Skip to main content

Posts

Showing posts from November, 2025

৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ সংখ্যা ‘মিলন’

একটি পত্রিকা প্রকাশের দায়ভার কতটা তা সম্পাদকমাত্রেই বোধগম্য। আর সেই পত্রিকাটি যদি প্রকাশিত হয় মেঘালয়ের ‘তুরা’ নামক প্রত্যন্ত স্থান থেকে তাহলে সম্পাদকের শ্রম ও নিগূঢ় অধ্যবসায়ের বহর অনুমান করা সাধারণ মানুষের পক্ষে নিঃসন্দেহে কষ্টসাধ্য। সেই অসাধ্য কাজটিই দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে করে আসছেন ‘মিলন’ নামক এ অঞ্চলে বহু পরিচিত একটি বার্ষিক পত্রিকার সম্পাদক বিশ্বজিৎ নন্দী। লেখালেখির সঙ্গে প্রত্যক্ষ জড়িত থাকার ফলে তাঁর এই গরজ স্বাভাবিক অর্থেই আকাশছোঁয়া। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ‘মিলন’ পত্রিকার চার দশক পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ সংখ্যা - ২০২৫। প্রাসঙ্গিক প্রবন্ধ-নিবন্ধের বাইরেও রয়েছে একগুচ্ছ কবিতা, গল্প, ছোটগল্প ইত্যাদি। স্বচ্ছ, সটান সম্পাদকীয়তে স্পষ্টভাষ্যে উচ্চারিত হয়েছে এক প্রান্তীয় অঞ্চল থেকে পত্রিকা প্রকাশের বহুবিধ সমস্যা ও তা কাটিয়ে ওঠার এক দুর্বার প্রয়াসের কথা। রয়েছে পত্রিকার মান নিয়ে আপসহীন বক্তব্য। পত্রিকার আলোচ্য সংখ্যাটির প্রথম লেখা হিসেবে রয়েছে ‘বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব’ বিভাগে রাজকুমার সরকার (ঝাড়খণ্ড)-এর একটি চমৎকার রচনা - ‘কমল চক্রবর্তী ও তাঁর হাতে গড়া ‘ভালোপাহাড়”। বঙ্কিম পুরস্কারপ্রাপ্ত সাহিত্যিক কমল চক্...

ব্যতিক্রমী আঙ্গিকে অনবদ্য গল্পজীবনী

জীবনের বেশির ভাগ সময় নাগাল্যান্ডের ডিমাপুর শহরে কাটালেও গল্পকার সুব্রত দত্ত বর্তমানে আসামের বাসিন্দা । সহজ , সরল গদ্যের হাতটি তাঁর বরাবরই সাবলীল - তা সে ভ্রমণ কাহিনিই হোক বা ছোটগল্প কিংবা মুক্ত গদ্য । একাধিক রচনা প্রকাশিত হলেও পাদপ্রদীপের আলোয় না আসার মূল কারণ হচ্ছে তাঁর প্রচারবিমুখতা । সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তাঁর প্রথম ছোটগল্পের সংকলন ‘ জলসাঘরের বিস্মৃত নায়ক ’ । ৩১১ পৃষ্ঠার বিশাল গ্রন্থটিতে রয়েছে মোট ২০টি গল্প । কিন্তু নিছক গল্প সংকলন হিসেবে একে অভিহিত করা যাবে না মোটেও । এটি আসলে একটি নন - ফিকশনাল অটোবায়োগ্রাফি । একটি কালানুক্রমিক ঘটনাসমূহের সমাহার । সচরাচর এমন ব্যতিক্রমী আঙ্গিকের গ্রন্থ প্রকাশিত হতে দেখা যায় না এ অঞ্চলে । সেদিক থেকে নিতান্তই এক ব্যতিক্রমী প্রকাশ । বাংলা সাহিত্যে এমন কিছু কালজয়ী রচনার হদিশ পাওয়া যায় । প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী তালিকায় রয়েছে রাসসুন্দরী দেবীর ‘ আমার জীবন ’, শামসুর রহমানের ‘ স্মৃতির শহর ’, কালের ধুলোয় লেখা ’, বুদ্ধদেব বসুর ‘ আমার ছেলেবেলা ’, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘ অর্ধেক জীবন ’ ইত্যাদি । সুবল চরিত্রটির মাধ্যমে গল্পকার তাঁর জীবনে আরব্ধ অভিজ্ঞ...

এক কবিদম্পতির যৌথ কাব্যগ্রন্থ

সময়কে ধরে রাখার বুকভরা আকুলতা , আবেগ অনুভূতির সংমিশ্রণে লেখা কবিতাগুচ্ছের সংকলন ‘ অনাবৃত বক্ষের আঘ্রাণ ’ । জুলাই ২০২৫ - এ প্রকাশিত হল গ্রন্থের দ্বিতীয় পরিমার্জিত সংকলন । কবিদম্পতি পরিমল ও জয়ন্তী কর্মকারের এই যৌথ কাব্যগ্রন্থটি কিছুটা হলেও যে ব্যতিক্রমী তা অস্বীকার করা যায় না । ৫২ পৃষ্ঠার পেপারব্যাকে ধরে রাখা আছে পরিমল কর্মকারের ৩০টি ও জয়ন্তীর ১০টি কবিতা । কবিতায় প্রবেশ করার আগে গ্রন্থসজ্জায় মনোনিবেশ করলে দেখা যায় পিতা - পুত্র পরিমল ও প্রীতমের একটি অতীব নান্দনিক প্রচ্ছদ পরিকল্পনা ও অলংকরণ যা এক নজরেই পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম । ‘পাঠকের উদ্দেশে’ কবিদম্পতি লিখছেন - ‘...প্রতিদিনের কর্মব্যস্ততার জীবনে প্রশান্তির আলো এনে দেয় কবিতার ভাবনা... কবিতা বুননের ভাবনা মন মন্দিরের চাষ করতে করতে উর্বর হয়ে একের পর জন্ম নিচ্ছে কবিতা। আর সেই সৃষ্টির ফসল পাঠকের ভাবনার আন্তরিকতায় এগিয়ে যাচ্ছে মন মন্দিরের সাধনা...।’ আবার পশ্চিমবঙ্গ থেকে কবি, লেখক ড. অমিত চট্টোপাধ্যায় ‘শুভেচ্ছা বার্তা’য় লিখছেন - ‘...পরিমলবাবু ও জয়ন্তী কর্মকার কবিতার প্রতি নিবেদিত প্রাণ। তাঁদের কবিতার মধ্য দিয়ে ফুটে ওঠে জীবনের কথা, ম...

বিবর্তন

তপ্ত দীর্ঘ ছুটির দিনের অবসরময় শেষবিকেলে উঠোনের এক ধারে পরিণত আমগাছটির বিলীয়মান ছায়ায় বসে নীরবে আকাশ পানে তাকিয়ে থাকে নম্রতা । যাপিত জীবনের নানা কথা এসে জড়ো হয় মনের মধ্যে। এক একটি বিমূর্ত চরিত্র যেন মূর্ত হতে থাকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। কিন্তু নম্রতার জীবনের সবচাইতে বর্ণিল , সবচাইতে আকর্ষণীয় চরিত্র কিছুতেই যেন মূর্ত হতে চায় না। সন্ধ্যা হতে না হতেই কালো হতে থাকা আকাশের লক্ষ কোটি উদীয়মান তারার মাঝে কিছুতেই খুঁজে পায় না তাঁকে। মনখারাপের ঘোর লাগা আবেশে শান্ত গগনে খুঁজে বেড়ায় সেই প্রশান্ত মুখচ্ছবিটা। কেমন করে যে হারিয়ে যায় সব ভালো লাগা মুখগুলো। বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকতে পারে না এভাবে। মনের অতল থেকে অশ্রুধারা ঝরতে থাকে দু ' চোখ বেয়ে। ঝাপসা হয়ে যায় প্রকৃতি, আকাশ । ধীরে ধীরে মনগগনে ভেসে ওঠে সেই প্রতিচ্ছবি , সেই আদুরে কণ্ঠস্বর । “ তোর সেই শৈশবের কবিতাগুলো সব কোথায় হারিয়ে গেল রে নমি ?” ঘোরের মধ্যে থেকেও যেন চমকে ওঠে নম্রতা । কবিতা ? তাই তো। কবে কোথায় কীভাবে যে হারিয়ে গেল দিনগুলো বোঝে উঠতে না উঠতেই তো শুরু হয়ে গেল মাটিতে দাঁড়ানোর লড়াই। এই পৃথিবীতে আজ যে দাঁড়াবার জায়গা নেই এতটুকু। চারদিকে শুধু ...

জীবন্ত কিংবদন্তির প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য - ‘অপার সুকুমার’

শ্রী সুকুমার বাগচি। উত্তরপূর্বের সাহিত্য, সংস্কৃতির জগতে সুকুমারবৃত্তির এক অন্য নাম। সুনির্দিষ্ট এক সময়কালে এই অঞ্চলে সুগন্ধী সমীরণের মতো তাঁর আগমন এবং অবস্থান শেষে উত্তরসূরিদের জন্য এক চিরস্থায়ী ছাপ রেখে তিনি বর্তমানে মুম্বাইয়ের বাসিন্দা। ছাপ এতটাই প্রকট যে এক স্পষ্ট ব্যতিক্রম হিসেবে সম্প্রতি তাঁকে নিয়েই প্রকাশিত হয়েছে গুয়াহাটি থেকে সাহিত্যিক, সম্পাদক তুষারকান্তি সাহার সম্পাদনায় প্রকাশিত ‘মজলিশ সংলাপ’ পত্রিকার ১৫৮তম সংখ্যা - ‘অপার সুকুমার’, যে সংখ্যাটির আমন্ত্রিত সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন বিশিষ্ট লেখক, রম্যরচনাকার মদনগোপাল গোস্বামী। ‘শেষের পাতা’য় সম্পাদক লিখছেন - ‘…উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শুদ্ধভাবে বাংলাভাষা চর্চা ও বানান-উচ্চারণ সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী ও লেখক শিল্পী মহলে যে ব্যাপক সচেতনতা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে তার নেপথ্যে তৎকালীন দুটি বাংলা দৈনিকের দায়িত্ববান সম্পাদক সুকুমার বাগচির অবদানকে কোনোমতেই অস্বীকার করা যাবে না। …এমন একজন মানুষ যখন জীবনের উপান্তে পৌঁছেও নিজভূমি থেকে দূর-প্রবাসে অবস্থান করে শুধুমাত্র মাতৃভাষার সার্বিক শুদ্ধতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে সাধনার পর্যায়ে কর্মে ব্রতী থাক...

অভিনয়যোগ্য একাঙ্ক নাট্যসংকলন ‘রঙ্গমঞ্চে একা’

সাহিত্যের প্রচলিত ধারাসমূহের মধ্যে এক বিশেষ স্থানের অধিকারী হচ্ছে নাট্যসাহিত্য। এক সময় বিভিন্ন ভাষায় রচিত হয়েছে একাধিক বিখ্যাত, সাড়া জাগানো এবং মঞ্চ সফল নাটক। এক থেকে পাঁচ অঙ্কের নাটক অভিনীত হয়েছে বিখ্যাত সব মঞ্চে। ইতিহাস ঘাটলে উঠে আসে সেসব যদিও এই ধারাটি যে বর্তমানে অনেকটাই স্তিমিত তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এর মূল কারণ চলচ্চিত্রের এবং একের পর এক মাধ্যমের ও নানা আঙ্গিকের আবিষ্কার। বাংলা ভাষায়ও রয়েছে একাধিক নাটক যেগুলো লিপিবদ্ধ রয়েছে সাহিত্যের ইতিহাসে। সেসব নামোল্লেখের প্রয়োজন নেই। কিন্তু আজকের দিনে সেভাবে নাটক আর রচিত হচ্ছে না যদিও বিলুপ্ত হয়ে যায়নি একেবারেই। তারই উদাহরণ সদ্য প্রকাশিত সাতটি একাঙ্ক নাটকের সংকলন ‘রঙ্গমঞ্চে একা’। নাট্যকার বিশিষ্ট লেখক ঋতা চন্দ। মূলত কবি, গল্পকার হিসেবে স্বীকৃত হলেও এটি তাঁর দ্বিতীয় নাটকের বই। একেবারেই একটি ব্যতিক্রমী কাজ যে করেছেন তিনি তাতে কোনও সন্দেহ থাকার কথা নয়। ৯০ পৃষ্ঠার এই সংকলনে রয়েছে একাধিক দৃশ্য সংবলিত সাতটি একাঙ্ক নাটক। ছোট থেকে বড়দের দ্বারা অভিনয়যোগ্য বিভিন্ন বিষয়ের উপর এই নাটকগুলি লেখা হয়েছে। নাটকের বিভিন্ন আঙ্গিকের মধ্যে অন্যতম প্রধান বিষয়...

