‘জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা কবে…।’ মৃত্যু জীবনেরই এক স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। জীবনের শেষ ঘটনা। সমাপন না থাকলে কি আর যাপন পূর্ণতাপ্রাপ্ত হয় ? তাই মৃত্যু এক অনিবার্য প্রক্রিয়া। প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে অজস্র মানুষ এই পৃথিবীর মায়া কাটিতে পাড়ি দিচ্ছেন পরলোকে। কতজন আর সবার হৃদয়ে থেকে যান চিরতরে ? কিন্তু গৌরবে, বৈভবে যে ক’জন মানুষ থেকে যান তার মধ্যে সদ্যপ্রয়াত জ্যোতির্ময় রায় অন্যতম। জন্মসূত্রে বরাকের সন্তান হলেও কর্মসূত্রে এবং স্বভাবতই বসতিসূত্রে তিনি পার্শ্ববর্তী রাজ্য ত্রিপুরার বাসিন্দা ছিলেন। উত্তর ত্রিপুরার ধর্মনগরের ‘ছন্দনীড়’ ভবনের বাসিন্দা এবং সমৃদ্ধ ছোটপত্রিকা ‘প্রজন্ম চত্বর’-এর সম্পাদক জ্যোতর্ময় সত্যিকার অর্থেই ছিলেন জ্যোতির্ময়। ব্যক্তিগত জীবনে উচ্চশিক্ষিত তিনি সাহিত্য সংস্কৃতির জগতে এক ছাপ রেখে যেতে পেরেছেন স্বকীয়তায়, উৎকর্ষে। তাঁর অসাধারণ প্রজ্ঞা ও বাগ্মিতা সর্বজনপ্রিয় ছিল। সমধুর কণ্ঠে সুচয়িত বিষয়ের উপর তাঁর ভাষণ যাঁরা শুনেছেন - কোনোদিনই ভুলবেন না। আচার ব্যবহারে, আন্তরিকতায়, গল্পগুজবে সিদ্ধহস্ত নিপাট ভদ্রলোক এই মানুষটির প্রয়াণে স্বভাবতই মুহ্যমান সাহিত্য সংস্কৃতির জগৎ। তাঁরই স্মৃতিত...
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা