Skip to main content

Posts

Showing posts from February, 2025

নান্দনিক প্রকাশ - বিশেষ সংখ্যা ‘মোহনা’

অনেকটা দেরি করেই হাতে এল সাবেক করিমগঞ্জ থেকে প্রকাশিত এবং বনানী চৌধুরী সম্পাদিত ‘মোহনা’ পত্রিকার বিশেষ সংখ্যাটি। ৬৮ পৃষ্ঠার পেপারব্যাক সংখ্যাটি হাতে নিতেই এক ভালোলাগার পরশ অনুভূত হল। কারণ মানস ভট্টাচার্যের অনবদ্য প্রচ্ছদ। বিশেষ সংখ্যা কেন তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবৃতি রয়েছে দুই পৃষ্ঠা জোড়া খোলামেলা সম্পাদকীয়তে - ‘মোহনা ছোটপত্রিকার জগতে একেবারেই নবীন। ২০২২ থেকে যাত্রা শুরু হয়েছে। যাত্রাপথের শুরুতেই আমন্ত্রণ এসেছে ‘৯ম উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় লিটল ম্যাগাজিন সম্মেলন’ থেকে… কিন্তু এই বিশাল মঞ্চে শূন্য হাতে উপস্থিত হওয়াটা অন্তরে সাড়া দিচ্ছিল না…তাই নতুন সংখ্যা প্রকাশ করার ভাবনা থেকে সরে এসে ‘বিষয় ভিত্তিক’ একটি কবিতা সংকলনের ভাবনা শুরু হল। …বরাকের সাহিত্য ক্ষেত্রটিও ভীষণ উর্বর। সেই উর্বর ভূমিকে অক্ষর চাষে আরও উর্বর করে তুলেছেন শব্দচাষীরা। ‘মোহনা’তে এসে একত্রিত হয়েছে সব কবিদের মনের তরী। আর এই তরীটিতে যাঁরা বইঠা চালিয়েছেন, তাঁদের জন্যই তরীটি কবিতা সংকলন রূপে ‘মোহনা’ হয়ে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে…।’ - এক অকপট, অনবদ্য সম্পাদকীয়। সংখ্যাটিতে সন্নিবিষ্ট হয়েছে মোট ৫১ জন কবির ৫৩টি কবিতা। ‘বরাক-বিষয়ক’ অনন্য স্মৃতিম...

বিষয়ভিত্তিক নিবন্ধের উৎকৃষ্ট সমাহার - ‘লোকসংস্কৃতি’

নান্দনিক আবির্ভাব সংখ্যার পর জাতীয় লোকসংস্কৃতি পরিষদের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত হয়েছিল মুখপত্র তথা সাহিত্য পত্রিকা ‘লোকসংস্কৃতি’র দ্বিতীয় সংখ্যা। দেরিতে হাতে এলেও এই পত্রিকার প্রচ্ছদ সততই এতটা আকর্ষণীয় যে পড়তে বিলম্ব হওয়ার কথা নয়। ১২৩ পৃষ্ঠার আলোচ্য সংখ্যাটির পরতে পরতে উন্মোচিত হয়েছে লোকসংস্কৃতি, লোকসাহিত্য বিষয়ক অসংখ্য জানা অজানা তথ্য ও তত্ত্ব। তিনজন সম্পাদক অমিত চট্টোপাধ্যায়, অহীন্দ্র দাস ও মন্টু দাস আশাপ্রদ সম্পাদকীয়তে লিখছেন - ‘প্রথম বর্ষপূর্তি শেষে আমরা উপনীত হলাম মহা-সম্মেলনে… সফলতার মুখ দেখেছি - আজ বলা চলে সহজেই। …আরও ব্যাপকতার পথে আমরা পা রাখব। দীর্ঘায়িত হবে আমাদের আগামীর পথ চলা। ততক্ষণ অঙ্গীকার থাক - বৃহত্তর লক্ষ্যকে স্পর্শ করার।’ পত্রিকার অন্দরে সন্নিবিষ্ট সাহিত্য সম্ভার এমন প্রত্যয়ের সপক্ষেই কথা বলে। সংখ্যাটি পুরোটাই সেজে উঠেছে প্রবন্ধ নিবন্ধের সমাহারে। সূচিপত্র ধরে এগোলে প্রথমেই রয়েছে ড. চিত্তরঞ্জন মাইতির বিস্তৃত নিবন্ধ ‘বাংলাদেশে পটচিত্র’। নিবন্ধে আছে - ‘...পটচিত্র ঐতিহ্যানুযায়ী শিল্প। এই শিল্প চলে বংশ পরম্পরায়। পটচিত্রকে formalized folklore এর মধ্যে ফেলা যায়। এটি...

কাব্যগুণ-সংবলিত কবিতার সমাহার - ‘নীল আকাশ হলুদ ঘুড়ি’

উত্তরপূর্বের সাহিত্য পরিমণ্ডলে কাব্য সংকলন অর্থাৎ সম্পাদনা গ্রন্থের প্রকাশ নিয়মিত না হলেও বিরল নয় । এই ধারায় পিছিয়ে নেই বরাক উপত্যকাও । ২০২১ এর সেপ্টেম্বরে বরাক মূলের ২৫৩ জন কবির কবিতা সমৃদ্ধ ‘ বৃষ্টিকথা ’ কাব্য সংকলেন পর সম্প্রতি শ্রীভূমি থেকে প্রকাশিত হয়েছে কবি পিঙ্কু চন্দ সম্পাদিত সংকলন গ্রন্থ ‘ নীল আকাশ হলুদ ঘুড়ি ’ । একক প্রচেষ্টায় একটি সংকলন গ্রন্থ প্রকাশ বড় সহজ কথা নয় যদিও এই অসাধ্য সাধনে সংকলিত হয়েছে মোট ১০৪ জন নবীন - প্রবীণ কবির এক-পৃষ্ঠার কবিতা । সংখ্যার বিচারে নিশ্চিত এক সাফল্যের মুখ দেখেছে সংকলনটি । ভৌগোলিক সীমানার গণ্ডির মধ্যে সীমায়িত হয়নি এই সংকলন । ফলত সন্নিবিষ্ট হয়েছে ডায়মন্ড হারবার থেকে ধুবড়ি , পন্ডিচেরি থেকে আন্দামান , ছত্তিশগড় থেকে বিলোনিয়া , মুম্বই থেকে বারইগ্রাম , সাব্রুম থেকে দুর্গাপুর , দিল্লি থেকে লালা, জামশেদপুর থেকে বাঁশকান্দি কিংবা মেদিনীপুর থেকে তিনসুকিয়ার কবিদের কবিতা । যেন গোটা ভারতবর্ষের কবিতার এক মহামেলা । কেন এই গ্রন্থনাম, এই অসীম আয়োজন ? সম্পাদকীয়তে সম্পাদক লিখছেন - ...’নীল আকাশ হলুদ ঘুড়ি’ কবিতার আকাশে উড়তে থাকা কিছু উজ্জ্বল কবির কাব্যিক অনু...

দুর্গা দেখতে যাব

শরৎ এলেই পুজো আর পুজো এলেই সামনে - পিছনে তাকানো। এক ধারাবাহিক জীবনচর্চা। ভাদ্রের তালপাকা গরমে ফ্যান থেকে তালপাখা সবকিছুই যখন বেদম হয়ে যায় তখনই একটুখানি শাদা মেঘের খোঁজে , একটু ছায়াময় ঘন নীলাকাশের খোঁজে ঘন ঘন উপরের দিকে চেয়ে থাকার বাইরে আর গত্যন্তর থাকে না। বুক ধুকপুক প্রতীক্ষার শেষ প্রহর অবশেষে ঘনিয়ে আসে একসময়। সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে থেকে গত কাল আর আগামী কালের প্রহর গোনা শুরু হয় এরপর।   রাতে বাজার সেরে আসতে গিয়ে ঝুমা বউদিদের বাড়ির সামনে এসে এক পরিচিত গন্ধে যেন মনের মধ্যে আকুলিবিকুলি । বুঝতে বাকি রইল না শিউলি ফুটেছে ঝুমা বউদির বাড়িতে। অমনি এক পরিচিত আনন্দে নেচে উঠল অন্তর । সামনেই পুজো তাহলে। যৌবনে এমনই এক পুজোর প্রাক্কালে শিউলি এসেছিল ঝুমা বউদিদের বাড়িতে । সে কী আনন্দ। সে কী আনন্দ। তারপর সেই যে চলে গেল একদিন আর দেখা হল না কোনোকালেই।  শিউলিশেষে এবার আক্ষরিক অর্থেই যেন ঢেঁকিকলে (Sea-saw) চড়ে সামনে - পিছনে আন্দোলিত হওয়ার পালা। প্রতি বছরেই এমন অবস্থার সামনে পড়তে হয় আমাকে। সেইসব নিখাদ আনন্দের দিন গত হয়েছে কবেই। আনন্দময়ীর আগমনে এখন শঙ্কাময় হয়ে উঠি আমি। বুঝি শুধু আমিই এমন। সজল , কাজল , প...

