সুনামগঞ্জের বদনাম
কত বার শোনা সেই নাম,
ছিলেন তাঁরা যতদিন বেঁচে
কথায় কথায় উঠতো গল্পগাথায়।
মা আমার ছিলেন নাকি বড্ড আদুরে
বেড়ে ওঠা সেইখানে - সুনামগঞ্জে।
আমি তো দেখিনি কখনো সেই জনপদ
তবু যেন কতই কাছের -
আমার মায়ের শৈশব।
আজ আবার ইথার বেয়ে
আসছে ভেসে দীর্ণ করে বুক
সুনাম শেষে শুধুই যে বদনাম।
আমার মায়ের প্রতিবেশীর
বংশধর যাঁরা -
শিকার তাঁরা নিত্য অত্যাচারের।
মান সম্ভ্রম ধন ও প্রাণ
রইল না আর কিছুই।
আমরা কিন্তু আছি যে বিন্দাস্
খাওয়া দাওয়া, আড্ডাবাজি,
নিত্যদিনই মারছি রাজা উজির।
দোল ফাগুনের রঙ লাগিয়ে গায়
স্ট্যাটাস লাগাই ফুল বাগিচার ছবি।
রামধনুকে 'রংধনু' আর বুকের দুঃখ
উথলে ওঠে দেশকে বলি 'দ্যাশ'।
সেই দ্যাশ নিয়ে আবার নির্বাক নিশ্চুপ
হারিয়ে গেছে প্রতিবাদের মুখ।
প্রতিবাদ করলে তো
রইব না আর ধর্ম নিরপেক্ষ
বুঝি না এ কেমন নিরপেক্ষতা।
ঘরের কোণে রচি ঠাকুরঘর
নিভৃতে সাজি পূজার উপচার
ফি বছরে উৎসবে পরবে
দু'হাত ঠেকাই প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে।
আপনজনের শেষের শেষে
ছুটে চলি শ্মশানে - অথচ
হিন্দু আমি নৈব নৈব চ।
বলতে হয় না এমন কথা
উচ্চারণে হায়, হারিয়ে যাবে নিরপেক্ষতা।
ধিক্কার দেই ধর্মোন্মাদের দলকে
ধর্মের নামে নিপাত যাক সব শঠতা।
'রংধনু' আর 'দ্যাশ'- এর দলের
খুলুক মুখের কুলুপ
সুনামগঞ্জ আর বিশ্ব জুড়ে
বন্ধ হোক এ অবাধ বর্বরতা
কবিতা দিবসে আজ লিখছি কবিতা।
এই কবিতা দিলাম তাঁদের পায়
দুঃখ বেলায় কাটছে যাঁদের রাত
সুনামগঞ্জে একের পর এক গাঁয়।
Comments
Post a Comment