্ষার জন্য পরবর্তী প্রজন্মকে বেরোতে হয়েছিল নিজ বাসস্থান ছেড়ে । শিলচর তখন এ অঞ্চলের প্রধান শহর হওয়ায় স্বভাবতই শিক্ষা ও উপার্জনের স্থান হিসেবে পরিগণিত হয় । এবং স্বভাবতই রামকৃষ্ণনগর ছেড়ে এক বৃহৎ অংশের মানুষ এসে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেন এই শিলচরে । এই ধারা আজও চলছে সমানে । শিলচরে এসেও শেকড়ের টানে পরস্পরের সাথে যুক্ত থেকে রামকৃষ্ণনগর মূলের লোকজনেরা নিজেদের মধ্যে গড়ে তোলেন এক সৌহার্দমূলক বাতাবরণ । এবং সেই সূত্রেই ২০০০ সালে গঠিত হয় ‘ ...

প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'স্বপ্নতরী'

  স্বপ্নতরী                         বিদ্যুৎ চক্রবর্তী   গ্রন্থ বিপণী প্রকাশনা  বাবা - স্বর্গীয় সুধীর চন্দ্র চক্রবর্তী মা - শ্রীমতী বীণাপাণি চক্রবর্তী               জনম দিয়েছ মোরে এ ভব ধরায় গড়েছ সযতনে শিক্ষায় দীক্ষায় জীবনে কখনো কোথা পাইনি দ্বন্দ্ব দেখিনি হারাতে পূত - আদর্শ ছন্দ বিন্দু বিন্দু করি গড়ি পদ্য সংকলন তোমাদেরই চরণে করি সমর্পণ প্রথম ভাগ ( কবিতা )   স্বপ্নতরী ১ স্বপ্ন - তরী   নিটোল , নিষ্পাপ কচিপাতার মর্মর আর কাঁচা - রোদের আবোল - তাবোল পরিধিস্থ নতুন আমি ।   আনকোরা নতুন ঝরনাবারি নিয়ে এখন নদীর জলও নতুন বয়ে যায় , তাই শেওলা জমে না ।   দুঃখ আমার রয়ে গেছে এবার আসবে স্বপ্ন - তরী চেনা পথ , অচেনা ঠিকানা ।         ২ পাখমারা   সেই উথাল - পাথাল পাখশাট আজও আনে আরণ্যক অনুভূতি । একটু একটু হেঁটে গিয়ে বয়সের ফল্গুধারায় জগৎ নদীর দু ’ পার ছাড়ে দীর্ঘশ্বাস - সময়ের কাঠগড়াতে আমি বন...