তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়, সে কি মোর অপরাধ? চাঁদেরে হেরিয়া কাঁদে চকোরিণী বলে না তো কিছু চাঁদ।। চেয়ে’ চেয়ে’ দেখি ফোটে যবে ফুল ফুল বলে না তো সে আমার ভুল মেঘ হেরি’ ঝুরে’ চাতকিনী, মেঘ করে না তো প্রতিবাদ।। জানে সূর্যেরে পাবে না তবু অবুঝ সূর্যমুখী চেয়ে’ চেয়ে’ দেখে তার দেবতারে দেখিয়াই সে যে সুখী। হেরিতে তোমার রূপ–মনোহর পেয়েছি এ আঁখি, ওগো সুন্দর। মিটিতে দাও হে প্রিয়তম মোর নয়নের সেই সাধ। কৈশোরোত্তীর্ণ কালে অ্যাভারেজ পুরুষের প্রিয় গানগুলির তালিকায় এই নজরুলগীতিটিও এক অবধারিত অন্তর্ভুক্তি। স্বভাবতই সুকান্তবাবুও অন্যথা নন। যতবার শুনতেন ততবারই অভিভূত হয়ে পড়তেন। এত বাস্তব, অন্তর নিংড়ে নেওয়া এতখানি সত্যকথন নিয়ে সুরে সুরে এক অসামান্য গান নজরুলের। প্রকৃতার্থেই এক নিখাদ প্রেমের কবি নজরুল। রবীন্দ্রনাথকে বোঝে ওঠার বয়স তখনও হয়নি সুকান্তবাবুর। নজরুল তাই তাঁর হৃদয়ের বেশিটুকু নিয়ে বসত করেন নিতিদিন। ### ‘গণেশ নগর - লতাকাটা…, গণেশ নগর - লতাকাটা…’ বলে চেঁচিয়ে না হলেও মোটামুটি উচ্চৈ:স্বরে হাঁক পাড়ছিল ড্রাইভার। সকাল আর দুপুরের মাঝখানে এক রিক্ত প্রহরের সৃষ্টি হয় প্রতিদিন। লোকজনের কর্মচঞ্চলতা যে কিছু স...
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা