ঘোর বর্ষায় বসন্তের ছোঁয়া। বসন্ত ঋতুরাজ বলে কথিত হলেও
রবীন্দ্রনাথের কাছে বর্ষাই যেন ছিলো ঋতুরাজ। ফুল শুধু বসন্তেই নয়, বর্ষায়ও ফোটে।
প্রেম শুধু বসন্তেই নয়, বর্ষাতেও উথলে ওঠে পেখম দুলিয়ে, শুধু কবিমনেই নয় লেখক
সাহিত্যিকদের কলমেও প্রসবিত হয় চিরন্তন প্রেমের শাশ্বত বাণী।
এমনই এক আবহে কোনোরকম আগান বার্তা অবিহনে হঠাৎ করেই যেন প্রকাশিত হয়ে গেল এ অঞ্চলের অন্যতম সমৃদ্ধ ছোটপত্রিকা ‘মজলিশ সংলাপ’-এর বিশেষ সংখ্যা। ঊনবিংশ বর্ষের প্রথম সংখ্যা হিসেবে চিহ্নায়িত হলেও শুধুমাত্র ‘একাদশ প্রেমের গল্প’ হিসেবে বিশেষ সংখ্যা হিসেবেই আখ্যায়িত করা গেল সংখ্যাটিকে। রয়েছে মোট এগারোজন গল্পকারের এগারোটি প্রেমের গল্প। অধিকাংশ গল্পকারই উত্তর পূর্বের। গল্পগুলির পাঠে অবগত হওয়া যায় প্রেমের বিচিত্র সব রং, রূপ ও তার বিস্তৃতি।
প্রথম গল্পের লেখক গৌতম চট্টোপাধ্যায়। গল্পের নায়ক রূপক ও নায়িকা রূপকথা - যার নামেই গল্পের শিরোনাম। এবং আশ্চর্যজনকভাবে গল্পে প্রেমের অঙ্গাঙ্গী হয়ে গল্পকার অনবদ্য ছন্দে মিশিয়ে দিয়েছেন রূপক। আক্ষরিক অর্থে - তিনি নিজেকেই। প্রেম এখানে এসেছে পরম ভরসা হয়ে। আবার লুকোচুরি খেলার মতো হারিয়েও গেছে...... আবার এসেছে। সুখপাঠ্য এবং সুলিখিত একটি গল্প।
মধুমিতা দত্ত লিখেছেন ‘গোধূলির রামধনু রং’। জীবনে একেকটা প্রেম কোন পথে যে গড়ায় তা বোঝার সাধ্য ক’জনেরই বা থাকে ? এমনই এক প্রেমের বিড়ম্বনার সূত্রে ৩৫ বছরের বিবাহিত জীবন নায়ক সুরজিৎ ও নীলিমা দেবীর। প্রেম এখানে সরবে নয় কিন্তু নীরবে নিভৃতে যে বিরাজ করছিল দুটি হৃদয়ের গোপন কুঠুরিতে তা জানতেই কেটে গেল প্রায় আস্ত একটি জীবন। এক ব্যতিক্রমী প্রেমের গল্প। শক্ত বাঁধন, পোক্ত বুনোটে নির্মিত এই গল্প আদ্যন্ত শেষ করতে হয় এক পঠনে।
কবি সঞ্জয় চক্রবর্তী লিখেছেন প্রেমের গল্প ‘পিঁড়ি পেতে বসল শ্রাবণ’। প্রেম এখানে এসেছে গরজের প্রতীক হয়ে, সপাট উচ্চারণে। কথক অনিকেত সেন-এর চিত্র প্রদর্শনীর কাজে তমো মানে তমোঘ্নের গরজের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আবহে প্রেমের গল্প শেষটায় এক রহস্যগন্ধী সমাপনে পর্যবসিত হয়েছে। তমোঘ্নের জন্য অনিকেতের সাজগোজ, শৃঙ্গার রহস্যের হদিশ এনে দেয় গল্পে। চিত্রকলা সম্বন্ধীয় এবং পুরো গল্প জুড়ে যাবতীয় শব্দের শৃঙ্খলাবদ্ধ প্রয়োগ গল্পটিকে পাঠকের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে নিশ্চিত।
