সব
কিছুর একটা নিয়ম
আছে বৈকি
এমনকি কান্নারও।
আপনি যেখানে সেখানে
যখন তখন
যে কোনো অবস্থায়
কাঁদতে পারেন না।
আপনি কাঁদুনে হতে পারেন
‘রুদালি’ হতে পারেন
কিন্তু নিয়ম ভাঙতে পারেন না
কারণ আপনার বয়স হয়েছে।
আমার মা’কে তাঁর বয়সকালে
কাঁদতে দেখেছি নিয়ম মেনে।
কাছের মানুষ চলে যাওয়ার খবর পেয়ে
মা প্রথমে ঘরের ছাইচে গেছেন,
পায়ের পাতার উপর বসেছেন,
হাত গালে রেখেছেন
তারপর কেঁদেছেন - হাপুস নয়নে
চিৎকার করে মৃতের জীবনী শুনিয়েছেন
এখন থেকে কে আর ডাকবে ‘.....’
এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন বিধাতার কাছে।
আমি দেখেছি, প্রশ্ন করেছি,
মা বলেছেন এটাই নিয়ম।
আমি পারিনি সে শর্ত মেনে চলতে
আসলে আমি সেরকম কাঁদিনি কোনোদিনই
গুমরে মরেছি শুধু অন্তরে, অন্দরে।
কত কত আপনজন চলে গেছেন একে একে
দেখে দেখে আমি ক্লান্ত, আমি নিঃস্ব।
আসলে আমি বোধ করি বড্ড কঠোর
আমার পাষাণ হৃদয় গলে যায় না সহজে
আমার ভালোবাসায় খামতি রয়েছে কোথাও।
নাহলে আমি কী করে ভাবতে পারি
আমিও তো মরে যাবো একদিন
তাহলে এই চলে যাওয়ার মধ্যে
ব্যতিক্রম কোথায় ? এ তো অমোঘ সত্য
জলের মতো স্বচ্ছ এক সমীকরণ
জীবনের হাত ধরে পাশাপাশি চলে মৃত্যু।
আমি তাই মড়াকান্নায় ভীষণ কড়া
এক এক করে পরপারে চলে যেতে দেখেছি
অতি আপনার সব মানুষকে - ভাই, বাবা, মা
আমি সত্যিকার অর্থে কাঁদিনি মোটেও জানেন ?
বরং খুব যত্ন করে সব করেছি
মানুষ মরে গেলে যা করতে হয়।
তাই করেছি পাশের বাড়ির জ্যেঠামশায়ের বেলায়ও
আর গ্রামের পরিচিতের আত্মীয়ের বেলায়ও।
অন্তরঙ্গ বন্ধুর সদ্যোজাত মৃতশিশুটিকে
কবর দিয়েছি যত্ন করে।
সেই বন্ধুর বাবার পথ চলার শেষে
পৌঁছে দিয়েছি শ্মশানের চিতায় সযত্নে।
আমি কি তবে জীবন সম্পর্কে
একটু বেশিই উদাসীন ?
হতেও পারে। আমি বরাবর বাস্তববাদী
তাই অসময়ের, অনিয়মের,
অহেতুক কান্না আমার বরাবরের অপছন্দ।
তবু কান্না আসে বৈকি
একেবারেই তুচ্ছ কথায়, তুচ্ছ ছুতোয়
বুকের ভেতর যখন দুঃখ বাঁধে বাসা
সে দুঃখ যখন হয় না বাটোয়ারা
তখন ব্যথা হয় বুকে, চোখ ভাসে জলে
নীরবে, অস্ফুটে।
তবু কাঁদি আমি নিয়ম মেনে
করি বিষ পান জেনেশুনে।
আমার কান্না ছড়ায় উত্তরাধিকারে
সরব থেকে নীরবে, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে
অতীত থেকে ভবিষ্যতের কালস্রোতে।
এমনকি কান্নারও।
আপনি যেখানে সেখানে
যখন তখন
যে কোনো অবস্থায়
কাঁদতে পারেন না।
আপনি কাঁদুনে হতে পারেন
‘রুদালি’ হতে পারেন
কিন্তু নিয়ম ভাঙতে পারেন না
কারণ আপনার বয়স হয়েছে।
আমার মা’কে তাঁর বয়সকালে
কাঁদতে দেখেছি নিয়ম মেনে।
কাছের মানুষ চলে যাওয়ার খবর পেয়ে
মা প্রথমে ঘরের ছাইচে গেছেন,
তারপর কেঁদেছেন - হাপুস নয়নে
চিৎকার করে মৃতের জীবনী শুনিয়েছেন
এখন থেকে কে আর ডাকবে ‘.....’
এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন বিধাতার কাছে।
আমি দেখেছি, প্রশ্ন করেছি,
মা বলেছেন এটাই নিয়ম।
আসলে আমি সেরকম কাঁদিনি কোনোদিনই
গুমরে মরেছি শুধু অন্তরে, অন্দরে।
কত কত আপনজন চলে গেছেন একে একে
দেখে দেখে আমি ক্লান্ত, আমি নিঃস্ব।
আসলে আমি বোধ করি বড্ড কঠোর
আমার পাষাণ হৃদয় গলে যায় না সহজে
আমার ভালোবাসায় খামতি রয়েছে কোথাও।
নাহলে আমি কী করে ভাবতে পারি
আমিও তো মরে যাবো একদিন
তাহলে এই চলে যাওয়ার মধ্যে
ব্যতিক্রম কোথায় ? এ তো অমোঘ সত্য
জলের মতো স্বচ্ছ এক সমীকরণ
জীবনের হাত ধরে পাশাপাশি চলে মৃত্যু।
আমি তাই মড়াকান্নায় ভীষণ কড়া
এক এক করে পরপারে চলে যেতে দেখেছি
অতি আপনার সব মানুষকে - ভাই, বাবা, মা
আমি সত্যিকার অর্থে কাঁদিনি মোটেও জানেন ?
মানুষ মরে গেলে যা করতে হয়।
তাই করেছি পাশের বাড়ির জ্যেঠামশায়ের বেলায়ও
আর গ্রামের পরিচিতের আত্মীয়ের বেলায়ও।
অন্তরঙ্গ বন্ধুর সদ্যোজাত মৃতশিশুটিকে
কবর দিয়েছি যত্ন করে।
সেই বন্ধুর বাবার পথ চলার শেষে
পৌঁছে দিয়েছি শ্মশানের চিতায় সযত্নে।
একটু বেশিই উদাসীন ?
তাই অসময়ের, অনিয়মের,
অহেতুক কান্না আমার বরাবরের অপছন্দ।
তবু কান্না আসে বৈকি
একেবারেই তুচ্ছ কথায়, তুচ্ছ ছুতোয়
বুকের ভেতর যখন দুঃখ বাঁধে বাসা
সে দুঃখ যখন হয় না বাটোয়ারা
তখন ব্যথা হয় বুকে, চোখ ভাসে জলে
নীরবে, অস্ফুটে।
তবু কাঁদি আমি নিয়ম মেনে
করি বিষ পান জেনেশুনে।
আমার কান্না ছড়ায় উত্তরাধিকারে
সরব থেকে নীরবে, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে
অতীত থেকে ভবিষ্যতের কালস্রোতে।
Comments
Post a Comment