Skip to main content

Posts

Showing posts from April, 2025

সৃষ্টির আঙিনায় ব্যতিক্রমী কাব্য সংকলন ‘সৌরজা’

২০২৩ - এর মাঝামাঝি এমন একটি সংকলন প্রকাশিত হয়েছিল বরাক থেকেই । বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক অশোক বার্মা সংকলিত ‘ জনপদের মহিলা কবিরা ’ গ্রন্থে সন্নিবিষ্ট হয়েছিল মোট ৮৯ জন মহিলা কবির কবিতা যার মধ্যে ছিল ৭৪ জন কবির বাংলা কবিতা । দু ’ বছর না গড়াতেই একই ধারায় শুধু মহিলা কবিদের অপর একটি সংকলন সম্প্রতি প্রকাশিত হল । গুনে গুনে ১০০ জন মহিলা কবির কবিতা এখানে সযত্নে হয়েছে সংকলিত । আলোচ্য সংকলন গ্রন্থ - ‘ সৌরজা ’ । সম্পাদক - ড . শমিতা ভট্টাচার্য । পেপারব্যাকে ৯৮ পৃষ্ঠার গ্রন্থের ৮৮ পৃষ্ঠায় ধরে রাখা হয়েছে এই অসাধারণ দস্তাবেজ । পাতা ওলটালে ব্যতিক্রমী হিসেবে স্বচ্ছতায় ভরপুর ভেতরের পৃষ্ঠাগুলি পাঠকমনে নিশ্চিতভাবেই উদ্রেক করবে এক সুখপঠনের আবেশ - সৌজন্যে কাগজের মান , ছাপার স্পষ্টতা , অক্ষরাকার , বর্ণ - শব্দ - পঙ্ ‌ ক্তির যথাযথ বিন্যাস । এমন একটি সংকলনের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হলে সবার আগে জেনে নিতে হয় সম্পাদকীয় কথন। তাই চোখ রাখা যাক মুখবন্ধে - ‘সৃষ্টির আঙিনায় রবিবারের আসর আন্তর্জাতিক সাপ্তাহিক ই-পত্রিকা’ ৮০ জন মহিলা কবির কবিতা নিয়ে নভেম্বর ২০২৩ সালে দীপাবলি বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করে । ...পত্রিকাটির সম্...

নিমগ্ন, নিরলস সাধনার আরেক নাম বাসুদেব দাস

বাংলা ভাষা সাহিত্যের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় স্তরে উচ্চতর সম্মান প্রাপকদের মধ্যে এপার বাংলার যাঁরা রয়েছেন তার সামান্য সংখ্যকই উত্তরপূর্বের বা এই ঈশান বাংলার। এই তালিকায় স্বভাবতই পশ্চিমবঙ্গের প্রাধান্য। তবু মাঝে মাঝে স্ফুলিঙ্গের মতো কিছু ব্যক্তির উৎকৃষ্ট সৃষ্টি সর্বভারতীয় স্তরে স্বীকৃত হওয়ার ঘটনাও বিরল নয়। বাসুদেব দাস তেমনই একজন ব্যক্তি যিনি বিভিন্ন স্তরে অবহেলা ও প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে উঠে আসতে পেরেছেন শুধুমাত্র অধ্যবসায় ও নিরলস সাহিত্য সাধনার ফলে। অনুবাদ সাহিত্যে সম্প্রতি তাঁর অবদানের জন্য তিনি ভূষিত হয়েছেন ২০২৪ সালের সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কারে। অসমিয়া ভাষার খ্যাতনামা সাহিত্যিক হোমেন বরগোহাঞির ‘সাউদর পুতেকে নাও মেলি যায়’ গ্রন্থের বাংলা অনুবাদ ‘সওদাগরের পুত্র নৌকা বেয়ে যায়’-এর জন্য। প্রকাশক ‘প্রতিভাস’, কলকাতা। এই পুরস্কার প্রাপ্তির সূত্র ধরে উত্তরপূর্ব এবং বিশেষ করে এই রাজ্য আজ আপন গরিমায় গর্বিত। বাসুদেব বর্তমানে কলকাতার বাসিন্দা হলেও মূলত তিনি এখান থেকেই শুরু করেছেন তাঁর জয়যাত্রা। তাঁর জন্ম ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার নগাঁও জেলার যমুনামুখে ১৯৫৮ ইংরেজির ৩১ ডিসেম্বর। বাবা প্রয়াত ভরতচন্দ্র দাস। মা প্...

ব্যতিক্রমী ধারার ‘তিন ডজন পদ্য’

পদ্য, কবিতা ও ছড়ার সংজ্ঞার মধ্যে একটি সুনির্দিষ্ট পার্থক্য রয়েছে যদিও তার যথার্থ শ্রেণিবিভাজন খানিকটা জটিল বইকী। একটি ছন্দবদ্ধ রচনা একটি পদ্য তো বটেই কিন্তু তার উপর এটি হতে পারে একটি কবিতাও এবং একটি ছড়াও। আধুনিক কবিতা আবার হতে পারে ছন্দহীনও যদিও ছন্দহীন রচনামাত্রেই যে তা কবিতা হয়ে উঠবে তাও নয়। ছড়া যে শুধু ছোটদের জন্যই হতে হবে তারও কোনো মানে নেই। সুতরাং বলাই যেতে পারে যে একটি ছন্দবদ্ধ রচনাকে আদৌ কোন শ্রেণিতে বিন্যস্ত করা যায় কিংবা তা কতটা কবিতা হয়ে উঠল তা ভিন্ন মানসে ভিন্নরূপে আখ্যায়িত হওয়ার সমূহ একটি সম্ভাবনা থেকেই যেতে পারে। সব মিলিয়ে এই শ্রেণিবিভাজনের দায় তাই কবি, ছড়াকার, বাচিক শিল্পী এবং পাঠকের হাতেই সঁপে দেওয়া শ্রেয়। মূলত একজন গদ্যকার বিশেষ করে প্রাবন্ধিক ত্রিদেব চৌধুরীর কবি হিসেবে সদ্য প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘তিন ডজন পদ্য’তে এ নিয়ে এবং নিজেকে নিয়ে একটি পরিচ্ছন্ন স্বকৃত ভূমিকা রয়েছে। এখানে আছে - ‘...কবিতা আমার আসে না। কাব্যগুণের ধার ধারি না। এককালে ছন্দ নিয়ে কিঞ্চিৎ নাড়াচাড়া করেছিলাম। এগুলো তারই ফসল। আধুনিক কবিতা ছন্দ বা অন্ত্যমিলের ধার ধারে না এরকম একটা ধারণা হয়তো অনেকের মধ্যেই আছে...

হৃদয় যখন হাসপাতালে

হৃদয়ের এক ভাগ চোখের আড়াল হলে ধুকপুক বেড়ে যায় অবশিষ্ট ভাগে , আর্দ্র হয়ে ওঠে অবশিষ্ট আবরণ। ললাটলিখন আর কে বা পারে খণ্ডাতে নাহলে কেনই বা এমন ক্ষণিক ছিন্ন যাপন ? বুকে ধরি যারে , চোখেই রাখি - চোখেই হারাই তার বিহনে বিহনে দীর্ঘায়িত হতে থাকে প্রতীক্ষার নির্ধারিত ক্ষণ - সব কথা নাকি না রাখলেও স্তব্ধ হয় না পৃথিবীর ঘূর্ণন। আমি ভাসি অনিঃসৃত জলে , বুকে চেপে জগদ্দল পাষাণের ভার , অন্যদিকে কেউ একলা একা , অসহায় চোখে শুধু তাকায় এদিকে ওদিকে , হৃদয়ের খোঁজে , যে হৃদয়ে এতকাল ছিল এক অবিচ্ছিন্ন , নিঃশঙ্ক নিভৃত বাস মমতার পরশ মাখা একাত্ম নির্যাস। অস্ত্রোপচার কক্ষ মানেই - তারকাখচিত আকাশে ক্ষণিকের নিদ্রাবিলাস আর দেয়ালের ওপাশে অবরুদ্ধ বুকের মুহূর্মুহু দীর্ঘশ্বাস।   (চেন্নাই অ্যাপলো হাসপাতালের অস্ত্রোপচার কক্ষে যখন কন্যা - ০৪/০৪/২০২৫) 

