আশির ঘর পেরোতে পারবেন এমন দুরাশা বা দুঃসাহস কোনোদিনই করেননি অরিত্রবাবু। অথচ শুধু একা নন দস্তুরমতো সস্ত্রীক বেঁচে আছেন এখনও । যেন এক অবাক রূপকথা । এদিক ওদিক তাকিয়ে কুঁচকে যাওয়া ত্বকে মৃদু চিমটি কেটে পরখ করেন অস্তিত্ব। সব কথা আজকাল মনে রাখতে পারেন না দুজনেই। এ নিয়ে মাঝে মাঝে খটাখটিও লেগে যায়। অথচ পুরোনো সব কথা কেমন ছবির মতো যেন সেঁটে আছে মস্তিষ্কে। দৃশ্যপট কিছুই হারিয়ে যায়নি , পুঙ্খানুপুঙ্খ ভেসে ওঠে এমনকি খোলা চোখেও। শীতের সকালে বারান্দায় পেতে রাখা দুটি পাশাপাশি চেয়ারে চা - পর্ব সারেন অরিত্র - দম্পতি। সর্বক্ষণের সহায়িকা মায়া সবদিক গুছিয়ে রাখে পরিপাটি করে। খোলা বারান্দায় সরাসরি না এলেও পুরোটা সকাল উঠোন জুড়ে যেন হেসে খেলে বেড়ায় মিষ্টি রোদ । সে ই উত্তাপেই সূর্যস্নান সারা হয়ে যায় সস্ত্রীক অরিত্রবাবুর। আজ ক ’ দিন ধরে মনের মধ্যে এক চোরা অশান্তি। আশঙ্কাও বটে। অম্লান বেশ ক ’ দিন ধরে গোঁ ধরেছে এই ভিটেমাটি বিক্রি করে দিয়ে মা - বাবাকে নিয়ে যাবে শহরের ফ্ল্যাটে। এইতো সেদিনও ফোন করে বলল - - এ বয়সে একা একা থাকা মোটেও উচিৎ নয় বাবা । আমারও অবসরের দিন ঘনিয়ে আসছে। এমনকি তোমার নাতি - নাতিনী দুটিও এবার রো...
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা