চর্যাপদ যুগ থেকেই বাংলা সাহিত্যে ত্রিপুরার অবস্থান সুস্পষ্ট। রাজন্য আমলে তা বিকশিত হয়েছে নিরন্তর। পরবর্তীতে রবীন্দ্র-সান্নিধ্যে গরিমান্বিত হয়েছে এই পথচলা। একটি ভাষাসাহিত্যের বয়োবৃদ্ধিতে লেগে যায় বহু কাল। সে ইতিহাস বড়ই সুখপাঠ্য। পদ, কাব্য, গদ্য থেকে শুরু করে কাহিনি ও উপন্যাসের সৃষ্টিকথা একদিকে যেমন অবশ্যজ্ঞাতব্য, অন্যদিকে এই ধারাবাহিকতার ইতিহাস নিজেই হয়ে ওঠে ভাষাসাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ। সেই সম্পদের পুনরাবলোকনের লক্ষ্যেই সম্প্রতি স্রোত সাহিত্য পরিবারের উদ্যোগে এবং কবি, লেখক, সম্পাদক গোবিন্দ ধরের সম্পাদনায় সংস্থার রজত জয়ন্তী বর্ষে পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার কুমারঘাট থেকে একযোগে প্রকাশিত হয়েছে পাঁচশতাধিক পৃষ্ঠার সম্পাদনা গ্রন্থ - ‘স্রোত - ত্রিপুরার উপন্যাস সংখ্যা’। ত্রিপুরা রাজ্যের উপন্যাস সৃষ্টির গোড়ার কথায় ‘স্রোতকথা’ শীর্ষক অবতরণিকায় রয়েছে সেই ইতিহাসকথা - ‘প্রায় শতবর্ষ আগে একটি উপন্যাস ছাপা হয়েছিল ত্রিপুরায়, এই কথা ভাবলেই ভালো লাগে। ….’রবি’ পত্রিকা সে দায়িত্ব নিয়ে ত্রিপুরাকে গৌরবান্বিত করল। আজও ‘রবি’র এই দায়িত্ব আমাদের সময়কে আলোকিত করে। ...১৮৯০ সালে ত্রিপুরার প্রথম লিটল ম্যাগাজিন ‘ত্রিপুর...
ডুয়ার্স থেকে জাটিঙ্গা , বরাকের পথ বেয়ে কবিতার ধারা বয়ে এসেছে যেন । তিস্তাপারের তরুণ কবি সায়ন্তন ধরের প্রথম কবিতার বই ‘ আঁচল ’ নানা রঙের এক কবিতা - কোলাজ , যে কোলাজে সবুজ হয়ে উঠেছে মণি মরকতের মতো উজ্জ্বল । উদ্ভিদবিদ কবি উত্তরপূর্বে , ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে কর্মরত । স্বভাবতই বিজ্ঞান , ভাষা , মাতৃভাষা , ফেলে আসা দিনের স্মৃতি রোমন্থন , শান্তি - সম্প্রীতির অন্বেষণ , বন্ধুকৃত্য আদি বিষয়কে কবিতায় ধরে রাখলেও সায়ন্তন যেন গাছগাছালি , ফুল ফল , মাটি , অরণ্য আর প্রকৃতির কাছেই আত্ম - সমর্পিত । প্রকৃতির রূপমাধুর্য , সবুজ , অরণ্য ও নদী , তিস্তা , ডুয়ার্স থেক সান্দাক্ ফু , মেঘালয় থেকে সুন্দরবন , পাহাড় , বরফ , ডিমা হাসাও থেকে জাটিঙ্গা হয়ে বরাক পর্যন্ত প্রকৃতির নেশায় বিভোর কবির এই কাব্যগ্রন্থটি যেন প্রকৃতির আঁচলে বসে লেখা এক প্রকৃতিবন্দনা । স্বাভাবিক অর্থেই এক সার্থক গ্রন্থনাম । প্রকৃতি ছোঁয়া পেতে কবি তাই ছুটে বেড়ান এদিক ওদিক । ট্রেনের কামরায় জানালার পাশে বসে তিনি লিখেন রূপগাথা - চলন্ত ট্রেনের জানালা যেন এক চলন্ত লাইব্রেরি … পাতা ...