এক অবোধ কবি বন্ধুকে

প্রিয় তমোময় শুনেছি তুই নাকি কবিতা লিখিস এখন ? বেশ তো। তবে একটু রয়ে সয়ে লিখিস শুধু। ভাবিস না কবি হলেই সাতখুন মাফ। তুই রাস্তায় দাঁড়িয়ে সহস্র জনতার ভাবাবেগে নুন ছিটিয়ে বাহবা কুড়োবি , তুই কবিতার নামে ফতুয়া দাড়িতে সং সেজে ঘুরে ফিরবি , মারপিট আর ঝগড়া বিবাদে ধরাকে সরা ভাববি , অমানুষ ভেবে মানুষকে দুঃখ দিবি ? ভাবিস না তমোময় তুই কবিতার নামে বস্তা পচা গদ্য লিখে আত্মম্ভরিতা ও স্তাবকতায় মত্ত হবি আর পাঠকের তা গিলতে হবে। পাঠককে বোকা ভাবার মতো ভুল করিস না তমোময়। পাঠক আর কবিতা আসরের আয়োজক এক কথা নয় , যারা এই স্খলনের পরেও তোকে আমন্ত্রণ করে মঞ্চে ওঠাবে। ভুলিস না তমোময় কবি কিংবা কবিতাই শেষ কথা নয় , সবার উপরে মানুষ সত্য তার বেশি কেউ নয়।

আলোর মুখোমুখি

রাত তখন যৌবনবতী প্ল্যাটফর্মের হেলানবেঞ্চে জমে উঠেছে জীবনের অমূল্য কথোপকথন । না , ঠিক হল না । তখন শুধু কথাই ছিল , উপকথারা নিশ্চুপ ।   কথারা মাধুর্য ছড়িয়েছিল আপন বৈভবে প্রজ্ঞাসঞ্জিত তাঁর কথা আমার মনপবনে তুলেছিল ঝড় - মধুক্ষরণে । যাত্রী আমি , দূরের । তিনি - কাছের সে রাতে রেলগাড়ি এল ঘড়ির কাঁটা ধরে । এমনই হয় , সেই শেষ দেখা । সেই শেষ ‘ মুখোমুখি বসিবার ’ ক্ষণ । প্রথা ভেঙে সেদিন বসেছিলেন কথায় কথায় গড়ে তুলেছিলেন সম্পর্কের বাঁধন দুয়ার ভেঙে সেদিন গহিন হৃদয়ে আলোয় আলোয় আমার - এসেছে জ্যোতির্ময় ।   আচমকাই নীরবে ভেঙেছে সব মহাতিমিরে অনন্তগামী সব আলো । মধুময় হোক এ অনন্ত পথ … মধুবাতা ঋতায়তে , মধুবাতা ঋতায়তে ।   (প্রয়াত কবি জ্যোতর্ময় রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি) 

রুবি

তাকে উদাসী দেখলে বুকে আমার হাপর ওঠে নামে, অবাধ্য হলে রক্ত ওঠে মগজে আমার চাঁদপানা চাঁদেও গ্রহণ লাগে মাঝে মাঝে। সে আমার রক্তকরবী আমার পান্না রুবি সবই।

