Skip to main content

প্রত্যেকে আমরা পরের তরে

কে বলে আমরা কাছে নেই ? কাছে না থাকলে কি ১০০ কোটি মানুষের ঘরে একসাথে জ্বলে ওঠে প্রদীপ, বাঁজে শঙ্খ ঘন্টা ধ্বনি ? কাছে না থাকলে কি হাজার হাজার করোনা রোগী সুস্থ হয়ে ফিরতে পারতেন নিজের ঘরে ? কাছে না থাকলে কি দেশের সীমান্তে শত্রু রাষ্ট্রের নষ্টামিকে প্রতিহত করা যেত ? কাছে না থাকলে কি এত এত অপপ্রচারের পরেও আমরা একে অপরের স্বজন বন্ধু হয়ে থাকতে পারতাম ?

কাছে আছি, পাশে আছি বলেই তো নিস্বার্থ ভাবে একে অপরের সৃষ্টিকে তুলে ধরছি সবার কাছে। কাছে আছি বলেই চেনা অচেনা সবার কৃতিত্বকে কুর্নিশ জানাতে দ্বিধা হয় না এতটুকু।
আজ খানিকটা গর্বঘন মুহূর্ত খুব ইচ্ছে করছে সবার সাথে ভাগ করে নিতে। বরাক উপত্যকা তথা এই ভুবনের স্বনামধন্য কবি কল্লোল চৌধুরী। আজ শিলচরের সুচেতনা লিটল ম্যাগাজিন ফেসবুক গ্রুপের একটি লাইভ অনুষ্ঠানে তিনি আমার একটি কবিতা পাঠ করলেন। কবি কল্লোল চৌধুরীর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত পরিচয় গড়ে ওঠেনি এ যাবৎ। এমনকি আমার ফেসবুকেও তিনি নেই। অথচ - - - । ঠিক এমনি - দিন দশেক আগে গুরুচরণ কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক উত্তম রায় মহাশয়ও আমার অন্য দু'টি কবিতা পাঠ করেছিলেন। তাঁরা দু'জনকেই জানাই আমার সশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞতা।
কৃতজ্ঞতা জানানোর এই পর্বে অন্য যাঁরা বিভিন্ন লাইভ অনুষ্ঠানে আমার কবিতা পড়েছেন তাঁদেরও জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। এঁদের মধ্যে আছেন কবি সুশান্ত ভট্টাচার্য, দোলনচাঁপা দাস পাল, শতদল আচার্য, সুদীপ্তা সেনগুপ্ত তথা বাচিক শিল্পী অলকা গোস্বামী ও সুতনুকা দত্ত ভট্টাচার্য। আজ অন্য একটি লাইভ অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট গল্পকার আদিমা মজুমদারও নিয়ে বসেছিলেন আমার কবিতা এবং আমার গল্প সংকলন। যদিও সময়াভাবে পড়ে উঠতে পারেননি সব কিছু তবুও ধন্যবাদ আদিম-দিকেও।
পাশাপাশি যাঁরা আমার কবিতা পাঠ করে তাঁর চিত্ররূপ পরিবেশন করেছেন সামাজিক মাধ্যমে তাঁদের প্রতিও রইল আমার অকুণ্ঠ ধন্যবাদ ও অকৃত্রিম শুভেচ্ছা। এঁদের মধ্যে আছেন বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী সৌমেন বন্দ্যোপাধ্যায়, মমতা চক্রবর্তী, অলকা গোস্বামী, শংকর দাস, জয়শ্রী ব্যানার্জি, দেবযানী শ্যাম, রাজেশ শর্মা, নিম্মি চক্রবর্তী, সুদীপ্তা সেনগুপ্ত, দেবশ্রী কর।
দুঃস্থ অসহায় বিপন্নদের পাশে যেভাবে আমরা দাঁড়িয়েছি বিপন্ন বেলায় সহায়তার হাত এগিয়ে দিয়ে ঠিক এভাবেই আমরা দাঁড়াব আমাদের সীমান্তে প্রহরারত বীর সেনানীদের পাশে, পাশে থাকব করোনা যুদ্ধের অক্লান্ত সৈনিকদেরও।
আর পাশাপাশি সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়েও এভাবেই পাশে থাকতে পারি একে অপরের - আজকের এই অবরুদ্ধ জীবন যাপনে।
- - - - - - - 16.06.2020.

Comments

Popular posts from this blog

উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাংলা গল্প : বিষয়ে বিশ্লেষণে

একক কিংবা যৌথ সম্পাদনায় বিগত কয়েক বছরে উত্তরপূর্বের বাংলা লেখালেখি বিষয়ক একাধিক গ্রন্থ সম্পাদনা করে এই সাহিত্যবিশ্বকে পাঠকের দরবারে পরিচিত করিয়ে দেওয়ার এক প্রচেষ্টা করে যাচ্ছেন নিবেদিতপ্রাণ তরুণ লেখক ও সম্পাদক নিত্যানন্দ দাস । হালে এপ্রিল ২০২৪ - এ প্রকাশিত হয়েছে তাঁর সম্পাদনা গ্রন্থ ‘ উত্তর - পূর্বাঞ্চলের বাংলা গল্প : বিষয়ে বিশ্লেষণে ’ ( প্রথম খণ্ড ) । প্রকাশক - একুশ শতক , কলকাতা । আলোচ্য গ্রন্থটিতে দুই ছত্রে মোট ২৮ জন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিকের ২৮টি প্রবন্ধ রয়েছে । উপযুক্ত বিষয় ও আলোচকদের নির্বাচন বড় সহজ কথা নয় । এর জন্য প্রাথমিক শর্তই হচ্ছে নিজস্ব জ্ঞানার্জন । কালাবধি এই অঞ্চল থেকে প্রকাশিত উৎকৃষ্ট সাহিত্যকৃতির সম্বন্ধে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল না হলে তা সম্ভব নয় মোটেও । নিত্যানন্দ নিজেকে নিমগ্ন রেখেছেন গভীর অধ্যয়ন ও আত্মপ্রত্যয়কে সম্বল করে তা বলার অপেক্ষা রাখে না । আলোচ্য গ্রন্থের ভূমিকা লিখেছেন প্রতিষ্ঠিত কথাকার রণবীর পুরকায়স্থ । বস্তুত সাত পৃষ্ঠা জোড়া এই ভূমিকা এক পূর্ণাঙ্গ আলোচনা । ভূমিকা পাঠের পর আর আলাদা করে আলোচনার কিছু থাকে না । প্রতিটি নিবন্ধ নিয়ে পরিসরের অভাবে সংক্ষিপ্ত হলেও ...

শেকড়ের টানে নান্দনিক স্মরণিকা - ‘পরিযায়ী’

রামকৃষ্ণনগর । প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আবহে বরাক উপত্যকার এক ঐতিহ্যময় শহর । বিশেষ করে শিক্ষাদীক্ষার ক্ষেত্রে চিরদিনই এক অগ্রণী স্থান হিসেবে উচ্চারিত হয়ে আসছে এই নাম । বৃহত্তর রামকৃষ্ণনগরের গোড়াপত্তনের ইতিহাস বহুদিনের । দেশভাগের আগে ও পরে , উত্তাল সময়ে স্থানচ্যূত হয়ে এখানে থিতু হতে চাওয়া মানুষের অসীম ত্যাগ ও কষ্টের ফলস্বরূপ গড়ে ওঠে এক বিশাল বাসযোগ্য অঞ্চল । শুধু রুটি , কাপড় ও ঘরের স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রই নয় , এর বাইরে শিক্ষা অর্জনের ও শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে মমনশীলতার পরিচয় দিয়েছিলেন সেইসব মহামানবেরা । ফলস্বরূপ এক শিক্ষিত সমাজব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল যদিও উচ্চশিক্ষার জন্য পরবর্তী প্রজন্মকে বেরোতে হয়েছিল নিজ বাসস্থান ছেড়ে । শিলচর তখন এ অঞ্চলের প্রধান শহর হওয়ায় স্বভাবতই শিক্ষা ও উপার্জনের স্থান হিসেবে পরিগণিত হয় । এবং স্বভাবতই রামকৃষ্ণনগর ছেড়ে এক বৃহৎ অংশের মানুষ এসে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেন এই শিলচরে । এই ধারা আজও চলছে সমানে । শিলচরে এসেও শেকড়ের টানে পরস্পরের সাথে যুক্ত থেকে রামকৃষ্ণনগর মূলের লোকজনেরা নিজেদের মধ্যে গড়ে তোলেন এক সৌহার্দমূলক বাতাবরণ । এবং সেই সূত্রেই ২০০০ সালে গঠিত হয় ‘ ...

কবির মজলিশ-গাথা

তুষারকান্তি সাহা   জন্ম ১৯৫৭ সাল৷ বাবা প্ৰয়াত নিৰ্মলকান্তি সাহা ও মা অমলা সাহার দ্বিতীয় সন্তান   তুষারকান্তির ৮ বছর বয়সে ছড়া রচনার মাধ্যমে সাহিত্য ভুবনে প্ৰবেশ৷ ‘ ছায়াতরু ’ সাহিত্য পত্ৰিকায় সম্পাদনার হাতেখড়ি হয় কলেজ জীবনে অধ্যয়নকালীন সময়েই৷ পরবৰ্তী জীবনে শিক্ষকতা থেকে সাংবাদিকতা ও লেখালেখিকেই পেশা হিসেবে গ্ৰহণ করেন৷ প্ৰথম ছড়া প্ৰকাশ পায় সাতের দশকে ‘ শুকতারা ’ য়৷ এরপর ‘ দৈনিক যুগশঙ্খ ’ পত্ৰিকার ‘ সবুজের আসর ’, দৈনিক সময়প্ৰবাহ ও অন্যান্য একাধিক কাগজে চলতে থাকে লেখালেখি৷ নিম্ন অসমের সাপটগ্ৰামে জন্ম হলেও বৰ্তমানে গুয়াহাটির স্থায়ী বাসিন্দা তুষারকান্তির এ যাবৎ প্ৰকাশিত গ্ৰন্থের সংখ্যা ছয়টি৷ এগুলো হচ্ছে নগ্ননিৰ্জন পৃথিবী (দ্বৈত কাব্যগ্ৰন্থ) , ভবঘুরের অ্যালবাম (ব্যক্তিগত গদ্য) , একদা বেত্ৰবতীর তীরে (কাব্যগ্ৰন্থ) , প্ৰেমের গদ্যপদ্য (গল্প সংকলন) , জীবনের আশেপাশে (উপন্যাস) এবং শিশু-কিশোরদের জন্য গল্প সংকলন ‘ গাবুদার কীৰ্তি ’ ৷ এছাড়াও বিভিন্ন পত্ৰপত্ৰিকায় প্ৰকাশিত হয়েছে শিশু কিশোরদের উপযোগী অসংখ্য অগ্ৰন্থিত গল্প৷ রবীন্দ্ৰনাথের বিখ্যাত ছড়া , কবিতা ও একাধিক ছোটগল্প অবলম্বনে লিখেছেন ...