Skip to main content

Posts

Showing posts from January, 2025

বৈচিত্রময় সম্ভার 'শাদ্বল - ১০২'

‘… জন্ম হলে মৃত্যু অনিবার্য । এই মৃত্যুকে জয় করতে পারেননি স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণও । কিন্তু মাত্র ২৪ বছর বয়সে ঋতর্ণব ক্ষণিকের ধ্রুবতারা হয়ে চিরন্তন সত্যে বিলীন হয়ে গেল । তা কি মানা যায় ? তাঁর আত্মীয় পরিজনেরা এই শোকের ফল ভোগ করবেন কেন ? এর উত্তর নিশ্চয়ই পবিত্র গ্রন্থ গীতায় আছে …. । ’ ঋতর্ণবের স্মৃতি চারণের মধ্য দিয়ে এভাবেই গড়ে উঠেছে ‘ ঋতর্ণব স্মৃতি পুরস্কার ও সপ্তাশ্বের টুকিটাকি ’ শিরোনামে চার পৃষ্ঠা জোড়া বিস্তৃত সম্পাদকীয় । শিলচর থেকে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ‘ শাদ্বল ’ পত্রিকার বর্ষ - ১২ , সংখ্যা - ১ এবং সার্বিক ১০২তম সংখ্যাটি । সাহিত্যের নানা আঙ্গিকের লেখালেখির সমাবেশে ১৪০ পৃষ্ঠার এই সংখ্যাটি যথেষ্ট পরিপুষ্ট এবং নান্দনিক হয়ে উঠেছে এতে সন্দেহ নেই । বিন্যস্ত সূচিপত্র ধরে এগোলে প্রথমেই রয়েছে শ্রদ্ধার্ঘ্য । তিনজন প্রয়াত ব্যক্তির প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হয়েছে । এই পর্বে রয়েছে কবি ব্রজেন্দ্র সিংহ - এর দুটি কবিতা , কবি সুশান্ত ভট্টাচার্যের দুটি কবিতা এবং ঋতর্ণব চক্রবর্তীর একটি কবিতা । এই মঙ্গলাচরণের পরেই আসছে ‘ ধর্মীয় ’ বিভাগে দুটি নিবন্ধ । অশোক বার্মার ‘ কেনে আইলাম ’ -...

কবিতা নিয়ে এক আত্মমগ্নতার প্রতিভাস ‘রোমন্থন ৪’

আরবি শব্দ ‘ শতরঞ্জ ’ । সেখান থেকেই চতুরঙ্গ হয়ে বাংলায় এলেও সচরাচর ব্যবহৃত হতে দেখা যায় না । ‘ শতরঞ্জ কা খেল ’ অর্থাৎ দাবা অর্থে চৌষট্টি ঘরের এক বিশেষ খেলা । এই আট বাই আট - এর সূত্র ধরেই কবিতার সূত্রপাত । বর্ণমালা প্রকাশনী , ত্রিপুরা থেকে চন্দ্রশেখর বসাক কর্তৃক প্রকাশিত আলোচ্য গ্রন্থের ভূমিকায় অপর এক নামি লেখক , প্রকাশক সৈকত মজুমদার এ নিয়ে লিখছেন - ‘… এক নতুন গড়নরীতির কবিতা ২০২৫ বইমেলায় । দাবাছকের দিকপাশে আট ঘরের মতো প্রতিটি রচনা আট শব্দে ও আট লাইনে সমৃদ্ধ । দাবার প্রতিশব্দ দিয়েই গড়নটিরও স্বতপ্রবৃত্ত নামকরণ ‘ শতরঞ্জ ’ করেছেন রচয়িতা । কবিতায় বারোটি মাস , নদী ও জনপদের স্বতন্ত্র চিত্র পাওয়া যাবে , যা আগে রচিত হয়নি । হলেও সবগুলি হয়নি । যথাসম্ভব তথ্যযুক্ত , মেদবর্জিত ও নন্দিত করার চেষ্টা করা হয়েছে , যা একান্ত কিশোরপাঠ্যও … । ’ অনেকটাই খেই ধরিয়ে দেওয়া হল সংক্ষিপ্ত এই ভূমিকায় । গ্রন্থটি তাৎপর্যপূর্ণভাবে উৎসর্গ করা হয়েছে ‘ কিরাত দেশবাসীকে ’ । কোথায় এই কিরাত দেশ ? এই প্রশ্নের উত্তর জানা আলোচ্য গ্রন্থের কবিতা পড়ার আগে আবশ্যক । মূলত চট্টগ্রাম , ত্রিপুরা ও প্রাচীন বরাক উপত্যকা জুড়ে...
সম্ভবত কয়েক দশক আগে এমনটি ঘটেছিল । বলা হচ্ছে এই রাজ্য থেকে প্রকাশিত একটি বাণিজ্যিক বাংলা শারদীয় পত্রিকা - সংখ্যার কথা । সেই হিসেবে দীর্ঘ খরা কাটিয়ে বরাক উপত্যকার শিলচর - এর ‘ শীতালং পাবলিকেশন ’ থেকে এবার ২০২৪ শারদীয় সংখ্যা ‘ আউল ’ প্রকাশের সংবাদটি স্বভাবতই পাঠক মহলে সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়েছে । সৌজন্যে দুই তরুণ তুর্কি সম্পাদক রাজেশ শর্মা ও আশু চৌধুরী ( অবৈতনিক ) । হাতে নিয়ে দর্শন ও পঠনবিলাসী পাঠক নিশ্চিতই এক সুখানুভবে নিমগ্ন হবেন । কারণ আকারে , প্রচ্ছদে , ধারে ও ভারে পশ্চিমবঙ্গ কিংবা ত্রিপুরা থেকে প্রকাশিত অপরাপর শারদীয় সংখ্যাগুলোর চাইতে কোনো অংশেই নিম্নমানসম্পন্ন হয়নি ‘ আউল ’ । বরং বলা যায় কাগজের মান , ছাপার স্পষ্টতা ও অলংকরণে নিশ্চিতভাবেই টেক্কা দিয়েছে আর সবাইকে । অন্দর - সম্ভারে নজর দিলে দেখা যাচ্ছে ১৫৬ পৃষ্ঠার পত্রিকায় রয়েছে দুটি বিশেষ রচনা , চারটি প্রবন্ধ , দুটি উপন্যাস , আটটি ছোটগল্প , তিনটি গ্রন্থ - আলোচনা । রয়েছে কবিতা বিভাগ এবং রাজনীতি , সিনেমা ও বাণিজ্য বিষয়ক তিনটি রচনা । ন্যূনতম একটি ভ্রমণ কাহিনির অভাব অবশ্য অনুভব করতেই পারেন এক বিশেষ শ্রেণির পাঠক । পৃষ্ঠাসংখ্যার হিস...

কবিতায় শব্দসুষমার অনাবিল প্রকাশ ‘মা তুমি আকাশ’

… টিউশন শেষে ঘরে ফেরা দেরি হলে অসীম প্রতীক্ষায় পথের বাঁকে ভেজা শাড়িতে , হ্যারিকেন হাতে তুমি নির্ভয় , নিরলস বিপন্ন সময়ে মা আমার জননী আমার । (কবিতা - মা) কিংবা - ...আমার আকাশ ছিল মায়ের আঁচল ডানহাত নাকি পক্ষাঘাতে অবশ তোমার যে হাত সাজাত নবান্নের উৎসব প্রকৃতির সংজ্ঞারূপ তোমরা সেই নারী আসো বারবার যে যাই বলুক দাঁড়িয়ে শিয়রে সয়েছ সংসার তাপ একা ও নীরবে... তোমার আরোগ্য আনুক ফুলের সৌরভ এবার নিজেরাই সাজাবে নবান্নের উৎসব। (কবিতা - মা এই আকাশে)। মা বিষয়ক এবং মাতৃবিষয়ক একগুচ্ছ কবিতার সমাহার কবি বিমলেন্দু চক্রবর্তীর কাব্যগ্রন্থ ‘মা তুমি আকাশ’। কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ। এই গ্রন্থ প্রকাশিত হওয়ার পর কবি বিমলেন্দু নিজেকে জারিত করে তুলেছেন উৎকর্ষের পরাকাষ্ঠায়। কুশিয়ারা থেকে মহাবাহু বিস্তৃত তাঁর কাব্যচারণ ভূমি। কবি আজ কবিতার উত্তরপূর্বে নিজেকে করে তুলেছেন অপরিহার্য যদিও দুর্ভাগ্যবশত এ যাবৎ এই একটিই কাব্যগ্রন্থ তাঁর প্রকাশিত হয়েছে। আলোচ্য গ্রন্থের অভ্যন্তরে যাবার পূর্বেই আছে বিশিষ্ট লেখক মানিক দাসের চার পৃষ্ঠা জোড়া ‘ গৌরচন্দ্রিকা ’ যেখানে আছে গ্রন্থের স্বকৃত চুলচেরা বিশ্লেষণ । ভূমিকা থেকে সরে গিয়ে বিমলেন্দ...

অধরা সবুজ

জীবন বা পরিবেশ সম্বন্ধে কতখান উদাসীন অইলে এমন কুনো হঠকারী পরিস্থিতির শিকার অইতে লাগে , আইজ তার এক মোক্ষম হদিশ পাইলা দীপেন্দুবাবু । শীতর দিন। বন্ধবারে সকালো নরম রইদর আমেজ মাখিয়া একটু ফুরফুরা অইতে কার না মন চায় ? বউত ভাবিয়া চিন্তিয়া কইতে গেলে এক আনুক্কা অভিযানো বারইলা দীপেন্দু , তবে বেশি দূর কুনুখানো নায় - কাছাকাছি অউ , নূতন কিনা স্কুটি অখান লইয়া । বছরখানেক অইল দীপেন্দু তারা নূতন কিনা ফ্ল্যাটো আইয়া উঠছইন টাউনর এক কিনারো সবুজ-ঘিরা , প্রদূষণহীন এই এলাকাত । এলাকাটা খালি টাউনর অউ নায় , অবস্থিত রাজ্যসীমানারও কাছে । এর ধারো অউ আছে মেঘালয়র লম্বা সীমানা। কাছর রাজ্য থাকি নামিয়া আওয়া লম্বা পাড়র নীচদিক ঘিরিয়া ই নুতন আবাসিক এলাকা ইখান । ইনো আবহাওয়া বারোমাস অউ মধুর । শীতর সকালো কুয়াশার চাদ্দরে ঢাকা থাকে বউত সময় । গরমে পাড়র নরম , ঠাণ্ডা বাতাস আইয়া জান বাঁচায় রাস্তাবায় চলা মানুষর , আবাসিকহকলর । এলাকার রাস্তাঘাট ইতা ওখনও চিনা জানা অইছে না পুরাপুরি । তবে সরকারি ব্যবস্থায় প্রত্যেকটা রাস্তার ধারো সন্ধ্যা অইলে অউ জ্বলি উঠে ইলেকট্রিক লাইট । কিছু লাইট জ্বলে পাড়র গাতও । যারা পাড়র গাত বসতি স্থাপন কর...