ছিমছাম নান্দনিকতায় সুখপাঠ্য ‘বালার্ক’ - শারদীয়া ২০২৫

একগুচ্ছ কবিতা , শেষের পাতায় একটি সংক্ষিপ্ত গ্রন্থ আলোচনা এবং একটি দুইপৃষ্ঠাজোড়া গদ্য নিয়ে শিলচর থেকে প্রকাশিত হয়েছে বালার্ক পত্রিকার মাত্রই ২৪ পৃষ্ঠার ছিমছাম শারদীয় সংখ্যা ২০২৫ । প্রকাশকাল আশ্বিন ১৪৩২ । সম্পাদনায় রয়েছেন দুই বিশিষ্ট সাহিত্যিক অশোক বার্মা ও তপোজ্যোতি ভট্টাচার্য ( তাপস ) যদিও সেই অর্থে সম্পাদকীয় নেই । আছে যা তা হল একটি কাব্যিক দুর্গাবন্দনা । এও ব্যতিক্রমী। পৃষ্ঠাসংখ্যার বিচারে কেউ এই সংখ্যাটিকে দায়সারা ভাবতেই পারেন । এটাও ঠিক । তবে দায়সারা নয় প্রকৃতার্থেই দায় সারা , গভীর গরজের প্রতিফলন , দায় - দায়িত্বের আন্তরিক নির্বাহ । একটি শারদীয় সংখ্যা শুধু সংখ্যাই বর্ধিত করে না , অঞ্চলভিত্তিক সাহিত্যক্ষেত্রে একটি গরিমাময় সংযোজনও সূচিত করে । পৃষ্ঠাসংখ্যা সেখানে মুখ্য নয় । প্রথমেই সম্পাদকদ্বয়ের অন্যতম তপোজ্যোতি ভট্টাচার্য ‘ এ বড় বিপন্ন সময় ’ শিরোনামে লিখছেন সমকালীন পরিস্থিতির উপর একটি সংক্ষিপ্ত নিবন্ধ । অথবা বলা চলে একটি মুক্ত গদ্য । ‘...আমরা সমাজবদ্ধ জীব। ব্যক্তি যতই মননশীল বা কুশলী হোক, জীবন বয়ে চলে সামূহিক প্রজ্ঞার স্পন্দনে। নইলে সব হয়ে যায় পচাগলা বদ্ধ... ভারতবর্ষ বহুত্বব...

প্রকাশিত শারদীয় ১০ম সংখ্যা ‘তৃতীয় ভুবনের সাহিত্য

লেখা ও লেখকসংখ্যার দিক দিয়ে অসম বা বরাক উপত্যকা থেকে প্রকাশিত অবাণিজ্যিক শারদীয় সংখ্যাগুলোর মধ্যে ‘তৃতীয় ভুবনের সাহিত্য’ বরাবরই প্রথম দিকে। এবছর বাংলা ১৪৩২ সনের শারদীয় সংখ্যাটি আবার প্রকাশের ক্ষেত্রেও প্রথম। পৃষ্ঠাসংখ্যাও বর্ধিত হয়েছে আগের তুলনায়। পেপারব্যাকে স্ট্যান্ডার্ড ১/৪ ট্যাবলয়েড সাইজের ২৭৬ পৃষ্ঠার সংখ্যাটির সম্পাদক কবি, লেখক নারায়ণ মোদক। দুজন সহযোগী সম্পাদক রয়েছেন - গৌতম চৌধুরী ও সুদীপ ভট্টাচার্য, যথাক্রমে গদ্যকার ও কবি। সম্পাদকীয়তে উঠে এসেছে এই কঠিন সময়ের কথা, সাহিত্য অঙ্গনের কথা, বিশ্বাস অবিশ্বাসের কথা। সম্পাদক লিখছেন - ‘...সমাজ সংসার দেশের আদর্শচ্যুতি ঘটাতে দেশের বাইরের শত্রুর চেয়ে দেশের ভেতরের শত্রু আজ বেশি সক্রিয়। এদের প্রতিহত করার দায়িত্ব কবি লেখক সমাজ সংস্কারকদেরই নিতে হবে। শুধু মাত্র প্রেম প্রীতি আকাশ মেঘের সীমাবদ্ধতায় থাকলে চলবে না। ...ভাবতে আশ্চর্য লাগে আজ কবি লেখকের কলমে প্রকৃত মানবিক সমস্যার কথা উঠে আসে না বা লিখতে ভয় পান, পাছে নিজের সুখ স্বাচ্ছন্দ্য থেকে বঞ্চিত হয়ে যান। তবু আমি বিশ্বাস করি সময়কে ধারণ করে সময়ের কথা বলে কালজয়ী লেখা আবার আমরা পাব নবীন প্রজন্মের কাছ থ...

শিশুসাহিত্যে নবতম সংযোজন, ছড়া সংকলন - ‘ধুৎতেরিকি’

লোকসাহিত্য বা লোকসংস্কৃতির অন্যতম অঙ্গ হচ্ছে ছড়া। ছড়ার প্রধান আঙ্গিক বা অনুষঙ্গ হচ্ছে তার ছন্দ এবং স্বল্প পরিসরে বৃহৎ ভাবনা-বোধের প্রকাশ। কবিতার সঙ্গে ছড়ার মূল ফারাকই হচ্ছে এই ছন্দের প্রয়োগ ও পরিসর। প্রাচীনকাল থেকেই ছড়ার নির্মাণ, প্রচার ও প্রসার চলে আসছে আজ অবধি। শিশুর মনোরঞ্জন, নীতিশিক্ষা, সমাজশিক্ষা তথা জনসাধারণের কাছে দেশ ও সমাজের হাল হকিকত পৌঁছে দেওয়া ও প্রশংসা-প্রতিবাদের এক অতীব সহজ ও কার্যকরী পন্থা হিসেবে তাই ছড়ার গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নাতীত। প্রাচীন কাল থেকে শুরু করে আজকের দিনেও সাহিত্যের এই দিকটিতে তাই কবিতা, গল্পের পাশাপাশি ছড়াও লেখা হচ্ছে যদিও বিশেষত ছন্দনির্মাণে সাবলীলতার অভাবে এই নির্মাণ বা সৃষ্টির পরিসর সীমিত। বস্তুত ছড়া নয় শুধু, শিশু সাহিত্য বিষয়ক সৃষ্টির পরিসংখ্যানও তাই বলে। বাংলা সাহিত্যে বিশিষ্ট ছড়াকারের সংখ্যা আজকের দিনে নিতান্তই সীমিত। ছড়া বলা বা শোনা যতটা সহজ, ছড়া লেখা তার চাইতে বহুগুণ বেশি কঠিন। সেই কঠিন কাজটিই করেছেন কবি ও লেখক হৃষিকেশ নাথ। দু:সাহসিক নাহলেও এই সাহসী সৃষ্টিকর্মের নিদর্শন হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর ছড়া সংকলন - ‘ধুৎতেরিকি’। বিরক্তি বা আপশোশ প্রকাশজনক অব...