(১)
কী যেন আড়াল করে রাখি আজীবন
বুজে রাখি দু’চোখের পাতা
একদিন ছাই হবে
সত্তা,
ফুসমন্তর হবে
সব কথা।
তাসের ঘরে বসে আর যাই হোক
যাপন কথা তো রাখা যায় না লিখে।
জীবন মানেই কালের বিস্মরণ
এ অমোঘ সত্য - জানে বা ক’জন ?
(২)
কিছু মুখ ফিরে ফিরে আসে বার বার
অন্তর-নয়নে ভাসে ছবি আপাদমস্তক
পারি না ফেরাতে
তারে কিছুতে
কিছু সরল পাটিগণিত পারি না মেলাতে।
এমনই ব্যর্থ যাপন, রুদ্ধ বাতায়ন
এ মনই হল শেষে
কাল
মন বাতায়ন কে আর পেরেছে খুলে দিতে
জানতে কিংবা অজানিতে ?
(৩)
যে কথা যে মুখ রোজ আসে মনজানালায়
হয়তো সে কিছু নয়, কিছুই নয়
অথচ অযথা কম্পিত তনু মন
এই তো কিমাশ্চর্যম্, রহস্য যাপন।
নিথর থর জুড়ে দেখেছি যে বালুকা
চোখে হারাই তারে সাগর সৈকতে
গরাদে হাত রেখে ক্ষণিকের কত স্ন্যাপশট
দাঁড়ায় চকিতে এসে, বাজে ছায়ানট।
(৪)
নিজেকে দেখে দেখেই যায় আধেক জীবন
‘তুমি’ যে কী, সে আমি কী বা জানি ?
শেষের বেলায় শেষে দরোজায় মৃদু করাঘাত
হা-হুতাশ আর শুধু হত, গত মিঠে মধুরাত।
পাহাড়িয়া পথ ধরে যত আসা যাওয়া
মন্দমধুর যত ইতিউতি পাথুরে যাপন
সব ছবি জমে থাকে পথের ধুলায়
চোখে এসে বিঁধে শেষে জ্বালায়, পোড়ায়।
(৫)
বসন্ত শেষেই আসে তীব্র দহন
জেনেও হৃদয়পুরে জমে থাকে আশা
দিনশেষে ঝরে পড়ে আকাশ-কুসুম
রাতের বিছানা
জুড়ে স্বপ্নিল ঘুম।
ইচ্ছেদের কে আর কবে পেরেছে দমাতে
অলীক জেনেও তাই আসে ফিরে ফিরে
না চাওয়ার ফাঁক গলে বিমর্ষ বেলায়
রোজ রাতে মেতে উঠি অবৈধ খেলায়।
(৬)
কে আর হিসেব রাখে বসন্ত বর্ষার
সব কথা একদিন হবেই তো ছাই
তবু যে যায় না বলা সে কথাই সার
ভস্মবেলায় এসে জীবনই অসার।
এসো মধুমক্ষিকা, এসো যত বন্ধু সুদামা
আমাদের বেলা হোক সুখ সমাপন
ছবি হবে এ জীবন, তাই আজ মন উতলা
বুকে ধরে ছবি আজ - রাখি সব বাতায়ন খোলা।
কী যেন আড়াল করে রাখি আজীবন
বুজে রাখি দু’চোখের পাতা
তাসের ঘরে বসে আর যাই হোক
যাপন কথা তো রাখা যায় না লিখে।
জীবন মানেই কালের বিস্মরণ
এ অমোঘ সত্য - জানে বা ক’জন ?
(২)
কিছু মুখ ফিরে ফিরে আসে বার বার
অন্তর-নয়নে ভাসে ছবি আপাদমস্তক
কিছু সরল পাটিগণিত পারি না মেলাতে।
এমনই ব্যর্থ যাপন, রুদ্ধ বাতায়ন
মন বাতায়ন কে আর পেরেছে খুলে দিতে
জানতে কিংবা অজানিতে ?
(৩)
যে কথা যে মুখ রোজ আসে মনজানালায়
হয়তো সে কিছু নয়, কিছুই নয়
অথচ অযথা কম্পিত তনু মন
এই তো কিমাশ্চর্যম্, রহস্য যাপন।
নিথর থর জুড়ে দেখেছি যে বালুকা
চোখে হারাই তারে সাগর সৈকতে
গরাদে হাত রেখে ক্ষণিকের কত স্ন্যাপশট
দাঁড়ায় চকিতে এসে, বাজে ছায়ানট।
(৪)
নিজেকে দেখে দেখেই যায় আধেক জীবন
‘তুমি’ যে কী, সে আমি কী বা জানি ?
শেষের বেলায় শেষে দরোজায় মৃদু করাঘাত
হা-হুতাশ আর শুধু হত, গত মিঠে মধুরাত।
পাহাড়িয়া পথ ধরে যত আসা যাওয়া
মন্দমধুর যত ইতিউতি পাথুরে যাপন
সব ছবি জমে থাকে পথের ধুলায়
চোখে এসে বিঁধে শেষে জ্বালায়, পোড়ায়।
(৫)
বসন্ত শেষেই আসে তীব্র দহন
জেনেও হৃদয়পুরে জমে থাকে আশা
দিনশেষে ঝরে পড়ে আকাশ-কুসুম
ইচ্ছেদের কে আর কবে পেরেছে দমাতে
অলীক জেনেও তাই আসে ফিরে ফিরে
না চাওয়ার ফাঁক গলে বিমর্ষ বেলায়
রোজ রাতে মেতে উঠি অবৈধ খেলায়।
(৬)
কে আর হিসেব রাখে বসন্ত বর্ষার
সব কথা একদিন হবেই তো ছাই
তবু যে যায় না বলা সে কথাই সার
ভস্মবেলায় এসে জীবনই অসার।
এসো মধুমক্ষিকা, এসো যত বন্ধু সুদামা
আমাদের বেলা হোক সুখ সমাপন
ছবি হবে এ জীবন, তাই আজ মন উতলা
বুকে ধরে ছবি আজ - রাখি সব বাতায়ন খোলা।
Comments
Post a Comment