মহাভারতের
চরিত্র ভীষ্মকে আমরা ‘গঙ্গাপুত্র’ বলে জানি।
কিন্তু আমাদের এই রাজ্যের একজন রক্তমাংসের মানুষও যে সুরের লালিত্যে উদাত্ত কণ্ঠে
গেয়ে গেছেন - ‘গঙ্গা
আমার মা…’ তা
কি আমরা ভুলতে পারি ?
বস্তুত আমরা যারা ষাট থেকে আশির দশকে জন্মেছি, আমাদের কৈশোর যৌবনে এই গান আমাদের
বুকে লহর তুলত, আমাদের
মননে গুঞ্জন তুলত নিরন্তর।
দেশের গুটিকয় নদের মধ্যে একটি বয়ে চলেছে আমাদের রাজ্যের বুক চিরে। এই মহাবাহুর পাড়ের সুসন্তান ভূপেন হাজরিকা গেয়েছেন - ‘গঙ্গা আমার মা, পদ্মা আমার মা। আমার দুই চোখে দুই জলের ধারা মেঘনা যমুনা। একই আকাশ, একই বাতাস - এক হৃদয়ের একই তো শ্বাস। দোয়েল-কোয়েল পাখির ঠোঁটে একই মূর্ছনা…।’ গানের কথা যেমন, তেমনি সুর আর স্বরের মাধুর্যে এই গান জায়গা করে নিয়েছিল এবং আজও নেয় এপার ওপারের বাঙালি-হৃদয়। অসম-বাংলার গ্রামে শহরে প্রতিটি বাঙালির ঘরে ঘরে এক বিশ্বজনীনতার আবহ গড়ে তুলেছিল এই গান। ভূপেন হাজরিকার নাম তখন আমাদের মুখে মুখে।
পরবর্তীতে ভাষা-ধর্মের মেলবন্ধনে তাঁর অবদান আমরা জেনেছি। জেনেছি ভূপেন-দা একান্তই ‘আমাদের মানুষ’। তাঁর গান, তাঁর জীবনধারা আমাদের বাধ্য করেছে সংকীর্ণতার গণ্ডিকে ভেঙে দিয়ে সংস্কৃতির এক সেতু গড়ে তুলতে। আজ তাঁর জন্মশতবর্ষে তাই সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই সম্প্রীতির এই যুগন্ধরকে।
দেশের গুটিকয় নদের মধ্যে একটি বয়ে চলেছে আমাদের রাজ্যের বুক চিরে। এই মহাবাহুর পাড়ের সুসন্তান ভূপেন হাজরিকা গেয়েছেন - ‘গঙ্গা আমার মা, পদ্মা আমার মা। আমার দুই চোখে দুই জলের ধারা মেঘনা যমুনা। একই আকাশ, একই বাতাস - এক হৃদয়ের একই তো শ্বাস। দোয়েল-কোয়েল পাখির ঠোঁটে একই মূর্ছনা…।’ গানের কথা যেমন, তেমনি সুর আর স্বরের মাধুর্যে এই গান জায়গা করে নিয়েছিল এবং আজও নেয় এপার ওপারের বাঙালি-হৃদয়। অসম-বাংলার গ্রামে শহরে প্রতিটি বাঙালির ঘরে ঘরে এক বিশ্বজনীনতার আবহ গড়ে তুলেছিল এই গান। ভূপেন হাজরিকার নাম তখন আমাদের মুখে মুখে।
পরবর্তীতে ভাষা-ধর্মের মেলবন্ধনে তাঁর অবদান আমরা জেনেছি। জেনেছি ভূপেন-দা একান্তই ‘আমাদের মানুষ’। তাঁর গান, তাঁর জীবনধারা আমাদের বাধ্য করেছে সংকীর্ণতার গণ্ডিকে ভেঙে দিয়ে সংস্কৃতির এক সেতু গড়ে তুলতে। আজ তাঁর জন্মশতবর্ষে তাই সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই সম্প্রীতির এই যুগন্ধরকে।
বিদ্যুৎ চক্রবর্তী
Comments
Post a Comment