প্রিয় তমোময়
শুনেছি তুই নাকি কবিতা লিখিস এখন ?
বেশ তো। তবে একটু রয়ে সয়ে লিখিস শুধু।
ভাবিস না কবি হলেই সাতখুন মাফ।
তুই রাস্তায় দাঁড়িয়ে সহস্র জনতার
ভাবাবেগে নুন ছিটিয়ে বাহবা কুড়োবি,
তুই কবিতার নামে ফতুয়া দাড়িতে
সং সেজে ঘুরে ফিরবি,
মারপিট আর ঝগড়া বিবাদে
ধরাকে সরা ভাববি,
অমানুষ ভেবে মানুষকে দুঃখ দিবি ?
ভাবিস না তমোময়
তুই কবিতার নামে বস্তা পচা গদ্য লিখে
আত্মম্ভরিতা ও স্তাবকতায় মত্ত হবি আর
পাঠকের তা গিলতে হবে।
পাঠককে বোকা ভাবার মতো ভুল
করিস না তমোময়।
পাঠক আর কবিতা আসরের আয়োজক
এক কথা নয়, যারা এই স্খলনের পরেও
তোকে আমন্ত্রণ করে মঞ্চে ওঠাবে।
ভুলিস না তমোময়
কবি কিংবা কবিতাই শেষ কথা নয়,
সবার উপরে মানুষ সত্য
তার বেশি কেউ নয়।
রামকৃষ্ণনগর । প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আবহে বরাক উপত্যকার এক ঐতিহ্যময় শহর । বিশেষ করে শিক্ষাদীক্ষার ক্ষেত্রে চিরদিনই এক অগ্রণী স্থান হিসেবে উচ্চারিত হয়ে আসছে এই নাম । বৃহত্তর রামকৃষ্ণনগরের গোড়াপত্তনের ইতিহাস বহুদিনের । দেশভাগের আগে ও পরে , উত্তাল সময়ে স্থানচ্যূত হয়ে এখানে থিতু হতে চাওয়া মানুষের অসীম ত্যাগ ও কষ্টের ফলস্বরূপ গড়ে ওঠে এক বিশাল বাসযোগ্য অঞ্চল । শুধু রুটি , কাপড় ও ঘরের স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রই নয় , এর বাইরে শিক্ষা অর্জনের ও শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে মমনশীলতার পরিচয় দিয়েছিলেন সেইসব মহামানবেরা । ফলস্বরূপ এক শিক্ষিত সমাজব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল যদিও উচ্চশিক্ষার জন্য পরবর্তী প্রজন্মকে বেরোতে হয়েছিল নিজ বাসস্থান ছেড়ে । শিলচর তখন এ অঞ্চলের প্রধান শহর হওয়ায় স্বভাবতই শিক্ষা ও উপার্জনের স্থান হিসেবে পরিগণিত হয় । এবং স্বভাবতই রামকৃষ্ণনগর ছেড়ে এক বৃহৎ অংশের মানুষ এসে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেন এই শিলচরে । এই ধারা আজও চলছে সমানে । শিলচরে এসেও শেকড়ের টানে পরস্পরের সাথে যুক্ত থেকে রামকৃষ্ণনগর মূলের লোকজনেরা নিজেদের মধ্যে গড়ে তোলেন এক সৌহার্দমূলক বাতাবরণ । এবং সেই সূত্রেই ২০০০ সালে গঠিত হয় ‘ ...
Comments
Post a Comment