এমনি
কোনো এক ফাল্গুনে
কাল গুনে মেলেছিল আঁখি
ধরা দিয়েছিল সুখ পাখি।
রোদ ঝলোমল টুকটুকে লাল
ফাগুন ছড়ায় আবির গুলাল
নীলতনু কাঁপন ধরায় বুকে
কাল থেকে আজ আজ থেকে কাল।
এমনি কোনো এক ফাল্গুনে
প্রথম চেয়েছে চোখ মেলে
সেই চোখে আজো হাসি খেলে।
উড়ুউড়ু মন টাপুর টুপুর
পৌষ ছোঁয়া মেঘে উদাস দুপুর
মোহনা বেলায় মিছেই ভোরাই
বুক ধুকপুক আলেয়া নূপুর।
এমনি কোনো এক ফাল্গুনে
ধরেছিল এসে হাতে হাত
আজ হারিয়ে গেছে সে রাত।
কনকনে শীত লেপমুড়ি রাত
নতুন সোহাগে রোজ বাজিমাত
বঁধু হে আমার এত ভালোবাসা
এ জীবন কেয়াবাত কেয়াবাত।
ব্যথা যখন ঝরে পড়ে নিরলস তখনই বোধ করি সমান তালে পাল্লা দিয়ে ঝরে পড়ে কবিতারা । আর না হলে একজন কবি ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর ব্যথাকেও কী করে ধরে রাখতে পারেন কবিতার পঙক্তি জুড়ে ? নষ্টনীড়ে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন - ‘মনে যখন বেদনা থাকে, তখন অল্প আঘাতেই গুরুতর ব্যথা বোধ হয়’। তাঁর অসংখ্য গান, কবিতা ও রচনায় তাই বেদনার মূর্ত প্রকাশ লক্ষ করা যায়। এমনই সব ব্যথা আর ভিন্ন ভিন্ন যাপনকথার কাব্যিক উপস্থাপন কবি বিশ্বজিৎ দেব - এর সদ্য প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ - ‘ টাপুর টুপুর ব্যথা ’ । মোট ৫৬ পৃষ্ঠার এই কাব্যগ্রন্থের ৪৮ পৃষ্ঠা জুড়ে রয়েছে ৫৬ টি কবিতা। কিছু সংক্ষিপ্ত, কিছু পৃষ্ঠাজোড়া। ভূমিকায় বিশিষ্ট সাহিত্যিক রতীশ দাস লিখছেন - ... বিশ্বজিতের কবিতাগুলো অনেকটা তার কাঠখোদাই শিল্পের রিলিফ-এর মতোই উচ্ছ্বাসধর্মী - যেন উত্তলাবতল তক্ষণজনিত আলো-আঁধারি মায়াবিজড়িত, পঙক্তিগুলো পাঠক পাঠিকার মনোযোগ দাবি করতেই পারে...। এখান থেকেই আলোচ্য গ্রন্থের কবিতাগুলোর বিষয়ে একটা ধারণা করা যেতে পারে। এখানে উচ্ছ্বাস অর্থে আমাদের ধরে নিতে হবে কবির ভাবনার উচ্ছ্বাস, সে বিষাদেই হোক আর তাৎক্ষণিক কোনও ঘটনার জের হিসেবেই হোক। তাই হয়তো কবি করোনার
Comments
Post a Comment