শর্মিলী দেব কানুনগোর গল্প ‘অভীপ্সা’। গল্পচ্ছলে এক নারীর মননে প্রেমের সংজ্ঞা। দারুণ বুনোট গল্পের। ঘোরের মধ্যে পড়ে যেতে হয়, এবং পড়ে যেতে হয় - পুরুষালি গন্ধের খোঁজে। কিছু আবহ, কিছু দৃশ্যপটের নিখুঁত বর্ণনা অনবদ্য করে তুলেছে গল্পটিকে।
রণিতা নাথের গল্প ‘নীল নীলিমা’। উন্মুক্ত প্রেমিক পুরুষ নীলের প্রেমে নীলিমার প্রেমসফরের আবহে একটি দীর্ঘ গল্প। প্রেমের কল্পকথার বিপরীতে কঠোর বাস্তবের এক বিচিত্র যাপনকথার গল্প। মাঝে অনাবশ্যক দীর্ঘায়িত করা হয়েছে বলে মনে হলেও আখেরে স্বর্গীয় প্রেমের এক নির্মোহ আবেশ পাঠককে উপহার দেয় প্রেমের গভীরতার এক সৌষ্ঠবমণ্ডিত নিদর্শন।
সঞ্জয় গুপ্ত লিখিত গল্প ‘দিনগুলি মোর...’ এক ব্যতিক্রমী ধাঁচের গল্প। প্রেম এখানে ধরাবাঁধা ধাঁচে উপস্থাপিত হয়নি। নরনারীর চিরন্তন প্রেমের অনুষঙ্গ থেকে বেরিয়ে গল্পকার তাঁর ফেলে আসা দিনের প্রেমেই মজেছেন পুরোপুরি। বন্ধু সংসর্গে সেই নিখাদ ভালোবাসার সান্নিধ্য আর উদ্দাম, উচ্ছল জীবনযাত্রাই তাঁর কাছে প্রেমের অনুষঙ্গ। এহ বাহ্য। বর্ণনাত্মক বাস্তবভিত্তিক গল্প।
পুস্পল মুখোপাধ্যায়ের দেড় পৃষ্ঠার গল্প ‘মদনের বউ’। সংখ্যাটির শ্রেষ্ঠ গল্পের শিরোপা ছিনিয়ে নিয়ে যায় অনায়াসে। বিবাহিত জীবনে মদন আর তার বউয়ের মানসিক নৈকট্য এতটাই যে বউ অনায়াসে পড়ে নিতে পারে মদনের মন। এরই প্রেক্ষিতে এক জমজমাট গল্প। ঝড়ের আগে ও পরে এই নৈকট্যের রকমফের নিয়ে অনবদ্য একটি গল্প।
‘হৃদতরঙ্গে’। বিজনকুমার সরকারের গল্প। একটি নিখাদ প্রেমের গল্প। হাল ফ্যাশনের মাদকাসক্ত প্রেমিক প্রেমিকার উদ্দাম জীবনযাত্রার মধ্যেও যে লুকিয়ে থাকে সত্যিকারের প্রেম ভালোবাসা তারই আবহে লিখা একটি গল্প।
বিমলেন্দু চক্রবর্তীর গল্প ‘লালকোট কিংবা ছেলেটি’। এটি প্রেমের গল্প নয়। আদ্যোপান্ত একটি থ্রিলার। একটি দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে টানটান একটি গল্প। শেষ পর্বে একটিমাত্র বাক্যে ঠিক প্রেম নয় তবে ভালোবাসার অনন্ত ক্ষমতার নিদর্শন পাওয়া যায় - ‘গভীর পর্যবেক্ষণের পর ডাক্তার বলেছেন, স্মৃতিশক্তি হারিয়া ফেলা ছেলেটিকে শুশ্রূষা ও গভীর ভালোবাসা দিয়ে সুস্থ করা যাবে। কৃত্রিমভাবে স্মৃতিশক্তি ফেরাতে চাইলে তার মৃত্যু হওয়াটাও অস্বাভাবিক নয়।’
অঞ্জলি সেনগুপ্ত লিখেছেন গল্প ‘নীল যমুনায় এখনও...’। এক বিচিত্র প্রেমের অজানা আখ্যান। আধ্যাত্মিক আবহে এক একক প্রেমের কাহিনি। ‘ঢল ঢল কাঁচা প্রেম ব্রজের সম্পদ’। অসাধারণ প্লট এবং চমৎকার বুনোট। ঘটনার বৈচিত্র্যে অঘটন আর পারিপার্শ্বিক অবস্থার নিটোল সমন্বয়ে সুলিখত একটি অনন্য প্রেমের গল্প।
এছাড়া বিদ্যুৎ চক্রবর্তী লিখেছেন প্রথম প্রেমের আবহে গল্প ‘ভালোবাসা আজও...’। সব মিলিয়ে এগারোটি প্রেমের গল্পের এক ব্যতিক্রমী সংকলন এ সংখ্যার ‘সংলাপ’। কিছু ছাপার ভুল আর দু’একটি বানান ভুলের বাইরে স্বচ্ছ ছাপা ও সংযত শব্দ বিন্যাসে এক পরিপাটি সংকলন।
‘প্রথম পাতা’ শিরোনামে সম্পাদকীয়তে কবি, সাহিত্যিক তুষারকান্তি সাহা লিখছেন - ‘কৈশোর ছাপিয়ে সাবালক হয়ে উঠেছে পত্রিকাটি। এবার দুরন্ত আঠারো পেরিয়ে উনিশে পা রেখেছে সে।’ তাই কি এই প্রেমের গল্পের সংকলন ? গল্পকার হিসেবে নাম থাকলেও তাঁর নিজের গল্প নেই এখানে। অবধারিত ভাবেই বঞ্চিত হয়েছেন পাঠক।
আইরি মুখোপাধ্যায়ের প্রচ্ছদ যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক ও আকর্ষণীয়। মজলিশ বইঘরের পক্ষে প্রকাশক সোনালি গুপ্ত। ৯৬ পৃষ্ঠার ব্যতিক্রমী এই সংখ্যাটিকে এক আবশ্যিক সংগ্রহযোগ্য সংখ্যা হিসেবে উল্লেখ করা যেতেই পারে নিঃসন্দেহে।
এমনই এক আবহে কোনোরকম আগান বার্তা অবিহনে হঠাৎ করেই যেন প্রকাশিত হয়ে গেল এ অঞ্চলের অন্যতম সমৃদ্ধ ছোটপত্রিকা ‘মজলিশ সংলাপ’-এর বিশেষ সংখ্যা। ঊনবিংশ বর্ষের প্রথম সংখ্যা হিসেবে চিহ্নায়িত হলেও শুধুমাত্র ‘একাদশ প্রেমের গল্প’ হিসেবে বিশেষ সংখ্যা হিসেবেই আখ্যায়িত করা গেল সংখ্যাটিকে। রয়েছে মোট এগারোজন গল্পকারের এগারোটি প্রেমের গল্প। অধিকাংশ গল্পকারই উত্তর পূর্বের। গল্পগুলির পাঠে অবগত হওয়া যায় প্রেমের বিচিত্র সব রং, রূপ ও তার বিস্তৃতি।
প্রথম গল্পের লেখক গৌতম চট্টোপাধ্যায়। গল্পের নায়ক রূপক ও নায়িকা রূপকথা - যার নামেই গল্পের শিরোনাম। এবং আশ্চর্যজনকভাবে গল্পে প্রেমের অঙ্গাঙ্গী হয়ে গল্পকার অনবদ্য ছন্দে মিশিয়ে দিয়েছেন রূপক। আক্ষরিক অর্থে - তিনি নিজেকেই। প্রেম এখানে এসেছে পরম ভরসা হয়ে। আবার লুকোচুরি খেলার মতো হারিয়েও গেছে...... আবার এসেছে। সুখপাঠ্য এবং সুলিখিত একটি গল্প।
মধুমিতা দত্ত লিখেছেন ‘গোধূলির রামধনু রং’। জীবনে একেকটা প্রেম কোন পথে যে গড়ায় তা বোঝার সাধ্য ক’জনেরই বা থাকে ? এমনই এক প্রেমের বিড়ম্বনার সূত্রে ৩৫ বছরের বিবাহিত জীবন নায়ক সুরজিৎ ও নীলিমা দেবীর। প্রেম এখানে সরবে নয় কিন্তু নীরবে নিভৃতে যে বিরাজ করছিল দুটি হৃদয়ের গোপন কুঠুরিতে তা জানতেই কেটে গেল প্রায় আস্ত একটি জীবন। এক ব্যতিক্রমী প্রেমের গল্প। শক্ত বাঁধন, পোক্ত বুনোটে নির্মিত এই গল্প আদ্যন্ত শেষ করতে হয় এক পঠনে।
কবি সঞ্জয় চক্রবর্তী লিখেছেন প্রেমের গল্প ‘পিঁড়ি পেতে বসল শ্রাবণ’। প্রেম এখানে এসেছে গরজের প্রতীক হয়ে, সপাট উচ্চারণে। কথক অনিকেত সেন-এর চিত্র প্রদর্শনীর কাজে তমো মানে তমোঘ্নের গরজের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আবহে প্রেমের গল্প শেষটায় এক রহস্যগন্ধী সমাপনে পর্যবসিত হয়েছে। তমোঘ্নের জন্য অনিকেতের সাজগোজ, শৃঙ্গার রহস্যের হদিশ এনে দেয় গল্পে। চিত্রকলা সম্বন্ধীয় এবং পুরো গল্প জুড়ে যাবতীয় শব্দের শৃঙ্খলাবদ্ধ প্রয়োগ গল্পটিকে পাঠকের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে নিশ্চিত।
শর্মিলী দেব কানুনগোর গল্প ‘অভীপ্সা’। গল্পচ্ছলে এক নারীর মননে প্রেমের সংজ্ঞা। দারুণ বুনোট গল্পের। ঘোরের মধ্যে পড়ে যেতে হয়, এবং পড়ে যেতে হয় - পুরুষালি গন্ধের খোঁজে। কিছু আবহ, কিছু দৃশ্যপটের নিখুঁত বর্ণনা অনবদ্য করে তুলেছে গল্পটিকে।
রণিতা নাথের গল্প ‘নীল নীলিমা’। উন্মুক্ত প্রেমিক পুরুষ নীলের প্রেমে নীলিমার প্রেমসফরের আবহে একটি দীর্ঘ গল্প। প্রেমের কল্পকথার বিপরীতে কঠোর বাস্তবের এক বিচিত্র যাপনকথার গল্প। মাঝে অনাবশ্যক দীর্ঘায়িত করা হয়েছে বলে মনে হলেও আখেরে স্বর্গীয় প্রেমের এক নির্মোহ আবেশ পাঠককে উপহার দেয় প্রেমের গভীরতার এক সৌষ্ঠবমণ্ডিত নিদর্শন।
সঞ্জয় গুপ্ত লিখিত গল্প ‘দিনগুলি মোর...’ এক ব্যতিক্রমী ধাঁচের গল্প। প্রেম এখানে ধরাবাঁধা ধাঁচে উপস্থাপিত হয়নি। নরনারীর চিরন্তন প্রেমের অনুষঙ্গ থেকে বেরিয়ে গল্পকার তাঁর ফেলে আসা দিনের প্রেমেই মজেছেন পুরোপুরি। বন্ধু সংসর্গে সেই নিখাদ ভালোবাসার সান্নিধ্য আর উদ্দাম, উচ্ছল জীবনযাত্রাই তাঁর কাছে প্রেমের অনুষঙ্গ। এহ বাহ্য। বর্ণনাত্মক বাস্তবভিত্তিক গল্প।
পুস্পল মুখোপাধ্যায়ের দেড় পৃষ্ঠার গল্প ‘মদনের বউ’। সংখ্যাটির শ্রেষ্ঠ গল্পের শিরোপা ছিনিয়ে নিয়ে যায় অনায়াসে। বিবাহিত জীবনে মদন আর তার বউয়ের মানসিক নৈকট্য এতটাই যে বউ অনায়াসে পড়ে নিতে পারে মদনের মন। এরই প্রেক্ষিতে এক জমজমাট গল্প। ঝড়ের আগে ও পরে এই নৈকট্যের রকমফের নিয়ে অনবদ্য একটি গল্প।
‘হৃদতরঙ্গে’। বিজনকুমার সরকারের গল্প। একটি নিখাদ প্রেমের গল্প। হাল ফ্যাশনের মাদকাসক্ত প্রেমিক প্রেমিকার উদ্দাম জীবনযাত্রার মধ্যেও যে লুকিয়ে থাকে সত্যিকারের প্রেম ভালোবাসা তারই আবহে লিখা একটি গল্প।
বিমলেন্দু চক্রবর্তীর গল্প ‘লালকোট কিংবা ছেলেটি’। এটি প্রেমের গল্প নয়। আদ্যোপান্ত একটি থ্রিলার। একটি দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে টানটান একটি গল্প। শেষ পর্বে একটিমাত্র বাক্যে ঠিক প্রেম নয় তবে ভালোবাসার অনন্ত ক্ষমতার নিদর্শন পাওয়া যায় - ‘গভীর পর্যবেক্ষণের পর ডাক্তার বলেছেন, স্মৃতিশক্তি হারিয়া ফেলা ছেলেটিকে শুশ্রূষা ও গভীর ভালোবাসা দিয়ে সুস্থ করা যাবে। কৃত্রিমভাবে স্মৃতিশক্তি ফেরাতে চাইলে তার মৃত্যু হওয়াটাও অস্বাভাবিক নয়।’
অঞ্জলি সেনগুপ্ত লিখেছেন গল্প ‘নীল যমুনায় এখনও...’। এক বিচিত্র প্রেমের অজানা আখ্যান। আধ্যাত্মিক আবহে এক একক প্রেমের কাহিনি। ‘ঢল ঢল কাঁচা প্রেম ব্রজের সম্পদ’। অসাধারণ প্লট এবং চমৎকার বুনোট। ঘটনার বৈচিত্র্যে অঘটন আর পারিপার্শ্বিক অবস্থার নিটোল সমন্বয়ে সুলিখত একটি অনন্য প্রেমের গল্প।
এছাড়া বিদ্যুৎ চক্রবর্তী লিখেছেন প্রথম প্রেমের আবহে গল্প ‘ভালোবাসা আজও...’। সব মিলিয়ে এগারোটি প্রেমের গল্পের এক ব্যতিক্রমী সংকলন এ সংখ্যার ‘সংলাপ’। কিছু ছাপার ভুল আর দু’একটি বানান ভুলের বাইরে স্বচ্ছ ছাপা ও সংযত শব্দ বিন্যাসে এক পরিপাটি সংকলন।
‘প্রথম পাতা’ শিরোনামে সম্পাদকীয়তে কবি, সাহিত্যিক তুষারকান্তি সাহা লিখছেন - ‘কৈশোর ছাপিয়ে সাবালক হয়ে উঠেছে পত্রিকাটি। এবার দুরন্ত আঠারো পেরিয়ে উনিশে পা রেখেছে সে।’ তাই কি এই প্রেমের গল্পের সংকলন ? গল্পকার হিসেবে নাম থাকলেও তাঁর নিজের গল্প নেই এখানে। অবধারিত ভাবেই বঞ্চিত হয়েছেন পাঠক।
আইরি মুখোপাধ্যায়ের প্রচ্ছদ যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক ও আকর্ষণীয়। মজলিশ বইঘরের পক্ষে প্রকাশক সোনালি গুপ্ত। ৯৬ পৃষ্ঠার ব্যতিক্রমী এই সংখ্যাটিকে এক আবশ্যিক সংগ্রহযোগ্য সংখ্যা হিসেবে উল্লেখ করা যেতেই পারে নিঃসন্দেহে।
বিদ্যুৎ চক্রবর্তী
মূল্য - ১০০ টাকা
যোগাযোগ - ৯৮৬৪০৬৬৯৯৪
যোগাযোগ - ৯৮৬৪০৬৬৯৯৪
Comments
Post a Comment