মাঘের মেঘ
এক চাঁদ আকাশটা আলো করে রয়
মেঘদল পল পল কী বা কথা কয় ?
দূর থেকে এক তারা মিটি মিটি হাসে
মায়াবিনী মেঘ, চাঁদ, তারা সব ভাসে।
রাতভর অনাবিল অপরূপ শোভা
অপলক দু'নয়ন স্থির মনোলোভা।
জলদ চাদরে চাঁদ আলাপনে মাতে
এক তারা সুর ধরে একতারা হাতে।
কোন সুর বাজে তার একতারাখানি
আমি এক নির্গুণ কী বা তার জানি ?
অনিমেষ দুই চোখে নির্মোহ ক্ষণ
বাকহারা চরাচর ঘোর শিহরণ।
চাঁদ তারা মেঘে ঝলকায় রাতখানি
ভুলে রই দেখে আবছায়া হাতছানি।
সে তো গেল কুহকিনী রাতের বাখান
দিন হতে সেই মেঘদল অফুরান।
ছেয়ে ফেলে চরাচর ঘোর কালো ত্রাসে
চুপিচুপি বৃষ্টিরা পিছুপিছু আসে।
মেঘ বৃষ্টির এই সহাবস্থান
হাড় হিমে জর্জর ধরণী পরান।
মাঘে মেঘে এই মহাজোট থাকে লেখা
মায়েতে মেয়েতে নাকি বহু পর দেখা।
কী যে এক বিভীষিকা বসুধাবাসীর
মহাশীত কম্পনে সারাটি শরীর।
চান নেই, নেই যত অকাজের কাজ
কিম্ভুত কিমাকার পা-মাথার সাজ।
খিল দোরে, বাতায়নে - লেপ কম্বল
গরম চায়ের সাথে মুড়ি সম্বল।
তবু মাঝে মাঝে খুলি বাতায়ন আজ
মেলিয়া দু’চোখে দেখি চমকিত বাজ।
ঘোর কালো দানো এক ঢেকে দশদিক
হামলে পড়েছে যেন হিমেল অনীক।
তিরতির ঝরঝর জলদানো নিয়ে
কী খেলায় মেতেছে সে লখি আঁখি দিয়ে।
পশুপাখি আছে যত ভিজে একসারা
দিনের আঁধার জুড়ে হিম বারিধারা।
তৃণ থেকে মহীরুহ জল মেখে গায়ে
অসহায় হয়ে হায় দোলে মৃদু বায়ে।
বনানীর বুক জুড়ে বৃষ্টির ছোপ
একটানা নহবত টুপ টাপ টুপ।
মেঘমল্লারে বাজে গণসংগীত
বেহালায় বাজে সুর লঘু সুললিত।
বসুধার মুখ ভার মন অভিমানী
ঠিক যেন আমার পিয়ার মুখখানি।
চাঁদ নেই তারা নেই লুকিয়েছে রবি
দিনরাত একাকার - তাই দেখে কবি।
জবুথবু পথচারী পেট হাতে করে
যায় চলে আনমনে জীবিকার তরে।
শীত কিবা গরমের আছে যত ত্রাস
সব আছে - সুখ যার ঘরে করে বাস।
মেঘদল পল পল কী বা কথা কয় ?
মায়াবিনী মেঘ, চাঁদ, তারা সব ভাসে।
অপলক দু'নয়ন স্থির মনোলোভা।
এক তারা সুর ধরে একতারা হাতে।
কোন সুর বাজে তার একতারাখানি
আমি এক নির্গুণ কী বা তার জানি ?
অনিমেষ দুই চোখে নির্মোহ ক্ষণ
বাকহারা চরাচর ঘোর শিহরণ।
চাঁদ তারা মেঘে ঝলকায় রাতখানি
ভুলে রই দেখে আবছায়া হাতছানি।
সে তো গেল কুহকিনী রাতের বাখান
দিন হতে সেই মেঘদল অফুরান।
ছেয়ে ফেলে চরাচর ঘোর কালো ত্রাসে
চুপিচুপি বৃষ্টিরা পিছুপিছু আসে।
মেঘ বৃষ্টির এই সহাবস্থান
হাড় হিমে জর্জর ধরণী পরান।
মাঘে মেঘে এই মহাজোট থাকে লেখা
মায়েতে মেয়েতে নাকি বহু পর দেখা।
কী যে এক বিভীষিকা বসুধাবাসীর
মহাশীত কম্পনে সারাটি শরীর।
চান নেই, নেই যত অকাজের কাজ
কিম্ভুত কিমাকার পা-মাথার সাজ।
খিল দোরে, বাতায়নে - লেপ কম্বল
গরম চায়ের সাথে মুড়ি সম্বল।
তবু মাঝে মাঝে খুলি বাতায়ন আজ
মেলিয়া দু’চোখে দেখি চমকিত বাজ।
ঘোর কালো দানো এক ঢেকে দশদিক
হামলে পড়েছে যেন হিমেল অনীক।
তিরতির ঝরঝর জলদানো নিয়ে
কী খেলায় মেতেছে সে লখি আঁখি দিয়ে।
পশুপাখি আছে যত ভিজে একসারা
দিনের আঁধার জুড়ে হিম বারিধারা।
তৃণ থেকে মহীরুহ জল মেখে গায়ে
অসহায় হয়ে হায় দোলে মৃদু বায়ে।
বনানীর বুক জুড়ে বৃষ্টির ছোপ
একটানা নহবত টুপ টাপ টুপ।
মেঘমল্লারে বাজে গণসংগীত
বেহালায় বাজে সুর লঘু সুললিত।
বসুধার মুখ ভার মন অভিমানী
ঠিক যেন আমার পিয়ার মুখখানি।
চাঁদ নেই তারা নেই লুকিয়েছে রবি
দিনরাত একাকার - তাই দেখে কবি।
জবুথবু পথচারী পেট হাতে করে
যায় চলে আনমনে জীবিকার তরে।
শীত কিবা গরমের আছে যত ত্রাস
সব আছে - সুখ যার ঘরে করে বাস।
Comments
Post a Comment