আরবি শব্দ ‘শতরঞ্জ’। সেখান থেকেই
চতুরঙ্গ হয়ে বাংলায় এলেও সচরাচর ব্যবহৃত হতে দেখা যায় না। ‘শতরঞ্জ কা খেল’ অর্থাৎ দাবা অর্থে চৌষট্টি ঘরের এক বিশেষ
খেলা। এই আট বাই আট-এর সূত্র ধরেই কবিতার সূত্রপাত। বর্ণমালা
প্রকাশনী, ত্রিপুরা থেকে চন্দ্রশেখর বসাক কর্তৃক প্রকাশিত আলোচ্য গ্রন্থের
ভূমিকায় অপর এক নামি লেখক, প্রকাশক সৈকত মজুমদার এ নিয়ে লিখছেন
- ‘…এক নতুন গড়নরীতির কবিতা ২০২৫ বইমেলায়। দাবাছকের
দিকপাশে আট ঘরের মতো প্রতিটি রচনা আট শব্দে ও আট লাইনে সমৃদ্ধ। দাবার
প্রতিশব্দ দিয়েই গড়নটিরও স্বতপ্রবৃত্ত নামকরণ ‘শতরঞ্জ’ করেছেন রচয়িতা। কবিতায়
বারোটি মাস, নদী ও জনপদের স্বতন্ত্র চিত্র পাওয়া যাবে,
যা আগে রচিত হয়নি। হলেও
সবগুলি হয়নি। যথাসম্ভব তথ্যযুক্ত, মেদবর্জিত ও নন্দিত করার চেষ্টা করা হয়েছে, যা একান্ত
কিশোরপাঠ্যও…।’
অনেকটাই খেই
ধরিয়ে দেওয়া হল সংক্ষিপ্ত এই ভূমিকায়। গ্রন্থটি
তাৎপর্যপূর্ণভাবে উৎসর্গ করা হয়েছে ‘কিরাত দেশবাসীকে’। কোথায়
এই কিরাত দেশ ? এই প্রশ্নের উত্তর জানা আলোচ্য গ্রন্থের কবিতা
পড়ার আগে আবশ্যক। মূলত চট্টগ্রাম, ত্রিপুরা ও প্রাচীন বরাক উপত্যকা জুড়ে যে বিশাল ভূমিখণ্ড তারই নাম ছিল কিরাতভূমি
এবং সেখানকার অধিবাসীদের কিরাত হিসেবে চিহ্নিত করা হতো। ক্রমে
এই অঞ্চল বৃহৎ বঙ্গের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায় শিক্ষায়, সাহিত্যে,
কৃষ্টি সংস্কৃতিতে।
ত্রিপুরার কবি চন্দন পাল-এর কাব্যগ্রন্থ ‘রোমন্থন ৪’। প্রথম প্রকাশ সদ্য অনুষ্ঠিত আগরতলা বইমেলা ২০২৫। ৪ কেন এই ব্যাপারে স্পষ্ট কোনও ধারণা করা গেল না কবির তরফে কোনো ভূমিকা কিংবা ‘ইতিপূর্বে প্রকাশিত গ্রন্থাবলি’র কোনো হদিশ না থাকায়। গ্রন্থের প্রথম ব্লার্ব খালি থাকলেও দ্বিতীয় ব্লার্বে অতি সংক্ষিপ্ত কবি-পরিচিতির এক জায়গায় আছে কবির ‘নতুনত্ব’ উদ্ভাবনের কথা। এবং সেই সূত্রেই কবিতার এই নতুন ধাঁচের প্রকাশ। কবিতা নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার অন্ত নেই। চলে আসছে যুগ যুগান্তর ধরে। একের পর এক ছন্দ, বিন্যাস এসেছে বাংলা সাহিত্যে। তারই এক বিস্তার বলা যায় আলোচ্য গ্রন্থের সন্নিবিষ্ট কবিতাগুলি। আট লাইনের কবিতা হলেও সেই অর্থে এগুলোকে সেইসব স্বীকৃত ‘অষ্টচরণ কবিতা’র পর্যায়ে ফেলা যাবে না কারণ এখানে প্রতি লাইনে আটটি শব্দের সংযোজনের ব্যাপারটিও থেকে গেছে।
ফেরা যাক কিরাত ভূমির গন্তব্যে। কারণ সূচিপত্র অনুযায়ী গ্রন্থে রয়েছে মোট চারটি অধ্যায়। প্রথম অধ্যায় - ‘কিরাত ভূমির তেরো পার্বণ’। বারো মাসের নামে বারোটি কবিতা। সেই চৌষট্টি শব্দের কবিতা আট শব্দ করে আটটি লাইন। একটি কবিতা এখানে তুলে দেওয়া যেতেই পারে -
কবিতা - মাঘ
ঘুম থেকে নেমে দেখি, একী! ঘামঘাম জল কুয়াশা
দরজা হাতল চটি সড়ক, ফুল পাতায় লেপা কুয়াশা
ঘুমন্ত গাছে টিন চালে খড়ের গাদায় হিম কুয়াশা
মেঠো পথে ঝোপের আড়ে লাউ মাচায় চুপ কুয়াশা
গাভির পিঠে শালিক বসে তার ওপরে শ্বেত কুয়াশা
নদীর পারে রহিম গাঁয়ে রামের দেশে এক কুয়াশা
ধুম কুয়াশা শীত কুয়াশা মাঘ ঢাকা অন্ধ কুয়াশা
আলো চোরা ঘন কুয়াশা, নববর্ষে ওই জাগেরে আশা।
দ্বিতীয় অধ্যায় - ‘কিরাত ভূমির স্রোত’। রয়েছে স্রোতস্বিনী বারোটি নদীর নামে বারোটি কবিতা। গোমতী, হাওড়া, মনু, সুমলি, ফেনি, মুহুরি, বুড়িমা (বিজয়), জুরি, খোয়াই, ধলাই, লঙ্গাই ও দেও। তুলে দেওয়া যাক এখান থেকেও একটি কবিতা -
কবিতা - মুহুরি
দেবতামুড়ার দেবী তুমি, নেমে ভরো কলসি, ছলকায় মুহুরীপুর।
সাজাও মাঠ ঘাট, লাউগাঙ বাজার, রতনে ভরো রতনপুর।
আখ তরমুজ উচ্ছে বেগুন, আউশ আমন দু’কুল ফোটে,
পারে পারে পানবর ঘুমায়, মাটির সন্তান হেসে ওঠে।
বিদ্যাবহর প্রাচীন শহর, বিলোনিয়া বনকর ঘাট মুহুরি পারে
রেল ঝমাঝম বাদল ওড়ে, রামঠাকুর নিবাস মুহুরি ঘিরে।
বেয়ে আসে বাঁশ দূর শহরে, বর্ষণে মাছের নাচন।
শীতে বুক ভাসাও তুমি, কালিদাস চরে ফেনি মিলন।
তৃতীয় অধ্যায় - কিরাত ভূমির জনপদ। রয়েছে বারোটি জনপদের সন্ধানযুক্ত কবিতা। আমলিঘাট, বিলোনিয়া, সুপারিখোলা, সাতমুড়া, বক্সনগর, কেমতলি, অমরপুর, ডালাক, তারানগর, নেতাজিনগর, কাঞ্চনপুর ও তিলথৈ। বলা বাহুল্য সবক’টিই বর্তমান ত্রিপুরা রাজ্যের অন্তর্গত জনপদ। একটি কবিতা -
সাতমুড়া
সাত টিলার মাঝখানে যে, সে গাঁয়ের নাম সাতমুড়া
বিদ্যাপীঠ, বৈদ্য, এক নং টিলা, বিলোনিয়ায় ভাঙে আড়মোড়া।
রামঠাকুর স্মৃতি, মুহুরি চর, সাতমুড়া ছুঁয়ে সামান্য দূরে,
তৃষ্ণা বাইসন মৈত্রী পার্ক, দশমিনিটের পথ টোটো চড়ে।
বাজার মিলে সকাল বিকাল - পান, সবজি, ডিম, মাছ,
বইখাতা, মনোহারি, গুনা, পকুড়া - আছে মহামায়া কালীর সাজ।
কলেজ, রেডিও রেল তেল, সাতমুড়া গাঁয়ের গা ঘেঁষে,
শ্রমিক, নাপিত, চাকুরে, দোকানি, শিক্ষা সংস্কারে উন্নত বসবাসে।
চতুর্থ অধ্যায়ে রয়েছে ছয়টি কবিতা ‘বিবিধ’ বিভাগ-নামে। অধিনায়ক, জাগঘুম, মালি, কবিতাঘর, প্রতিমা ও শিল্পী - সব অর্থপূর্ণ কবিতা। গ্রন্থে সব মিলিয়ে ৪২টি কবিতা। নিজ রাজ্যের, নিজভূমের স্থান, নদী নিয়ে অন্ত্যমিল ছন্দ মিলিয়ে এমন প্রয়াস একদিকে যেমন কবির কবিত্বের পরিচিতি তুলে ধরেছে তেমনি প্রকাশিত হয়েছে স্বভূমির প্রতি তাঁর অন্তরে সজ্জিত প্রেম ভালোবাসা ও আন্তরিকতার প্রতিচ্ছবি। এসব কবিতায় অক্ষর, মাত্রা কিংবা স্বরবৃত্তের অঙ্ক মেলানো একেবারেই দুরূহ যদিও এই অন্ত্যমিলের প্রচেষ্টা একাধারে এনে দিয়েছে ব্যতিক্রমী পঠনসুখ এবং কবির ছন্দমোহের হদিশ। আবার শন্দ, পঙ্ক্তি কিংবা নামসমূহের উল্লেখে হারিয়ে যায়নি বয়ান, হারিয়ে যায়নি মানবতার স্লোগান। দাবার মতোই কবিতার খেলায় মেতে উঠেছেন আত্মমগ্ন কবি।
৪৮ পৃষ্ঠার হার্ড বোর্ড বাঁধাই গ্রন্থের কাগজের মান, ছাপার স্পষ্টতা যথাযথ। আধুনিক বানান অনুসৃত হলেও কিছু বানান বিভ্রাট রয়ে গেছে যেমন থেকেই যায় অনবধানতায়। কবির আঁকা প্রচ্ছদ দৃষ্টিনন্দন। সব মিলিয়ে এক ভিন্ন আঙ্গিকের আয়াসসাধ্য প্রয়াস - ‘রোমন্থন - ৪’।
ত্রিপুরার কবি চন্দন পাল-এর কাব্যগ্রন্থ ‘রোমন্থন ৪’। প্রথম প্রকাশ সদ্য অনুষ্ঠিত আগরতলা বইমেলা ২০২৫। ৪ কেন এই ব্যাপারে স্পষ্ট কোনও ধারণা করা গেল না কবির তরফে কোনো ভূমিকা কিংবা ‘ইতিপূর্বে প্রকাশিত গ্রন্থাবলি’র কোনো হদিশ না থাকায়। গ্রন্থের প্রথম ব্লার্ব খালি থাকলেও দ্বিতীয় ব্লার্বে অতি সংক্ষিপ্ত কবি-পরিচিতির এক জায়গায় আছে কবির ‘নতুনত্ব’ উদ্ভাবনের কথা। এবং সেই সূত্রেই কবিতার এই নতুন ধাঁচের প্রকাশ। কবিতা নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার অন্ত নেই। চলে আসছে যুগ যুগান্তর ধরে। একের পর এক ছন্দ, বিন্যাস এসেছে বাংলা সাহিত্যে। তারই এক বিস্তার বলা যায় আলোচ্য গ্রন্থের সন্নিবিষ্ট কবিতাগুলি। আট লাইনের কবিতা হলেও সেই অর্থে এগুলোকে সেইসব স্বীকৃত ‘অষ্টচরণ কবিতা’র পর্যায়ে ফেলা যাবে না কারণ এখানে প্রতি লাইনে আটটি শব্দের সংযোজনের ব্যাপারটিও থেকে গেছে।