উৎকর্ষে ভাস্বর - শরৎ ২০২৪ সংখ্যা ‘মজলিশ সংলাপ’

আসলে একটি পূজা সংখ্যা বা শারদীয় সংখ্যাই যদিও একে অভিহিত করা হয়েছে ‘ শরৎ ২০২৪ ’ সংখ্যা হিসেবে সম্ভবত প্রকাশে কিছু বিলম্বের কারণেই । ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা থেকে নিয়মিত প্রকাশিত ‘ মজলিশ সংকাপ ’- এর এটি ১৫৭তম সংখ্যা । শারদীয় বলেই প্রকাশিত হয়েছে বর্ধিত কলেবরে , গুচ্ছ গদ্য - পদ্য - প্রবন্ধে ভরপুর হয়ে - অন্তত ছোট পত্রিকা বা লিটল্ ‌ ম্যাগাজিনের হিসেবে তো বটেই । ‘ সংলাপ ’- এ সততই উত্তর - পূর্বের পাশাপাশি ঈশান - বহির্ভূত কবি লেখকদের উপস্থিতি বিদ্যমান । এবার যেহেতু শারদীয় তাই স্বাভাবিক ভাবেই ঘটেনি ব্যত্যয় । একগুচ্ছ কবিতার বাইরেও সন্নিবিষ্ট হয়েছে গল্প, নভেলেট, মুক্ত গদ্য, প্রবন্ধ আদি। সম্পাদকীয়তে স্বাভাবিক ছন্দেই এসেছে প্রতিবেশী অঞ্চলের ধর্মীয় সন্ত্রাস ও নারী নির্যাতনের প্রসঙ্গ। তবে পাশাপাশি ব্যতিক্রমী হয়ে এসেছে প্রতিবাদ ও শুভদিনের প্রত্যয় - ‘...সময় আমাদের হাতের মুঠোয় নয়। তবু প্রতিবাদী নির্ঘোষে এই দুঃসহ বর্তমানকে জয় করে এক সদর্থক ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখাই হবে সময়ের আহ্বান। জাগ্রত হোক শুভবুদ্ধি, জয় হোক মানবতার। জয়তু শরৎ, জয়তু অভয়া।’ কবিতার পৃষ্ঠাগুলো আলাদা করে গদ্যপর্যায় ধরে এগোলে বিভাগ অনুযায়ী প্...

সাহিত্য সম্ভারে পরিপূর্ণ শারদ সংখ্যা ১৪৩১ - ‘ত্রিপুরা দর্পণ’

