পুজো মানেই তো স্মৃতিচারণ। মানুষের বয়স যত বাড়ে ততই পুজোর বিবর্তন দেখে দেখে কৈশোরাভিমুখী হয় মন। ফেলে আসা দিন সততই সুখকর। তা সে যতই কঠিন হোক না কেন। কাঠিন্যও যে সদাই ঊর্ধ্বমুখী। পুরোনো কাঠিন্যকেই তাই অগ্রাধিকার দেয় মানুষ। একসময় ওটা আর কাঠিন্য হয়ে না থেকে এক প্রাপ্তি হিসেবে জায়গা করে নেয় অন্তরে। সেই যে কথায় আছে - Failure is the pillar of success. অর্থাৎ এক সময় যা ছিল অপ্রাপ্তি, পরবর্তীতে তাই যেন মনে হয় প্রাপ্তিসোপানের প্রথম ধাপ। এটা এক ধরনের প্রবৃত্তিগত অবস্থান। মাইলের পর মাইল পায়ে হেঁটে পুজো দেখার ঝক্কিও তাই আজকের চারচাকার গাড়ি করে পুজো দেখার আরামের চাইতে ভালো বলে বোধ হয়। আমরা যারা ষাট থেকে আশির দশকে জন্মেছি, যারা গ্রাম এবং শহরের পুজোর তারতম্য উপলব্ধি করেছি, যারা সাত্ত্বিকতার অবনমন ও তামসিকতার বাড়বাড়ন্ত দেখে আসছি - আমাদের মননে অতীতের পুজোর গরিবি আয়োজনই ছিল অপেক্ষাকৃত সুখকর। সেই পুজোয় আড়ম্বর হয়তো ছিল না কিন্তু ভক্তি ছিল, পুণ্যার্জনের বাসনা ছিল। অনুভব যত বাড়ছে অনুভূতির পারদও বাড়ছে ততই। এহ বাহ্য। আমাদের কাশফুল ছিল না, ছিল শিউলি বা শেফালি। ছিল ভোরের শিশিরকণায় স্নাত শিউলি কুড়োনোর আনন্দ। চর্চায়...
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা