রোদ্দুর আজো আছে
শাপলা শালুকের ভিড়ের ফাঁকে,
বেহায়া শালিকের একটানা কিচিরমিচিরে,
রঙবাহারে মানানসই সব কোলাজে,
কিংবা অতসী ফুলে শিশিরভেজা পাপড়ি জোড়া
উর্ণনাভের শিল্প জালে,
ধানি পাতার আপাদমস্তকে হৈমন্তী ভোরে,
পলাশ আগুনে, জামরুল সুবাসে,
শিমূল শিখরে পাখিদের হাটে,
বিলের জলে হিজল পথে,
মায়ের আঁচল, বাবার হাঁটা পথে,
শীতসকালে পড়তে বসা মাদুর ছেয়ে।
কিংবা চা বাগিচার দূর গালিচায় -
কৃষ্ণচূড়ার ফাঁকটি গলে, খুনসুটিতে -
হরিয়া আর লছমি মিলে দু’টি পাতা এক কুঁড়িতে।
রোদ্দুর আজো আছে, আগের মতো।
আজ আবার সাত সকালে দেখতে পেলাম তাকে
ঘেরাটোপের ব্যালকনিতে, গৃহবন্দির বাধ্য যাপনে।
Comments
Post a Comment