প্রিয় তমোময়
শুনেছি তুই নাকি কবিতা লিখিস এখন ?
বেশ তো। তবে একটু রয়ে সয়ে লিখিস শুধু।
ভাবিস না কবি হলেই সাতখুন মাফ।
তুই রাস্তায় দাঁড়িয়ে সহস্র জনতার
ভাবাবেগে নুন ছিটিয়ে বাহবা কুড়োবি,
তুই কবিতার নামে ফতুয়া দাড়িতে
সং সেজে ঘুরে ফিরবি,
মারপিট আর ঝগড়া বিবাদে
ধরাকে সরা ভাববি,
অমানুষ ভেবে মানুষকে দুঃখ দিবি ?
ভাবিস না তমোময়
তুই কবিতার নামে বস্তা পচা গদ্য লিখে
আত্মম্ভরিতা ও স্তাবকতায় মত্ত হবি আর
পাঠকের তা গিলতে হবে।
পাঠককে বোকা ভাবার মতো ভুল
করিস না তমোময়।
পাঠক আর কবিতা আসরের আয়োজক
এক কথা নয়, যারা এই স্খলনের পরেও
তোকে আমন্ত্রণ করে মঞ্চে ওঠাবে।
ভুলিস না তমোময়
কবি কিংবা কবিতাই শেষ কথা নয়,
সবার উপরে মানুষ সত্য
তার বেশি কেউ নয়।
একক কিংবা যৌথ সম্পাদনায় বিগত কয়েক বছরে উত্তরপূর্বের বাংলা লেখালেখি বিষয়ক একাধিক গ্রন্থ সম্পাদনা করে এই সাহিত্যবিশ্বকে পাঠকের দরবারে পরিচিত করিয়ে দেওয়ার এক প্রচেষ্টা করে যাচ্ছেন নিবেদিতপ্রাণ তরুণ লেখক ও সম্পাদক নিত্যানন্দ দাস । হালে এপ্রিল ২০২৪ - এ প্রকাশিত হয়েছে তাঁর সম্পাদনা গ্রন্থ ‘ উত্তর - পূর্বাঞ্চলের বাংলা গল্প : বিষয়ে বিশ্লেষণে ’ ( প্রথম খণ্ড ) । প্রকাশক - একুশ শতক , কলকাতা । আলোচ্য গ্রন্থটিতে দুই ছত্রে মোট ২৮ জন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিকের ২৮টি প্রবন্ধ রয়েছে । উপযুক্ত বিষয় ও আলোচকদের নির্বাচন বড় সহজ কথা নয় । এর জন্য প্রাথমিক শর্তই হচ্ছে নিজস্ব জ্ঞানার্জন । কালাবধি এই অঞ্চল থেকে প্রকাশিত উৎকৃষ্ট সাহিত্যকৃতির সম্বন্ধে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল না হলে তা সম্ভব নয় মোটেও । নিত্যানন্দ নিজেকে নিমগ্ন রেখেছেন গভীর অধ্যয়ন ও আত্মপ্রত্যয়কে সম্বল করে তা বলার অপেক্ষা রাখে না । আলোচ্য গ্রন্থের ভূমিকা লিখেছেন প্রতিষ্ঠিত কথাকার রণবীর পুরকায়স্থ । বস্তুত সাত পৃষ্ঠা জোড়া এই ভূমিকা এক পূর্ণাঙ্গ আলোচনা । ভূমিকা পাঠের পর আর আলাদা করে আলোচনার কিছু থাকে না । প্রতিটি নিবন্ধ নিয়ে পরিসরের অভাবে সংক্ষিপ্ত হলেও ...
Comments
Post a Comment