সিংলা দেখেছি আমি, একদিন বিমূঢ় বিস্ময়ে
অন্তরে ধুকপুক প্রথম প্রেমের, এই কি নদী ?
ঝাড়পথে কুলু কুলু, এত জল, এ স্রোতধারা
কোথা হতে কোথা যায় আমি বাকহারা।
এরপর একদিন ধলেশ্বরী তীরে তীরে
হেঁটেছি আনমনে ছুটন্ত বলাকার সাথে
জুড়িয়েছি চোখ, দৃষ্টি নিবদ্ধ দূর পারে
যেমন চলেছি সযতনে, মায়ের হাতটি ধরে।
বরাক দেখেছি আমি উদ্ভাসিত স্ফীতচোখে
মাঝনদী ভরাজল মাঝিদের বইঠা ও নাও
ভেঙে চুরে গেছে সব বেহিসেবি কল্পনা ফানুস
এপারে একা আমি, ওপারে পিঁপড়ে মানুষ।
সেই আমি একদিন পড়েছি বহুধারা প্রেমে
কুশিয়ারা, মনু থেকে রাঙানদী, দিহিং-এর পাড়ে
কত কথা মহানদী, যমুনা ও বিপাশার সাথে
গঙ্গা, পদ্মা হয়ে কপিলী ও ধনশিরি পথে।
সিংলা পাড়ের ছেলে’ থিতু হতে একদিন শেষমেশ
এ কোন দোসর এল যাপন বেলার শেষে
ভালোবেসে একটুকু দিয়েছে ঠাঁই, বাড়ায়ে দু’বাহু
কল্পনা অগোচরে থাকা মগ্ন মৌন মহাবাহু।
হেঁটেছি আনমনে ছুটন্ত বলাকার সাথে
জুড়িয়েছি চোখ, দৃষ্টি নিবদ্ধ দূর পারে
মাঝনদী ভরাজল মাঝিদের বইঠা ও নাও
ভেঙে চুরে গেছে সব বেহিসেবি কল্পনা ফানুস
এপারে একা আমি, ওপারে পিঁপড়ে মানুষ।
কুশিয়ারা, মনু থেকে রাঙানদী, দিহিং-এর পাড়ে
ভালোবেসে একটুকু দিয়েছে ঠাঁই, বাড়ায়ে দু’বাহু
Comments
Post a Comment