Skip to main content

Posts

Showing posts from January, 2025

‘মহাভারত কথার প্যাচ আমির্তির লাখান’ বিধুভূষণ ভট্টাচার্যের ‘সিলটি মহাভারত’

ব্যাসদেব কর্তৃক মহাভারত রচনার পরবর্তীতে নানা ভাষায় এর অনুবাদ এবং সংক্ষিপ্তকরণের মাধ্যমে শহর থেকে গ্রামে লোকের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ার বহু উদাহরণ আমরা দেখে এবং শুনে আসছি বহু দিন থেকেই । আলোচ্য গ্রন্থটির প্রণেতা সিলেটের বিধুভূষণ ভট্টাচার্য যিনি পেশায় একজন আয়কর আইনজীবী এবং একাধারে সিলেটের আঞ্চলিক ভাষা সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক একজন লোকসাহিত্য, লোকসংস্কৃতি বিষয়ক লেখক। মোট ৩২২ লাইনের মিশ্র ছন্দে (ছড়ার ছন্দে) লিখা এই মহাভারত আখ্যান সম্বন্ধে গ্রন্থের শ্রীগণেশেই সন্নিবিষ্ট হয়েছে দুটি মূল্যবান ভূমিকা। লেখক বইটি উৎসর্গ করেছেন অধ্যাপক নৃপেন্দ্রলাল দাসকে যাঁর অনুপ্রেরণায় এই গ্রন্থ প্রণয়ন এবং যিনি একাধারে একজন বিশিষ্ট লেখকও। প্রথমেই ছয় পৃষ্ঠার ‘কথামুখ’-এ শ্রী দাস লিখছেন - ‘শ্রীযুক্ত বিধুভূষণ ভট্টাচার্য সিলেটি ভাষায় ছড়ার আঙ্গিকে অতি সংক্ষেপে মহাভারত লিখেছেন। এক লক্ষ শ্লোকের বিশাল আয়তন গ্রন্থকে এত ছোট আকারে উপস্থাপনা করা খুবই দুরূহ কাজ। তিনি সেই দুর্গম পথের যাত্রী হয়েছেন।’ কয়েকটি ভাগে তিনি লিপিবদ্ধ করেছেন এই ‘কথামুখ’। রয়েছে ব্যাসদেবের মহাভারত, মহাভারতের রচনাকাল, বাংলায় মহাভারত চর্চা, সিলেটে মহাভারত চর্চা, বি...

কবিতায় নিজেকে দেখা - ‘তারপর তাহার পর’

নীরব সাধনার কবি প্রাণজি বসাকের একটি ব্যতিক্রমী ধারার কাব্যগ্রন্থ ‘তারপর তাহার পর’। যতিচিহ্নবিহীন একক কবিতার এই গ্রন্থে আছে গ্রন্থনাম অনুযায়ী একটিই কবিতা। ভাবনা ও বোধের এক কাব্যিক প্রকাশ। ৬২ পৃষ্ঠার এই বইয়ের ৫৪ পৃষ্ঠা জুড়ে একটি কবিতার শরীরে যেন আপন এক জীবনবোধকে কবি উন্মোচিত করেছেন একান্ত আপন ভঙ্গিমায়। নিজের কাছে নিজেরই বয়ান করেছেন লিপিবদ্ধ - অসাধারণ, অনায়াসলব্ধ শব্দ ব্যঞ্জনায়। সবটুকু আবেশ আর অন্ধকার বর্তমানকে যেন এক ঘোর ছায়াবৃত্তে রেখেছেন মহাকালের আঙিনায়, দলিল করে - অমূল্য রতন করে - ...ছায়ারাও বেশ চেনে জানে বিশ্রাম গৃহ সবুজ ছায়াপথ নদীনালা অরণ্যসমূহ কে কার জন্য দাঁড়ায় খণ্ড বাসস্টপে হাওয়াও কামড়ে দেয় প্রতীক্ষার গতরে কাদামাটি ছেনে ছেনে তুমি গড়ালে জীবন আমি ডুব মেরে তুলে আনি অমূল্য রতন... অসংখ্য অনুষঙ্গ, অগুনতি আবহ এসেছে কবিতার যাত্রাপথে। অনুভব আর অনুভূতির নির্মোহ প্রয়োগ। শেষ প্রচ্ছদে প্রকাশকের কলমেও তারই বিস্তৃত বাখান - ‘প্রাণজির কবিতায় বেজে ওঠে দূরাগত কোনো ঘণ্টাধ্বনি, নিঃশব্দ বৃষ্টির ভেতরে বিশ্রামের ওম, ক্ষণজন্মা বিদ্যুতের ভাঁজে দেখা যায় আশঙ্কার যৌথস্বরলিপি - অক্ষর। এ তাঁকে স্বস্তিতে...