ফেরা যাক কিরাত ভূমির গন্তব্যে। কারণ সূচিপত্র অনুযায়ী গ্রন্থে রয়েছে মোট চারটি অধ্যায়। প্রথম অধ্যায় - ‘কিরাত ভূমির তেরো পার্বণ’। বারো মাসের নামে বারোটি কবিতা। সেই চৌষট্টি শব্দের কবিতা আট শব্দ করে আটটি লাইন। একটি কবিতা এখানে তুলে দেওয়া যেতেই পারে -
কবিতা - মাঘ
ঘুম থেকে নেমে দেখি, একী! ঘামঘাম জল কুয়াশা
দরজা হাতল চটি সড়ক, ফুল পাতায় লেপা কুয়াশা
ঘুমন্ত গাছে টিন চালে খড়ের গাদায় হিম কুয়াশা
মেঠো পথে ঝোপের আড়ে লাউ মাচায় চুপ কুয়াশা
গাভির পিঠে শালিক বসে তার ওপরে শ্বেত কুয়াশা
নদীর পারে রহিম গাঁয়ে রামের দেশে এক কুয়াশা
ধুম কুয়াশা শীত কুয়াশা মাঘ ঢাকা অন্ধ কুয়াশা
আলো চোরা ঘন কুয়াশা, নববর্ষে ওই জাগেরে আশা।
দ্বিতীয় অধ্যায় - ‘কিরাত ভূমির স্রোত’। রয়েছে স্রোতস্বিনী বারোটি নদীর নামে বারোটি কবিতা। গোমতী, হাওড়া, মনু, সুমলি, ফেনি, মুহুরি, বুড়িমা (বিজয়), জুরি, খোয়াই, ধলাই, লঙ্গাই ও দেও। তুলে দেওয়া যাক এখান থেকেও একটি কবিতা -
কবিতা - মুহুরি
দেবতামুড়ার দেবী তুমি, নেমে ভরো কলসি, ছলকায় মুহুরীপুর।
সাজাও মাঠ ঘাট, লাউগাঙ বাজার, রতনে ভরো রতনপুর।
আখ তরমুজ উচ্ছে বেগুন, আউশ আমন দু’কুল ফোটে,
পারে পারে পানবর ঘুমায়, মাটির সন্তান হেসে ওঠে।
বিদ্যাবহর প্রাচীন শহর, বিলোনিয়া বনকর ঘাট মুহুরি পারে
রেল ঝমাঝম বাদল ওড়ে, রামঠাকুর নিবাস মুহুরি ঘিরে।
বেয়ে আসে বাঁশ দূর শহরে, বর্ষণে মাছের নাচন।
শীতে বুক ভাসাও তুমি, কালিদাস চরে ফেনি মিলন।
তৃতীয় অধ্যায় - কিরাত ভূমির জনপদ। রয়েছে বারোটি জনপদের সন্ধানযুক্ত কবিতা। আমলিঘাট, বিলোনিয়া, সুপারিখোলা, সাতমুড়া, বক্সনগর, কেমতলি, অমরপুর, ডালাক, তারানগর, নেতাজিনগর, কাঞ্চনপুর ও তিলথৈ। বলা বাহুল্য সবক’টিই বর্তমান ত্রিপুরা রাজ্যের অন্তর্গত জনপদ। একটি কবিতা -
সাতমুড়া
সাত টিলার মাঝখানে যে, সে গাঁয়ের নাম সাতমুড়া
বিদ্যাপীঠ, বৈদ্য, এক নং টিলা, বিলোনিয়ায় ভাঙে আড়মোড়া।
রামঠাকুর স্মৃতি, মুহুরি চর, সাতমুড়া ছুঁয়ে সামান্য দূরে,
তৃষ্ণা বাইসন মৈত্রী পার্ক, দশমিনিটের পথ টোটো চড়ে।
বাজার মিলে সকাল বিকাল - পান, সবজি, ডিম, মাছ,
বইখাতা, মনোহারি, গুনা, পকুড়া - আছে মহামায়া কালীর সাজ।
কলেজ, রেডিও রেল তেল, সাতমুড়া গাঁয়ের গা ঘেঁষে,
শ্রমিক, নাপিত, চাকুরে, দোকানি, শিক্ষা সংস্কারে উন্নত বসবাসে।
চতুর্থ অধ্যায়ে রয়েছে ছয়টি কবিতা ‘বিবিধ’ বিভাগ-নামে। অধিনায়ক, জাগঘুম, মালি, কবিতাঘর, প্রতিমা ও শিল্পী - সব অর্থপূর্ণ কবিতা। গ্রন্থে সব মিলিয়ে ৪২টি কবিতা। নিজ রাজ্যের, নিজভূমের স্থান, নদী নিয়ে অন্ত্যমিল ছন্দ মিলিয়ে এমন প্রয়াস একদিকে যেমন কবির কবিত্বের পরিচিতি তুলে ধরেছে তেমনি প্রকাশিত হয়েছে স্বভূমির প্রতি তাঁর অন্তরে সজ্জিত প্রেম ভালোবাসা ও আন্তরিকতার প্রতিচ্ছবি। এসব কবিতায় অক্ষর, মাত্রা কিংবা স্বরবৃত্তের অঙ্ক মেলানো একেবারেই দুরূহ যদিও এই অন্ত্যমিলের প্রচেষ্টা একাধারে এনে দিয়েছে ব্যতিক্রমী পঠনসুখ এবং কবির ছন্দমোহের হদিশ। আবার শন্দ, পঙ্ক্তি কিংবা নামসমূহের উল্লেখে হারিয়ে যায়নি বয়ান, হারিয়ে যায়নি মানবতার স্লোগান। দাবার মতোই কবিতার খেলায় মেতে উঠেছেন আত্মমগ্ন কবি।
৪৮ পৃষ্ঠার হার্ড বোর্ড বাঁধাই গ্রন্থের কাগজের মান, ছাপার স্পষ্টতা যথাযথ। আধুনিক বানান অনুসৃত হলেও কিছু বানান বিভ্রাট রয়ে গেছে যেমন থেকেই যায় অনবধানতায়। কবির আঁকা প্রচ্ছদ দৃষ্টিনন্দন। সব মিলিয়ে এক ভিন্ন আঙ্গিকের আয়াসসাধ্য প্রয়াস - ‘রোমন্থন - ৪’।
বিদ্যুৎ চক্রবর্তী
মূল্য - ২৫১
টাকা
যোগাযোগ - ৮৭৮৭৫৯৪৫২৩
যোগাযোগ - ৮৭৮৭৫৯৪৫২৩
সুন্দর আলোচনা দাদা,,,, প্রেরণা পেলাম।
ReplyDeleteআসলে প্রচ্ছদ আসার পর বুঝেছি বইটিতে ব্লার্ব থাকবে। আগের ১,২,৩ বইগুলি চটি (একফর্মা) ছিল, তাই এই বিচ্যুতি। রোমন্থন ১- মুদ্রনে হাতেখড়ি দুহাজার সালে লিফলেট আকারে। দুহাজার একুশের পরে ২ ও ৩ কবিতা বই হয়েছে সময়োপযোগী বিষয়বস্তু নিয়ে, সাথে ব্যয় সংকোচ নীতি !! এছাড়া ২০১৮ এর পর বিভক্ত স্বরলিপি নামে দুটি বোর্ড বাধাই কবিতার বইও হয়েছে । গুণাগুণ পাঠকের জন্য তোলা রইল। নমস্কার।
ভিন্ন আঙ্গিকের কবিতা।ভালো লাগল।
ReplyDeleteখুশি হলাম দাদা,,💗
Deleteবিবিধ অধ্যায়ের আরও বারোটি কবিতা রোমন্থন-৩ এ আগেই ঢুকে গিয়েছিল, তাই ৪ এ আনিনি। পৃষ্ঠা সীমাবদ্ধ করলাম। আপনি ঠিকই বলেছেন কবিতা নিয়ে পরীক্ষা নীরিক্ষার অন্ত নেই,,🙏