বিজ্ঞাপন ছাড়া মোট ৩১২ পৃষ্ঠার একটি পূর্ণাঙ্গ শারদীয় পত্রিকা। বাংলা সাহিত্যের সম্ভারস্বরূপ শারদীয় সংখ্যাসমূহের কথা উঠলেই ঈশান বাংলার পাঠকমহলের চোখ ও মন নিমেষেই পাড়ি দেয় কলকাতায়। যুগ যুগ ধরেই এমন চলে আসছে। এ নিয়ে এক চাপা কৌলিন্যও প্রদর্শন করে থাকেন কিছুসংখ্যক পাঠক - ‘আমি এবার ক-খ-গ-ঘ এই চারটি কিংবা তিনটি কিংবা দুটি শারদীয় সংখ্যা আনিয়েছি কিংবা পড়েছি জাতীয় আত্মশ্লাঘা প্রায়শই কর্ণগোচর হয় আমাদের। বলাই বাহুল্য এইসব কখগঘ হচ্ছে কলকাতা থেকে যুগ যুগ ধরে প্রকাশিত হয়ে আসা তথাকথিত নামিদামি কিছু পত্রিকার নাম - সে তার নাম কিংবা দাম যাই হোক না কেন, কবি-লেখকের তালিকায় এই ঈশান বাংলার প্রতিনিধিত্ব চিরবর্জিত হোক না কেন। অথচ ‘বাড়ির কাছে আরশিনগর’ - ত্রিপুরা থেকে যে একই মানের একই ওজনের একাধিক শারদীয় সংখ্যা প্রকাশিত হয়ে আসছে সে খবর ত্রিপুরা রাজ্যের বাইরে এই উত্তর-পূর্বের ক’জন পাঠক জানেন সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। অবশ্য এর পিছনে একাধিক কারণও রয়েছে। মূলত নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের অভাব এবং কিছুটা হলেও ত্রিপুরার বাইরে উত্তরপূর্বের কবি-লেখকদের সেভাবে স্থান না পাওয়াটাও অন্যতম। এবছর ১৪৩১ বাংলা শারদীয় একটি সংখ্যা অসম থ...

ভাষার গরজে মাতৃভাষা সুরক্ষা সমিতির হার্দিক প্রয়াস - ‘স্মরণ’

বরাক উপত্যকা মাতৃভাষা সুরক্ষা সমিতির তরফে সাবেক করিমগঞ্জ ( অধুনা শ্রীভূমি ) থেকে প্রতি বছর ১৯শে মে তারিখে প্রকাশিত হয়ে আসছে পত্রিকা/ক্রোড়পত্র ‘স্মরণ’। ড. গীতা সাহা সম্পাদিত ২০২৪-এর এই দিনে প্রকাশিত ক্রোড়পত্র থেকে জানা যায় সুরক্ষা সমিতির পথ চলা শুরু হয়েছিল ২০০৩ সাল থেকে। প্রথম পৃষ্ঠায় লিপিবদ্ধ সম্পাদকীয় আক্ষরিক অর্থেই এক বিস্তৃত, লক্ষ্যপূর্ণ সম্পাদকীয়। একুশ ও উনিশের প্রাসঙ্গিক উল্লেখের মধ্য দিয়ে এক দিকে বাংলা ভাষার চর্চা ও পঠনের নিম্নগামিতা ও অন্যদিকে উপত্যকার ভষা ও মানুষের উপর নিরবধি চলে আসা আগ্রাসনের যে প্রয়াস তার পরিপ্রেক্ষিতে শঙ্কা প্রকাশ করে জানানো হয়েছে একাধারে প্রতিবাদ ও এর থেকে উত্তরণের কিছু নিদান। এ-৪ সাইজের ক্রোড়পত্রের প্রায় দেড় পৃষ্ঠাজোড়া সুচিন্তিত এই সম্পাদকীয় নিশ্চিতভাবেই পত্রিকাটির অন্যতম সম্পদ। সংখ্যাটি বহুভাষিক হওয়ার সুবাদে বাংলার বাইরেও বিভিন্ন ভাষার রচনা রয়েছে এখানে । যেমন - বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি, হিন্দি, অসমিয়া ও সংস্কৃত । ১৬ পৃষ্ঠার এই ক্রোড়পত্রে রয়েছে গদ্য ও পদ্যে একাধিক রচনা। রচনাসমূহে একুশ, উনিশ সহ ফুটে উঠেছে ভাষা বিষয়ক এবং অন্যান্য নানাবিধ বিষয়ের উপর আলোকপাত । ...

ইতিহাসের পুনরাবলোকন ‘মহাত্মা ও শিলচরে নারী জাগৃতির ঊষাপর্ব’

মূলত একটি নিবন্ধ। গ্রন্থকার নিজেও উল্লেখ করেছেন এমন। কিন্তু একটি নিবন্ধ এতটাই বিস্তৃত, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের উপর প্রতিষ্ঠিত তথ্যাদি সম্বলিত যে তা একটি গ্রন্থের সমপর্যায়ভুক্ত হতে পেরেছে। ৫৪ পৃষ্ঠার পেপারব্যাকে মূলত দুটি বিষয়ভিত্তিক এই রচনা। শিলচরে মহাত্মা গান্ধীর আগমন ও তৎকালীন সময়ে সেই অঞ্চলে নারী জাগরণের বর্ণনা। ‘...শহরে পা রাখলেন বাপু । সেই প্রথমবার। তারিখ ২৭ আগস্ট ১৯২১। বাপুর এই আগমন আক্ষরিক অর্থেই ছিল আবির্ভাব। বরাকবাসী আহ্লাদিত...।’ এই আহ্লাদ, আগ্রহ ধরা রয়েছে একটি ধামাইল গানে। গ্রন্থের শ্রীগণেশেই উল্লেখ আছে গানটির। দুটি লাইন তুলে ধরা হল এখানে - গান্ধি বড় লুক্‌ গ সকি গান্ধি বড় লুক্‌ এ গ গান্ধি রাজে দিছে সড়ক্‌ জল ভরিতে সুক্‌। ... একটা সময় ছিল যখন ‘গান্ধি’ - এই শব্দে সারা ভারত জুড়ে এক ম্যাজিক মুহূর্ত তৈরি হতো । আর সে বরাক উপত্যকায়ও। এমনই এক মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছিল শিলচর শহর। সে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। শহর শিলচর সেদিন চোখের পলক ফেলতে ভুলে গিয়েছিল। আর তাদের এই মুগ্ধ-অপলক দৃষ্টির সামনেই তৈরি হয়েছিল ইতিহাস...।’ ১৯৬১র ভাষা আন্দোলন থেকেই শিলচরের ইতিহাস আজকের প্রজন্মের মানুষের মননে প্রোথিত। ...

ধারাবাহিকতার নিদর্শন - নবম সংখ্যা ‘সীমান্তরশ্মি’

নিক্তি ধরে বছরের নির্দিষ্ট সময়েই প্রকাশিত হল ছোটপত্রিকা ‘ সীমান্তরশ্মি ’ র নবম সংখ্যা - শ্রীভূমি বইমেলা সংখ্যা, ডিসেম্বর ২০২৪ । তিনের এক অর্থাৎ বছরে নিয়মিত তিনটির মধ্যে এই পত্রিকা এক অলিখিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে কালসীমার , অপর দুটি পত্রিকার ধারাবাহিকতার অঙ্গ হয়ে । বলাই বাহুল্য প্রতিটি পত্রিকারই সম্পাদক হচ্ছেন লেখক , কবি নারায়ণ মোদক এবং প্রতিটি পত্রিকারই প্রকাশস্থান হচ্ছে সাবেক করিমগঞ্জ , অধুনা শ্রীভূমি । ৬০ পৃষ্ঠার আলোচ্য সংখ্যাটিতে রয়েছে ৫২টি কবিতা , একটি অণুগল্প ও একটি গদ্য - কবিতা । বরাবরের মতোই পত্রিকার সম্পাদকীয়তে রয়েছে কিছু প্রাসঙ্গিক বয়ান যার সম্যক উদ্ধৃতি আলোচনায়ও প্রাসঙ্গিক - ‘সবাই যে একইভাবে চিন্তা করবে, সে তো হবার নয়। প্রতিটি ব্যক্তি তাঁর চেতনাবোধ, ভালোমন্দ একদম নিজস্ব ঢঙে এগিয়ে নিয়ে পথ চলতে থাকে। আমরা বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদি ভাষায় স্বীকৃতি হিসেবে ভাষা গৌরব সপ্তাহ উদ্‌যাপন করলাম। আমরা আমাদের ভাষা নিয়ে গর্ববোধ করি। কেউ কেউ বলে থাকেন আমার ভাষা অতি প্রাচীন। আড়াই হাজার বছরের ইতিহাস নিয়ে বিশ্বের দরবারে সুপ্রতিষ্ঠিত। এটি তো অনেক আগেই স্বীকৃত হবার ছিল। বলে থাকেন যদিও কিন্তু নিজ...