Skip to main content

Posts

Showing posts from May, 2025

সম্পর্কের সাতকাহন - ‘মুখের মিছিল মনের মিছিল’

পরিবর্তনশীল সংসারে সুন্দর ও অসুন্দরের ছবি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে নানাভাবে ফুটে উঠে। আর তাই চোখে দেখা স্বপ্ন আর বাস্তবের ভিত কখনও কখনও একেবারেই আলাদা হয়। সংঘর্ষ, লড়াই এসব কিছুই জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। তাতেও শেষ নয়। সমাজ সংসারে মানুষের ব্যবহার ও চেহারা বারবার পালটে যায় সময়ের সাথে সাথে। সুখ-দুঃখ, আনন্দ বেদনার লহর বয়ে যায় সংসার সমুদ্রে। সংসারের নানা ওঠাপড়া ও ভিন্ন ভিন্ন সময়ে মানুষের পরিবর্তনের নানান কথা তুলে ধরা হয়েছে আমার এই গল্পগ্রন্থে। বলা হয়েছে মানুষের ব্যক্তিসত্তার কথা, মানুষের স্বভাবগত পরিবর্তনের কথা। ….সংসারের ভিন্ন ভিন্ন সত্য রূপের আভাস তুলে ধরার চেষ্টা করেছি মাত্র। আমাদের সম্পূর্ণ জীবনে ভাবনার অস্তিত্ব অনেক সময় শূন্যে বিলীন হয়। তখন সংসারের ছন্দ, সুর ফিরিয়ে আনতে সম্পর্কের ডোর আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চাই আমরা। কিন্তু সে বাঁধনও সময়ের সাথে সাথে আলগা হয়ে যায়…।’ - ‘আমার কথা’ শিরোনামে গল্পকার অনুপমা পাল এভাবেই আলোচ্য গল্পগ্রন্থে সন্নিবিষ্ট গল্পসমূহের একটি সারাংশ তথা মূল উপজীব্য বিষয়কে পরিস্ফুট করেছেন। পাকা বাঁধাইয়ে ১২৮ পৃষ্ঠার গ্রন্থের অন্তর্গত ১২০ পৃষ্ঠা জুড়ে মোট ২৩টি গল্পে বস্তুত সংসার...

উপত্যকার ক্রীড়াবিষয়ক এক সংগ্রহযোগ্য দলিল - ‘সাক্ষাতে কথা’

গল্প, কবিতার প্রাচুর্যে গ্রন্থ প্রকাশের জগতে অন্যান্য প্রকাশ অনেকটাই স্তিমিত হয়ে থাকে সচরাচর। মাঝে মাঝে কিছু উপন্যাস এবং কিছু প্রবন্ধ আদির সংকলন প্রকাশিত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেলেও সাক্ষাৎকার সংকলন বস্তুতই এক বিরল ঘটনা আজকের সাহিত্য পরিমণ্ডলে, বিশেষ করে এই উত্তরপূর্বের সাহিত্য জগতে। সেই অর্থে বিষয়ভিত্তিক ‘সাক্ষাতে কথা’ সংকলন গ্রন্থটি প্রকৃতার্থেই এক ব্যতিক্রমী প্রয়াস। বহু দিনের অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ সাংবাদিক (ক্রীড়া সাংবাদিক) দ্বিজেন্দ্রলাল দাস ও ক্রীড়াবিদ তথা ক্রীড়া সংগঠক উত্তম চৌধুরী সংকলিত, সম্পাদিত ও গৃহীত সাক্ষাৎকার সংগ্রহ গ্রন্থটি স্বভাবতই খেলাধুলা ও সাহিত্য জগতে এক বিশেষ স্থান অধিকার করতে সক্ষম হয়েছে। খেলাধুলা এমন একটি বিষয় যা প্রত্যেকের জীবনেই একটি নির্দিষ্ট বয়সে এক অমোঘ ভালোবাসার আকর হয়ে আসে। কালের আবর্তে সেই জগৎ থেকে অধিকাংশ মানুষই সরে এলে বা সরে আসতে বাধ্য হলেও সেই ভালোবাসার কিছুটা হলেও রেশ থেকে যায় মননে, মগজে। তাই খেলাধুলাবিষয়ক লেখালেখি থেকে একেবারেই মুখ ফিরিয়ে থাকা সম্ভব হয়ে ওঠে না কারোরই। আর সেই খেলাধুলাবিষয়ক লেখালেখির প্রেক্ষাপট যদি হয় বিস্তৃত এবং চেনা পরিবেশ তাহলে সোনায় সোহাগা। আ...

প্রত্যয়িত পথ চলার অঙ্গীকার - ‘এবং হাঁটছি’

এক খেয়ালি কবির কবিতাযাত্রার বয়ান। ইচ্ছেরা তার ডানা মেলে এমন এক অনুষঙ্গের সৃষ্টি করে যা ‘শুধু কবিতার জন্য’। কবিতার জন্য কবি পথে নেমেছেন এবং পথ হাঁটছেন খেয়ালে, খুশিতে - পৃথিবীর শেষ রাস্তা ধরে পৌঁছে যাবো নিশীথ সূর্যের দেশে, উত্তর মেরুর গায়ে হেলান দিয়ে টানা বসন্ত জুড়ে রাত্রি উদ্যাপন করবো। বসন্ত কেটে গেলে ধীরে ধীরে… হিমবাহে সব ক্ষত খুলে রেখে, সমুদ্রের জলে অস্তি বিসর্জন করে, মহাপ্রস্থানের পথে যাত্রা করবো। (কবিতা - মহাপ্রস্থানের পথে) কিংবা - গাছ, মাটি আর জলের বন্দনা করি, ঘুমের মন্ত্র উচ্চারণে নেমে আসুক পুনর্জন্ম। আমাকে পাতার দেশে নিয়ে চলো বাতাস আমার অসুখ শুষে নিক, আমি মাটির কাছে আনত হবো, পাতার শরীরে এঁকে দেবো চুম্বন। বীজ আহরণ করবো, মন্ত্রপূত সূর্যকণা পুঁতে দেবো মৃত্তিকার গর্ভাশয়ে। (কবিতা - পুনর্জন্ম হোক) শেষোক্ত কবিতায় কবির নিরলস পথ চলার বাইরেও লক্ষ করলে দেখা যায় একগুচ্ছ শব্দাবলি যা কবির কাব্যমনষ্কতার পরিচায়ক। এক ঘোর লাগা পঙ্ক্তিসুখ খুঁজে পাওয়া যায় কবিতায়। এক পাগলপারা ইচ্ছেসুখের আবেগতাড়িত বয়ান, যেখানে পথ ও প্রকৃতিও এসেছে গভীর অনুষঙ্গ হিসেবে। এই কবিতায় আছে গাছ, মাটি জল, পাতা, বাতাস, বীজ, সূর্য...

প্রতিশ্রুতির প্রথম সোপান - ‘অনাদৃতা’

কবি অনন্যা ভট্টাচার্যের প্রথম কাব্যগ্রন্থ। প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থের প্রতি গ্রন্থকারের এক ব্যতিক্রমী আবেগ, অনুভূতি যে জড়িয়ে থাকে তা অনস্বীকার্য। ‘অনাদৃতা’ গ্রন্থটি হাতে নিলেই দৃষ্টি অবধারিতভাবে আকর্ষিত হবে গ্রন্থের ছিমছাম, নান্দনিক প্রচ্ছদের দিকে। ধারাবাহিকতা বজায় থেকেছে শীতালং পাবলিকেশনের। এবারের প্রচ্ছদ শিল্পী অভিজিৎ দেবনাথ। ৪৪ পৃষ্ঠার কাব্যগ্রন্থের ৩৮ পৃষ্ঠা জুড়ে রয়েছে ৩৮টি কবিতা। ৪ থেকে ১৬ লাইনের এক একটি কবিতায় ধরা রয়েছে নানা অনুষঙ্গ। প্রকৃতি, অনুভব-অনুভূতি, কল্পনা, বাস্তব, আকাঙ্ক্ষা, প্রতিবাদ ইত্যাদি। কিছু কিছু কবিতায় প্রাথমিক জড়তার ছাপ থাকলেও প্রথম কাব্যগ্রন্থের কবিতা হিসেবে বলা যায় যথেষ্ট পরিশীলিত এবং স্বচ্ছন্দ। অনুভবের অনুরণন ধ্বনিত হয়েছে অধিকাংশ কবিতায়। কবি লিখছেন - একটি গোটা সন্ধ্যা কাটে তারার খোঁজে রাত নামে, হালকা নীল-কালো চাদরে আবৃত চরাচর, সাদা প্যাঁচা ঘুরে রাতে চাঁদের আলোয় ঝলসায় কালপুরুষ সন্ধ্যাতারা করে জায়গা বদল সপ্তর্ষিমণ্ডল আঁকে অনন্ত প্রশ্ন - হারিয়ে যাওয়া তারার খোঁজে আমি রয়ে যাই - একা। (কবিতা - হারানো তারা)। গ্রন্থের প্রথমেই রয়েছে ‘প্রান্তিক’ সিরিজের ১০টি কবিতা। এর কোনো ...

নান্দনিকতার গরজে প্রকাশিত - ‘মনুতট’ - সাহিত্যের অন্যভূমি

১ / ৪ ক্রাউন সাইজে ৩৬ পৃষ্ঠার পত্রিকা । পার্থ দাস - এর ছিমছাম , নান্দনিক একটি প্রচ্ছদ প্রথমেই দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম পাঠক / দর্শকের । উত্তর ত্রিপুরার কুমারঘাট শহর একদিকে যেমন ঐতিহাসিক অন্যদিকে তেমনি প্রাকৃতিক প্রেক্ষাপটে এক স্বকীয় স্থান ধরে রেখেছে যুগ যুগ ধরে। এর বাইরেও দেও-মনু উপত্যকার এই জনপদের সামাজিক ও সাহিত্য-সংস্কৃতিমূলক প্রেক্ষাপটও যথেষ্ট প্রাচীন ও সমৃদ্ধ। তারই নিদর্শন সমাজ-সাহিত্য-সংস্কৃতি জগৎ থেকে উঠে আসা বহু বিদগ্ধ গুনীজন। মনুতটের মানুষ গোপালচন্দ্র দাস এক নিরলস সাহিত্যিক তথা কবি ও সাহিত্য-কর্মী। তাঁরই সম্পাদনায় নিয়মিত প্রকাশিত হয়ে চলেছে ‘ মনুতট’ পত্রিকা। সম্প্রতি হাতে এসেছে পত্রিকাটির ষোড়শ বর্ষ, ত্রয়োদশ সংখ্যাটি। প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি ২০২৫। একগুচ্ছ কবিতা, দুটি ছড়া ও একটি একাঙ্ক অণুনাটকের সমাহারে সমৃদ্ধ হয়েছে এবারের সংখ্যাটি। সম্পাদকীয়টি হৃদয়গ্রাহী হলেও এতটাই সংক্ষিপ্ত যে পুরোটাই তুলে দেওয়া যায় - ‘মনুতট - পাড়ে ছিল অনেক কবিতা গল্প। আজও আছে। জীবন-দর্শনের মতোই আমার নদী দর্শন - থেমে থাকে না। মনু-পাড়ে জমে ওঠে জন্ম-মৃত্যু, ভাঙা-গড়ার খেলা। আমি ধ্যানী হয়ে সেই চক্রটাকে ভালোবেসে ফেল...

ইচ্ছে করে আকাশটাকে লাঙল দিয়ে টুকরো করে কাটি… কবিতায় অনুভূতির - ‘স্ফুলিঙ্গ’

স্ফুলিঙ্গ শুধু আতসবাজিতে কিংবা যুদ্ধক্ষেত্রেই দেখা যায় না, শব্দের ফুলকিতে সাহিত্যসম্ভার জুড়ে  এমন স্ফুলিঙ্গের উপস্থিতি যুগ থেকে যুগান্তরে বিশেষভাবে প্রতীয়মান। প্রত্যেক কবিরই লিখনশৈলী তথা কবিতার সার্বিক ধাঁচটি স্বতন্ত্র। বিষয় নির্বাচনেও সবার আলাদা একটি প্রবণতা লক্ষ করা যায়। কবি সুপ্রদীপ দত্তরায়ও এর ব্যতিক্রম নন। তাঁর কবিতায় দ্রোহ, শ্লেষ, প্রতিবাদ, বিরুদ্ধবাদিতা আকছার ফুটে ওঠে স্ফুলিঙ্গের মতো। সমাজকে আতসকাচে পর্যবেক্ষণ করে তার ভিতর থেকে সরাসরি কাঠগড়ায় তুলে আনেন যাবতীয় অনাচার, অনিয়ম, অন্যায়, অন্ধ বিশ্বাস ও অসংখ্য প্রহসন। তাঁর কবিতার ধাঁচ সচরাচর দীর্ঘ। এসব কিছুকেই সম্বল করে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে কবির কাব্যগ্রন্থ ‘স্ফুলিঙ্গ’। বস্তুত আলোচ্য এই গ্রন্থটির অধিকাংশ কবিতাই এমনধারা, স্ফুলিঙ্গসম। ৬৪ পৃষ্ঠার গ্রন্থটিতে সন্নিবিষ্ট হয়েছে ৪৮টি কবিতা। এই ধারা কিংবা ধাঁচের বিপরীতে এখানে রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রেম-ভালোবাসাবিষয়ক কবিতা যা পাঠককে নিশ্চিতই পরিচিত করিয়ে দেবে এক অন্য সুপ্রদীপকে। গ্রন্থের প্রথম কবিতার নাম ‘ঈশ্বর’, যার শেষ কয়েকটি পঙ্‌ক্তি উপর্যুক্ত বয়ানকে প্রতিষ্ঠিত করে যথার্থ রূপে - ‘...যদি কো...

ছোটদের অবশ্য-পাঠ্য সংকলন - ‘আমার অসম’

একটি ভিন্নধর্মী পুস্তক ‘আমার অসম’। শেষ প্রচ্ছদে লেখক পরিচিতির সূত্র ধরে জানা যায় তাঁর ‘শৈশব ও কৈশোর কেটেছে বরাক উপত্যকার বড়থল চা বাগানে। চা পাতার সুবাস আর মুক্ত প্রকৃতির হাওয়ায় বেড়ে ওঠা শ্রাবণী (শ্রাবণী গঙ্গোপাধ্যায়)...ভালোবাসেন ছোটদের জন্য লিখতে...।’ ইতোমধ্যেই তাঁর দুটি গল্প সংকলনও প্রকাশিত হয়েছে যা ছোটদের জন্য লেখা। গ্রন্থ পরিচিতি লিখতে গিয়ে লেখক পরিচিতি কেন পড়তে হল সেই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। আর এজন্যই প্রথমে লেখা হয়েছে যে আলোচ্য গ্রন্থটি একটি ভিন্নধর্মী গ্রন্থ। ব্যতিক্রমী এজন্যই যে একটি রাজ্যের বিভিন্ন ইতিহাসাশ্রিত বিষয় নিয়ে স্বল্প পরিসরের নিবন্ধ সাধারণত পাঠ্য পুস্তক কিংবা ছোটদের জন্যই লেখা হয়ে থাকে। আলোচ্য গ্রন্থে ‘পাঠ্য পুস্তক’ বা ‘ছোটদের জন্য’ লেখা না থাকলেও পাঠশেষে এমনই একটা ধারণা জন্মাতে বাধ্য। যেহেতু পাঠ্য পুস্তক বলে উল্লেখ নেই তাই ধরেই নেওয়া যেতে পারে যে এটা লেখকের শৈশব-কৈশোরের স্মৃতিবিজড়িত অনুভব ও জন্মস্থান, জন্মরাজ্যের প্রতি গরজ ও দায়বদ্ধতার খাতিরে ছোটদের জন্যই লেখা একটি গ্রন্থ যা নিশ্চিতভাবে উৎসাহ প্রদান করবে ছোটদের। বর্তমানকে জানতে নিজের জন্ম বা বাসস্থানের ইতিহাস জানা একদি...

আমারই অজান্তে নদীরা বাঁক নিয়ে যায় গোপনে... ‘পোড়া অক্ষর দিল ডানা’

উত্তরপূর্বের এবং বিশেষ করে বরাকের সমকালীন কবিতাভুবনে যে কয়েকজন কবি তাঁদের কাব্যপ্রতিভায় নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছেন তাঁদের মধ্যে সুদীপ ভট্টাচার্য অন্যতম। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘পোড়া অক্ষর দিল ডানা’। ব্যতিক্রমটা যে গ্রন্থনামেই বিদ্যমান তা অনুধাবন করা যায় সহজেই। সুদীপের কবিতা নিয়ে লেখক সম্পাদক নারায়ণ মোদক তাঁর শুভেচ্ছা বার্তায় লিখছেন - ‘…প্রচণ্ড দাবদাহে চৌচির মৃত্তিকায় হঠাৎ বায়ুকোণে যে ঝড়ের আভাস, ছিটেফোঁটা বৃষ্টি সিক্ত করছে সাহিত্যের অঙ্গন তাদের মধ্যে সুদীপ ভট্টাচার্য অন্যতম। ...সুদীপের সৃষ্ট পঙ্‌ক্তি কালের স্রোতে ভেসে যাবার মতো নয়। কালের গতি রোধ করে হৃদয় জুড়ে তার উপস্থিতি বর্তমানে যেমন আছে তেমনি ভবিষ্যতের গর্ভেও তা স্থায়ীভাবে প্রস্ফুটিত হবে - এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস...।’ সুদীপের কবিতা কেমন ? বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক সুমন গুণ তাঁর আলোচনায় লিখছেন - ‘...মন্দ্র সরলতা সুদীপ ভট্টাচার্যের কবিতার সম্পদ ...কথার মধ্যে তির্যক কোনও আহ্বান প্রশ্রয় দেন না তিনি। চিত্ররূপময় জীবনের জন্য তাঁর আসক্তি আছে, আরাধনাময় আমন্ত্রণ আছে...। বিভ্রান্ত সময়েও তিনি বিশ্বাস রাখেন শুদ্ধতায়, নির্মলতায়...।’ -...

ভাব ও বোধের নির্মোহ প্রকাশ - ‘আগনের উঠোন’

ইংরেজিতে একটি কথা আছে - ‘Quality matters, not the quantity’. এবং এই কোয়ালিটি অর্থাৎ গুণমানেই আলোচনায় উঠে আসে কিছু স্বল্পদৈর্ঘের ছায়াছবি , কিছু অ্যাবস্ট্রাক্ট ছবি কিংবা কিছু গ্রন্থ বা বই যাদের সাধারণত পুস্তিকা বলাই সঙ্গত । এমনই একটি কাব্যপুস্তিকা হাতে এল সম্প্রতি । উত্তর ত্রিপুরা থেকে কবি নিবারণ নাথের ‘ আগনের উঠোন ’ । সাকুল্যে ১২ পৃষ্ঠার পুস্তিকা যেখানে রয়েছে দু ’ লাইনের মোট ৪০টি কবিতা । দু - চার লাইনের কবিতায় সাধারণত বিশদে কোনো বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা যায় না যদিও গুণগত মানে , শব্দের সুচিন্তিত ও সুসংহত প্রয়োগে দু ’ লাইনেও যে এক অপার অনুভব ব্যক্ত করা যায় তারই এক উৎকৃষ্ট নিদর্শন আলোচ্য পুস্তিকাটি । প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো এখানে আঞ্চলিক উচ্চারণে ‘আগন’ মানে হচ্ছে বাংলা মাস অগ্রহায়ণ বা অঘ্রান। অবিভক্ত গ্রামবাংলার কৃষক ও গৃহস্থ বাড়ির উঠোনে এই অঘ্রানেই প্রতিষ্ঠা হয় খেয়ে পরে বেঁচে থাকার প্রত্যয়ের ছবি। আগনের উঠোনে ধানের আগমনে বয়ে আনে ভবিষ্যতের স্থিরতা। সুস্থ জীবন যাপনের এক প্রতিচ্ছবি আগনের উঠোন। কবি নিবারণের কবিতায় প্রতিধ্বনিত হয়েছে জীবনেরই নানা রূপকল্প। কঠিন দিনে যেখানে অনাচার, অনিয়ম হয়ে উঠে...

ভাবনাত্মক কবিতার সংকলন ‘নবারুণা’

“ এক কবিতা দুবার লেখা যায় না ।"  - বলেছিলেন জনৈক কবি । খুব সত্যি , একটি কবিতার মতো আরেকটি কবিতা লেখা হয় না , কিংবা ইচ্ছে করে কবিতা লিখতে বসলেও কবিতা আসে না । অথচ কোনো বিশেষ সুখ - দু : খ , আনন্দ - বেদনা , শোক - হতাশা মনে দাগ কাটলে অন্তর থেকে আপনিই বেরিয়ে আসে কথাকলি - হয়ে ওঠে কবিতা … । ’ - কী ভীষণ একটি সত্য কথা বলেই ‘ আমার কথা ’ শীর্ষক ভূমিকাপর্ব শুরু করলেন কবি ড . রুণা পাল । তাঁর সদ্য প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ যা আবার তাঁর প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থও বটে - ‘ নবারুণা ’ র স্বকৃত ভূমিকার কথাই হচ্ছে এখানে । ৬৯ পৃষ্ঠার কাব্যগ্রন্থটিতে দুই ভাগে সন্নিবিষ্ট হয়েছে ৫০টি কবিতা । বিষয়ভিত্তিক নয় যদিও কী আছে তাঁর কবিতায় ? সেই উত্তরও পাওয়া যায় ‘ আমার কথা ’ য় - ‘…. কিছু পুরোনো এবং কিছু নতুন অপ্রকাশিত কবিতা এই গ্রন্থে প্রকাশের পাদপ্রদীপের আলোয় এসেছে । … আছে প্রকৃতি বিষয়ক , রোমান্টিক মনোভাবাপন্ন , বাংলা ভাষা শহিদ দিবস বিষয়ক , অস্তিত্ব সচেতনতামূলক , বৈশ্বিক মহামারি বিষয়ক এবং অন্যান্য স্বাদের আরো কয়েকটি কবিতা । ’ গ্রন্থের কবিতাসমূহ দুটি বিভাগে বিন্যস্ত করা হয়েছে । ‘ ক ’ বিভাগে বিচিত্র স্বাদের ...