Skip to main content

যাপিত জীবন ও সমাজের নির্মোহ মন্থন - ‘সবুজ স্বপ্নের প্ল্যাটফর্ম’


উত্তর পূর্বের, বিশেষ করে বরাক উপত্যকার লেখালেখির জগতে লীনা নাথ এক পরিচিত নাম। আজকের দিনে কবি হিসেবে তাঁর বিশেষ পরিচিতি থাকলেও ছোটগল্পের জগতেও তাঁর উপস্থিতি ছিল চমকপ্রদ। একসময় নিয়মিত প্রকাশিত হতো তাঁর গল্প - লিখেছেন দুশোরও অধিক। হারিয়ে যায় কতকিছু, কত সৃষ্টি, কত যাপন কথা ও ব্যথা। সাম্প্রতিক সময়ে সাহিত্য জগতে বহুদিন ধরে তাঁর উপস্থিতি নিতান্তই কম লক্ষ করা গেলেও সদ্য প্রকাশিত হয়েছে এই লেখকের ৩০টি ছোটগল্পের সংকলন - ‘সবুজ স্বপ্নের প্ল্যাটফর্ম’। ১/৮ ডিমাইয়ের ২৮৮ পৃষ্ঠার হার্ড বোর্ড বইয়ের পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় লেখক তাঁর যাবতীয় অনুভবকে সবুজ স্বপ্নের প্রলেপ দিয়ে এঁকেছেন তাঁর নিজস্ব যাপনভূমির প্রেক্ষাপটে থাকা আপামর মানুষের সুখ-দু:খের যাপিত বেলার নির্মোহ ক্যানভাস। ভূমিকায় তিনি লিখেছেন তাঁর গল্পযাপনের বিস্তৃত আখ্যান - তাঁর গল্পের রেলগাড়ির স্বপ্নের প্ল্যাটফর্ম পেরিয়ে যাওয়ার কথা।
গল্পের ধারা বা ধরন সবারই কম বেশি ভিন্ন। ব্যতিক্রম নন লীনাও। তাঁর গল্প চলতে থাকে সাবলীল, স্বত:স্ফুর্ত ধারায়। কোথাও আটকে থাকে না যদিও আবেগের অত্যাচারে বাক্য গঠনে ক্ষণিক অসংলগ্নতাও যে অনুভূত হয় না কখনও - তাও নয়। তবু হারায় না খেই। চরিত্রেরা এগোয় স্বাভাবিক ছন্দে। বিশাল রকমের উত্থানপতন নয়, ছোট ছোট দু:খব্যথাও লিপিবদ্ধ হয় গল্পের শরীরে, নির্ধারিত সংলাপে, অনাবিল বুনোটে - আপন গরিমায়। চাপিয়ে দিতে হয় না কখনও। এই সাবলীলতা গল্পকারের অন্যতম প্রধান সম্পদ। সহজ, সরল ভাষা, গোছানো বিস্তৃতি - গল্পের নান্দনিকতা এখানে উপজীব্য নয়।
আড়াই ডজন গল্প যেহেতু তাই প্রেক্ষাপট, বিষয়ের বিশালতা স্বাভাবিক। সমাজের সব ধারার মানুষের কথা উঠে এসেছে গল্পে। দিন আনি দিন খাই মজদুর থেকে বিলাসবহুল ইমারতের ভিতরে থাকা চরিত্রেরা এসেছে আপন বৈভবে। এখানেই গল্পকারের সার্বিক সাফল্য, অনুভব অনুভূতির যথার্থ উপস্থাপন। ৩ থেকে ১৬ পৃষ্ঠাব্যাপী গল্পগুলোর মধ্যে অধিকাংশ গল্পের প্রধান চরিত্রই নারী। নারী জীবনের বিচিত্র মনস্তত্ত্ব, সংসারযুদ্ধের খতিয়ান ও সুখ-দু:খময় যাপনের ইতিবৃত্ত এঁকেছেন গল্পকার তাঁর আপন যাপন-অভিজ্ঞতার নিরিখে। ব্যতিক্রমী বহু প্লট এসেছে গল্পে। প্রেক্ষাপট এঁকেছেন অন্তর ও লেখনীর দুর্দান্ত যুগলবন্দিতে। প্রেক্ষাপটের বর্ণনায় নেই কোন বাহুল্য, আছে যা তা শুধুই বাস্তব আধারিত অনাবিল বর্ণনা।
এক এক করে এগোলে - প্রথম গল্প ‘জলকন্যা’য় রয়েছে গ্রামাঞ্চলে বন্যার বিভীষিকার আড়ালে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য বার্তা। একদিকে জীবনযুদ্ধের বর্ণনা আর অন্যদিকে সিদ্ধান্তের চমৎকারিত্ব - দুয়ে মিলে গ্রন্থের অন্যতম শ্রেষ্ট একটি গল্প। ‘রিকশাওয়ালা’ গল্প অণুগল্প ধাঁচের হলেও রয়েছে মানবিকতার এক উল্লেখনীয় বয়ান। একটি ওবিস্‌ মেয়ের গল্প ‘সোনা ও আমি’। দেহ ও মনের দুই ভিন্ন অনুষঙ্গ, প্রেম ও ভালোবাসার দুই ভিন্ন রূপ। অনবদ্য একটি গল্প। ‘শনবিল ও আলেয়া’ গল্পটি আরোও বিস্তৃত হতে পারত। শনবিলের রূপ বর্ণনাও অসম্পূর্ণ লেগেছে। ঘটনা এগিয়েছে তরতরিয়ে যদিও ‘আলেয়া’র জায়গায় গল্পের শেষে ‘শয়তান’কেই পাওয়া গেল। সত্য ঘটনার উপর আধারিত মানবিকতা ও নান্দনিকতায় ভরপুর একটি চমৎকার গল্প - ‘মিলার গল্প’। কিছু বাক্য গঠনে জটিলতা অনুভূত হয়েছে। ভালো বুনোটের একটি অলৌকিক গল্প ‘বন্ধু’। ‘বাঁশবনে ভূত’ - একটি সত্যি ভূতের গল্প ? জীবনযুদ্ধে পরাজিত এক সৈনিকের মর্মস্পর্শী গল্প ‘শেষের দিনগুলি’। ‘লাল রুমাল’ - অস্ফুট প্রেমের এক গোছানো গল্প। ‘বৃষ্টিভেজা দিঘল রেলগাড়ি’ - ফেলে আসা জীবনের অনবদ্য স্মৃতি রোমন্থন। দু:খ বেদনায় ভরা যাপিত জীবনের শূন্যতা ও হাহাকারের বর্ণনাময় এক নিবিড় পাঠের উপযোগী বড়গল্প। ‘মেয়েকষ্টের’ গল্প ‘মধুপুর’। মধুর সমাপনযুক্ত এক বিজয়িনী মেয়ের বড়গল্প। একটি চরিত্রের দু’জায়গায় দুরকম পদবি সরল পঠনে ব্যাঘাত জন্মায়। ‘নিরালার দিনরাত্রি ও মাধবীলতা’ একদিকে সফল নারীজীবন আর অন্যদিকে মেয়েজন্মের হাহাকার মিলে নারীস্বপ্নের এক অনবদ্য কথন এই বড়গল্পটি। ভিন্নতর শৈলীর একটি পত্রগল্প ‘আগন্তুক’। এক ব্যতিক্রমী ভালোবাসার চমৎকার গল্প। গল্প ‘চোরাস্রোত’ - অতি লোভে তাঁতি নষ্ট। করুণ সমাপন। এটিও গ্রন্থের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গল্প। ‘ডালিয়া’ গল্পে ফুটে উঠেছে বৃদ্ধাবস্থার এক করুণ ছবি। বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের বাহ্যিক রূপটাই শুধু জনসমক্ষে আসে। কিন্তু এটাই শেষ কথা নয়। ভেতরে লুক্কায়িত ইচ্ছে বাসনার প্রকাশ এই গল্পটি।         
গ্রন্থের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গল্প ‘দহন শেষে’। চমৎকার একটি মানবিকতার গল্প। বৃদ্ধাবস্থা, জীবনের মায়া ও অসুস্থ প্রজন্মের অনবদ্য চিত্রণ ‘হারানো বাড়ির জন্য’ অসাধারণ একটি গল্প। ‘পরবাসী এক স্বপ্নবালিকা’ - কিশোরী মেয়ের বেড়ে ওঠার গল্প। ঘটনাবহুল গল্পের শেষে ট্যুইস্ট অনবদ্য। আরও একটি বড়গল্প এবং শ্রেষ্ঠ গল্প ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’। অন্তরীণ প্রেমের সফল সমাপনে চমৎকার উপস্থাপন। সংলাপে বুনোটে ঋদ্ধ হলেও চৌদ্দ বছর বয়সে গাড়ি চালিয়ে লং ড্রাইভে যাওয়ার ব্যাপারটি খানিক জটিল বইকী। হ্যাপি এন্ডিং সহ ব্যতিক্রমী গল্পের গল্প ‘প্রতীক্ষা’। ‘নাজিমা’ বড়গল্পে লেখক তুলে ধরেছেন মুসলমান সমাজের তিন তালাক প্রথার বিভীষিকা। নারী জীবনের অশেষ কষ্টের যন্ত্রণাময় আখ্যান। সুলিখিত। নারীজীবনের ক্লেশকথা - গল্প ‘একান্ত আপন’। বড়গল্প ‘কমলার দিনগুলি’। গরিব, নেশাগ্রস্ত বাবা ও তার মেয়ের সুলিখিত যাপন কথা। ‘খিদে’ গল্পে চমৎকার ভাবে ফুটে উঠেছে গরিবি, নেশাগ্রস্ততার অভিশাপ, শিশুশ্রমিক সহ সামাজিক অন্ধকারের বর্ণনা। জীবনের বিচিত্র উত্থান-পতন আর সংস্কারবোধের অনবদ্য গল্প ‘স্বপ্নিল এক স্বপ্নের নাম’। রম্যরসের আড়ালে ধ্বস্ত মানসিকতার গল্প ‘মাশুল’। এই গল্পের উল্লেখ নেই সূচিপত্রে। সিদ্ধান্ত, জীবনবোধের এক অসাধারণ, অনবদ্য বড়গল্প ‘একটি জরির পার্স’। দায়মুক্তি ও ব্যতিক্রমী উত্তরণের গল্প। ‘মন মজালে ওরে বাউলা’ - বাউলের জীবনযাত্রা ও প্রেমের বিচিত্র অনুষঙ্গের উপর লেখা একটি নান্দনিক বড়গল্প। অশিক্ষা, কুশিক্ষার জালে আবদ্ধ সমাজের কুপ্রথার আড়ালে এক হৃদয়বিদারক বড়গল্প ‘মহুয়াবনির ডাইন’। শেষ গল্প ‘এক ছুটির সকালবেলা’। একটুকরো ধ্বস্ত জীবনের গল্প। সুসজ্জিত প্লট।
গল্পসমূহের প্লট হিসেবে গল্পকার নিজস্বতায় ধরে রেখেছেন বরাকের স্থাননাম। গ্রন্থের ছাপা, অক্ষরবিন্যাস, বাঁধাই যথাযথ হলেও প্রথমার্ধে বানান ভুলের আধিক্য এতটাই যে গল্পের শিরোনামেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। পরবর্তী অর্ধেকে তা নিতান্তই কম পরিলক্ষিত হয়েছে। লেখক গ্রন্থটি উৎসর্গ করেছেন দুই আত্মজ ও জীবনবন্ধুকে। স্বকৃত প্রচ্ছদ যথোপযুক্ত, মানানসই নাহলেও তার দায় লেখকেরই। সব মিলিয়ে নিমগ্ন পাঠকের অনুভবে সাড়া জাগাতে পারা সমাজজীবনের এক বিরাট মন্থন আলোচ্য গ্রন্থটি।
বিদ্যুৎ চক্রবর্তী
প্রকাশক - বাংলা সাহিত্য সভা, অসম।
মূল্য - ৩০০ টাকা, যোগাযোগ - ৭৬৩৭৯৩০৭৪২

Comments

Popular posts from this blog

শেকড়ের টানে নান্দনিক স্মরণিকা - ‘পরিযায়ী’

রামকৃষ্ণনগর । প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আবহে বরাক উপত্যকার এক ঐতিহ্যময় শহর । বিশেষ করে শিক্ষাদীক্ষার ক্ষেত্রে চিরদিনই এক অগ্রণী স্থান হিসেবে উচ্চারিত হয়ে আসছে এই নাম । বৃহত্তর রামকৃষ্ণনগরের গোড়াপত্তনের ইতিহাস বহুদিনের । দেশভাগের আগে ও পরে , উত্তাল সময়ে স্থানচ্যূত হয়ে এখানে থিতু হতে চাওয়া মানুষের অসীম ত্যাগ ও কষ্টের ফলস্বরূপ গড়ে ওঠে এক বিশাল বাসযোগ্য অঞ্চল । শুধু রুটি , কাপড় ও ঘরের স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রই নয় , এর বাইরে শিক্ষা অর্জনের ও শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে মমনশীলতার পরিচয় দিয়েছিলেন সেইসব মহামানবেরা । ফলস্বরূপ এক শিক্ষিত সমাজব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল যদিও উচ্চশিক্ষার জন্য পরবর্তী প্রজন্মকে বেরোতে হয়েছিল নিজ বাসস্থান ছেড়ে । শিলচর তখন এ অঞ্চলের প্রধান শহর হওয়ায় স্বভাবতই শিক্ষা ও উপার্জনের স্থান হিসেবে পরিগণিত হয় । এবং স্বভাবতই রামকৃষ্ণনগর ছেড়ে এক বৃহৎ অংশের মানুষ এসে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেন এই শিলচরে । এই ধারা আজও চলছে সমানে । শিলচরে এসেও শেকড়ের টানে পরস্পরের সাথে যুক্ত থেকে রামকৃষ্ণনগর মূলের লোকজনেরা নিজেদের মধ্যে গড়ে তোলেন এক সৌহার্দমূলক বাতাবরণ । এবং সেই সূত্রেই ২০০০ সালে গঠিত হয় ‘ ...

নিবেদিত সাহিত্যচর্চার গর্বিত পুনরাবলোকন - ‘নির্বাচিত ঋতুপর্ণ’

সাধারণ অর্থে বা বলা যায় প্রচলিত অর্থে একটি সম্পাদনা গ্রন্থের মানে হচ্ছে মূলত অপ্রকাশিত লেখা একত্রিত করে তার ভুল শুদ্ধ বিচার করে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও সম্পাদনার পর গ্রন্থিত করা । যেমনটি করা হয় পত্রপত্রিকার ক্ষেত্রে । অপরদিকে সংকলন গ্রন্থের অর্থ হচ্ছে শুধুই ইতিপূর্বে প্রকাশিত লেখাসমূহ এক বা একাধিক পরিসর থেকে এনে হুবহু ( শুধুমাত্র বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে ন্যূনতম সংশোধনসাপেক্ষে ) একত্রীকরণ । সেই হিসেবে আলোচ্য গ্রন্থটি হয়তো সম্পাদনা গ্রন্থ নয় , একটি সংকলন গ্রন্থ । বিস্তারিত জানতে হলে যেতে হবে সম্পাদক ( সংকলক ) সত্যজিৎ নাথের বিস্তৃত ভূমিকায় । পুরো ভূমিকাটিই যদি লেখা যেতো তাহলে যথাযথ হতো যদিও পরিসর সে সায় দেয় না বলেই অংশবিশেষ তুলে ধরা হলো এখানে - ‘ সালটা ১৯৯০ । ‘ দৈনিক সোনার কাছাড় ’- এ একবছর হল আসা - যাওয়া করছি । চাকরির বয়স হয়নি তাই চাকরি নয় , এই ‘ আসা - যাওয়া ’ । …. হঠাৎ করেই একদিন ভূত চাপল মাথায় - পত্রিকা বের করব । ‘… সেই শুরু । অক্টোবর ১৯৯০ সালে শারদ সংখ্যা দিয়ে পথচলা শুরু হল ‘ঋতুপর্ণ’র। পরপর দুমাস বের করার পর সেটা হয়ে গেল ত্রৈমাসিক। পুরো পাঁচশো কপি ছাপাতাম ‘মৈত্রী প্রকাশনী’ থেকে।...

মহানিষ্ক্ৰমণ

প্রায় চল্লিশ বছর আগে গ্রামের সেই মায়াময় বাড়িটি ছেড়ে আসতে বেজায় কষ্ট পেয়েছিলেন মা ও বাবা। স্পষ্ট মনে আছে অর্ঘ্যর, এক অব্যক্ত অসহায় বেদনার ছাপ ছিল তাঁদের চোখেমুখে। চোখের কোণে টলটল করছিল অশ্রু হয়ে জমে থাকা যাবতীয় সুখ দুঃখের ইতিকথা। জীবনে চলার পথে গড়ে নিতে হয় অনেক কিছু, আবার ছেড়েও যেতে হয় একদিন। এই কঠোর বাস্তব সেদিন প্রথমবারের মতো উপলব্ধি করতে পেরেছিল অর্ঘ্যও। সিক্ত হয়ে উঠছিল তার চোখও। জন্ম থেকে এখানেই যে তার বেড়ে ওঠা। খেলাধুলা, পড়াশোনা সব তো এখানেই। দাদাদের বাইরে চলে যাওয়ার পর বারান্দাসংলগ্ন বাঁশের বেড়াযুক্ত কোঠাটিও একদিন তার একান্ত ব্যক্তিগত কক্ষ হয়ে উঠেছিল। শেষ কৈশোরে এই কোঠাতে বসেই তার শরীরচর্চা আর দেহজুড়ে বেড়ে-ওঠা লক্ষণের অবাক পর্যবেক্ষণ। আবার এখানে বসেই নিমগ্ন পড়াশোনার ফসল ম্যাট্রিকে এক চোখধাঁধানো ফলাফল। এরপর একদিন পড়াশোনার পাট চুকিয়ে উচ্চ পদে চাকরি পেয়ে দাদাদের মতোই বাইরে বেরিয়ে যায় অর্ঘ্য, স্বাভাবিক নিয়মে। ইতিমধ্যে বিয়ে হয়ে যায় দিদিরও। সন্তানরা যখন বড় হয়ে বাইরে চলে যায় ততদিনে বয়সের ভারে ন্যুব্জ বাবা মায়ের পক্ষে আর ভিটেমাটি আঁকড়ে পড়ে থাকা সম্ভব হয়ে ওঠে না। বহু জল্পনা কল্পনার শেষে ত...