ঝরা পাতার শোকগাথা

কেউ নীরবে হেঁটে যায় সময়ের আগে টপকে যায় সাথিদের - অনন্ত পথে। কেউ সময়ের সাথে লড়ে যায় হারিয়ে না যেতে। এ বড় আজব প্রব্রাজন। মাঝেমাঝেই একাকার হয়ে যায় অবোধ্য সব নির্ধারিত নির্ঘণ্ট। সব যেন অদৃশ্য সুতোর বাঁধনে অসহায় কুশীলব , বিস্মৃত সংলাপ। কোনটা যে ঘটনা , কোনটা অঘটন কী করে বুঝি এইসব ? ফুলদলে পলকা পাপড়ির মতো ছুঁয়ে দিলেই ঝরে পড়ে অভিমানে। ঝরা পাতা ঝরে অকালে , বিস্মরণের গর্ভে তবু ধরে রাখে ইতিহাস , শেকড়ের কথা। অরণ্য জুড়ে আজ গুঞ্জন , ফিসফাস নিঃশব্দে ঝরে গেছে একটি সজীব পাতা , এই বনে তারও ছিল এক দৃপ্ত বসবাস।   (১৯ মার্চ ২০২৫ তারিখে সমসাময়িক মামাতো ভাই গৌতমের মৃত্যুতে শোকাহত হয়ে)

বাতিল বেদুইন

শনিবারের সেই বিকেল এখন আর নেই আর পাঁচটা বিকেলের মতো ফিকে হয়ে গেছে। এখন আর আলাদা করে রবিবার বলে কিছু নেই এখন সব দিন রবিবার , সব দিন একাকার। কাজে অকাজে , খেয়ালে খুশিতে এক ইচ্ছেযাপন। সোমবার দুপুরে হঠাৎ করে বুকের মধ্যে আকুলিবিকুলি , কত দিন হল কথা নেই , দেখা নেই। - কেমন আছ বাতিঘর ? - আশ্চর্য !! তোমার কি মাথাটা গেছে ? এই ভর সোমদুপুরে টেলিফোন ? আমার কি অফিস আদালত নেই ? দাঁত দুপাটি নিজে থেকেই চেপে ধরে জিভ ! ইস্ !! এতটাই কাণ্ডজ্ঞানহীন ? ক্রেডেলে নামিয়ে ফোন আমি চেয়ে রই অপলক কিছু নেই সামনে , সব সং-সার হিজিবিজি আমার ফসিল যাপন আজ ফসলবিহীন। বাতিঘর দাঁড়িয়ে আছে নিজের গরিমা নিয়ে আমি - খুঁজে না পাওয়া শব্দের মতো নজরবিহীন জলসাছুট বাতিল বেদুইন হয়ে।

রাত জাগা কবিতা

একটি কবিতা দেবেন দাদা- সাত-আট লাইন কিংবা দশ, বারো। নির্ধারিত সময়সীমা। বিষয় - অমুক। অনুরোধ কখন আবদারে এসে দাঁড়ায় ? যখন সম্পর্কটা বাহ্যিক থেকে পৌঁছে যায় আত্মিক বাঁধনের গেরোয়। অথচ নিক্তি ধরে কি আর কবিতা আসে ? কেউ বলে না একটা কবিতা দিন - বিষয় উন্মুক্ত, পঙ্‌ক্তিসংখ্যা অসীম। তবু আবদারে নত আমি রাত জেগে কবিতা লিখি আকছার। 

বিষয় - ভালোবাসা

আবদারে , শ্রদ্ধায় কেউ বলেছিল একদিন - দাদা , দুটি লাইন লিখে দিন - পত্রিকার জন্য , বিষয় - ভালোবাসা । সেই থেকে দিন দিন ভেবেছি কত কথা , উথাল পাথাল করেছি এ যাপিত জীবন , খুঁজেছি ভালোবাসার চিহ্ন এধার ওধার , একাকার করেছি পুরো পথ , যে পথ ধরে চরিত্রের ভিড়ে হারিয়ে গেছি চিরতরে । তবু পাইনি খুঁজে ভালোবাসার অমোঘ সংজ্ঞা , পারিনি লিখতে দুটি লাইন ।   জীবনে কুড়িয়েছি যত প্রেম ভালোবাসা সম্পৃক্ত আমি আজন্ম বন্ধনে হয়েছি ঋদ্ধ । ভালোবাসার ভিড়ে ভুলেই গেছি একদিন - ভালোবাসা কারে কয় । আজ , এই ব্যর্থ প্রহরে বুকের ভেতর তবু বেজেই চলে অনাহূত নূপুরের ঠমক ছন্দ । পাইনি যা তারই বেদনায় বিস্মৃতি পথে দূরে দূরে সরে যায় যত প্রাপ্তিকথার সুর এই বেদনাই কি তবে সেই ভালোবাসা ? সহস্র প্রাপ্তির মাঝে একটুকরো অপ্রাপ্তিই তবে সেই কাঙ্ক্ষিত ভালোবাসা ?

