‘হৃদয়নন্দন বনে নিভৃত এ নিকেতনে এসো হে আনন্দময়, এসো চিরসুন্দর...।’ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ হৃদয়কে একাধারে নন্দনবনের সঙ্গে এবং নিভৃত নিকেতনের সঙ্গে তুলনা করেছেন। আর নিভৃত নিকেতনেই যে হৃদয়ের কথা উথালপাথাল আবেগে ছুটে বেড়ায় দিগদিগন্ত সে কথা তো সর্বজনবিদিত। এ পৃথিবীতে কতজনের যে হৃদয়ের কত কথা অহরহ জমা হতে থাকে মহাকালের মহাফেজখানায় তার কি আর লেখাজোখা আছে ? সেইসব হৃদয়ের অফুরান কথামালা, সেইসব হৃদিকথার সাজানো কোলাজই হল ‘হৃদিকথা’, লিখিত সৃষ্টিকর্মের মাধ্যমে যার সংরক্ষণ সম্ভব। সম্প্রতি কলকাতা/শিলচর থেকে প্রকাশিত হয়েছে সাহিত্য পত্রিকা (পত্রিকা না বলে একে গ্রন্থ বলেই আখ্যায়িত করা যায় অনায়াসে) ‘হৃদিকথা’র দ্বিতীয় সংখ্যা। অতি সংক্ষিপ্ত ভূমিকায় ‘আমাদের কথকতা’ শিরোনামে এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন দুই সম্পাদক শর্মি দে ও মীরা পাল। লিখছেন - ‘হৃদিকথা যেন হৃদয়ে খোদাই করা এক শিল্পের চরম নিদর্শন। সকল সৃষ্টির পিছনে মানুষের আবেগময় মনের তাড়নাই কাজ করে যা এক শাশ্বত সত্য। মানুষ যুগ যুগ ধরে তার সৃষ্টিকর্মের মধ্য দিয়ে প্রকাশ করেছে তার হৃদয়ের কথা। তাই ‘লিখনদ্বীপে আমরা আমরণ নির্বাসিত এক পবিত্র অপরাধী’। সেই দণ্ডিত সমাজে বিনিময় হোক...
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা