Skip to main content

Posts

Showing posts from August, 2025

গদ্যে পদ্যে নিবেদিত জ্যোতির্ময় রায় স্মৃতিচারণ সংখ্যা ‘সীমান্তরশ্মি-১০’

‘জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা কবে…।’ মৃত্যু জীবনেরই এক স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। জীবনের শেষ ঘটনা। সমাপন না থাকলে কি আর যাপন পূর্ণতাপ্রাপ্ত হয় ? তাই মৃত্যু এক অনিবার্য প্রক্রিয়া। প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে অজস্র মানুষ এই পৃথিবীর মায়া কাটিতে পাড়ি দিচ্ছেন পরলোকে। কতজন আর সবার হৃদয়ে থেকে যান চিরতরে ? কিন্তু গৌরবে, বৈভবে যে ক’জন মানুষ থেকে যান তার মধ্যে সদ্যপ্রয়াত জ্যোতির্ময় রায় অন্যতম। জন্মসূত্রে বরাকের সন্তান হলেও কর্মসূত্রে এবং স্বভাবতই বসতিসূত্রে তিনি পার্শ্ববর্তী রাজ্য ত্রিপুরার বাসিন্দা ছিলেন। উত্তর ত্রিপুরার ধর্মনগরের ‘ছন্দনীড়’ ভবনের বাসিন্দা এবং সমৃদ্ধ ছোটপত্রিকা ‘প্রজন্ম চত্বর’-এর সম্পাদক জ্যোতর্ময় সত্যিকার অর্থেই ছিলেন জ্যোতির্ময়। ব্যক্তিগত জীবনে উচ্চশিক্ষিত তিনি সাহিত্য সংস্কৃতির জগতে এক ছাপ রেখে যেতে পেরেছেন স্বকীয়তায়, উৎকর্ষে। তাঁর অসাধারণ প্রজ্ঞা ও বাগ্মিতা সর্বজনপ্রিয় ছিল। সমধুর কণ্ঠে সুচয়িত বিষয়ের উপর তাঁর ভাষণ যাঁরা শুনেছেন - কোনোদিনই ভুলবেন না। আচার ব্যবহারে, আন্তরিকতায়, গল্পগুজবে সিদ্ধহস্ত নিপাট ভদ্রলোক এই মানুষটির প্রয়াণে স্বভাবতই মুহ্যমান সাহিত্য সংস্কৃতির জগৎ। তাঁরই স্মৃতিত...

সৌকর্য ও উৎকর্ষের সমাহার ‘কবিতাসংগ্রহ -১’

কোনও একজন মানুষের নয় শুধু, বয়স বাড়ছে পৃথিবীরও। স্বভাবতই পরিবর্তনশীল এই পৃথিবীতে থাকা জীবন ও জীবনধারণের শৈলীও বদলে যাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে এই নিত্য নতুন পরিবর্তনই আজ একরকম নেশা হয়ে পড়েছে মানুষ নামের প্রাণীটির। বদলে যাচ্ছে চলনবলন, বদলে যাচ্ছে মানবিকতা, তাল মিলিয়ে বদলে যাচ্ছে অনুষঙ্গের প্যাটার্নও। সুতরাং সাহিত্য সংস্কৃতির প্যাটার্নও যে বদলাবে তাতে কোনো সন্দেহ থাকার কথা নয়। সে যুগধর্মের সূত্র ধরেই কবিতার রূপ পরিবর্তন আমাদের চোখের সামনে প্রোজ্জ্বল। বিদেশি কিংবা ভারতীয় অন্যান্য ভাষার কথা বাদ দিয়ে বাংলা কবিতার এই ক্রমপরিবর্তনশীল ধারার সঙ্গে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। বোধগম্যতার বিতর্কিত বিষয়টি বাদ দিয়েই বলা যায় কবিতার শৈলী কিংবা ধারা আজ বহুনুখী। বহুধাবিচিত্র। সাহিত্যের মূল নির্ণায়ক অনুষঙ্গ পাঠকের কাছে কবিতার গ্রহণযোগ্যতাও তেমনি বহুধাবিভক্ত। সুতরাং একটি কবিতা ভালো নাকি খারাপ, বিচারের সেই রায়ও সমভাবে গ্রহণযোগ্য হয়ে থাকেনি আর। সেক্ষেত্রে একজন কবির কাছে কোনও এক বিশেষ ধারায় নিজেকে ব্যতিব্যস্ত রাখার দিনও আর নেই। তবু প্রত্যেক কবির স্বত:স্ফুর্ত একরৈখিকতা এক অনিবার্য বৈশিষ্ট্য হওয়া সত্ত্বেও বহুরৈখিক সৃষ্টি ...

তথ্যে, নান্দনিকতায়, বিনম্র স্মৃতিচারণে উজ্জ্বল ‘আলোহাওয়া ১৮তম সংখ্যা’

একটি পত্রিকা যদি সমাজের দর্পণ হয় তাহলে একটি লিটল ম্যাগাজিন বা ছোটপত্রিকা হল সমকালিক সাহিত্যের দর্পণ। এই ভাবধারাকে আক্ষরিক অর্থেই প্রাঞ্জল সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে বরাক উপত্যকার হাইলাকান্দি শহর থেকে প্রকাশিত হয়েছে ‘সাহিত্য শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ক’ পত্রিকা ‘আলোহাওয়া’র ১৮তম সংখ্যা - ২৪তম বর্ষ, বইমেলা, পৌষ ১৪৩১ - ডিসেম্বর ২০২৪ সংখ্যা। নানারকম বাধ্যবাধকতায় পাঠকের দরবারে পৌঁছোতে যদিও মাসতিনেক বিলম্ব হয়েছে তবু বলা যায় এমন নান্দনিক একটি সংখ্যা দেরিতে হলেও আখেরে ‘সবুরে মেওয়া ফলে’ পাঠকের। কবি জিতেন্দ্র নাথ সম্পাদিত এই সংখ্যাটি প্রকাশিত হয়েছে ‘অপরাজিত বিজিৎকুমার ভট্টাচার্য স্মরণ সংখ্যা’ হিসেবে। প্রয়াত বিজিৎকুমার ভট্টাচার্য এ অঞ্চলের সাহিত্যক্ষেত্রে যে অবদান রেখে গেছেন তা চিরস্মরণীয়। বলতে গেলে ‘সাহিত্য’ শব্দটির স্বরূপ উদ্ঘাটন করেছেন তিনি অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও নিবেদনের মাধ্যমে। তাঁর দেখানো পথে একদিকে যেমন ঋদ্ধ হয়েছে সাহিত্যের ভাণ্ডার অন্যদিকে পাদপ্রদীপের আলোয় উঠে এসেছেন একাধিক কৃতী কবি, সাহিত্যিক। চূড়ান্ত দক্ষতায় পত্রিকাটিকে বৈভব প্রদান করেছেন সম্পাদক তাঁর সবটুকু প্রচেষ্টা উজাড় করে দিয়ে। সম্পাদকীয়ত...