তাসের ঘর

এত রহস্য কী করে লুকিয়ে রাখো বুকে ? কারো সবটুকু দেখা গেলেও কেন অধরা মনের নাগাল ? এই যে তোমার ঠোঁটজোড়া মুচকি হাসির ছোঁয়া কী যে রেখেছ লিখে তার সবটাই অজানা । সে কি নিখাদ প্রেমের ছবি ? নাকি নিছক অভিনয় সবই ?   একটি প্রশ্নেই ভেঙে যেতে পারে তাসের ঘর মান , সম্মান , সম্পর্ক ……   এ যাতনা কী করে রাখব ধরে আজীবন ? তার চেয়ে ভালো এই নীরবতা জীবনজোড়া এই রহস্যময়তা । তবু তো অক্ষত থাক ভালোবাসার তাসের ঘর হোক না যতই পলকা , যতই মিছে কল্পনা - আসুক যতই বঞ্চনা ।

কোটেশন

শব্দজালের শব্দ খুঁজতে খুঁজতেই চলে যায় আস্ত একটি সকাল আবার ঘুমঘোর বিকেলেই ছন্নছাড়া হয় , ছন্দছাড়া হয় যাবতীয় ছক , এ এক বিচিত্র যাপন , তবু যাপিত অনন্ত । কী আর আছে , থাকে এক অবসৃত জীবনে ? কেউ বলে - দু ’ লাইন কোটেশন দিন প্রেম , ভালোবাসা নিয়ে … । আমার সামনে উন্মোচিত হয় ভালোবাসার এক আস্ত আকাশ , উন্মোচিত দিগন্ত । কোথা থেকে ধরে আনি দু ’ লাইনের গল্প ?   তারপর তুমি এলে , বাড়িয়ে দিলে হাত দুই হাত এক হতেই অঙ্কুরিত বীজের শেষে দুটি পাতার আবির্ভাব । যেন প্রেম ও ভালোবাসা মাখা - এক বৃন্তে দুটি কুসুম , দুটি কোটেশন … ।

ছেঁদোকথা সব

সবাই তো কবি নন , শুধু কেউ কেউ এ আর নতুন কী কথা হল কবি ? কোটি কোটি মানুষের মাঝে ক ’ জন আর হয়েছে বলো কবি ?   ইস , এত কবি কেন চারিদিকে ? কবি থাকবেন হাতে গোনা ক ’ জন , আর সভামধ্যে আমিই হব সেরা । এই কি বাসনা তবে , প্রাজ্ঞজন ?

সেইসব কথা

কত কিছুই তো সারা হল না এখনও কত লহমা চলে গেল বেখেয়ালে পলকে পলকে বিস্মরণ আর মায়াজালে , মোহজালে চলে গেল কত কাল । কত বার কত কথা , কত উচ্ছ্বাস , কত আবেগ ... আটকে রইল জিভের ডগায় , হল না বলা । কত ছবি থেকেই গেল অদেখা অ্যালবামে কত হৃদয় রয়েই গেল অপঠিত পটে , উদাসীন বিস্মৃত যাপনে । এতটা কাছে থেকেও কত দুরে রয়ে গেলে তুমি বাতিঘর - সুদর্শনা । কত পল , কত নিবিড় সান্নিধ্য , সব .... রয়ে গেল নিষ্ফলা , কিছুই হল না সারা কিছুই হল না বলা , কেটেই তো গেল বেলা । শেষের আগে আমি বলে যেতে চাই আমি শুনে যেতে চাই সেইসব না - বলা কথা , সেইসব মোক্ষম কথা - যে কথার অনুচ্চারিত অনুরণন আজও ঝড় তোলে হৃদয়ে , আজও আন্দোলিত করে তনু - মন ।